নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্পৃহা! নামটা কোথাও শুনেছি শুনেছি বলে মনে হয়।কিন্তু আজ আর মনে পড়ছেনা।অনেক চেষ্টা চললো, ভাবলাম একদিন খুঁজে বের করবো নিশ্চিত।কিন্তু খুঁজতে বের হবার মত সময় হাতে নেই।এর সাথে ইচ্ছেটাও নেই।এই তো কয়েকদিন আগে, তার নামটা বারবার আসতো সেলফোনের সাম্প্রতিক যোগাযোগ তালিকায়।মিষ্টি আর ভারি মুখটা উজ্জ্বল হয়ে ভেসে থাকতো আমার সেলফোনের দেয়ালচিত্রে।মন খারাপ থাকলে তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম।বারবার মনে করতাম অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলোকে।ঐ যে সেই দিন, বেশ গুছিয়ে নীল শাড়ি পড়া আর মুখে হালকা লিপিষ্টিক এর ছোঁয়া মাখিয়ে ক্যাম্পাসের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা একটা মেয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো।মেয়েটা ভারি সুন্দরী।তার চোখে মুখে তার অদ্ভূত মায়া।একবার তাকালে চোখ ফিরাতে পারতাম না।কতবার যে খাবার টেবিলে বসে নিজ হাতে আমাকে খাইয়েছে তার হিসেব নেই।কিন্তু কখনো বললোনা।কিচ্ছু বললোনা।কখনো বুঝতে দিলোনা, কখনো কোন আবদার করে বসলোনা।আর আমি বরাবরই তাকে ভুলে যাই।দিনে অন্তত একবার ফোন করে খোঁজখবর নিতেও ভুলে যাই।কিন্তু তার ভুল হয় না।প্রতিদিন সন্ধ্যায় ফোন করে বলতো, সন্ধ্যার নাস্তাটা করেছিস তো? উত্তর দিতে দিতে একসময় আমার বিরুক্ত লাগতে শুরু করলো।বারবার একই কথা আর একই প্রশ্ন কেন করে? বাসার বাহিরে রাত দশটা অবধি থাকলে চিন্তায় পড়ে যেত।ফোন করে অস্থির করে ফেলতো আমায়।আর যতক্ষণ বাসায় না ফিরতাম রাতের খাবার সে মুখে দিতোনা।
বেশ খানিকটা আগের কথা।একদিন একটা ফোন কল পেলাম।অপরদিকে চেনা সেই কন্ঠটা, ‘সুকান্ত! একবার হাসপাতালে আসতে পারবি? তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে’।আমি কিছুই মিলাতে পারছিলাম না।হঠাৎ করে হাসপাতাল যেতে হবে কেন? তাহলে অস্পৃহার কি কোন এক্সিডেন্ট হয়েছে? তখন মাথায় আর এতসব খেলছিলো না।সব চিন্তা বাদ দিয়ে অটো ধরলাম।এ গলি-সে গলি করতে করতে অনেক সময় লেগে গেল।তারপর পুরো আধাঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়লাম।তাই অটো থেকে নেমে লম্বা দৌড় দিলাম।কিন্তু পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমি সত্যিই অনেক দেরি করে ফেলেছি।অস্পৃহার নির্লিপ্ত মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ।এরপর বুকের ভীতরটা হঠাৎ করে চিনচিন করে উঠলো।পৃথিবীটা আমার চারপাশে ঘুরতে আরম্ভ করলো।ধড়াম্! করে পড়ে গেলাম মেঝেতে।এই ধাক্কাটা অনেক বড় ধাক্কা ছিলো বৈকি।ডাক্তার আসতেই কি সব বলতে শুরু করলাম- ‘না ডাক্তার! আমার অস্পৃহার কিছু হয়নি বলুন।শুনুন না! সে তো সময় সময় এরকম করে ভান করে।কতবার যে আমার সাথে এরকম করেছে।তাছাড়া গত একবছর হলো ওর সাথে দেখা করিনি আমি তাই এইবার একটা বড়সড় নাটক করছে সে।আপনিই বলুন? তাই নয় কি?’ ডাক্তারসাহেব মাথা নত করলেন আর একটা কাগজের চিরকুট আমার পকেটে ঢুকে দিয়ে রুম থেকে প্রস্থান করলেন কিন্তু একটা বাক্যেও করলেন না।
মূমূর্ষ রোগা মনটা নিয়ে আমি সেদিন বাসায় ফিরছিলাম।শীতের দমকা হাওয়া আমায় যেন অস্পৃহার কথা বারবার মনে করে দিচ্ছিলো।সেই ছোট্ট চিরকুটের শব্দগুলো আমার মাথাটা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো।শব্দগুলোতে জ্যাম বেঁধে যাচ্ছিলো মস্তিষ্কের সব নিউরনের কার্যাবলি।
‘ভাবিস না।আমি তো সবসময় তোর সাথেই আছি।আমাকে ভুলে গেলে তোর খবর আছে কিন্তু? তোর রুমের টেবিলে তুই যে ডায়েরীটা ব্যবহার করিস তার ভীতরে একটা চেক রেখে গেলাম।আমার এতদিনের পরিশ্রমের টাকা।তোকে কখনো কোন উপহার দিতে পারিনি বল।আমার ছোট্ট একটা অসুখ ছিলো।ব্রেন টিউমার।বছর চারেক আগে ধরা পড়ে।তখন থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারলে হয়তো একটা সুরাহা হতো।কিন্তু এখন আর কোন গতি নেই।আমাকে যেতে হবে।আর বাঁচার ইচ্ছেও করেনা।অনেক তো হলো! আর কত বল? আমি আর পারছিনা জানিস।আর পারিস তো তোর বড় ভাইয়ের উপর অভিমানটা আর ধরে রাখিস না।মানুষটা অনেক ভালো ছিলো।তিনি সব জানতেন।’
হাতে সিগারেট।রাতদুপুরে একা একা বিশাল বাড়িটায় বসে বসে ভাবছিলাম।মাত্র কয়েকবছর আগে আমার সব ছিলো।বাবা-মা আর একটা বিশাল হৃদয়ের বড় ভাই।বড়ভাই এর বিয়েটা বেশ ধূমধাম করে হবে আর সেখানে আমার কত ভূমিকা থাকবে এসব নিয়ে কত জল্পনা-কল্পনা করতাম! কিন্তু বড়ভাই আমার সব ইচ্ছেতে গুড়াবালি দিয়ে ফেললেন।মেয়েটাকে দেখে একটা বড় শক্ খেয়েছিলাম।অস্পৃহা! আমার এক্স-গার্লফ্রেন্ড।যাকে কিনা আমি এখনো ভুলতে পারিনি।ফেসবুকে আমায় ব্লক করেছে।হঠাৎ করেই আর কোন যোগাযোগ নেই।এখন যখন ওর সাথে এতদিন পর আবার দেখা হলো- সে না কি এখন আমার ভাবী!
তাই আমি একসময় রাগে-অভিমানে এই বাড়িটায় ছেড়ে দিয়েছিলাম।এরপর বড় ভাই সাথে অস্পৃহাও অনেক চেষ্টা করেছে বাড়িতে ফিরে যাবার জন্য কিন্তু যাইনি।হঠাৎ শুনলাম বড় ভাই আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করেছে।বড়ভাইকে দেখতে গেলাম।তখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলো।আমাকে দেখে কাছে যেতে ঈশারা করলো।এরপর আস্তে করে অস্পৃহার হাতটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বললো-‘বাবা-মা মারা গেছেন আমাদের কৈশোরে।বয়সে আমি তোর চেয়ে মাত্র একবছরের বড়।তবুও তো বড় ভাই।কিছুটা হলেও তোর থেকে একটু বেশিই বুঝি।আমি জানি অস্পৃহাকে তুই এখনো ভুলতে পারিস নি।আমি হয়তো আর বেশিক্ষণ থাকবোনা চলে যাবো না ফেরার দেশে। কিন্তু অস্পৃহার দায়িত্ব তোকে নিতে হবে।’তখন আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না, শুধু বললাম- ‘তোর কিচ্ছু হবেনা আর তোর অস্পৃহা তোর হয়েই থাকবে।’হাসতে হাসতে বড় ভাই বললো-এটা বাংলা সিনেমা নয় রে পাগল এটা বাস্তবতা! আমার এক্সিডেন্ট হয়নি, কিন্তু যার জন্য আমার এই জীবন সেই যদি আমার থেকে দুরে দুরে থাকে আমি এমন জীবন চাইনা রে।তোকে অনেক ভালোবাসি রে ছোট।আমি তো আত্মহত্যা করতে গেছিলাম।অস্পৃহার জন্য সেটাও ভালো করে করতে পারিনি’।এরপর আমার কানটা ধরে নিজের মুখের কাছে নিয়ে ফিসফিস করে বললো-‘সেদিন বললেই তো ছেড়ে দিতাম।এতো অভিমান কেন তোর? আমি মেয়েটাকে বিয়ের পূর্বে দেখিনি পর্যন্ত।আমাদের পাশের বাড়ির চাচা-চাচি বললেন তাদের দেখাশুনায় একটা মেয়ে আছে আর সেই মেয়েটার আপন বলে কেউ নেই।আমি রাজি হয়ে গেছি।আর একটা কথা শোন-আমি অস্পৃহাকে আজ পর্যন্ত ছুঁইনি, প্রথম রাতেই অস্পৃহা আমাকে সব বলেছে।’
কিন্তু আমি বোকাটার অভিমান আরো বেড়ে গেল।বড় ভাই আমাকে শিক্ষিত করার জন্য নিজের জীবনটায় শেষ করে ফেললেন।আর অস্পৃহা! আমার গার্লফ্রেন্ড অথচ আমাদের পাঁচবছরের সম্পর্কেও আমি তার কিছুই জানিনা।এমনকি কারো সাথে তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে সেটাও পর্যন্ত নয়।সবাই আমাকে নিয়ে খেলছে না কি নিয়তিটায় আমার এমন।চলে যাও! সবাই চলে যাও! আমার আর কারো দরকার নেই।
এরপর অস্পৃহার শত চেষ্টা সত্ত্বেও আমার অভিমানটা ভাঙ্গলোনা।চুপচাপ থাকতাম আর খাবারের সময় হলে টেবিলের অপর দিকে বসে খাবারটা খেয়ে উঠে যেতাম।
অস্পৃহা নিজে নিজে কথা বলতো, কখনো কখনো আমার মনে হয় তো সে ভুল বকতো।সাড়া দিতাম না।চাকরির কাগজ নিয়ে বসে থাকতাম।
যাইহোক অস্পৃহা এখন মস্তবড় ডাক্তার।সকাল হলে আমার জন্য কফি করে রাখতো সাথে সকালের নাস্তাও করে রাখতো।আর দুপুরে আমার জন্য খাবার পাঠিয়ে দিতো।আবার সমস্ত কাজ শেষে রাতের বেলা এসে টিপিক্যাল টাইপের বাঙ্গালী গৃহিণীর মতো রান্নাও করতো।যাইহোক ওর গৃহিনীপনায় আমি সত্যিই অনেক মুগ্ধ।
একদিন রাতের বেলায় বসে টিভি দেখছিলাম।হঠাৎ করে অস্পৃহা এসে আমার সামনে দাঁড়ালো।সাদা-লাল শাড়ি আর সাথে কপালে টিপ, চুলগুলো ছেড়ে দেয়া মাত্র স্নান করেছে বলে মনে হয়।একটা জলবিন্দু চুল থেকে আলতো করে মেঝেতে পড়লো।অদ্ভূত সুন্দরী লাগছিলো সেদিন রাতে ওকে।
অস্পৃহাঃ কেমন আছো?
আমিঃ ভালো আছি।
অস্পৃহাঃ আমাকে শাড়িতে কেমন লাগছে?
আমিঃ ভালো।
অস্পৃহাঃ আমি কি তোমার কাছে একটু বসতে পারি?
আমিঃ হুম।
টিভিতে তখন একটা রোমান্টিক দৃশ্য চলছিলো।চোখদুটো স্থির করে টিভির দিকে চেয়ে আছি যাতে ভুলেও ওর দিকে দৃষ্টি চলে না যায়।কারন দৃষ্টিটা একবার ওর দিকে চলে গেলে দৃষ্টিভ্রম হবে নিশ্চিত।যাইহোক কথা আবার অস্পৃহাই শুরু করলো।
অস্পৃহাঃ মনে হচ্ছে চাকরীর জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করছো?
আমিঃ হুম।একটা চাকরী পেয়েও গেছি।
অস্পৃহাঃ কবে জয়েন করছো তাহলে?
আমিঃ এই তো সামনের মাসের ৫তারিখ থেকে।
অস্পৃহাঃ চাকরীটা আসলে কীসের?
আমিঃ লেকচারার হিসেবে একটা প্রাইভেট ভার্সিটি তে জয়েন করছি।
অস্পৃহাঃ এতবড় খবর কিন্তু একবার আমাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলেনা?
আমিঃ আমি তো এটাও জানিনা যে, আমাদের বাড়িতে একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তারনী থাকেন।
অস্পৃহা! মুচকি মুচকি হাসছে।তখন ওকে অদ্ভূত সুন্দরী লাগছিলো।সারাক্ষণ ফেসবুকে আমরা আবদ্ধ থেকেছি।সেই পাঁচবছরে একবারও সামনা-সামনি দেখা করবার ফুরসত মিলেনি কখনো।অনেক জেদ করতাম কিন্তু অস্পৃহার ‘হ্যাঁ!’ টা শুনতে পেতাম না।ভিডিও কল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো।
কিন্তু আজ যখন সামনা-সামনি হাসতে দেখছি ওকে, তো সত্যিই সেই হাসিটার তুলনা হয় না।তারপর আমাদের মধ্যে আর কোন অভিমান ছিলোনা না কোন রাগারাগি।বেশ ছিলাম আমরা।কেটে গেল দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর।আমরা বন্ধুই থেকে গেলাম।
কিন্তু সময় সত্যিই অনেক কথা বলে, আমার অভিমান আর তার ভালোবাসাকে প্রতিনিয়ত অবহেলা করার জন্য আমাদের মাঝখানে একটা দেয়াল তৈরি যে কবে হয়ে গেছিলো আমি তা টেরই পাইনি।একদিন এক ডাক্তারবাবুকে নিয়ে রাতের বেলা অস্পৃহা বাড়িতে উপস্থিত।দুজনেই ড্রিংক্স করেছে।মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।ব্রান্ডি, হুইস্কি, রাম না জানি আরো কত কি খাইছে এই দুজন।কি আর করার! অস্পৃহার জীবনে আমি তো নেই।আর যদি অন্য কেউ এসেই যায় তাহলে ভালো হয় তাকে সেই জায়গাটা করে দেওয়া।
অস্পৃহাঃ সুকান্ত . . . আমার রুমটা কোনটা?
আমিঃ সেটা আমি দেখে দিচ্ছি সমস্যা নেই।কিন্তু এই ভদ্রবালকটা কে? যিনি আপনার গায়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন?
অস্পৃহাঃ আমার বন্ধু।জানো জানো সুকান্ত . . . আমার বন্ধুটার গার্লফ্রেন্ড ওর সাথে চিট করেছে।তো আমি ওকে বললাম . . . ঐ মেয়েটা ঠিক সুকান্তের মত।হা . . হা . . হা . .
‘সত্যিই অস্পৃহা! তুমি পারোও বটে।এসো ভীতরে এসো’-দুজনকে এক এক করে টেনে হিঁচড়ে আলাদা-আলাদা রুমে রাখলাম।অস্পৃহাকে তার নিজের রুমে আর ভদ্রলোকটিকে আমার রুমে রাখলাম।সকাল হতেই অস্পৃহার! ঘুম ভাঙ্গলো।ভদ্রলোকটি তখনও নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন।আজ আমি প্রথমবারের মত অস্পৃহার জন্য কফি করেছি।ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে মেয়েটা আমার কানের কাছে ‘সরি . . সরি . . বলেই যাচ্ছে।আমি কোন কথা বলছিলাম না।নিজ মনে ব্যাগটা গুছাচ্ছিলাম।একটু পর বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে যাবো।অস্পৃহা আমায় বাঁধা দিচ্ছিলো।‘বড়ভাই মারা যাবার পর মাত্র কয়েক মাস হয়েছে।তাতেই এই অবস্থা?’-রাগ্বত স্বরে বললাম আমি।এরপর কোনকথা না শুনে ব্যাগ গুছিয়ে চললাম ঢাকার উদ্দেশ্যে।সে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করছিলো।খামচি দিয়ে শার্টের কলারটা ধরে কাঁদো-কাঁদো গলায় বললো-‘সুকান্ত! আমি তোমাকে ভালোবাসি।Please! Don’t leave me alone.’
শেষমেশ যখন পারলোনা তখন নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে সব জিনিসপত্র ভাঙ্গতে আরম্ভ করলো।
তারপর থেকে অস্পৃহা আমার ভার্সিটিতে বহুবার এসেছে আমার রাগটা ভাঙ্গানোর জন্য।বহুবার চেষ্টা করেছে কিছু একটা বলার জন্য।কিন্তু সে সুযোগ আর দেয়া হয়নি।শুনেছি তারপর থেকে অস্পৃহা একা একটা বিশাল বাড়িতে থাকতো।আর নিজের সাথে নিজে নিজে কি সব কথা বলতো।সময় হলে অফিসে যেত।অনেকবার মেইল করেছে আমাকে অনেক কিছু লিখে।অন্তত একবার বাড়িতে ফিরার জন্য।আমার অভিমান ভাঙ্গেনি।ফেরা তো যায়ই।হয়তো একদিন সত্যিই অভিমান ভাঙ্গতো আর ফিরেও যেতাম।
কিন্তু কোথায়? কোন বাড়ি? আর কোন সঙ্গী? কতইনা হাস্যকর! বড়ভাইয়ের বাড়ি আর তার স্ত্রী!
©somewhere in net ltd.