নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“চুমুটা একই থাকে, কিন্তু ঠোঁটদুটো বদলে যায়”
কথাটা আমার নয়, এই কথাটা হচ্ছে সৃজিত মুখার্জীর পরিচালিত সিনেমা দ্বিতীয় পুরুষ মুভির একটি ডায়ালগ।
যাইহোক, আজকের গল্প একটু সিলাবাসের বাহিরে হতে যাচ্ছে।যেমন ধরুন, প্রথম বর্ষের জীবনটা দ্বিতীয় বর্ষে এসে ঠিক মেলানো যায় না।আর যখন অনার্স জীবনের ফাইনাল ধাপ চলে আসে, জীবনে তখন একদিকে থাকে প্যাশন আর একদিকে থাকে ক্যারিয়ার।আর অন্যদিকে প্রেম-ভালোবাসা কোথায় যেন শিকেয় উঠে যায়।কেউ প্যাশন ছেড়ে ক্যারিয়ারে মননিবেশ করে, আবার কেউ ক্যারিয়ার ছেড়ে প্যাশনে।এর মাঝে প্রেম-ভালোবাসা ঢুকবার সুযোগটা থাকে না, ঢুকতে পারে না।শুধু একটা লড়াই থাকে, প্যাশন ভার্সাস ক্যারিয়ার এর।কারো জন্য খুব করে পাগল থাকা প্রথম বর্ষের ঐ ছেলেটাও হঠাৎ টের পেয়ে যায় যে,
“পিয়ার-ভিয়ার ওয়েস্ট অব টাইম”
খুব মনোযোগী হয়ে পড়ে ক্যারিয়ার নিয়ে।পড়ার টেবিলে হাজারো বই থাকে, মনে থাকে শত দেশের রাজধানীর নাম।কিন্তু কারো জন্য যে একদিন গোলাপ হাতে সাড়া দিনটা মাটি করে দিয়েছিলো, কারো একটা টেক্সটের জন্য যে অপেক্ষা করতো সারারাত ধরে, কারো জন্য সে ভার্সিটি জীবনে লেডিস হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু একবার তাকে দেখার জন্য।হ্যাঁ, আমি সেই ছেলেটার কথা বলছি।যে প্রথম বর্ষে বলতো, এই মেয়ে! তোমাকে ছাড়া আমার কোন অস্তিত্ব নেই।আজ সে তাকে বেমালুম ভুলে যায়।একটা চাকুরী দরকার, একটা ভালো কর্মসংস্থান দরকার, এসব তার সিলেবাসের মধ্যে কেমন করে জানি ঢুকে যায়।
গার্লফ্রেন্ড নেই, এক্স-গার্লফ্রেন্ডকেই হয়তো সময় বেশি দেওয়া হয় আজকাল।অতীতের ফ্ল্যাশব্যাকে না ফিরে বরং বর্তমানের ছোট ছোট কনভার্সেশনে সব পাড়ি দিয়ে দেয়।চাপা পড়ে যায় ফেলে আসা সব গল্প, কত আশ্বাস, কত স্বপ্ন।ভেবে নেয়, এটাই হয়তো জীবন।আর নিজে নিজে হাসে এটা ভেবে যে, কি হবার ছিলো! আর কি হচ্ছে!
দিনশেষে এই অবুঝ বালক সব মেনেও নেয়, কিন্তু স্মৃতির কোঠর থেকে হঠাৎ ফেলে আসা অতীত কোন এক স্বপ্নে বা দুঃস্বপ্নে বা কোন এক খারাপ সময়ে দেখা দিয়ে চমকে দেয়, আয়নায় দাঁড়িয়ে সে হয়তো ভাবে অনেক দিন তো হলো দাঁড়ি সেইভ করা হয়নি।
আরও যদি সামনে যাই? গল্প কি একই থাকবে না কি পাল্টাবে! তাই বাকি লেখাটা “জারিন সুলতানার” কাছে ধার নিয়ে নিলাম,
“ক্লাসে সবচেয়ে দূর্বল ছেলেটি সমাবর্তনে এসেছিল সবার চেয়ে হাই পজিশনের জব নিয়ে। বারবার প্রেমে ব্যর্থ হওয়া মেয়েটি এসেছিল একটি সুন্দর ছোট্ট পরিবার নিয়ে। কারো কাছে পাত্তা না পাওয়া, তোকে দিয়ে কিছু হবে না বলা ছেলেটিই সবচেয়ে সুন্দর বউ নিয়ে এসেছে।পড়াশোনার খরচ যোগাতে টিউশন করে হাত খরচ চালানো মেয়েটি কাল গাড়ি দিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিল।ক্লাসের সবচেয়ে সাকসেসফুল ছেলেটি ডিপ্রেশনে ভুগছে জব না পাওয়ায়।ডিপার্টমেন্টের হার্টথ্রোব মেয়েটির চোখের নিচে কালি, বিয়ে হচ্ছে না বয়স হয়ে গেছে।এভাবেই সময়ের সাথে বদলে যায় মানুষের জীবনের ইকুয়েশন।আসলে সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষা জীবনের শেষ হলেও সফলতা ও ব্যর্থজীবনের হিসাব গণনা শুরু হয়ে এখান থেকেই।তাই ঘৃণা, হিংসা, কম্পিটিশন বাদ দিয়ে জীবনটাকে বাচা উচিত সম্পূর্ণ স্বাদ ও ভালবাসা নিয়ে।কখন জীবন কোন মোড় দেখায় কোন নিশ্চয়তা নেই, তাই যেনো কোন মুহূর্তের জন্য যাতে আফসোস না থাকে।”
ভালো থাকবেন সবাই।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
জীবন বড় বিচিত্র। এমন হয় এর বিপরীতও হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: হুম, এরকমই হয়।