![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বিখ্যাতদের মজার ঘটনা"
--------------------------------
ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরাম পুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে দুখু মিয়া।স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় রচনা এসেছে “বর্ষাকাল”।দুখু এমনিতেই অনেক ভালো ছাত্র।গত বার্ষিক পরীক্ষায়ও ক্লাসে সে প্রথম হয়েছিলো।এবারও তাকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।তাই সে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য পুরো রচনাটি লিখলো কবিতার আকারে।কিন্তু পন্ডিতমশাই খাতা পরে তো রাগে একেবারে ফেটে পড়লেন! “কি ?পরীক্ষার খাতায় মশকরা,রচনা তাও আবার পদ্যে,দাঁড়াও তোমার কবিতা গিড়ি ছুটাচ্ছি!”এই বলে তিনি দুখু মিয়াকে কড়া শাস্তি দিলেন আচ্ছামতন বেত্রাঘাত করে।দুখু মিয়াও কম যান না,তখুনি খাতাসহ হেডমাস্টার মশাইয়ের কাছে পন্ডিতমশাইয়ের বিরুদ্ধে নালিশ জানান।
আত্নপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন,“তিনি তো প্রশ্নপত্রের রচনাটাই লিখেছিলেন,রচনাটি গদ্যে নাকি পদ্যে লিখতে হবে তা তো বলা ছিলো না?”হেডমাস্টার সব শুনে বুঝলেন দুখু ঠিকই বলেছে,তিনি পন্ডিতমশাইকে পুরো নম্বর দিতে বললেন।কিন্তু ক্লাসে এসে পন্ডিতমশাই নাম্বার তো দিলেনই না বরং নালিশ জানানোর জন্য দুখুকে আবারো বেত্রাঘাত করলেন ।এমনিতেই দুখু মিয়ার আত্মসম্মানবোধ ছিলো অত্যন্ত প্রখর,তার উপর দ্বিতীয়বার বিনা কারণে শাস্তি পেয়ে সে ছুটে বেড়িয়ে এলো ক্লাস থেকে।আর কখনোই অভিমানী দুখু আর ঐ স্কুলে যায়নি।তাঁর স্কুল জীবনের ইতি ঘটে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে। আত্ম প্রত্যয়ী দুখু তারপর যোগদান করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে।
খুব বেশি পড়াশুনা করা সুযোগ হয় নি দুখু মিয়ার।কিন্তু সেদিনকার সেই দুখু মিয়াই অল্প বিদ্যা নিয়ে বাংলা সাহিত্যে ঠিকই দখল করে নিতে পেরেছিলো নিজের আসন।
হয়ে উঠেছিলো সবার প্রিয় কাজী নজরুল ইসলাম।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৫
পড়শী বলেছেন: বাহ, এ ঘটনা তো আগে শোনা হয় নি। +++++
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
আলী আকবার লিটন বলেছেন: ভালই লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
খাটাস বলেছেন: ভাল পোস্টে প্লাস। এমন আর ও লেখা পেলে ভাল লাগবে। ভাল থাকবেন।