নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৬ই ফেব্রুয়ারি । আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন । ওরিয়েন্টেশন ক্লাস নিয়ে মন্তব্য যদি করতে হয় তাহলে বলবো ’ আমার জীবনে আসা সবচেয়ে ভালো দিনগুলোর মধ্যে একদিন । নতুন নতুন শিক্ষকদের সাথে পরিচয় , নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে পরিচয় , নতুন জায়গা এবং নতুন পরিবেশ । সবমিলিয়ে অসাধারণ চমৎকার ছিলো সেই অভিঞতা । আমি এখনো ভুলতে পারিনি আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জহুরুল ইসলাম এর বলা এই কথাটুকু ,
বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটা ফুলের বাগান ।
মৌমাছি এই ফুলগুলো থেকে মধু আহরণ করে , অপরদিকে মাকড়সা আহরণ করে বিষ ।
আর প্রজাপতি শুধু নেচে গেয়ে ফুলের উপর ঘুরে বেড়িয়ে সময় নষ্ট করে ।
এখন তুমি সিদ্ধান্ত নাও যে , তুমি কি হতে চাও ।
মৌমাছি , মাকড়সা না কি প্রজাপতি ?
এ.এফ.এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্যার আমাদের পড়াশুনা করাতেন শেক্সপিয়র এর ম্যাকবেথ নামক নাটকটি । শেক্সপিয়রের এই ম্যাকবেথ নাটকটি অনেক আগে থেকেই আমার পড়া ছিলো , কিন্তু যখন তিনি উপস্থাপন করতেন তখন নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্র যেন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠতো । মনে হতো চরিত্রগুলো যেন আমাদের সামনেই খেলা করছে , অভিনয় করছে । তবে মঞ্চে দাঁড়ানো কিছু অভিনেতা এবং অভিনেত্রী নিয়ে এটা কোন নাটক নয় , এটা যেন বাস্তবতা । সব চরিত্রগুলো যেন আমার সাথে কথা বলছে । তাঁর উপস্থাপন ভঙ্গি এবং নাটক পড়ানোর মাঝে যে একটা নাটক আছে সেটা আমাদের মুগ্ধ করতো ।
এবার আসি ম্যাকবেথ নাটকটিতে । জয়ের আনন্দ নিয়ে ফোরেসের রাজপ্রাসাদে ফিরছিলেন রাজা ডানকান আর তাঁর দুই সেনাপতি ম্যাকবেথ আর ব্যাঙ্কো । স্কটল্যান্ডের এই দয়ালু রাজার বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের বিদ্রোহ দমন করেছেন তাঁরা । কেবল তাই নয় , বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে স্কটল্যান্ড আক্রমণ নরওয়ের এক সৈন্যবাহিনী আর তাদেরকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে ছিলো ডানকানের অধিনস্থ কডোরের অধিপতি । কিন্তু ম্যাকবেথের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বে সমস্ত বিপত্তি দূর হয়েছে । কিন্তু ম্যাকবেথের উচ্চাকাঙ্খা এবং ভীরু দুর্বল ব্যক্তিত্ব কে ঠকানোর একটা সুযোগ পেয়েছিলো তিন ডাইনী । তাই তারা মিথ্যে এক ভবিষ্যৎ বাণী দাঁড় করান ম্যাকবেথের সামনে । ডাইনীদের দেখে যতটা চমকে ছিলেন তাদের কথা শুনে তার চাইতে বেশী চমকালেন ম্যাকবেথ । গ্লামিসের অধিপতি তিনি হতে যাচ্ছেন তা তিনি জানেন কিন্তু কডোরের অধিপতি থাকতে তিনি কেমন করে গ্লামিসের অধিপতি হবেন ! আর স্কটল্যান্ডের রাজা , সে তো স্বপ্ন ! অপরদিকে ম্যাকবেথের ঘোর না কাটতেই রাজার দুই দূত এসে হাজির ।
তারা জানান দিলো যে , নরওয়ের বাহিনীকে সহায়তা দেওয়ার জন্য কডোরের অধিপতির প্রানদন্ড হয়েছে এবং রাজার আদেশে সেই সম্মান দেয়া হয়েছে ম্যাকবেথকে । ম্যাকবেথের বীরত্বের জন্য তাঁর এই সম্মান । এতে করে ডাইনীদের কথার মিল পাওয়ায় তার ভীতরের আকাঙ্খাটি মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো । যদিও ব্যাঙ্ক তাকে ডাইনীদের কথায় প্রশ্রয় না দেবার জন্য অনুরোধ করলেন। ম্যাকবেথ তাঁর স্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে সমস্ত কিছু বিস্তারিত ভাবে জানালেন । চিঠিতে তিনি এও জানালেন লেডী ম্যাকবেথ একদিন রাজমহিষী হতে চলেছেন । লেডী ম্যাকবেথ ভালো করেই জানতেন তাঁর স্বামী ভালো , অনেক ভালো এবং তাঁকে দিয়ে কোন ধরনের অন্যায় এবং নীতিহীন কাজ করানো অনেক কঠিন হয়ে উঠবে । এমন সময় দূত এসে জানাল যে , মহারাজ আজ রাতে তাঁদের অতিথী হবেন । লেডী ম্যাকবেথ তখনই সিদ্ধান্ত নিলেন যে এই সুযোগ হাতছাড়া হতে দেওয়া যাবেনা । এবং তার সাথে তিনি এও সিদ্ধান্ত নিলেন যে নীতিবোধ যেন তার স্বামীকে এই সম্মান থেকে দূরে ঠেলে দিতে না পারে । তাই তিনি ম্যাকবেথকে কড়া কথা শুনালেন । এদিকে ম্যাকবেথের মনে ঝড় উঠেছে । তিনি ভাবছেন তাঁদের পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে ! ন্যায়ের বিধানে যে বিষপাত্র আমরা অন্যর হাতে তুলে দেই তা কি শেষ পর্যন্ত নিজেদের কাছেই ফিরে আসেনা ! কিন্তু লেডী ম্যাকবেথ স্বামীকে তীব্র কটু ভাবে কড়া কথা শোনান , তিনি প্রশ্ন করে উঠেন , তোমার আকাঙ্খা মনে জন্ম দেওয়ার সময় যে সাহসিকতা দেখিয়েছিলে এখন সেই সাহস গেল কোথায় ? সততার জন্য তুমি সারাজীবন কাপুরুষতাকে বয়ে বেড়াবে । স্ত্রীর প্ররোচনায় ম্যাকবেথের মনের পরিবর্তন হয় , বলেন দয়া করে চুপ কর । সত্যিকারের পুরুষ মানুষের যা করা উচিত আমি তাই করবো , যার সাহস নেই সে পুরুষ মানুষ নয়। ইনভার্নেসে ম্যাকবেথের দূর্গ । তাঁর স্ত্রীর অতিথেয়তায় রাজা ম্যাকবেথকে একটি হীরের খন্ড উপহার দেন। আর অপরদিকে ম্যাকবেথ সেই রাতেই খুন করে রাজা ডানকান কে । অন্যদিকে ব্যাঙ্কো ভাবেন , ম্যাকবেথের জীবনে ডাইনিদের বলা প্রত্যেকটা কথা সত্য হয়েছে তাহলে আমার সম্পর্কে যা বলেছে তা সত্য হবে না কেন ?
ফোরেসের রাজপ্রাসাদে তাই ব্যাঙ্কো ভোজসভায় উপস্থিত হলেন । ব্যাঙ্কো বললেন সেদিন তাঁর অন্যত্র যাওয়ার আছে তবুও ম্যাকবেথের রাজা হওয়ার সুবাদে তিনি সেই ভোজসভায় যোগ দিবেন । ব্যাঙ্কোকে দেখে ম্যাকবেথ ভয় পেয়ে গেলেও ভোজসভায় তাঁকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করলেন । আর ম্যাকবেথ ভাবতে থাকেন যে , তিনি নন ব্যাঙ্কোই হবে এই রাজবংশের স্রষ্ঠা । তাহলে কি ব্যাঙ্কোর সন্তাদের জন্যই কি তিনি মহান রাজা ডানকানকে হত্যা করেছেন ? – এই প্রশ্নই যেন বারবার ম্যাকবেথের মাথায় বড় হয়ে দেখা দিলো । এরপর যখন ব্যাঙ্কো এবং তাঁর ছেলে ফ্লিয়ান্স প্রসাদ ছেড়ে অন্যত্র যাত্রা করেন তখন ম্যাকবেথ দুই ঘাতককে ডাকলেন এবং ব্যাঙ্কো এবং তাঁর ছেলে ফ্লিয়ান্স কে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন । কিন্তু ঘটনাক্রমে তাঁর ছেলে ফ্লিয়ান্স বেঁচে যায় । ফ্লিয়ান্স বেঁচে যাওয়ায় মাকবেথের দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে যায় । তাঁর নীতিহীনতা তাকে প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে খেতে আরম্ভ করে । তাই সময় সময় তিনি ব্যাঙ্কোর প্রতাত্মা দেখতে পান । অবশ্য অন্য কারো চোখে পড়েনা সেই প্রেতাত্মা । ম্যাকবেথ তাই প্রচন্ড বিচলিত হয়ে পড়েন এবং নিজের মুখে কি সব বলা শুরু করে দেন আমন্ত্রিতদের উদ্দেশ্যে । তিনি বলতে থাকেন , অনুগ্রহ করে আমাকে রক্তচক্ষু দেখাবেন না বিশ্বাস করুন আমি এই কাজটি করিনি । অনেকটা ঠাকুর ঘরে কে রে ? আমি তো কলা খাইনি – এই প্রবাদটির মত।
আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক যখন ম্যাকবেথ নাটকটির এই অংশটি পড়াচ্ছিলেন তখন আমি তাঁর ক্লাসে ছিলাম । আর খুব মজা পেতাম যখন স্যার তাঁর নাটকীয় ভঙ্গীতে বলতেন – ঠাকুর ঘরে কে রে ? আমি তো কলা খাইনি । তখন সবাই হাসিতে ফেটে পড়তো । এবং ম্যাকবেথ যখন ভোজসভায় নিজের আসনে ব্যাঙ্কোর প্রেতাত্মা দেখতে পেতেন তখন তিনি ভয়ে জমে যেতেন এবং ম্যাকবেথের স্ত্রী লেডী ম্যাকবেথের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি তাঁর আসন গ্রহনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়তেন । যা একই সাথে ছিলো হাস্যকর এবং অপরদিকে নীতিহীনতার কুফল আমরা অন্তর দিয়ে অনুভব করতাম । স্যার আমাদের শুধু এই নাটকটি নয় বরং মাত্র কয়েকদিনে জীবনবোধ নিয়ে অনেক অনেক আলোচনা করেছেন আমাদের সাথে । উল্লেখ করেছেন সত্যজিৎ রায়ের সেই অবিস্বরণীয় চলচ্চচিত্র পথের পাঁচালী । এর পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র এবং বড় বড় চলচ্চিত্র পরিচালকদের কথা যা আমরা কখনো শুনিনি এমন মনে হত । এসব আমরা শুধু জেনেছি আমাদের হারিয়ে যাওয়া এই মানুষটির কাছ থেকে । আমরা যখন পাশ্চাত্য চলচ্চিত্র এবং তাদের সাংস্কৃতি আয়ত্ত্ব করায় ব্যস্ত তখন তিনি যেন শেখাতে আরম্ভ করেছিলেন বাঙালীত্ব কি ? আমরা বাঙালীরা কি পারি আর কি পারিনা ? যা ছিলো সত্যিই মনমুগ্ধকর একটি বিষয় আমাদের জন্য । কারণ আমরা বাঙালীরা কোথায় জানি নিজের পরিচয় দিতে আমাদের নিজেদেরই বাঁধে । কিন্তু বাঙালীত্ব কে নিয়ে যে একটা গর্ব করার ব্যাপার আছে তার সন্ধান হয়তো কখনো পেতাম না ।
একজন মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন আমাদের আদর্শ । তার আচরণ , চলাফেরার ধরণ ছিলো সহজ-সরল এবং ক্রুটিমুক্ত । সাধারণ একটা প্যান্ট আর একটা শার্ট পড়ে স্যার ক্লাসে আসতেন । খুব বেশি একটা মনে করতে পারিনা তবে তার ব্যাপারে দুটো জিনিস আমি জেনেছি যা আমায় মুগ্ধ করেছে । তারমধ্যে এক – তিনি ক্লাসে হাজিরা খাতা আনতেন না । তার কারণ হলো তিনি চাইতেন আমরা যেন শুধু উপস্থিতির জন্য ক্লাস না করি বরং আগ্রহভরে তার ক্লাসে উপস্থিত থাকি । আর দুই – তিনি যখন ক্লাসে আসতেন তখন সব ফ্যান অফ করে দিতে বলতেন । যাতে করে তার বলা কথাগুলো শেষের বেঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছায় । একদিন অনেক গরম পড়েছিলো । ফ্যান অফ করার কারণে আমরা অনেকে ঘামা শুরু করে দিয়েছিলাম । তিনি পুরো ব্যাপারটা লক্ষ্য করা মাত্রই বললেন যে , আজ অনেক গরম পড়েছে তাই তোমরা কিছু ফ্যান অন করে দাও । আমার মনে আছে আমি সেদিন নিজের হাতেই ফ্যান অফ করেছিলাম । আবার স্যারের নির্দেশে আমি নিজের হাতেই ফ্যান গুলো অন করে দিয়েছিলাম । আমার প্রশ্ন পাঠকদের কাছে , একটা মানুষকে চিনতে হলে কত সময় লাগে ? এক বছর ? এক যুগ না কি সারাটাজীবন ? ভাবছেন অযুক্তিক প্রশ্ন তাহলে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন উত্তর পেয়ে যাবেন ।
এমন ছিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এ.এফ.এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী । কিন্তু সেই ক্লাস যে আমার স্যারের শেষ ক্লাস হবে সেটা কে বা জানতো ? কে জানতো ম্যাকবেথ এরপর কি করবে তা হয়তো আর স্যারের মুখ থেকে শোনা হবেনা ? কে জানতো এই ক্লাসই স্যারের শেষ ক্লাস আর কখনো কোনদিন স্যারের সাথে আর দেখা হবেনা ?
২৩ই এপ্রিল , দিনটা ছিলো শনিবার যেন এক ঘূর্নিঝড় হয়ে দেখা দিলো । এলোমেলো করে দিয়ে গেল আমাদের এই সাজানো গোছানো বাগানটিকে । হারিয়ে ফেললাম আমাদের এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এ.এফ.এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী কে । সন্ত্রাসীদের কালো থাবায় হারিয়ে ফেললাম । হারিয়ে ফেললাম আমাদের পিতৃতুল্য শিক্ষককে । বিভৎস ভাবে পড়ে থাকা ঐ লাশের সাথে কোনভাবেই মেলাতে পারছিলাম না আমাদের ম্যাকবেথ পড়ানো সেই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কে । কেউ এরকম ভাবে একজন মানুষকে কিভাবে হত্যা করতে পারে ? একজন মানুষ একজন মানুষ কে কিভাবে এমন নৃশংস এবং নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে ? তা ভাবতেও কষ্ট হয় এবং দম বন্ধ হয়ে আসে । সেদিন খুব সকালে এক বন্ধু এসে জানান দিলো যে , আমাদের স্যার আর নেই । তখন শুধু আমি অবাকই হইনি এর সাথে সাথে আশ্চর্যও হয়েছি এইটা ভেবে যে , আমাদের সিদ্দিকী স্যার কি করে কারো টার্গেট হতে পারেন ? কি করে কারো হিটলিস্টে তিনি থাকতে পারেন ? মূলত টার্গেট , হিটলিস্ট এই সকল শব্দগুলো আমাদের স্যারের সাথে কি অদৌ যায় ? জেনেছি স্যার সেতারা বাজাতেন , জেনেছি ক্যামেরার প্রতি তাঁর অনেক টান । একটা অতি সাধারণ জীবন ছিলো তাঁর । আমি তখন আর কিছুই মিলাতে পারছিলাম না । ক্যাম্পাসে ফিরতেই দেখলাম সেই বাগানটি আর হাস্যজ্বল নেই । সব ফুলগুলো যেন নেতিয়ে পড়েছে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে । ভেতরটায় একটা আচানক ধাক্কা খেলাম । আমার যেন তখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো যে , তিনি আর এই পৃথিবীতে নেই ।
আমরা আজ খুনিদের বিচার চাইনা , আমরা আমাদের স্যারকে চাই । আমাদের ম্যাকবেথ পড়ানো ঐ নীতিবান মানুষটিকে চাই । ঐ অতি সাধারণ এবং হাস্যজ্বল মুখটিকে আবারো আমরা একবার দেখতে চাই । যিনি হাসতে হাসতে আমাদের আরো একবার ম্যাকবেথের নীতিহীনতায় প্রশ্ন তুলে বলবেন – ঠাকুর ঘরে কে রে ? আমি তো কলা খাইনি !
০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫০
মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ।সাথেই থাকুন।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছু লোক চাচ্ছে, বাংগালীরা পাথরের যুগে থেকে যাক; ওগুলো লিলিপুটিয়ান, ওরা সামান্য বাতাসেই উড়ে যাবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৮
মি. বিকেল বলেছেন: আমাদেরও সময় আসবে , দেখাবো আমরা।আমরা বাঙালীরা কি পারি আর কি পারিনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৭
নোমান প্রধান বলেছেন: ভালো লাগলো