নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

Rang De Basanti-Movie Review

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৮





Rang De Basanti – বাংলায় মুভিটির নাম হলো ‘গাঢ় জাফরানী বা হলুদ রঙ।মুভিটির ধরণ নাটকীয়।প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেছেন ‘রাকেশ ওম প্রকাশ মেহরা’।আক্ষরিক অর্থে মুভিটির নাম দাঁড়ায় ‘বসন্তের রঙে আমায় রঞ্জিত কর’।মুভিটিতে অভিনয় করেছেন- আমির খান, সিদ্ধার্থ নারায়ণ, সোহা আলী খান, কুনাল কাপুর, শারমান জুশি, অতুল কুলকারনি এবং আর. মাধাভান।
মুভিটিতে মূল ভূমিকায় ছিলেন একজন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ‘আলিস প্যাটন্’।মুভিটি তৈরী করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন রুপি এবং নয়া দিল্লীতে মুভিটির দৃশ্য ধারন করা হয়েছে।সেই সময়ে এই মুভিটি একরকম ঝড় তুলেছিলো বক্স অফিসে।মুভিটির স্ক্রিনপ্লে এবং ডায়ালগ ছিলো অত্যান্ত চমৎকার এবং সুনিপুণ।মুভিটির গল্প ছিলো একজন ব্রিটিশ ফিল্মমেকার কে নিয়ে।যিনি একটি ডকুমেন্টরি তৈরি করতে চান ভারতের স্বাধীনতাপন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে।


MiG-21 ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট কে মুভিটিতে তুলে ধরায় মুভিটি রিলিজে বাঁধার সম্মুখীন হয় ইন্ডিয়ান ডিফেন্স মিনিস্ট্রি এছাড়া আরো বিভিন্ন সংস্থার কাছে থেকে।যাইহোক, সব বাঁধা পেরিয়ে মুভিটি রিলিজ পায় ২৬ই জানুয়ারি ২০১৬(ভারতের রিপাবলিক ডে) তে।


কাহিনী বিন্যাসঃ একজন ব্রিটিশ যুবতী ফিল্মমেকার সু ম্যাকিনলি তার দাদুর ডায়েরী পড়ছিলেন।তিনি জানতে পারেন তার দাদু ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জেলে ছিলেন।এছাড়া জানতে পারেন আরো কিছু মানুষ সম্পর্কে।তাদের মধ্যে ছিলেন চন্দ্র শিখর আজাদ, ভ্যাগত সিং, শিভারাম রাজগুরু, আশফাগুল্লা খান এবং রাম প্রসাদ বিসমিল যারা সবাই এই যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন।সু ম্যাকিনলি জীবনে দুই ধরণের মানুষকে জানতে পারেন।তার মধ্যে এক হলো-যা হচ্ছে তা মেনে নাও এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে- ঘুরে দাঁড়াও এবং লড়।কিন্তু এরপর তিনি আরেক ধরণের মানুষদের সাথে পরিচিত হোন- যারা কি না মৃত্যুর স্বাধ গ্রহণ করেছেন হাসি মুখে।প্রযোজক না পাওয়ায় একসময় সু ম্যাকিনলি নিজের অর্থায়নে এই ডকুমেন্টরি বানানোর জন্য ব্রিটেন থেকে ইন্ডিয়ায় আসেন।এখানে তার বন্ধু ছিলো সোনিয়া(সোহা আলী খান)।সোনিয়া তখন অধ্যায়নরত ছিলেন দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে।এরপর সু কে দেখা যায় এই ডকুমেন্টরি তৈরির জন্য বিভিন্ন অডিশন নিতে।কিন্তু কাউকেই ঠিক মনে ধরছিলো না।
শেষমেশ সু সোনিয়ার বন্ধুদের নিয়ে এই ডকুমেন্টরি বানাবেন বলে ঠিক করেন।কিন্তু শতচেষ্টা সত্ত্বেও সু কোনভাবেই এই বেয়াড়া বন্ধুদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারছিলেন না।একসময় নিরাশ হয়ে পড়েন তিনি।
কিন্তু ডি.জে(আমির খান) মনে হয়, সু এর ভেতরটা ধরে ফেলেছিলেন।তাই বন্ধুদের বাধ্য করলেন এই ডকুমেন্টরিতে অভিনয় করার জন্য সিরিয়াস হতে।ডকুমেন্টরির কাজ ভালোই চলছিলো, অভিনয়ের কাজ চলছিলো পুরোদমে কিন্তু হঠাৎ MiG-21 এর একটি জেট ক্র্যাশ হওয়ায় আর.মাধাভান মারা যান।যে কি না ছিলো ছিলো সু এর বন্ধু সোনিয়ার ফিয়ন্সি।গল্পটা হয়তো এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো।
কিন্তু গল্পটা এখান থেকেই শুরু হয় . . .
বিভিন্ন চরিত্রে যারা যারা ছিলেন,
Aamir Khan as Daljit 'DJ' Singh / Chandrashekhar Azad
Siddharth Narayan as / Bhagat Singh
Atul Kulkarni as Lakshman Pandey / Ramprasad Bismil
Kunal Kapoor as Aslam Khan / Ashfaqullah Khan
Sharman Joshi as Sukhi Ram / Rajguru
Alice Patten as Sue McKinley
Soha Ali Khan as Sonia / Durgawati Devi
R. Madhavan as Flight Lt. Ajay Rathod
Waheeda Rehman as Mrs. Rathod, Ajay's mother
Steven Mackintosh as James McKinley, Sue's grandfather
Anupam Kher as Rajnath Singhania, Karan's father
Kiron Kher as Mitro, DJ's mother
Om Puri as Amanullah Khan, Aslam's father
Lekh Tandon as DJ's grandfather
Cyrus Sahukar as Rahul (Radio Jockey)
Mohan Agashe as Defence Minister Shastri




এক মূহুর্তের জন্যও মুভিটির কোন অংশ আমায় একঘেয়েমী বা বিরুক্তিতে ফেলতে পারেনি।ছিলো মজার মজার সব কথপোকথন, হাসতে হাসতে দম আটকে যাবার অবস্থা।বন্ধুত্বের এক বিশাল উদাহরণ দেখেছি।আর এই ছোট্ট জীবনের এত এত জটিল দর্শন থেকে মুক্তি।
Siddharth Narayan এর ভূমিকা অনেক অনেক ভালো লেগেছে।হয়তো এজন্যই তিনি স্ক্রিন আওয়ার্ড ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বলিউডে ‘Best Male Debut’ ক্যাটেগরি থেকে।তিনি মূলত একজন তেলেগু মুভির অভিনেতা।
আজ এই পর্যন্তই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

গারোপাহাড় বলেছেন: ছবিটা আমারও বেশ পছন্দের।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

মি. বিকেল বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.