নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী।কূপমণ্ডুকতা ঘৃণা করি।ভালোবাসি সাহিত্য।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

বলার মত কিছুই নই আমি।একজন মহামূর্খ।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তরাধুনিক মৎস্য পুরাণ

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩১



ছবিসূত্র- উইকিপিডিয়া,মৎস্য পুরাণ পাতা।

মৎস্য অবতার হিসেবে মহাপ্রলয়ের মহাকবল থেকে মানবকুলকে রক্ষা করার পর মনুকে নতুন আর্যবসতি স্থাপনের নির্দেশনা দান করে স্বর্গে চলে গেলেন দেবতা বিষ্ণু। তারপর লক্ষ-কোটি বছর গত হয়েছে।বহু যুদ্ধ,সংগ্রাম,ত্যাগ-তিতীক্ষার প্রহর পার হয়ে আর্যদের নতুন বসতি এখন উগান্ডা। বাংলাদেশ এবং উগান্ডা একই সাথে স্বাধীন হলেও উগান্ডা সেই অচ্ছুৎ,নীচ,অনার্য, বয়াংসী,জংলী বাঙালিদের চেয়ে পিছিয়ে আছে সবদিক থেকে। অথচ এই আর্যরা একসময় ধনে-জ্ঞানে, রুচিতে, আভিজাত্যে, মর্যাদায় পৃথিবীর সেরা ছিলো। অথচ পাপ-পঙ্কিলতা, অশিক্ষা, কুসংস্কারের জালে আটকা পড়ে অধঃপতিত হয়ে আবারো মহাপ্রলয়ের সম্মুখে এসে দাড়িয়েছে আর্যরা। মহাপরাক্রমশালী আর্য জাতির আজ এ কী অবস্থা!!! "আমি নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে এনেছি এদের!! পরিপূর্ণ নির্দেশনাও দিয়েছি!! তারপরও তাদের এমন অধঃপতন!! এত নির্বোধ এরা হলো কি করে??" আক্ষেপ ঝরে পড়ে বিষ্ণুদেবের কণ্ঠ থেকে। "যদি বুদ্ধি থাকতো তাহলে বাংলাদেশকে দেখেই শিখতে পারতো। নাহ! আর অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। আমাকে আবারো মর্ত্যে যেতে হবে।" সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনি।

কিন্তু কিভাবে আসবেন মর্ত্যে? কল্কি অবতার হিসেবে যাওয়ার সময় আসে নি এখনো। মানুষ হিসেবেও যাওয়া যাবে না। উগান্ডার মানুষেরা কেউ কারো কথা সহজে শুনতে চায় না।কেউ কাওকে গোণে না।তাহলে কী করা যায়! ভাবতে থাকেন বিষ্ণুদেব। অবশেষে পেয়ে যান তার সমস্যার কাঙ্ক্ষিত সমাধান। উগান্ডার নদীগুলো দূষণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।সেখানে জীবনের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। সেই নদীগুলোর কোনো একটাতে যদি তিনি আবার মাছ হিসেবে আসেন তাহলে হুলস্থূল হয়ে যাবে চারিদিকে। পচা-কালো পানিতে প্রাগৈতিহাসিক কালের রূপালি নদীর জলের রূপালি মাছ, তার ওপর সেই মাছ যদি হয় কথা বলা মাছ,তাহলে তো কথাই নেই।তিনি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যাবেন স্রষ্টার অলৌকিক সৃষ্টি হিসেবে। তখন সবাই তার কথা শুনবে। উগান্ডাবাসী আর্যরা ধর্মের ব্যাপারে খুবই প্রতিক্রিয়াশীল ও সংবেদনশীল। তাই তিনি পুনরায় মৎস্য অবতার হিসেবে আর্যদের রক্ষা করার লক্ষ্যে মর্ত্যে আগমন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।

বিষ্ণুদেব এক প্রমাণ সাইজের রুইমাছের রূপ ধারণ করে উগান্ডার ইবোলা নদীতে অবতরণ করলেন। নদীতে অবতরণের সাথে সাথেই পচা ইবোলা নদীর তলদেশের একটা বর্জ্যবোঝাই পলিথিন তার মুখে ঢুকে গেল।মাছের তো হাত থাকে না। তাই অনেক কষ্টে মুখ থেকে তিনি পলিথিন বের করলেন। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি টের পেলেন, তিনি কথা বলতে পারছেন না। হায়! হায়! তার পরিকল্পনা মাঠে মারা গেল। কথা না বললে আর্যদের বাঁচাবেন কিভাবে তিনি? অন্যসব মাছের সাথে তো আর কোনো পার্থক্য রইলো না তার। প্রবল দুশ্চিন্তা এবং অক্সিজেন স্বল্পতায় ভোগা দূষিত পানিতে তার দম বন্ধ হয়ে আসে। শ্বাস নেবার সুতীব্র ইচ্ছায় তিনি নদীর পানির ওপরে ভেসে ওঠেন। অবসন্ন হয়ে পড়ে তার শরীর। একটু পরেই বহু আর্যের সম্মিলিত কোলাহল শুনতে পান তিনি। তিনি বুঝতে পারলেন তিনি ধরা পড়েছেন আর্যদের হাতে। তিনি কিছু বলতে চাইলেন। পারলেন না।

ধরা পড়ার পর থেকেই তিনি শুধু মানুষ, মানুষের মাথা, ফ্ল্যাশ লাইট, মোবাইল,ক্যামেরা দেখে চলেছেন। তিনি ভাইরাল হয়ে গেছেন। সবাই সেলফি তুলছে। ইবোলা নদীতে প্রমাণ সাইজের রুইমাছ। এ একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কোলাহল, মানুষ, ফ্ল্যাশলাইট এ-সবকিছুর ধকল তিনি নিতে পারলেন না। অনেকক্ষণ হয় তাকে ডাঙায় তোলা হয়েছে। তার বাকশক্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। তাই তিনি মাছ হিসেবে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নরক-যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেলেন। মনে মনে বললেন,"এদেরকে স্বয়ং ভগবানও ঠিক করতে পারবেন না।" তিনি তখনই স্বর্গের পথে পা বাড়ালেন। কিন্তু গেলেন না। যাওয়ার আগে সাধের দেহটার কী গতি হয় সেটা দেখার খুব ইচ্ছা জাগলো বিষ্ণুদেবের মনে।

তিনি দেখলেন তার মরদেহটাকে একটা ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো।তারপর সেটাকে একটা ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত তরলে ডোবানো হলো। তিনি সেটার সাথে পরিচিত। তিনি স্বর্গে বসে আগেই দেখেছেন আর্যরা মাছেদের ফরমালিন নামক এই তরলটাতে নিমজ্জিত করে। এরপর তাকে বাজারে ওঠানো হলো। তার দেহের আকার আর দেহের রঙে আকৃষ্ট হয়ে অনেকেই আসে তাকে কেনার জন্য। আর্যরা দাম জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথেই দোকানি মাছের কানকো টেনে ওপরে তুলে বলে, " এই দ্যাহেন,পুরা তাজা মাছ।এইমাত্র ধরা পড়ছে।" কানকো টানা দেখে বিষ্ণুদেবের গালে একটা চিনচিনে ব্যাথা অনুভূত হয়।ভাগ্যিস! মরে গেছেন! নইলে এসবও সহ্য করতে হতো!! তাজা মাছ দেখে সবারই পছন্দ হয়। কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করে। "ওষুধ মারো নাই তো?” তখন দোকানি রাগন্বিত হয়। ক্রোধমিশ্রিত কণ্ঠে বলে, " হারাম ব্যাবসা করি না মিয়া। মাছ নিলে নিবেন, না নিলে যান গা!" যারাই মাছ কিনতে আসে তাদের বেশির ভাগই দাম শুনে চম্পট দেয়। কেউ কেউ দর কষাকষি করে। তবে দোকানি মাছের দাম কমায় না।এত বছর পরে ইবোলা নদীতে এত বড়ো রুই ধরা পড়েছে। কম দামে বিক্রি করবে না সেটা দোকানি।

অবশেষে একজন ক্রেতা পাওয়া যায় মাছের। সে কোনো দরদাম না করেই মাছটি কিনে নেয়। আবার কিছু টাকা বখশিশও দেয় দোকানিকে। আকর্ণবিস্তৃত হাসি দেখা যায় দোকানির চেহারায়। মাছটা কিনেই কাকে যেন ফোন করে ক্রেতা। তারপর সে গাড়িতে ওঠে মাছটা সাথে নিয়ে।কিছুক্ষণ পরেই গাড়িটা একটা দালানের সামনে এসে থামলো। বিষ্ণুদেব দেখলেন দালানের ওপরে বিশাল সাইনবোর্ডে লেখা, "ডিস্ট্রিক্ট ভূমি অফিস,উগান্ডা।" সেই ক্রেতা মাছটি নিয়ে ঢুকে গেলো একটা ঘরে। সেখানে বিশাল চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন আরেকজন।তাকে দেখে বোঝা যায় তিনি খুব বড় মাপের লোক। বেশ রাশভারি গোছের চেহারা,সাথে ফুটবলের মতো পেট। ক্রেতা গিয়ে তিনবার স্যার ডাকতেই তার ঘুম ভাঙলো। ক্রেতাটি মাছটা দেখিয়ে স্যারকে বললো, "আমার ব্যাপারটা একটু দেখবেন স্যার।" স্যারের চোখ চকচক করে ওঠে মাছটা দেখে।কিন্তু চেহারায় আগের গাম্ভীর্য বজায় রেখেই তিনি সেই ক্রেতাকে আশ্বস্ত করে বিদায় নিতে বললেন। ক্রেতা বিদায় নেবার পরপরই স্যার মাছটি নিয়ে তার বাড়িতে গেলেন। এমন মহান মানুষের পেটে সাধের দেহটা যাবে বলে খুবই মনঃক্ষুণ্ণ হলেন বিষ্ণুদেব। রাগে তার নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছা করছে। কী করতে এসেছিলেন আর কী হচ্ছে!! স্যারের পত্নী মাছটা মাছটা দেখে খুশিতে লাফিয়ে উঠলেন। তিনি আজই মাছটাকে ফেইসবুকে দেখেছেন। অথচ এটা এখন তারই বাড়িতে। নিজের ভাগ্য দেখে নিজেই ঈর্ষান্বিত হয়ে যান স্যারপত্নী।বাবার বাড়ি,শ্বশুর বাড়ি, বান্ধবী, ভাবী সকলকে ফোন করে জানিয়ে দেন এই আশ্চর্যজনক মাছ এখন তার বাড়িতে। অনেকেই তোষামোদ করে তাকে। তবে প্রায় সবাই ঈর্ষান্বিত হয় তার ভাগ্যে। তার মনে হতে থাকে তার ভাগ্যগুণেই এমনটা হয়েছে। পাশের বাসার ভাবীরা খবর পেয়ে দেখে যায় একবার। সবকিছু শেষ হবার পর তিনি মাছটা কাটতে বসলেন। পরম যত্নে তিনি মাছটা কেটে শেষ করলেন। কিন্তু শেষ করার সাথে সাথেই তিনি ফোনে খবর পেলেন তার মা মারা গেছে। মাছ যেমন ছিলো তেমনটা রেখেই তিনি ছুট দিলেন বাপের বাড়ি।সাথে স্যারও গেলেন। দেহটাকে এভাবে টুকরো হয়ে পড়ে থাকতে দেখে আবারো দুঃখ পেলেন বিষ্ণুদেব।

দিন-পনেরো পরে পত্নীসহ স্যার ফিরলেন বাড়িতে। তার বাড়ি ফিরে দেখলেন কাটা মাছ ফ্লোরে পড়ে রয়েছে।যেমন ছিলো তেমনই আছে। একটুও পচন ধরেনি। "এমন মেডিসিন দিছে যে, পনেরো দিনেও পচলো না? এ মাছ খাওয়া যাবে না"। একথা ভাবা মাত্রই স্যার মাছগুলো পলিথিনে ভরে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসলেন। দেহটা ডাস্টবিনে চলে যাওয়ায় দুঃখ পেলেও মহান মানবের পেটে না যাওয়াতে হালকা স্বস্তি পেলেন বিষ্ণুদেব। ডাস্টবিনেই তার দেহটা পচে-গলে যাবে এই ভেবে স্বর্গের পথে পা বাড়ালেন তিনি। কিন্তু এবারো যেতে পারলেন না। তিনি দেখলেন দুটো কুকুর টানাহেচড়া করছে তার দেহভর্তি পলিথিনটাকে। তাদের দাঁতের আচড়ে পলিথিন ছিড়ে তার দেহের টুকরোগুলো বাইরে ছড়িয়ে পড়লো। দুটো কুকুরই খেতে লাগলো সেগুলো। কিন্তু বেশিক্ষণ খেতে পারলো না। সেখানে আর্যশিশু সহ হাজির হলো এক আর্য মাতা। ধূলায় ধূসরিত শরীর, পরনে শতচ্ছিন্ন বস্ত্র। তারা কুকুরগুলোকে তাড়িয়ে পরীক্ষা করতে থাকে মাছের টুকরোগুলো। তাদের চোখ আনন্দে চকচক করে।মাছগুলো ভালো। রান্না করে খাওয়া যাবে। অল্প কিছুতেই মুখ দিয়েছে কুকুরেরা। কুকুরের মুখ লাগা মাছগুলো কুকুরকে দিয়ে বাকি মাছগুলো নিয়ে বাড়ির পথ ধরে তারা। কতদিন পর মাছ খাচ্ছে কে জানে? তারা প্রাণভরে ধন্যবাদ দেয় সৃষ্টিকর্তাকে। তাদের গমনপথের দিকে তাকিয়ে থাকেন বিষ্ণুদেব। মহাপ্রলয় থেকে আর্যদের রক্ষা করতে না পারলেও এক আর্যশিশু ও আর্যমাতাকে সাময়িকভাবে ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন তিনি। তার দেহটার সদগতি হয়েছে। অবশেষে প্রশান্ত চিত্তে উগান্ডা থেকে স্বর্গের পথে ধাবিত হলেন বিষ্ণুদেব।

সমাপ্ত

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্লগার কিবরিয়া জাহিদ মুন এর 'ব্যানানা রিপাবলিক অব হানলুলু'র ছায়া পড়েছে প্রবলভাবে। আপনি কি ওই সিরিজ পড়েছেন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি এই সিরিজ পড়িনি এখনো। আমি পুরাণের কাহিনিকে ঘষামাজা করেছি বর্তমান সমাজের আলোকে। সিরিজটি পড়ে নেব অবশ্যই। ছায়া পড়াটা কাকতালীয়।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সিরিজের একটা পর্বের অনেকখানি অংশ পড়লাম। এ তো পুরো আগুন। দারুণ রাজনৈতিক স্যাটায়ার। আপনাকে ধন্যবাদ এই সিরিজের সন্ধান দেয়ার জন্য। পুরোটা পড়ে নেব সময় করে।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিষ্ণুদেব বুড়িগঙ্গায় নামেন নাই তাই এই যাত্রা বেচে গেছেন। তা না হলে কুকুর আর গরীবের কাছে যাওয়ার আগেই পটল তুলতেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: তিনি ইবোলা নদীতেই মরতেন।কিন্তু আর্যপুত্ররা সময় দেয় নি।মরার আগেই ধরে ফেলেছে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৫

স্থিতধী বলেছেন: ১ নং মন্তব্যে সহমত। প্রথম প্যারাগ্রাফটা, বিশেষ করে ঐ তৃতীয় লাইনটা ব্লগের অন্যতম সরস রম্য লেখক ব্লগার কিবরিয়া জাহিদ মামুন ভাইয়ের " ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু" এর কথা মনে করিয়ে দেয়। যদিও উনি কাল্পনিক এক হানুলুলু দেশের উপর ওনার স্যাটায়ার চালিয়েছেন, আপনার লেখায় চলে এসেছে বাস্তব এক দেশ উগান্ডার নাম। ঐ অসাধারন সিরিজ মিস করলেন কি করে? মাঝে তো একবার নির্বাচিত পাতাতেও এলো। প্রবল হাসি আর ভাবনা তৈরি করার এক লেখা ওটা।

এখানে বিষ্ণু দেবের খুশি হওয়াটা কি ঠিক হল ? গরীব বলে তারা ক্ষতিকারক মেডিসিনে ভরা মাছ খাবে! বিষ্ণু দেবের কি ন্যায়বোধ নাই? এর থেকে ভালো হতো ঐ মাছ খেয়ে কোন কঠিন রোগ বাঁধিয়ে মাননীয় স্যার যদি অক্কা পেতেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আমি মাঝে ৭-৮ দিন ব্লগে আসিনি ফোন নষ্ট হবার কারণে। তখন হয়তো মিস হয়ে গেছে। দেখে এলাম তিনটা পর্ব। প্রথম থেকে শুরু করেছি।

আপনার মন্তব্যে যুক্তি আছে। কিন্তু লেখার সময় আমার চিন্তা ছিলো ভিন্ন।এখানে তিনি খুশি হয়েছেন প্রকৃত ক্ষুধার্তদের পেটে তার দেহ গেছে একথা চিন্তা করে। এই বিষাক্ত মাছ উগান্ডার প্রায় সকল জনগণই খাচ্ছে।দীর্ঘমেয়াদে রোগ হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কেউ মরে না। তৃপ্তি নিয়ে মাছ খাবে ক্ষুধার্তরা ।এই ভেবেই হয়তো খুশি হয়েছেন আমার গল্পের বিষ্ণুদেব।

আপনার সর্বশেষ পোস্টে একটা মন্তব্য করে এসেছি গতকাল।সম্ভবত নোটিফিকেশন পান নি।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৮

স্থিতধী বলেছেন: সঠিক । সামুতে নোটিফিকেশন খুব ঝামেলা করে, সবগুলো আসেনা। এখানে কমেন্ট করে নিজ ব্লগ পাড়ায় গিয়ে আপনার মন্তব্য চোখে পড়লো। উত্তর দিয়ে আবার ফিরে এলাম । তাও ভালো ঐ সিরিজের খবর দেরীতে হলেও পেলেন, ওটা মিস করার জিনিস নয়।

বিষ্ণুদেব বা অন্য অবতারদের এর পরে নিয়ে আসলে দয়া করে ধনী- গরীব সবার ই স্বাস্থ্য নিয়ে একটু ভাবতে বলবেন । উগান্ডারা আর কতোরকম অন্যায় জুলুম সহ্য করবে? ভেজাল খেতে খেতেও তো স্বাস্থ্যর ক্রম অবনতি হয়। অবতাররা যাতে এসব সংকটে একটি কৃপাদৃষ্টি দেয়, নইলে উগান্ডা বাসীর এতো প্রতিক্রিয়াশীল মন নিয়ে কি লাভ হল।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমার এখানে সবসময় ২২ টা নোটিফিকেশন সো করে।কিন্তু ক্লিক করলে আসে শূন্য।
আসলে এটা একটা সিঙ্গেল গল্প। কোনো সিরিজ না। যদি কখনো গল্পের প্রয়োজনে দেবতারা আসেন তাহলে আপনার কথা চিন্তা করে দেখব আমি অবশ্যই। ফিরতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭

স্থিতধী বলেছেন: আমার এখানে সবসময় ২২ টা নোটিফিকেশন সো করে।কিন্তু ক্লিক করলে আসে শূন্য

একি কাহিনী আমার ক্ষেত্রেও, দেখায় প্রায় ৪০ টার মতো, ক্লিক করে বিস্তারিত দেখতে গেলে আসে শুন্য!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এই সমস্যায় হয়তো ব্লগের সবাইই পড়েছেন।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: মূলবক্তব্যটি সুন্দর। তবে পাঠক হিসেবে গল্পের বিষ্ণু দেব চরিত্রটি ঠিক পছন্দ হলো না। তিনি আর্যদের ঠিক করতে মীন অবতার হয়ে দূষিত পানির নদীতে এলেন। তিনি দেবতা। তার অজানা থাকার কথা নয় এখানে কি বিপদ আছে। এত সহজে তিনি হাল ছেড়ে দিলেন দেখে হতাশ হলাম। মনে হয়, গল্পের হিসাব করা সাইজের ভিতরে তাকে দিয়ে লেখক আর কিছু করাতে চাননি। বিষ্ণু দেবের মীন ভাগ্যের ঘটনা চক্র নিয়ে আরো কিছুটা লেখা গেলে চরিত্রটা আরো স্পষ্ট হতো। গল্পটাও পূর্ণাঙ্গ হতো। আমি জানি না এটা কোন সিরিজের অংশ কি না। সিরিজের অংশ হলে ভিন্ন বিষয়। এসব বাদে, লেখার ভাষা আর আইডিয়া পছন্দ হয়েছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বেশ ভালো বিশ্লেষণ।আসলে বিষ্ণুদেব এই গল্পের মূল বিষয় নন।তাই হয়তো গল্প লেখার সময় বিষ্ণুদেবকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ফলে তার চরিত্র গঠনে ঘাটতি রয়ে গেছে। তিনি মাছের মধ্যে ঢুকে গিয়ে মাছই হয়ে গেছেন,দেবতা থাকেন নি।তার মধ্যেও প্রাণীর গুণাবলি আনতে গিয়ে তার দেবত্বকে খর্ব করে উগান্ডার অধঃপতন দেখাতে চেয়েছিলাম।কারণ তিনি দেবতা ।জাগতিক পাপ পঙ্কিলতা তাকে স্পর্শ করার কথা না। প্রাণির বৈশিষ্ট্য না আনলে তিনি হয়তো জগতের কষ্টগুলো অনুভব করতে পারতেন না।এমনটা ভেবেছিলাম আমি। তাই তার চরিত্র সুগঠিত হয় নি। আশাকরি এভাবে সমালোচনা করে ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এটা কোনো সিরিজের অংশ না।এটা সিঙ্গেল গল্প।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার গল্প।
উপভোগ্য।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উগান্ডার উদাহরণ দিলেন কিন্তু উগান্ডা বনভূমি বেশী এবং সবাই এখনো প্রচুর গাছ লাগায়। নদী দখল আর দুষিত করে না এবং বাচ্চাও ডাস্টবিনে ফেলে না

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। উগান্ডা শুধু আনার জন্যই আনা। আড়ালে অন্য জায়গার কথা বলা হয়েছে।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্পটা বেশ ভাললেগেছে। +++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উগান্ডার জেলেরা করিৎকর্মা দেখছি !!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: অনেকদিন পর মাছ দেখেছে।তাই আর দেরি করেনি!!! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।দেরিতে প্রতিমন্তব্য করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.