নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

On-Page SEO: আপনার ওয়েবসাইটকে র‍্যাঙ্কিং করুন দ্রুত! (Dedicated to The Publishers)

২১ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৫৩



উত্তর-আধুনিকার এই যুগে “গুগল” নামক যে দানব রীতিমত আমাদের কিছু নিয়ম-রীতি হাতে ধরিয়ে দিয়েছে তা উহ্য রেখে অনলাইনে ভালো করা সম্ভব নয়। বইয়ের পাতা আর অনলাইনের এই পাতা এই দুটোর মধ্যে বিশাল পার্থক্য আছে। আপনাকে অবশ্যই সেটা বুঝতে হবে; নতুবা এই অনলাইন জগত আপনার জন্য নয়। শিরোনাম দেখেই বুঝে গেছেন নিশ্চয় যে, কেন লিখলেই লেখক হওয়া যায় না! এবং শুধুমাত্র ওয়েবসাইট বানিয়ে বসে থাকলেই গল্প শেষ হয়ে যায় না। এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এই অনুচ্ছেদে করা হয়েছে।


অন-পেজ এস.ই.ও (On-Page SEO) কেন দরকার?

সত্যি বলতে, অন-পেজ এস.ই.ও (On-Page SEO) এর অনেক কল্যাণ আছে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার লেখাকে গুগল সার্চে একেবারে প্রথমে নিয়ে আসতে পারবেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়বে। আর ট্রাফিক বৃদ্ধির পাশাপাশি ভালো আয় করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, আপনার ওয়েবসাইটটি অন্যদের তুলনায় ভালো র‍্যাঙ্কিং করতে পারবে।


১. Crawling Checkup: গুগলে বা যে কোনো সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইট ক্রল করে দেখে যে, আপনার ওয়েবসাইটে ঠিক কি কি ধরণের কন্টেন্ট আছে। এবং সেসব কন্টেন্ট বা লেখাগুলো ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা কি অনলাইনে পাঠকদের দেখানো উচিত? না কি দেখানো উচিত নয়?

এই সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে “robot.txt” ফাইল যা নির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে থাকে। যদি আপনার ওয়েবসাইট ঠিকঠাক ক্রল না হয় তবে সেটা ইনডেক্সও হবে না, র‍্যাঙ্কও করবে না। হয়তো কিছু কিছু লেখা ইনডেক্স হচ্ছে এতে গদগদ হবার কিছু নেই। যদি সব URL ইনডেক্স না হয় তবে দুটি ফাইল আপনাকে অবশ্যই চেক করে দেখা উচিত, “robot.txt” ফাইল এবং “.htacces” ফাইল।

এখানেই খুঁজে পাবেন কোন কোন URL ঠিকঠাক ক্রলিং করা হয় নি। এজন্য আপনাকে সাহায্য করবে “Google Search Console” । এখানে আপনি দেখতে পাবেন, কোন কোন URL ক্রলিং হচ্ছে এবং কোন কোন URL ক্রলিং হচ্ছে না।


২. Indexing Check-Up: আপনার লেখা প্রকাশ করার পর তা নিজ থেকেই ইনডেক্স হয়ে যাবে। Cron Job সম্পর্কে আমাদের অনেকের-ই ধারণা নেই, তাই এই সম্পর্কে অন্য কোন একদিন আলোচনা করা যাবে। এখন, খেয়াল করতে হবে কোন কোন URL ক্রলিং হচ্ছে না বা ইনডেক্স হচ্ছে না।

কোনো সার্চ ইঞ্জিনের দায়িত্ব নয় যে, আপনার বয়েস ১৮+ তাই ইনডেক্স করতেই হবে। মানে আপনার লেখা সমস্ত বিষয় মেনে চললেও সার্চ ইঞ্জিন তা ক্রলিং নাও করতে পারে, ইনডেক্স নাও হতে পারে। আর সব পেইজ তো এমনিতেও কোনো সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্স করে না।

এজন্য আপনাকে খেয়াল করতে হবে কোন কোন পেইজ ইনডেক্স হচ্ছে না, আর না হলেও কেন হচ্ছে না? সমস্যাটা বের করে এর সমাধান করতে হবে।


৩. Sitemap Checkup: সাইটম্যাপ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের ম্যাচ। ঠিক যেমনটা একটি দেশের ম্যাপ। সেখানে কি আছে? বা কি নেই? এই সমস্ত বিষয় আপনার cPanel বা রুট ডিরেক্টরিতে “sitemap.xml” ফাইলে দেওয়া থাকে।

এখন যদি আপনি এখানেই ভুল করে থাকেন তাহলে কীভাবে সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে খুঁজে পাবে? তাই প্রয়োজনে আপনি আপনার “sitemap.xml” ফাইল পুনরায় সাবমিট করুন এবং বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেখুন।


৪. Mobile Friendliest Test: আপনি যদি মনে করেন “Mobile Friendliest Test” একটি অপশনাল বিষয় তাহলে অনেক ভুলের মধ্যে আছেন। এখানে দেখতে হবে, আপনার ওয়েবসাইট ঠিকমত স্মার্টফোনে দেখাচ্ছে কিনা? কারণ, গুগল সার্চ ইঞ্জিন এটাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

যে সাইট শুধুমাত্র ডেস্কটপে ভালো দেখায় এবং মোবাইলে ভালো দেখাতে বা একেবারেই দেখাতে পারে না সেই সাইটের কোনো দাম নেই গুগল সার্চ ইঞ্জিনের ইনডেক্সিং বিবেচনায়। তাই ব্যাপারটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

আপনি ডেস্কটপে একরকম আর মোবাইলে আরেক রকম কন্টেন্ট রাখতে চাইলে গুগল আপনাকে পাত্তা দেবে না। তাই ডেস্কটপ এবং মোবাইলে একই রকম কন্টেন্ট, ছবি ও তথ্য রাখতে হবে।


৫. URL Canonical Checkup: আপনার একই লেখা যদি দুটি দিয়ে বসেন এবং তার URL -ও একই দিয়ে রাখেন তবে সার্চ ইঞ্জিন যে কোন একটি কে র‍্যাঙ্ক করাবে।


৬. URL Checkup: URL হলো আপনার ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস। ঠিক যেমনটি আপনার কোন বাড়ির ঠিকানা। এখন বাড়ির ঠিকানা যদি ঠিকঠাক না হয় তাহলে যেমন আপনি উক্ত বাড়ি খুঁজে পাবেন না। ঠিক তেমনি URL অ্যাড্রেস ভুল হলে সেটা ইনডেক্স নাও হতে পারে।


৭. Meta Data Checkup: এই নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এক অনুচ্ছেদে আমার জন্য প্রায় অসম্ভব। তবে নিম্নোক্ত বিষয় খেয়াল করবেন,

(ক) Meta Title
(খ) Meta Description
(গ) Meta Robots Tags
(ঘ) Twitter Cards

এছাড়াও ফেসবুকে বা কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার লিংক শেয়ার করলে ঠিকঠাক “টাইটেল” ও “ছবি” দেখতে পাচ্ছেন তো? এটাও On-Page SEO -এর জন্য বেশ জরুরী।


৮. Language Command: আমরা সবাই কমবেশি লিখতে পারি। কিন্তু ভাষা থেকে ভাষার ধরণ আলাদা হয়ে থাকে। তাই আপনার যত বেশি নির্দিষ্ট ভাষার শব্দচয়নের ক্ষেত্রে আপনি লিখতে ও পড়তে যদি সাবলীল অনুভব করেন তত বেশি গুগলের পক্ষেও সেটা বুঝতে ও ইনডেক্স করতে সুবিধা হবে।


৯. Schema Data: চেষ্টা করুন আপনার পোস্টে Schema Data যুক্ত করতে। এতে গুগলের বুঝতে সুবিধা হবে। র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরে আপনি এগিয়ে থাকবেন।


১০. Speed: Google কিন্তু এখন আপনার ওয়েবসাইটের গতির দিকে বেশ খেয়াল রাখছে। মানে যে ওয়েবসাইট যত গতি সম্পন্ন সে ওয়েবসাইট তত দ্রুত র‍্যাঙ্ক করবে। এছাড়া আপনার ছবি ছোট সাইজের ব্যবহার করুন। বিশেষ করে “webp” ফরম্যাট ছবির জন্য ভালো। পাশাপাশি “ALT Image/Text” ব্যবহার করতে ভুলবেন না।


এই ছিলো মোটামুটি On-Page SEO নিয়ে অল্প কিছু বিদ্যা। আর পরামর্শ থাকবে এই একই বিদ্যা বারবার ব্যবহার করার। আরো অনেক অপশনাল বিষয় থাকলেও এই ক’টি বিষয় যথেষ্ট আপনার ওয়েবসাইটকে র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য। আজ এই পর্যন্তই। সবার সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ।



এছাড়াও আপনি চাইলে আমার ওয়েবসাইট থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন: https://www.backspace-journal.com

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.