নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
❌করোনা ভাইরাস নিয়ে সাবধান করুন, আতঙ্ক ছড়াবেন না
আপনি জানেন কি আমাদের দেশে শুধুমাত্র প্রতি বছরে কতজন আত্মহত্যা করে?
● প্রতি বছরে প্রতি লক্ষে ১২৮জন এরও বেশি মানুষ।তার মানে যদি মোট ষোল কোটি জনসংখ্যার হিসেব ধরা যায় তাহলে, প্রতি বছরে ২লক্ষ ৪হাজার ৮শত জন মানুষ শুধুমাত্র আত্মহত্যা করে।এর বেশিরভাগ কর্মসংস্থানের অভাব, ধর্ষণ, কৃষিতে ব্যর্থতা ও প্রেম ঘটিত কারণে।
আপনি জানেন কি বাংলাদেশে শুধুমাত্র সড়ক দূর্ঘটনায় কতজন মানুষ প্রতি বছর মারা যায়?
● ২০১৭ সালে ৪,২৮৪ জন মারা যান এবং ৯,১১২ জন গুরুতর ভাবে আহত হোন।
বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে কতটা ধারণা রাখেন?
● বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৫,০০০ হাজার থেকে শুরু করে ১৮,০০০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায় পরিবেশ দূষণের কারণে।
শুধুমাত্র রানা প্লাজা বিধ্বংসে চাপা পড়ে ১ হাজার ১৩৮ জনেরও বেশি গার্মেন্টস শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। আর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪৩৮ জনেরও বেশি কর্মীকে। বিভিন্ন সূত্র মতে, এই সংখ্যা আরো বেশি। রেলওয়ে দূর্ঘটনায় গত আড়াই বছরে মৃতের সংখ্যা ৮০০ জনেরও বেশি। গত বছর, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে ৭৩১ জনেরও বেশি মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে, আমি বলবো এটাও এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক মৃত্যু । প্রতিষেধক থাকা সত্ত্বেও গত বছরে ৫০ এরও অধিক মানুষ মারা যান ডেঙ্গুতে। সর্বশেষ ১২ই নভেম্বর, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলায় মঙ্গলবার ভোর রাতে দুইটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়, এবং আহত হয় আরো ৫০জনের অধিক মানুষ। নৌকাডুবিতে/সলিল সমাধি মৃত্যুর পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে(২০১৫ সালের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী)। ২০১৬ সালের দেয়া এক তথ্য অনুযায়ী, বাচ্চা জন্ম দান করতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতি লক্ষে ১৯৬জন মা মারা যান।মানে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটিতে প্রায় ১.৫লক্ষ ৭.৫হাজার ৩শত জন মা মারা গেছেন এবং যাচ্ছেন।
এখন এসব তথ্যর জন্য বিশাল বড় গবেষক হওয়ার প্রয়োজন নেই। একটা ছোট গোগল সার্চ দিন, দেখবেন আমার দেয়া এই তথ্যের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে। এখন আসা যাক, প্রতিষেধক(এন্টিবায়োটিক) এখনো আবিষ্কৃত না হওয়া রোগ করোনা ভাইরাস(COVID-19) নিয়ে, এই রোগ দ্বারা বেশি প্রভাবিত দেশের পরিসংখ্যান আপনাকে একটু জানাচ্ছি,
● চীন(এখান থেকেই এই রোগের যাত্রা, যদিও আসল কালপ্রিট যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণাগার)
আক্রান্তের সংখ্যাঃ প্রায় ১লাখ মানুষ
মৃতের সংখ্যাঃ ৩০০০+ জন
সেরে উঠেছেনঃ ৬০,০০০+ জন
● ইরান
আক্রান্তের সংখ্যাঃ N/A জন
মৃতের সংখ্যাঃ ২১০ জন
● ইতালি
আক্রান্তের সংখ্যাঃ ৪,৬০০ জন
মৃতের সংখ্যাঃ ১৯৭ জন
● যুক্তরাষ্ট্র
আক্রান্তের সংখ্যাঃ ৩০০ জন
মৃতের সংখ্যাঃ প্রায় ২০ জন
● প্রতিবেশী দেশ ভারত
আক্রান্তের সংখ্যাঃ ৩১ জন
মৃতের সংখ্যাঃ N/A জন
গ্লোবাল ডেথ রেট ৩.৫% থেকে সর্বোচ্চ ৪% শতাংশ মাত্র এবং গ্লোবাল মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩,২৭২ জন মাত্র। বাংলাদেশে এই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মাত্র ৩জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন(উল্লেখ্য মারা যাননি)। সুতরাং যে পরিমাণ আতঙ্ক চারদিকে এই ভাইরাস নিয়ে আপনারা ছড়াচ্ছেন তা অহেতুক, আমি এতটা শঙ্কায় নেই। কারণ খুব সম্ভবত এই ভাইরাস আক্রমণ করার আগে বাংলাদেশের বর্তমান কর্মসংস্থানের অবস্থা দেখেই আমি মারা যাবো। তবে হ্যাঁ, এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অবশ্যই জরুরী মনে করছি।
এই রোগের লক্ষণ হলো, রেসপিরেটরি লক্ষ্মণ ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন গত কারণে অনেকের সর্দি, জ্বর হচ্ছে এতে ঘাবড়ানোর কোন দরকার নেই। পাশাপাশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সহজেই সনাক্ত করা যাবে গ্রীষ্ম পড়া মাত্র-ই।কিন্তু এই রোগ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তি হাচ্চি দিলে আর সেটা যদি অন্যর গায়ে গিয়ে পড়ে তবে সেও আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কোলাকুলি করা বা হাতে হাত মেলানোর চেয়ে দূর থেকে হাত দিয়ে সালাম বা নমস্কার জানান। আর খাবার নেবার সময় হাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। যদিও বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণী করোনাভাইরাস বহন করতে পারে (যেমন বেলুগা তিমি), অনেক জীবন্ত প্রাণীও থাকে, যেমন মুরগি, বাদুর, খরগোশ, সাপ- এসব প্রাণী করোনাভাইরাসের উৎস হতে পারে। গবেষকরা বলছেন, চীনের হর্সশু নামের একপ্রকার বাদুরের সঙ্গে এই ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ মিল আছে। তাই আক্রান্ত এলাকায় এসব প্রাণীদের থেকে দূরে থাকুন। যেখানে-সেখানে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। এই রোগকে শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দূর করে দিতে পারে। যেহেতু ঢাকার বাতাস আরো বেশি দূষিত সেহেতু সেখানে মাস্ক পরিধান করুন। ভালো হয় বিদেশীদের থেকে একটু দূরে থাকুন। প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে কম বের হওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
(প্রচুর তথ্যবহুল অনুচ্ছেদ হওয়ায় কিছু ভুলক্রুটি থাকতে পারে, সেটুকুর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)
► আর এসব জানার জন্য ডাক্তার হবার দরকার নেই।একটা গোগল সার্চ দিয়ে নিন।সবাই নিরাপদে থাকুন, সেই কামনায়।
আল্লাহ্ হাফেজ।
০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২০
মি. বিকেল বলেছেন: আমি আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:২১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পোস্টে তথ্যগত কিছু ভুল আছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা এখনো ১লাখের নিচে। মৃত্যের সংখ্যা ৩০০০+।
এখনপর্যন্ত পৃথিবীজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৯,৬০০+। এবং মৃত্যু ৩,৮০২। অর্থাৎ মৃত্যু ৩.৫%।
যাইহোক, সতর্ক থাকুন, নিজে সুস্থ থাকুন, পাশের মানুষটিকেও সুস্থ স্বাভাবিক রাখবার চেস্টা করুন। শুভকামনা।
০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
মি. বিকেল বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আমি তথ্যগুলো সংশোধন করেছি।প্রচুর তথ্যবহুল অনুচ্ছেদ লেখায় ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: গুজন যারা ছড়ায়, আর গুজব যারা বিশ্বাস করে দুইজনই বদ।
০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২১
মি. বিকেল বলেছেন: সহমত
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুন্দর উপকারি পোস্ট
০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২১
মি. বিকেল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪২
নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ।
০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২২
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
আল্লাহ রহমত করো।
০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২২
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার ভালো কামনা করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৫৪
নতুন বলেছেন: ফেসবুক বন্ধ না করলে করোনা গুজবে দেশের সবকিছুর দাম বাড়বে।
আমাদের দেশে গরম চলে এসেছে তাই ফ্লুতে আক্রান্ত্ হবার সম্ভবনা কম।
আরেকটা কথা সবাই বলে করোনার ভ্যাকসিন নেই.... কিন্তু দেশে কতজন ফ্লুর ভ্যাকসিন নেন? কতজন করোনার ভ্যাকসিন নেবেন?
কেউই আমাদের দেশে ফ্লুর ভ্যাকসিন নেয় না....
সোসাল মিডিয়ার কারনেই এই করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে এতো আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে।