নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট শিক্ষক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর

শিক্ষক

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিকদের জন্য সুসংবাদ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

(৩য় পর্ব/গতকালের পর)
খেয়াল করা আবশ্যক যে, কুরআন মাজিদের ২৮নম্বর পারার সূরা তাগাবুনের শিক্ষার আলোকে এবং মুসলিম শরিফের গরিব কে? সংক্রান্ত হাদিসের ভিত্তিতে বলা যায়, কিয়ামতের দিন বহু মানুষ নিজেদের আমলনামায় কোটি কোটি খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, লুটপাট, ছিনতাই, রাহাজানি, হাইজ্যাক, চাঁদাবাজি, নাশকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি মারাত্মক ধরণের অপরাধ দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলবে যে, হে আল্লাহ, আমি তো এ সবের ধারে কাছেও ছিলাম না। তাহলে এগুলো আমার কার্যতালিকায় আসলো কোথা থেকে? উত্তরে আল্লাহ বলবেন, হ্যাঁ তুমি এসব করো নাই ঠিকই, কিন্তু তুমি এমন গোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে প্রচারণা চালিয়েছিলে, যাদের বিপুল সংখ্যক সমর্থকেরা সারা দেশে বা বিশ্বের দেশে দেশে এসব অপকর্ম করেছিল। অথবা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বিচারে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দোষ প্রমাণিত হবার আগেই তাকে দোষী বানিয়ে কোটি কোটি মানুষের সামনে বার বার প্রচার করেছিলে। এজন্যে তোমার আমলনামার এ অবস্থা। তখন এ ধরণের মানুষেরা অস্থির ও দিশেহারা হয়ে সংশোধনের জন্যে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করবে, কিন্তু কোনো লাভ হবে না। আর সেদিন হবে এমন, যেদিন কোটি কোটি বার মানুষকে সচেতন বা জীবিত করে শাস্তি দেয়া মোটেই কঠিন হবে না। অপরদিকে সেদিন অনেক মানুষ নিজেদের আমলনামায় কোটি কোটি ভালো কাজের ফলাফল দেখে অবাক হয়ে বলবে হে আল্লাহ, আমার আমল তো তেমন ছিল না, তাহলে এসব কোথা থেকে এলো? তখন আল্লাহ পাক বলবেন, তুমি এসব করোনি ঠিক, কিন্তু তুমি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সমর্থন করেছিলে বা সমর্থন করে কোটি কোটি মানুষের সামনে প্রচারণা চালিয়েছিলে যাদের কোটি কোটি সমর্থকেরা সারা দেশে কিংবা বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে ছিল এবং কোটি কোটি ভালো কাজে অংশগ্রহণ করেছিল। তাই সাহায্যকারী হিসাবে তুমিও এ সবের অংশীদার। সেদিন প্রত্যেকের আমলনামার একাউন্টের ব্যালেন্স ট্রান্সফারের ব্যবস্থা থাকবে। অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপকারীরা নিজেদের আমলনামা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার পর তা অপর্যাপ্ত হলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকের আমল থেকে তার অপরাধ ঐ অধিকারে হস্তক্ষেপকারী ব্যক্তির আমলনামায় প্রদান করা হবে। এভাবে অনেক লোক শূন্য হস্ত হয়ে এবং পাপের বোঝায় ভারাক্রান্ত হয়ে মহা পেরেশানীতে পড়ে যাবে, কিন্তু মুক্তির কোনো পথ খোলা পাবে না। চিন্তা করা দরকার, অপপ্রচারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুনিয়া থেকে যারা চলে গেল, তাদের কাছ থেকে কীভাবে ক্ষমা চাইবেন? এ সব বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে অবশ্যই সতর্ক ও সচেতন হওয়া দরকার। দেরি না করে এখনই সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিবাচক কাজ শুরু করে দেয়া জরুরী প্রয়োজন। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি বুঝতে পেরে সংশোধন হতে চাইলে এটা একেবারে অসম্ভব নয়। কাজেই হতাশ ও নিরাশ হবার কোনো কারণ নেই। বরং বুক ভরা আশা নিয়ে মজবুতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হলে অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব শুধুই নয়, বরং কাজের মাধ্যমে নবিগণের প্রিয় মানুষে পরিণত হওয়া সম্ভব।
মনে রাখতে হবে, বর্তমানে যারা ভুল সাংবাদিকতায় লিপ্ত, তারা বিবেকের বিরুদ্ধে বর্তমান ভূমিকা পালন করে যে ধরণের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন, বিশ্বাস করুন, নিজেদের ভুল সংশোধন করে সঠিক সাংবাদিকতার ধারায় ফিরে আসলে তার চেয়েও অনেক বেশি সম্মান-মর্যাদা, মানসিক প্রশান্তি ও ক্ষেত্র বিশেষে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবার অনেক যুক্তিসংগত কারণ ও সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদেশে সাংবাদিকদের কঠিন দুর্যোগের দিনে যারা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সৎ ও আদর্শ সাংবাদিক হিসাবে নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের মর্যাদা ও শান-শওকত একদিন দুনিয়াবাসী উপভোগ করবে ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং ইহকাল ও পরকালে সুখ-শান্তির লক্ষ্যে, ভাগ্যকে বদলে দেয়ার লক্ষ্যে, গোটা মানব সমাজের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্যে সঠিক ও সুস্থ সাংবাদিকতার ধারাকে জোরদার করে পৃথিবীকে চমকে দেয়ার প্রচেষ্টা চালাতে আসুন আমরা সবাই এগিয়ে যাই। (সমাপ্ত)
( ০৪/০৯/২০১৬ তারিখে আমার ফেইসবুক আইডি Hafiz Md Mashhud Chowdhury তে লেখাটি প্রচারিত। )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.