![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীত চা খাইনি ,এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে।আপনি প্রতিদিন যে চা খান সেই চা’য়ের ইতিহাস আপনি জানেন কি?জানা না থাকলে ক্ষতির কিছুই নেই,তবে জেনে রাখলে ক্ষতিও তো নেই।তাই জেনে রাখুন চা’য়ের নথিকথা। চা’য়ের উৎপত্তিস্থল চীন। প্রায় খ্রিস্ট-পূর্ব ১০ম শতাব্দীতে চা’য়ের আবিষ্কার হয়। চা (Tea) বলতে সচরাচর সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরণের ঊষ্ণ পানীয়কে বোঝায় যা চা পাতা।পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরী করা হয় চা । চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্যামেলিয়া সিনেনসিস’। ‘চা পাতা’ কার্যত চা গাছের পাতা, পর্ব ও মুকুলের একটি কৃষিজাত পণ্য যা বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়।ইংরজিতে চা-এর প্রতিশব্দ হলো টি। গ্রীকদেবী থিয়ার নামানুসারে এর নাম হয় টি। চীনে ‘টি’-এর উচ্চারণ ছিল ‘চি’।পরে হয়ে যায় ‘চা’। পানির পরেই চা বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়। এর একধরণের স্নিগ্ধ,প্রশান্তিদায়ক স্বাদ রয়েছে এবং অনেকেই এটি উপভোগ করে। প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া অনুসারে চা- কে পাঁচটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন - কালো চা, সবুজ চা, ইষ্টক চা, উলং বা ওলোং চা এবং প্যারাগুয়ে চা।এছাড়াও, সাদা চা, হলুদ চা, পুয়ের চা-সহ আরো বিভিন্ন ধরণের চা রয়েছে। তবে সর্বাধিক পরিচিত ও ব্যবহৃত চা হল সাদা, সবুজ, উলং এবং কাল চা। প্রায় সবরকম চা-ই ক্যামেলিয়া সিনেনসিস থেকে তৈরি হলেও বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুতের কারণে এক এক ধরণের চা এক এক রকম স্বাদযুক্ত।পুয়ের চা একধরণের গাঁজনোত্তর চা যা অনেক ক্ষেত্রে ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃতহয়।কিছু কিছু চায়ে ক্যামেলিয়া সিনেনসিস থাকে না। ভেষজ চা হল একধরণের নিষিক্ত পাতা, ফুল, লতা ও উদ্ভিদের অন্যান্য অংশ যাতে কোন ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নেই। লাল চা সাধারণত কাল চা (কোরিয়া, চীন ও জাপানে ব্যবহৃত হয়) অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবস গাছ থেকে তৈরি হয় এবং এতেও কোন ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নেই। ইতিহাস চা মৌসুমী অঞ্চলের পার্বত্য ও উচ্চভূমির ফসল। একপ্রকার চিরহরিৎ বৃক্ষের পাতা শুকিয়ে চা প্রস্তুত করা হয়। চীন দেশই চায়ের আদি জন্মভূমি। বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য পানীয়রূপে গণ্য করা হয়। ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়।আর ভারতবর্ষে এর চাষ শুরু হয় ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায়। এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় শুরু হয় বাণিজ্যিক চা-চাষ। চা পানের রয়েছে ব্যপক উপকারিতা।তবে অতিরিক্ত চা পানে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের সিলেট ও আসামের বিস্তীর্ণ অঞ্ছল জুড়ে চা গাছ আগে থেকেই ছিল । মানুষ এর ব্যাবহার জানত না । ইংরেজরা চীনদেশে এর ব্যাবহার দেখে ইল্যান্ডেও এর প্রচলন শুরু করে । তবে তা ভিন্ন উপায়ে । চা কে প্রক্রিয়াজাত করে কালো বানিয়ে দুধ ও চিনি মিশিয়ে স্বাদু করে তুলল । ঠিক একই ব্যাপার ওরা করেছিল ভারতের ক্ষেত্রে । ভারতের মানুষ জানল এই নতুন পানীয়র কথা । চীনে কিন্তু ওসব না মিশিয়েই শুধু সবুজ চা খাওয়া হয় ।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫২
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০২
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ভালা