নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউঃ Newton

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৮




মুভির নামঃ Newton
ভাষাঃ Hindi
ধরণঃ Comedy, Drama
অভিনয়ে ছিলেনঃ Rajkumar Rao, Anjali Patil, Pankaj Tripathi, Raghubir Yadav, Mukesh Prajapati এবং আরো অনেকে।
পরিচালনায় ছিলেন এবং গল্পটি লিখেছেনঃ Amit V.Masukar
ব্যাপ্তিকালঃ ১ঘন্টা ৪৭মিনিট।
মুভিটির রেটিং IMDB 8/10, Times of India 4/5, Hindustan Times 4/5
ব্যক্তিগত রেটিং ৮.৫/১০।

*মুভিটি সম্পর্কে আমার পুর্বধারণাঃ মুভিটির নাম যখন “নিউটন” তখন স্বভাবতই ধরে নেয়া যেতে পারে রাজকুমার রাও হয়তো কোন কমেডি ভূমিকায় থাকবেন এই মুভিটিতে।তাই মুভিটি এতদিন আমার সংগ্রহে থাকলেও পড়ে রয়েছিলো ডেস্কটপের এক কোণে।ভেবেছিলাম আরো দশটা বলিউড মুভির মত এটিও একটি।কিন্তু আমার এই ভুল ধারণা পাল্টে দিতে সক্ষম হয়েছেন পরিচালক সাহেব মুভিটির শুরুটা দিয়েই, এক রাজনৈতিকবিদ যখন তিনি তার বক্তিতায় বলছেন,

“আমাকে ভোট দিতে চাইলে দিবেন, না চাইলে না দিবেন।তবে আমার একটা স্বপ্ন আছে।আর সেটা হলো এই এলাকার প্রত্যেক বাচ্চাদের কাছে ডান হাতে একটা ল্যাপটপ থাকবে এবং বামহাতে থাকবে একটা মোবাইল ফোন(হিন্দি থেকে বাংলায় রুপান্তর করা হয়েছে)।”

আমি বুঝলাম না এটা কেমন বক্তিতা, একটু হাসিও পেলো।আর এই বক্তিতায় কি ফলাফল আসা করা যায় তাও ঘোলাটে থেকে গেলো আমার কাছে।তাই বাধ্য হলাম পরের অংশটা দেখার জন্য।

*চলে যাচ্ছি মূল গল্পেঃ নিউটন কুমার, একজন সরকারী ক্লার্ক।তাকে পাঠানো হয় নাক্সাল নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা ছাত্তিসঘর(ভারতের একটি এলাকাতে) ভোট গ্রহণ করার জন্য।এলাকাটি জঙ্গল পরিবেষ্টিত।কমিউনিস্ট বিদ্রোহের কারণে এই এলাকায় যে কোন সময় গরিলা হামলা হতে পারে।এজন্য ইতোপূর্বে কেউ সাহস করেনি এখানে ঠিকঠাক ভোটিং কেন্দ্র বসিয়ে দুঃস্থ এবং অসহায় পাশাপাশি অশিক্ষিত মানুষদের ভোট নিতে।কিন্তু নিউটন হচ্ছেন একজন সৎ পাশাপাশি একজন সাহসী মানুষ।আবার তিনি দৃঢ় মানসিকতার মানুষ এবং নিজ সিদ্ধান্তে অটল।যখন কেউ সেখানে যেতে রাজী হতে চায়নি তখন কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে রিজার্ভ টিম থেকে নিউটনকে সেখানে পাঠাতে।এরপর নিউটন সেই এলাকায় যায় এবং খুঁজে পায় একটি স্কুল যেটার অস্তিত্ব বলতে কিছু নেই কিন্তু সেখানেই তার ভোট গ্রহণ করতে হবে।সুতরাং তিনি নেমে পরেন ভোটিং মেশিন সহ, ভোটিং বুথ এবং চারপাশের পরিবেশ গুছিয়ে নিতে।কিন্তু তিনি হতাশ হয়ে পড়েন এটা দেখে যে, সেখানে সকাল থেকে কোন একজন ভোটারও ভোট দিতে আসেননি।এখানে মনে রাখার বিষয়, ভোটদাতার সংখ্যা খুবই সল্প ছিলো।

কিন্তু যখন একজন বিদেশী পরিদর্শক সেখানে ভোট গ্রহণ ব্যবস্থা পরিদর্শন করতে আসলেন তখন কাহিনী যেন হঠাৎ পরিবর্তিত হয়ে গেলো।আস্তে আস্তে গ্রামের সব ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসে হাজির হয়েছে।মিডিয়াও সেখানে উপস্থিত হলো।প্রচার করা আরম্ভ করতে লাগলো যে, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং এটাই কি তার প্রমাণ নয়!
কিন্তু নিউটন তখনো ব্যাপারটা ভালো করে বুঝলেন না।তিনি যখন গ্রামবাসীকে বুঝাতে চেষ্টা করছিলেন যে, ইলেক্ট্রিক ভোটিং মেশিন কি? এবং কেন আপনি একজন প্রার্থীকে ভোট দিবেন? কিন্তু সেটা গ্রামবাসীকে তিনি কোনভাবেই বুঝাতে পারছিলেন না।কারণ তাদের সেই অভিজ্ঞতা নেই।তারা বরং ঘুরে প্রশ্ন করছিলেন, এতে আমাদের লাভ কি? আমরা কি এরজন্যে কিছু টাকা পাবো কি? ভোট দিলে গরিলা আক্রমণ করে আর না দিলে পুলিশে আমাদের আক্রমণ করে অত্যাচার করে।
যেহেতু নিউটন এখানে প্রিজাডিং অফিসার তাই তার কর্তৃত্ব রয়েছে কিন্তু এক সেনা প্রধান সেই কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নেন তার কাছে থেকে।এবং গ্রামবাসীকে ভুল বুঝান যে, “এটা একটি খেলনা, সুতরাং আপনাদের যেই বাটনে চাপতে ইচ্ছে করবে সেই বাটনে প্রেস করবে"।

তাই বিষয়টি নিউটনের বিপক্ষে চলে যায়।আর তিনি ভাবতে থাকেন এখন কি করা যায়?
যাইহোক, আমিও ভাবছি পুরোটা বলে দিলে হয়তো আমাকে গাল পারবেন।তাই এখনো যারা দেখেননি তারা একবার চাইলে দেখে নিতে পারেন।


*সিনেমাটোগ্রাফি এবং এডিটিং- সিনামাটোগ্রাফি এবং এডিটিং বেশ ভালো ছিলো।বিশেষ করে এডিটিং খুব ভালো মানের ছিলো।নিখুঁত মানের এডিটিং করা হয়েছে।এছাড়া চরিত্রায়ন খুব ভালো লেগেছে।নায়িকা খুব বেশি সুন্দরী নয়, এভারেজ টাইপের।যেটা আসলে এই সিনেমার প্রেক্ষাপটে যায়।এর মধ্যে একটা রোমান্টিক এবং হাস্যকর কথপোকথন হয় নায়ক এবং নায়িকার মধ্যে।
নায়কঃ আপনিও কি অন্যদের মতো নিরাশাবাদী?
নায়িকাঃ না, আমি আদিবাসী।



*মন্তব্যঃ কিছু কিছু ডায়ালগ মন ছুঁয়ে গেছে যেমন, “নিউটন গ্রাভিটি আবিষ্কার করেছেন শুধু পদার্থবিদ্যা বুঝার জন্য নয়।উঁচু পাহাড় থেকে আম্বানী এবং চা ওয়ালাদের ফেলে দেওয়া হলে ওরা একই সাথে নিচে পড়বে”।রয়েছে রমরমা কমেডি এবং নিউটনের জেদ।আমার রাজকুমার রাও এর জেদের দৃশ্যগুলো খুব ভালো লাগে।সময় সময় মনে হয়, মানুষটা আসলেই এরকম না কি! যাইহোক, সবমিলিয়ে সময়টা একেবারে সুদ সহ ফেরত পাবেন বলে আমার বিশ্বাস।
ধন্যবাদ।




মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

সোহানী বলেছেন: হুম দেখবো আপনার রেকমেন্ডশানে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৬

মি. বিকেল বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো।মুভিটি আশা করছি আপনাকে হতাশ করবেনা।ধন্যবাদ :-)

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

সুমন কর বলেছেন: রিভিউ ভালো লিখেছেন। গতকাল রাতে ডাউনলোড করেছি। দেখি, কাল দেখতে পারি......
+।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৯

মি. বিকেল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: এখনো দেখা হয়নি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

মি. বিকেল বলেছেন: দেখে নিন :-)

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। পরে পড়ে দেখে বিস্তারিত মন্তব্য করবো।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

মি. বিকেল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন:
দেখেছি কয়েকদিন আগে।
সবটা অবশ্য দেখা হয়নি,
ভালো লেগেছিল।


আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.