![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি আমার আম্মা রান্না করার সময় যদি আমার দাদী-নানী কেউ কাছে থাকত তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতেন তরকারিতে আরেকটু লবণ দিবেন কিনা, কিংবা অন্য কোন মস্লা কম বা বেশী পড়ে গেছে কিনা। এটার অর্থ এই নয় যে মা রান্নাবান্না করতে পারেন না, বরং বলা যায় বড়দের অভিজ্ঞতা কে সম্মান করা। দাদী-নানী সামনে না থাকলেও্তো মা রান্নাবান্না ঠিকঠাক চালিয়ে নেন। একই অবস্থা এখন দেখি আমার ভাবির ক্ষেত্রে, মা না থকলে ঠিকই রান্না করে ফেলেন, আর সামনে থাকলে তাকেই জিজ্ঞাসা করে নেন তকারিতে কি দিতে হবে-কি হবে না। আবহমান কাল ধরে চলে আসা বাঙ্গালীর এই ছোট ছোট শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতিই আমাকে মুগ্ধ করে।
রমনার বটমূলে গিয়ে এসো হে বৈশাখ বলে চিৎকার করা, জন্তু জানোয়ারের মুখোশ পরে তথাকথিত মঙ্গল শোভাযাত্রা করা, কিংবা মুখে বলে দূর হয়ে যাক সব অশুভ শক্তি, নতুন বছর বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, তাতেই কি বাঙ্গালী সংস্কৃতির ষোল কলা পূর্ণ হয়ে গেল -এসব গুলা না আমার কাছে ন্যাকামী বলে মনে হয়।
©somewhere in net ltd.