নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউটিউবে আছি দুই বছরের অধিক সময় ধরে। আর ক'টা দিন পর তিনবছরে পদার্পণ। তবে হ্যাঁ, বর্তমানে আমি একজন ক্ষুদে হলেও সফল একজন ইউটিউবার।
মুভি রিভিউ এর শুরুতে এমন আত্মপ্রকাশ হয়তো মানায় না, কিন্তু এই বাংলা মুভিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা কিছু কীটপতঙ্গদের নিয়ে। যারা বিনোদনের নাম করে প্রতিনিয়ত সুস্থ মানুষদের মস্তিষ্ক চিবিয়ে খাচ্ছে।
একটি ভিডিও তৈরির পূর্বে বেশ কিছু মাধ্যম পেরোতে হয়। মূল কন্টেন্ট এর উপর ভিডিওটি আকর্ষণীয় করার জন্য আমার মত সম্পাদকেরা বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে থাকেন। পুরো প্রক্রিয়াটি ভালো একজন রাঁধুনির মত। এই জগতে যে যত ভালো রাঁধুনি, তার উপর ওই ভিডিও দেখার পরিমাণ এবং প্রতিক্রিয়া সংখ্যা নির্ভর করে।
নোংরা কন্টেন্ট, ১৮+, হট বা যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন ভিডিও শেয়ার করে সেসব ফেসবুক পেইজের এখন সংখ্যা যে কত! তা আন্দাজ করাটাও মুশকিল এবং কি পরিমাণ ইউটিউবার এই সব নিয়ে কাজ করে টাকা কামাচ্ছেন তা আমি বা আপনি কেউ ঠিক জানি না। কিন্তু সংখ্যাটা এত বিশাল অঙ্কের যে, উপরোক্ত যে কথাগুলো বলেছি সেসব কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। এবং আরো অবাক হবেন সেসব ভিডিওর মোট ভিউ সংখ্যা গুণতে গিয়ে।
দেখুন, ইউটিউব যদি কাউকে মাসে মাত্র ত্রিশ হাজার টাকার বেশি উপহার দেয় তাহলে কষ্ট করে গ্রাজুয়েশন করতে বিশাল অঙ্কের ছাত্রছাত্রীরা আর দৌঁড়াবে না। কেউ কেউ হয়তো স্কুলের গণ্ডি পার করতে চাইবে না। কিন্তু ইউটিউব একজন কে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা দিবে কেন? মূলত তাকেও সে অঙ্কের পরিশ্রম ইউটিউবে করতে হয় তাই।
অনেক সময় একটি পুরো টিম নিয়ে কাজ করে, সুন্দর সম্পাদনা নিয়ে, এমনকি সমাজে কিছু তথ্য বা বার্তা দিয়ে, এক মাসের তৈরিকৃত সেই একটি ভিডিও ছেড়ে দিয়েও ভিডিওটির লাইফটাইমে এই ইনকাম হয় না আর অনেক সময় টিম ছাড়াই মাত্র দুই মিনিটের সম্পাদনা নিলে এর বেশি ইনকাম হয়ে যায়। এবং সেসব ভিডিওর নাম “ভাইরাল” নামে আমাদের কাছে পরিচিত।
ভালো ভিডিও ভাইরাল হয় না, এমন নয়। কিন্তু আনুপাতিক হারে সেসবের সংখ্যা খুবই নগণ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে যত ভুলভাল বকছে সে তত ভাইরাল। এবং তার সাথে ভিউ বেশি মানে উক্ত ভিডিওতে মোট বিজ্ঞাপন সংখ্যা বেশি মানে আরো বেশি ডলার। একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাও খুব সম্ভব “হা...” হয়ে যাবেন তাদের মাইনে দেখে।
আর ঠিক ঐ লোভের পাল্লায় পড়ে বেকার লোকজন সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে তো ঝুঁকছেন-ই পাশাপাশি বাড়ি-বাড়ি গড়ে উঠছে ফেসবুক পেইজ, ইউটিউবার এমনকি ইনস্ট্রাগ্রাম পর্যন্ত বাদ পড়ছে না। সাথে আছে টিকটক, লাইকি, বিগো সহ আরো অনেক। এই সমস্ত প্লাটফর্মে ইনকাম করা যায়, সেটা আপনার একটা ফটো দিয়েও ইনকাম হতে পারে যদি লোকজন আপনার পোস্টে অধিক প্রতিক্রিয়া জানায়।
প্রশ্ন হলো, তাহলে আমরা কি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবো না?
না, অবশ্যই ব্যবহার করবেন। টাকার জন্য কন্টেন্ট নির্মাণ করছেন এটা খারাপ নয়। কিন্তু কারো ক্ষতি করছেন না তো? হয়তো লঘু মানের ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু আপনার কন্টেন্ট কি কাউকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে? তা হলে সেটা আর লঘু মানের থাকলো কোথায়!
শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন আগের কথা...
একজন নায়িকা এক্সিডেন্টে মারা যান। তারপর সংবাদ মাধ্যমে জানা গেল যে, তাঁর ইনকামের টাকা দিয়ে একটা সংসার চলতো। কিন্তু মন্তব্যে আমি যা দেখেছি সত্যি বলতে মেয়েটি বেঁচে থাকলে ওসব দেখেই আত্মহত্যা করতেন।
বর্তমানের এই সমাজ সেক্সুয়ালি একটু বেশিই এক্সপ্লিসিট। তাছাড়া যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়ে ট্রল করা যাচ্ছে। যাকে ইচ্ছে সেক্সুয়ালি এবিউজ করা যাচ্ছে। আর একেক জন হয়ে যাচ্ছেন, ভাইরাল ভাই!
এই জঘন্যদের দেখে আমারও সময় সময় এই সিনেমার মূল অভিনেতা অপূর্ব হয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
বিস্তারিত জানতে দেখুন “ট্রল”। এবং আরো একটি বাংলা মুভি।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:২৩
মি. বিকেল বলেছেন: একটা ইউটিউব সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: Loren Mendes - যে কিনা এই ফিল্মের একটা গুরুত্বপূর্ন চরিত্র, গতবছর আত্মহত্যা করেছিলো।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০
মি. বিকেল বলেছেন: জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: লিংক কই?