![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনো দেশে যদি ব্যাপক পরিমাণ বেকারত্ব বৃদ্ধি পায় এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হয় তাহলে ঐ দেশ ত্যাগ করা জরুরী হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৭ সালে পরিচালিত হয়েছিল, যেখানে বেকারত্বের হার ৪.২% এবং বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ বলে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০১৮ সালে প্রকাশিত ‘এশিয়া-প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০.৭%, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এবং, বাংলাদেশে এই বেকারত্ব থামার কোন নাম-ই নিচ্ছে না।
হয়তো প্রশ্ন উঠতে পারে, কই আমি তো বেকার নই? তাহলে আমি কেন দেশ ত্যাগ করবো? বেকারত্ব শুধু ঐ দেশের বেকারদের সমস্যা নয়। যখন বেকারত্ব বাড়বে তখন চাকুরীজীবিদের চাকুরী নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়বে। প্রতিযোগিতা বেশি থাকায় কম বেতনে চাকুরী করতে হতে পারে।
একইসাথে কখন আপনার চাকুরী চলে যাবে তাও ঠিক করে বলে ওঠা সম্ভব নয়। এছাড়াও আপনার কাছে থেকে অতিরিক্ত কাজ করে নেওয়া, কাজের পরিবেশে সম্মানজনক পরিবেশের অনুপস্থিতি, প্রমোশন না দেওয়া ইত্যাদি। এই সমস্ত উপসর্গ বর্তমান বাংলাদেশের শ্রম বাজারে বিদ্যমান।
প্রায় প্রায় শুনবেন, কিছু কিছু ভদ্রলোক বিভিন্ন টক-শো তে এসে বলছেন, বাংলাদেশের শিক্ষিত শ্রেণীর প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকায় তারা চাকুরী পাচ্ছেন না। এই বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা নয় কিন্তু অর্ধেক সত্য। আপনার প্রতিষ্ঠানে কি কি দক্ষতার প্রয়োজন সেটা উল্লেখ করা জরুরী। এবং যদি শিক্ষিত যুব সমাজের কাছে ঐ সমস্ত দক্ষতা নাও থাকে তাহলে ইতোমধ্যেই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ হত এবং সবাই একে অন্যকে সাহায্য করতো।
কিন্তু দেশের কাছে, দেশের বড় বড় পুঁজিপতিদের কাছে যথেষ্ট চাকুরী-ই নেই সেখানে দক্ষতার গাল-গল্প শুনতে বিরুক্ত লাগে। একইসাথে বিশাল দক্ষতা নিয়ে বিশ হাজার টাকা মাইনের চাকুরী দেবার যে প্রবণতা সেটাও খুবই বেশি দৃশ্যমান। দক্ষতা যত বেশি তাকে আরো তত বেশি কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে একই বেতনে। বেতন বৃদ্ধি বা প্রমোশনের নামগন্ধ নাই।
শুধু বিষয়টি এই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়। বেকার সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ঐ দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। চারপাশে চাঁদাবাজী, ছিনতাইকারী, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চুরি বেড়ে যাবে। ফলে শান্তিতে কেউ-ই থাকতে পারবেন না।
রাষ্ট্র যতই চেষ্টা করুক, অনেক বল প্রয়োগ করেও এই অবস্থা কোনোভাবেই সামাল দিতে পারবেন না। বিশেষ করে যে দেশের জনসংখ্যা বেশি এবং ঐ জনসংখ্যার বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা তূলনামূলক অনেক কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের তথ্যমতে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৮.৭% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী (১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার), এর মানে আনুমানিক ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ – অর্থাৎ প্রায় ৩.১৭ কোটি – দারিদ্রসীমার নিচে জীবনযাপন করছে। এ ছাড়াও, এই দারিদ্র্য পরিমাপের মধ্যে থেকে অতি দরিদ্রতার হার প্রায় ৫.৬% দেখা গেছে, যা অতিরিক্ত অসুবিধার মুখোমুখি মানুষের সংখ্যা নির্দেশ করে।
সরকারি ও অর্থনৈতিক সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ১০.৮৯%। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিলো ১২.৯২% এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে ছিল প্রায় ৯.২৬%। পাশাপাশি, এডিবি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০.১% থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
যেহেতু আমি অর্থনীতিবিদ নই, হয়তো আপনিও নন তাই এই বিষয়টিকে প্রয়াত বাংলা সিনেমার নায়ক মান্নার মত করে আমাদেরকে বুঝতে হবে। মানে হলো কমন সেন্স, কারণ আমাদের দেশে অধিকাংশ ইনফ্লুয়েন্সার হচ্ছেন নন-সেন্স। ১০% মূল্যস্ফীতি মানে হচ্ছে, কোন বস্তুর দাম যদি ১০০ টাকা হয় তাহলে ১০% মূল্যস্ফীতি তে তার দাম বেড়ে দাঁড়াবে ১১০ টাকা। এবং, উপরোক্ত তথ্য থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি এদেশে শুধু এন্ট্রোপির মত বেড়েই চলেছে।
সুতরাং যে সংসার বা যে লাইফস্টাইল গত বছরে আপনার ১০ হাজার টাকার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিলো সেটা ১০% মূল্যস্ফীতি তে দাঁড়াবে ১১ হাজার টাকায়।
উপলব্ধ বিভিন্ন অর্থনৈতিক তথ্য ও হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের গড় বার্ষিক মূল্যস্ফীতি প্রায় ৬–৭ শতাংশের মধ্যে থেকে থাকে। এ ক্ষেত্রে, যদি ধরা হয় গড় ৭ শতাংশ, তবে (১.০৭)^১০ ≈ ২.০ এ পৌঁছায় – অর্থাৎ গত ১০ বছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি প্রায় ২ গুণ বেড়েছে। এর মানে হলো, দশ বছর আগে ১০,০০০ টাকার ক্রয়ক্ষমতা বর্তমান সময়ে আনুমানিক ২০,০০০ টাকার সমতুল্য। দশ বছর আগে আপনার সংসার ১০ হাজারে যেটা চলতো এখন ঐ একই সংসারের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকায়।
এতে করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ব্যাপক কমে গেছে। ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলে কি হয়? বেকারত্ব আরো বাড়ে। এই সাইকেলের নাম হলো ভিশাস সাইকেল বা নেতিবাচক সাইকেল। প্রশ্ন আসতে পারে, ক্রয়ক্ষমতার সাথে বেকারত্বের কি সম্পর্ক? সম্পর্ক আছে, গভীর সম্পর্ক আছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলে সরকার ভ্যাট ও ট্যাক্স কম পাবে। ফলে, সরকারের পক্ষে নতুন করে আরো কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হবে না উল্টো কর্মী ছাঁটাই প্রকল্প চালু হতে পারে।
অন্যদিকে, যারা পণ্য তৈরি করছেন তারা তাদের পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন না। ফলে রাষ্ট্রে বিনিয়োগ কমে যাবে। আর আপনার বেতন? বাড়বে না।
এর উপর দূর্নীতি হচ্ছে বাংলাদেশে আরো একটি মহামারীর নাম। দুর্নীতি আর টাকার পাচার—বাংলাদেশের অর্থনীতির দুটি বড় চ্যালেঞ্জ। চলুন সহজ ভাষায় জানি পরিসংখ্যান ও প্রভাব:
১. টিআইবি -এর মতে, গত ১৫ বছরে ৩১১ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩.৫ লাখ কোটি টাকা!) দুর্নীতিতে জয় বাংলা হয়ে গেছে।
২. সিপিডি বলছে, জিডিপির ২% হারিয়ে বছরে ১০১,২০০ কোটি টাকা দুর্নীতিতে যায়।
৩. শ্বেতপত্র ২০২৪ -এ দাবি: ২০০৯–২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার!
এই টাকা দিয়ে ৪৭টি পদ্মা সেতু বা ৩ কোটি গরীব পরিবারকে ১০ বছর ভাতা দেওয়া যেত! ব্যাংকে টাকা উধাও, জনগণের পকেটে টাকা নাই, সরকারের কাছেও টাকা নাই, ভ্যাট ব্যাপক বৃদ্ধি এদেশে নিও-নরমাল হিসেবে দেখা দিয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে আরো টাকা ছাপানো এবং এতে করে আরো মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে এই পরিমাণ দূর্নীতি এবং টাকা পাচার হওয়ায় ঘটনা এক শ্রেনীর মানুষদের আজও অবাক করে না। আমরা অবশ্য এসব দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এই পরিমাণ হলে সেই রাষ্ট্রের নাগরিক হয় বন্দীদশা অবস্থার মধ্যে পড়ে যায় নতুবা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হোন।
দেশত্যাগের নমুনা দেখা যাক: বাংলাদেশের সরকার এই বিষয়ে কোথাও ভালো তথ্য দেয় নাই তাই পরোক্ষ তথ্য (বিদেশে নাগরিকত্ব অর্জনের হার) এর সাহায্য নিয়েছি,
বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগকারীদের ১০টি গন্তব্য দেশ: পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ
বাংলাদেশ সরকার নাগরিকত্ব ত্যাগের সরাসরি পরিসংখ্যান প্রকাশ না করলেও গন্তব্য দেশগুলির সরকারি ডেটা থেকে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। গত ৫ বছর (২০১৮-২০২২) ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা যে হারে নাগরিকত্ব নিয়েছেন, তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
১. যুক্তরাষ্ট্র (USA): যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব গ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি। ২০১৮-২০২২ সালে প্রায় ৮,০০০-১০,০০০ বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিকত্ব পেয়েছেন। শুধু ২০২২ সালেই ১,৫০০ জনের বেশি নাগরিকত্ব লাভ করেন। উচ্চশিক্ষা, টেক-চাকরি এবং পরিবার-ভিত্তিক মাইগ্রেশন এখানে প্রধান কারণ।
২. কানাডা (Canada): কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি বছর শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাচ্ছেন। গত ৫ বছরে মোট ৩,০০০-৪,০০০ বাংলাদেশি কানাডিয়ান নাগরিক হয়েছেন। ২০২২ সালে ৭৮০ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলে কানাডার অভিবাসন ডেটা থেকে জানা গেছে।
৩. অস্ট্রেলিয়া (Australia): অস্ট্রেলিয়ায় দক্ষ কর্মী ও শিক্ষার্থীদের নাগরিকত্বের হার বাড়ছে। ২০১৮-২০২২ সময়ে প্রায় ২,৫০০-৩,০০০ বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ২০২১-২০২২ সালে শুধুমাত্র ১,২০০ জন নাগরিকত্বের অনুমোদন পায়।
৪. যুক্তরাজ্য (UK): ব্রিটেনে পড়াশোনা বা পেশাগত সুযোগের কারণে অনেক বাংলাদেশি স্থায়ী হচ্ছেন। গত ৫ বছরে ২,০০০-২,৫০০ বাংলাদেশি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ২০২২ সালে ৫৬০ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হয়।
৫. ইতালি (Italy): ইউরোপের মধ্যে ইতালিতে বাংলাদেশিদের নাগরিকত্বের হার উল্লেখযোগ্য। ২০১৮-২০২২ সালে প্রায় ৪,০০০-৫,০০০ বাংলাদেশি ইতালিয়ান নাগরিক হয়েছেন। ২০২২ সালে ১,৪০০+ জন নাগরিকত্ব পায়, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেশি।
৬. জার্মানি (Germany): জার্মানির ব্লু কার্ড এবং স্কিলড ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে অনেক বাংলাদেশি স্থায়ী হচ্ছেন। গত ৫ বছরে ১,৫০০-২,০০০ বাংলাদেশি জার্মান নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ২০২২ সালে ৪০০+ জনের নাগরিকত্ব নথিভুক্ত হয়।
৭. স্পেন (Spain): স্পেনে অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ায় নাগরিকত্বের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৮-২০২২ সালে প্রায় ৩,০০০-৩,৫০০ বাংলাদেশি স্প্যানিশ নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ২০২২ সালে ১,২০০+ জনের তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে।
৮. মালয়েশিয়া (Malaysia): মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলেও নাগরিকত্ব পাওয়া তুলনামূলক কঠিন। গত ৫ বছরে মাত্র ২০০-৩০০ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ান নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ২০১৯ সালের ডেটা অনুযায়ী, ২০০+ জন নাগরিকত্বের অনুমোদন পায়।
৯. দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea): দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশিদের নাগরিকত্বের সংখ্যা কম হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০১৮-২০২২ সালে প্রায় ৫০০-৬০০ বাংলাদেশি কোরিয়ান নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ২০২২ সালে ১০০+ জনের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
১০. পর্তুগাল (Portugal): পর্তুগালের ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কিছু বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পেয়েছেন। গত ৫ বছরে আনুমানিক ৩০০-৪০০ বাংলাদেশি পর্তুগিজ নাগরিক হয়েছেন। ২০২২ সালে ৮০+ জনের আবেদন অনুমোদিত হয়।
সর্বমোট আনুমানিক সংখ্যা (২০১৮-২০২২): এই ১০টি দেশে গত ৫ বছরে প্রায় ২৫,০০০-৩০,০০০ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলে অনুমান করা হয়। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে (যেমন: সৌদি আরব, UAE) নাগরিকত্ব পাওয়া কঠিন হওয়ায় সেখানে সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম (বছরে ১০০-২০০)।
তথ্যসূত্র
১. যুক্তরাষ্ট্র: U.S. Citizenship and Immigration Services (USCIS) – Yearbook 2022
২. কানাডা: Immigration, Refugees and Citizenship Canada (IRCC) – Open Data Portal
৩. অস্ট্রেলিয়া: Department of Home Affairs – Annual Report 2022
৪. যুক্তরাজ্য: UK Home Office – Migration Statistics
৫. ইতালি: Italian National Institute of Statistics (ISTAT) – ডেটা পোর্টাল
৬. জার্মানি: Federal Statistical Office of Germany (Destatis) – Annual Migration Report
৭. স্পেন: National Statistics Institute (INE) – Residency Data
৮. মালয়েশিয়া: National Registration Department (JPN) – Gazette 2019
৯. দক্ষিণ কোরিয়া: Korean Statistical Information Service (KOSIS) – Annual Report 2022
১০. পর্তুগাল: Portuguese Immigration and Borders Service (SEF) – Residency Statistics
কিন্তু আমার অনুমান বলছে এই সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। বিশাল সংখ্যক বাংলাদেশীরা দেশত্যাগ করছেন। আরো ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, বিদেশে ঐ সমস্ত মানুষ পাড়ি জমাচ্ছেন যাদের ক্রয়ক্ষমতা সাধারণদের চেয়ে অনেক বেশি।
সামনের সময়েও এমন অর্থনৈতিক দুরবস্থা বজায় থাকলে বাংলাদেশ একটি নরক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। যেখানে একজন সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার কোনো জায়গা নাই।
২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:১২
মি. বিকেল বলেছেন: নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে কোনো বৈপরীত্য নেই; বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সুশাসনের সংকটই নির্বাচন এবং চাকরির পরীক্ষা—উভয়কে অনিশ্চিত করছে। কোটা সংস্কারের মাধ্যমে মেধাভিত্তিক ব্যবস্থার দাবি তার দীর্ঘমেয়াদি ভিশনের অংশ, যা তখনই বাস্তবায়নযোগ্য যখন রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়। অস্থির পরিবেশে নির্বাচন যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি চাকরির প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়। তাই তার নির্বাচন-সংক্রান্ত সংশয় এবং চাকরির দাবি একই সিস্টেমিক সমস্যার দুটি প্রকাশ—যার সমাধান রাজনৈতিক জবাবদিহিতা ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানো। এই সংকটে নাগরিকের দায় চাপানোর পরিবর্তে রাষ্ট্রকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও ন্যায্য নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
২| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০০
নিমো বলেছেন: @ কুতুব, নাহিদের তখন উপার্জন ছিল না। এখন উপচে পড়ছে। আসিফ বদলি বাণিজ্য, ঠিকাদারি সহ একেআজাদের মত অনেকের সাথে ঘুমিয়ে বেশ দুপয়সা করছে। আপনি জুলাই কোটায় আবেদন করুন।
৩| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: যোগ্যতা থাকলে ঘরে বেকার বসে থাকতে হয় না।
২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:১৪
মি. বিকেল বলেছেন: ব্যক্তি যদি একা বেকারত্বের জন্য দায়ী হতেন, তবে দেশে ২৬ লাখ শিক্ষিত বেকার থাকত না (এলজিইডি, ২০২৩)। সমস্যা অপরিকল্পিত নীতি, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বৈষম্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৫১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নাহিদ ইসলাম দেশের পরিস্থিতি ভালো না তাই নির্বাচন এ বছর হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। অথচ চাকুরির এক্সাম সব অফ হয়ে বসে আছে তার জন্য আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার প্রয়োজন নাহিদ সাহেবের তা মনে নাই। কিন্তু সাত মাস আগে সে কোটা বিলুপ্তি করে মেধার ভিত্তিতে চাকুরির জন্য আন্দোলন করেছে। এখন সে চাকুরির খবর নেই।