নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক্সট্রিমিজম মানে কি তার যথাযথ উত্তর ঠিক কি দেওয়া যায় আমার মাথায় ঠিক আসছে না, তবে যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট কাজের বা তার যে অনুভূতি আছে সেসবের প্রতি বেশি, একটু বেশি নয় বরং খুব বেশি সিরিয়াস থাকাকেই আমি এক্সট্রিমিজম বলবো।হ্যাঁ, এটা সত্য আজকাল এই শব্দ শুধুমাত্র মুসলিমদের উপর প্রযোজ্য হচ্ছে যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম কমিউনিটির জন্য।যে কোন ধারণার, হোক সেটা ফেমিনিজম, এডামিজম, নিহিলিজম, ন্যাশলালিজম, সেক্যুলারিজম, হিউম্যানিজম বা সংক্ষেপে ইত্যাদিজম এর প্রতি অধিক অনুরুক্ত থাকাকে আমি এক্সট্রিমিজম বলবো।কারণ পৃথিবীতে এমন কোন বিষয় নেই যেটা দ্বন্দ্বে পরিণত হতে পারে না।আবার অন্যদিকে একজন মানুষ যখন অন্য কাউকে দেখিয়ে বলছে, অমুক ব্যক্তি হলেন কট্টরপন্থী।এটার মানে হলো, যে ব্যক্তি বলছে অমুক কট্টরপন্থী সে ব্যক্তিকে পরীক্ষা দিতে হবে, বা দেওয়া উচিত।কারণ খুব সম্ভবত তার কাছে কট্টরপন্থী কি সেটা নিয়ে তার একটা ধারণা আছে, একটা মাপকাঠি আছে।তা নাহলে সে কাউকে বিচার করে বলতে পারতো না, “আপনি কট্টরপন্থী”।তাই কোন সূত্র আপনাকে কোন তথ্য দিলে সোজা ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার না দিয়ে বরং কিছু ক্রস চেকিং করে নেওয়া স্ব্যাস্থ্যের জন্য ভালো।এখন আসা যাক, ইসলামিক কট্টরপন্থী বিষয়টি নিয়ে,
● ইসলামিক কট্টরপন্থী
এই শব্দটি চরম মুসলিম বিশ্বাসকে বর্ণনা করে।প্রায়শই পশ্চিমা সমাজগুলিতে এটি সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত (যেমনটি আই.এস.আই.এস / দায়েশ বা আল-কায়েদা) বা আগ্রাসী আধিপত্য (যেমন আফগানিস্তানের তালেবানদের শাসন)।
তবে শব্দগুলি নিজেরাই কেবলমাত্র ইসলামের প্রতি কট্টর বিশ্বাসের বর্ণনা দেয় এবং এসব নিজেই একটি খারাপ জিনিস হতে পারে।চরমপন্থা বিপদ ডেকে আনে, যেহেতু চরমপন্থীর পক্ষে অন্ধ হয়ে যাওয়া খুব সহজ, এবং বিশেষত ইসলামের একটি আক্রমণাত্মক অতীত নিয়ে বহুগুণ রয়েছে যার মধ্যে সহিংসতার আহ্বান হিসাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে(হিটলার)।সুতরাং ইসলামী চরমপন্থা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে উত্সাহিত করে যা আত্মঘাতী হামলা, নারীর দাসত্ব এবং নিরীহ মানুষকে এলোপাতাড়ি হত্যার প্রশংসা করে।এবং এসব সংগঠন সঠিক বা স্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা সাধারণ মানুষকে দেখায় না।তাদের উদ্দেশ্য কি? সেটা পরিক্ষিত নয়।
ইসলামী চরমপন্থার পুরো চিত্রটি অবশ্য উল্লেখ করা কঠিন, তবে এটি লক্ষ করা উচিত যে আমরা আজ ইসলামিক চরমপন্থাকে যে মোটামুটি নতুন ঘটনা বলে দেখছি তা ১৯০০ এর দশকের গোড়ার দিকে শুরু হয়েছিল, যেখানে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো সংস্থাগুলি আধুনিক রাজনীতির সাথে মিশেছিল।ঐতিহ্যগতভাবে ইসলামী মূল্যবোধ ধরে রাখার জন্য।মনে রাখবেন যে, ১৭৯৮ সালে নেপোলিয়ন মিশরে আসার আগ পর্যন্ত এবং পশ্চিমবঙ্গ সেখানে উপনিবেশ স্থাপনের পূর্ব পর্যন্ত পশ্চিম বিশ্বের সাথে ইসলামের খুব একটা সম্পর্ক ছিল না।অতএব পশ্চিমা কিছু বিষয়ে বিরোধিতা গড়ে তোলার খুব দীর্ঘ ঐতিহ্য নেই এবং মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন শক্তি চক্রের মধ্যে চরমপন্থা ছিল একধরনের নিজেদের বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।তবে এটি আর হয় না, এবং এর ফলে আরও ছোট আকার ধারণকারী বিশ্বে আমরা ইসলামী উগ্রবাদ সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে অনেক কিছু শুনি।
কিন্তু প্রশ্ন করা যেতেই পারে এই সংগঠনগুলি তৈরি হয়েছে কীভাবে?
আমার মনে হয়, এটার মূলতন্ত্র হচ্ছে মুসলিমদের ধর্মীয় কিতাব “পবিত্র আল-কুরআন”।কেন? কারণ অস্পষ্ট এবং দ্বন্দ্বমূলক পবিত্র আল-কুরআনের আয়াত থেকে।কারণ, এই কিতাবের আয়াতের যে দ্ব্যর্থতা আছে এবং যে গুরুত্ব আছে তা বুঝতে তারা অক্ষম।কিতাবটি খুলেই তারা সোজা উত্তর চায়, যার ফলে তাদের মনে একটা খারাপ চাপ সৃষ্টি হয়েছে।এবং যেহেতু এই প্রোগ্রামটি স্থিতিশীল, আবার ক্ষয়যোগ্য নয় তাই অনর্থক বিশ্বাসের দিকে পরিচালিত করে।সোজা বাংলায় পবিত্র আল কুরআন বুঝতে না পারায় হচ্ছে সব সমস্যার কারণ, এটা মূলত সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে।এখন কোন সূরার মাঝখান থেকে একটা আয়াত তুলে নিয়ে তার উপর গুরুত্ব দেয়া বোকামী বৈ আবার কি হতে পারে! অন্যান্য ধর্মের মত করে ইসলাম ধর্মও শান্তির বার্তা বহন করে।কিন্তু এর বৈপরীত্য স্বভাব অশান্তি হিসেবে কেউ কেউ গ্রাস করতে পারে, যা হতে পারে ইসলামের জন্য ভয়ানক ও বিধ্বংসী।
“যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে তোমরাও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, কিন্তু সীমালঙ্ঘন কর না,আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ভালবাসেন না।” (২: ১৯০)
সূরা বাকারার এই আয়াত আপনাকে কি বলছে? শান্তি ছাড়া আর কি বলছে? মন্তব্যে লিখুন।
এবার আসা যাক জিহাদ নিয়ে!
“আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে।ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ।আর মসজিদুল হারামের নিকটে (কাবা শরীফের) তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের সঙ্গে সেখানে যুদ্ধ করে।যদি তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে তাহলে তাদেরকে হত্যা কর।এই হলো কাফেরদের শাস্তি।কিন্তু তারা যদি বিরত হয় তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (২: ১৯১-১৯২)
প্রথমে, সূরা বাকারার এই আয়াত কখন নাযিল হয়েছিলো সেটা আগে জানুন।মানে, শানে নুযুলটা পড়ুন।কে কাকে বের করে দিয়েছিলো? কখন দিয়েছিলো? এবং স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে, নিজের অধিকারের কথা।ধরুন, কারো ইচ্ছা হলো আপনাকে মারছে, তো আপনি কি চুপ করে থাকবেন?
বর্তমান বিশ্বে ইরান যে গাঠনিক জবাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে সেটা এই আয়াতের প্রতিফলন ছাড়া আর কিছুই নয়।আর এই জন্যই খুব সম্ভবত, কে টেরোরিষ্ট বা উগ্রবাদী বা ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের দেয়া বক্তিতায় উনার ফেসিয়্যাল এক্সপ্রেশন দেখা উচিত।একজন সোলাইমানী, সাথে আশি জন আমেরিকানদের মৃত্যু ইরান বিশ্ব বা মুসলিম বিশ্ব কামনা করেনি।ট্রাম্প কামনা করেছে, যে জন্য এই ভোগান্তি।সুতরাং, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।এবং ধর্ম মানেই শান্তি।
ধন্যবাদ
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: তালেবান-লাদেন-সাদ্দাম-আইএস-বাগদাদী-সবই সন্ত্রাসী এ্যামেরিকার সৃষ্টি,যাদের সবাইকেই প্রয়োজন শেষ হওয়ার পর এই বিশ্ব সন্ত্রাসী হত্যা করেছে।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যতদিন মানবতাকে বড় মনে না করে নিজ ধর্মকে বড় মনে করবে ততদিন শান্তি আসবে না।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমার এক বন্ধু ইরাকের কুর্দিস্তান থাকে, তার সাথে কাল কথা হয়েছে সে বলেছে ৮০ জন সৈন্য মারা যাওয়ার ব্যাপারটি ঠিক নয়। ইরান হামলা চালিয়েছে ঠিক আছে কিন্তু কোন মানুষ মারা যায়নি কিছু ইরাকি সৈন্য আহত হয়েছে। ইরানের প্রচার করা ৮০ সৈন্যের খবরটি সঠিক নয়।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২০
মি. বিকেল বলেছেন: All governments lie. Wait awhile, the truth will out, it always does.
নূর আলম হিরণ, Authoritarian governments lie worse, because they face less consequences of feedback when they do.
How can you tell a politician is lying? Their lips are moving.
What do you do to find the truth? Lots of due diligence, never trusting one news source only. Double check what a Western politician says, quadruple check what a politician with complete control of their press says. Staple a “they all lie horribly” sign to your forehead, written backwards so you can check it in the mirror several times a day.
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্মের মৌলিক বার্তা বুঝতে না পারার জন্যই কিছু মুসলমান বিপথে যাচ্ছে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
মি. বিকেল বলেছেন: ্মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুরা ইত্যাদি দিয়ে কিছু লিখে আপনি শেষ করতে পারবেন না; আপনাকে আজকের মতবাদগুলো আজকের রাজনীতি, দর্শন, লজিক, ইতিহাস ও সংস্কৃতির আলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে। সুরাগুলোতে বলা হয়েছে প্রার্থনা করতে ও সুরায় বর্ণিত এটাসেটা অনুসরণ করতে; কিন্তু মানুষের লব্ধজ্ঞান এখন সুরার লজিক থেকে অনেক উঁচু স্তরের।