নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

েমাজােম্মলরক্স

েমাজােম্মলরক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা অজানা

২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়ার আগামী সরকারের নয়া ফর্মুলা:



* সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে।

* প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ভাগাভাগি হবে।

* বিশিষ্টজনেরা সরকারের পাশে থাকবেন।

* সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট।



আগামী দিনে ক্ষমতায় আসতে পারলে বিএনপি সরকারের রূপরেখা ও পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ পরিবর্তন করার জন্য সংবিধানেও প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। এজন্য দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কি কি করতে হবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। নয়া ফর্মুলার মধ্যে রয়েছে-



* প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভাগাভাগি। এখন প্রেসিডেন্টের তেমন ক্ষমতা নেই। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কিছুটা বাড়ানো হবে।

* সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। একটিতে থাকবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। আর একটি থাকবে উচ্চ কক্ষ। উচ্চ কক্ষের সদস্য হবেন সরকার কর্তৃক মনোনীত দেশের বিশিষ্টজনরা। সেখানে আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, চিকিৎসক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। দেশের সৎ ও মেধাবী আছেন যারা রাজনীতি করতে চান না কিন্তু দেশের মঙ্গল ও ভালো চান তাদের কাজে লাগাতে চাইছে বিএনপি। এ কারণে তাদের সংসদের দ্বিকক্ষে বসাবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চান। সেখানে রাষ্ট্রপতি/সরকার দেশের সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চকক্ষ সিনেট, নিম্নকক্ষ কংগ্রেস, যুক্তরাজ্যে উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস, নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্ট, ভারতে উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা, নিম্নকক্ষ লোকসভা নামে অভিহিত। সেখানে সংসদের নিম্নকক্ষ আইন প্রণয়ন করে আর উচ্চকক্ষ তা অনুমোদন করে। তারা অনুমোদন করা ছাড়া কোনো আইন আরও পর্যালোচনা জন্য পাঠানো ও কি কি করণীয় সে ব্যাপারেও সুপারিশ করে। বিএনপিও দুটি কক্ষ করে দুটির আলাদা নামকরণ করতে চাইছে।

* মন্ত্রী পরিষদও এখনকার মতো হুবহু হবে না। সেখানেও পরিবর্তন আনা হবে।

* দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন সংশোধন করে এটাকে আরও শক্তিশালী করা হবে, যাতে করে বর্তমান সরকারের যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

* সংসদ নির্বাচনের জন্য স্থায়ীভাবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করার বিধান করা হবে। আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় যেসব ভুল-ত্রুটি রয়েছে তা দূর করা হবে। আগামী দিনে যাতে এ ব্যবস্থা অন্য কোনো দল ক্ষমতায় এলেও বাতিল করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। আদালতের রায় থাকার কারণে ওই সরকারের নাম ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও ওই সরকারের কর্মকাণ্ড মনিটরিং করতে ও উপদেশ দিতে শক্তিশালী উপদেষ্টা টিমও গঠন করা হবে।

* বিএনপি কেবল ১৮ দলীয় জোট নিয়ে এককভাবে ক্ষমতায় এসেই সন্তুষ্ট থাকতে চাইছে না। তারা চাইছে যারা দেশের সব বিষয় নিয়ে ভাবেন, কথা বলেন এবং সরকারের সমালোচনা করেন তাদেরও সঙ্গে রাখতে। এতে সুবিধা হচ্ছে- এক· তাদের সরকারের অংশীদার করা গেলে সরকারকে তারা পরামর্শ দেবেন। সরকারের কাজের মান বাড়বে, সাফল্য বেশি আসবে। অন্যদিকে সরকারের সমালোচনাও কম হবে।

* বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতেও একটি বড় পরিবর্তন আনতে চাইছেন। তা হচ্ছে কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক মনোভাব না দেখানো। রাজনৈতিক নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা না করা এবং কোনো দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের ছাড় না দেওয়া।

* ক্ষমতায় আসতে পারলে ২০০১ সালের মতো আবারও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করে ২০০৭ সালের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যেসব বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা হয়েছে ওইসব ঘটনার বিষয়ে দুদককে দিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির তদন্ত করাবেন, প্রয়োজনে পুনরায় তদন্ত করাবেন। ডেসটিনি ও হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতাদের বিচার করবেন।

* বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকারীদের মধ্যে যারা চিহ্নিত তাদের ছাড়াও পেছনের সবাইকে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

* আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবেন। এ বিচার আন্তর্জাতিক মানের করবেন। যারা এখনও সত্যিকারের মানবতাবিরোধী অপরাধী হলেও বিচারের আওতায় আসেননি তাদেরও বিচার করবেন।

* জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাজে লাগানো অর্থাৎ সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

* এখন প্রশাসনে ব্যাপক অস্থিরতা রয়েছে। এ অস্থিরতার কারণে সেখানে ভয়ানক অবস্থা বিরাজ করছে। সেটি যেকোনো সময় একটি সরকারের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেই বিবেচনা করে তিনি প্রশাসনে দলীয় বিবেচনা না করে, যারা যোগ্য ও মেধাবী ওইসব প্রার্থীদের নিয়োগ ও কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিবেন। তার পরিকল্পনায় প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। কিভাবে পদ সংখ্যা আরও বাড়ানো যায় ও শূন্য পদ পূরণ করা যায় সেগুলোও বিবেচনা করছেন। স্থানীয় সরকার, প্রশাসনের মধ্যে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে জাবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে চান। যেসব সেক্টরে গত কবছরে দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছে ওই সব সেক্টর দুর্নীতিমুক্ত করে বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ, স্থানীয় সরকারসহ প্রশাসনে দলীয়করণ না করে মেধার মূল্যায়ন করবে।



এ ধরনের নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী দিনে নতুন ধারার সরকারের ফর্মুলা করছেন তারেক রহমান। ওয়ান ইলেভেনের সরকারের তরফ থেকে শিক্ষা নিয়ে তার এটাই উপলব্ধি হয়েছে আর যাই হোক, দেশে কোনোভাবেই সেনা সমর্থিত সরকার আসতে দেওয়া যাবে না। রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থ হওয়া যাবে না। তারা ক্ষমতায় এলে দেশ পিছিয়ে যাবে। তিনি বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ফর্মুলা তৈরী করছেন। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের ইফতার মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে নতুন ধারার সরকার গঠনের কথা বলেন। ঘোষণা নতুন হলেও ওই সরকার গঠনের বিষয়ে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও কাজ করছেন।



নিউজ সুত্র: আমাদের সময়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

ফুরব বলেছেন: রাস্ট্র ক্ষমতায় আসীন শীর্ষ ব্যাক্তি বর্গ যতদিন দুর্নীতি মুক্ত না হবে ততদিন দেশের কোণ পরিবর্তন আসবে না।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

েমাজােম্মলরক্স বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৫

সাইদুল হক পাবেল বলেছেন: ভাই বি এন পি হইল কিছু গর্দভদের নিয়া গড়া দল। জিয়ার আদর্শ ও নীতি থেকে এরা দূরে সরে গেছে। বি এন পি তে এখন মেধাবী ও স‌ৎ লোকের দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.