নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুটি বাংলাদেশ, এক ইতিহাস, দুই বয়ান

১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:১১



আমি অন্তত দুটি বাংলাদেশ দেখি। অবশ্য সেটা ভারতীয় কৌতুক অভিনেতা বীর দাসের মত করে নয়। বীর দাস ভারতের শ্রেণি সংগ্রাম নিয়ে একটি সাহসী কন্ঠ, আমি অবশ্য বাংলাদেশের বয়ান দেখি। এখানে একদল শাহবাগে আন্দোলন করেছিলেন এবং আরেকদল শাপলা চত্ত্বরে অবস্থান নিয়েছিলেন। একদল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলে দাবী করেন, আরেকদল মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে নিজেদের খুঁজে না পেয়ে জুলাই বিপ্লবের মধ্যে নিজেদের বয়ান তৈরি করছেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে আজ ৫৪ বছর। তবুও একদল জুলাইয়ে ছাত্রছাত্রীদের সংগ্রামকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ হিসেবে বিবেচনা করেন, আরেকদল সরাসরি ‘জুলাই বিপ্লব’ বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে আমি নিজেও এই ‘অভ্যুত্থান বনাম বিপ্লব’ নিয়ে কিছু সময় পড়াশোনা করেছি। কিন্তু এখানেও একদল ‘জাতীয়তাবাদী’ মানেই বিএনপি বুঝেন আর আরেকদল বিএনপির বাইরে থেকে ‘জাতীয়তাবাদী’ হতে গিয়ে ঠিক পেরে উঠছেন না। ভবিষ্যতে জুলাইয়ে ঘটা আন্দোলনকে খুব সম্ভবত ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ হিসেবে বলা হতে পারে। কিন্তু আমার মতে জুলাই আন্দোলনের বিষয়টি ‘অভ্যুত্থান’ শব্দটি পুরোপুরি ধারণ করে না।

সমস্যা হলো, এখানে একবার শক্তিশালী বয়ান তৈরি হয়ে গেলে তা সহসাই মুছে ফেলা যায় না। বয়ান তৈরির হর্তাকর্তারা তার লাভাংশ পেতে থাকেন আজীবন। ‘রেজাকার শাবক’ বয়ানটা বেশ শক্তিশালী। মোটামুটি একটি গণহত্যা ঘটানোর মত শক্তি রাখে। কিন্তু পাল্টা বাম মানেই নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে হত্যাও হয় এই একই দেশে। অথচ আমরা বামপন্থী মানে জানি মার্কসবাদ, লেনিনবাদ, মাওবাদ ইত্যাদি। কিন্তু এই ধারাও গণতান্ত্রিক ধারা নয়। একদল ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেন আবার আরেকদল ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘শ্রেণি বৈষম্য’ নিয়ে বেশি সচেতন। দুই দলের মনে কি আছে তা দূর থেকে আন্দাজ করা মুশকিল। তবে মোটাদাগে এই দুইদলের কেউ-ই গণতন্ত্র চায় না।

মেইনস্ট্রিম মিডিয়া অন্তত এই দুটি বয়ানে বিভক্ত। ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া তার অভিমত ব্যক্ত করেন। এদেশের ধর্মভীরু মানুষ ইসলাম ধর্মের সেবক হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কে সমর্থন করেন, আরেকদল ১৯৭১ সালে তাদের ভূমিকা হিসেবে ‘যুদ্ধাপরাধী’ অভিযোগ করেন। দলটির অতীতের অবস্থান নিয়ে গত সরকার একটি বিচারও করেছেন। ফাঁসি দিয়েছেন, জেল দিয়েছেন। কিন্তু বয়ান এখনো জারি আছে। অন্যদিকে জামায়াত তাদের অতীত অবস্থান ‘যুদ্ধাপরাধী’র মত কঠিন অভিযোগ মেনে নিতে আজও রাজী নন।

কেউ কেউ মনে করেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাহায্য অস্বীকার করা কোনোভাবেই যায় না, উচিত নয়। অন্যদিকে আরেকদল মনে করেন, ১৯৭১ সাল সংঘটিত হয়েছিলো-ই ভারতের কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য (কুমন্ত্রণার জন্য), মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশ থেকে লুটপাট করেছে। গত ৩টি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ভোট জালিয়াতি করেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বজায় রেখেছেন। ঠিক একইভাবে আওয়ামীলীগের দেখানো রাজনীতির কাউন্টার রাজনীতি দিয়ে বিএনপি নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে রেখেছেন। এক্ষেত্রে বিএনপির এতবার ভোট জালিয়াতির ইতিহাস অবশ্য নাই।

এখানে প্রান্তিকদের বয়ান হলো প্রায় সকল ইসলামিস্টদের বয়ান এবং এলিটদের বয়ান হলো প্রায় সকল বাম ঘরানার বয়ান। রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ বললে প্রান্তিক খুশিতে আহ্লাদিত হোন, এলিট’রা রাগান্বিত হোন। প্রান্তিক’রা মনে করেন পাকিস্তানের সাথে তাদের বিচ্ছেদ একটি বিশাল ‘ষড়যন্ত্র’ ছিলো। এলিট’রা মনে করেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিলো তাদের ‘স্বাধীনতা’ বা বিশাল একটি অর্জন। মজার বিষয় হলো, একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশে ইসলামিক দলগুলোই প্রান্তিক।

এর মাঝখানে কলম ধরার জায়গা তেমন দেখা যায় না। এর মাঝখানে কলম ধরলে বা সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্লগে সরব হলে সুই আর সুতোর মত আমার অবস্থা হয়। আমি নিজের অজান্তেই কোন কোন দলের সমর্থক হয়ে গেছি জানি না। ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করি। কারণ আমি শুধু মাদ্রাসায় পড়ি নাই। অষ্টম শ্রেনী তে আমার হাতে প্রথম বই ছিলো, ‘১০০ জন নবী ও রাসূলগণের জীবনী’ বইটি। আমি অবশ্য এখনো সকল ধর্ম নিয়েই পড়ি, বুঝার চেষ্টা করি।

যাকগে, সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্রে ১৯৭১… ১৯৯০… জুলাই, ২০২৪… কে একসাথে খুব কষ্ট করে টেনে এনেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের এই তিনটে ঘটনা তার জন্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি কখনো ‘জল’ লিখি (গল্পে), আবার কখনো কখনো ‘পানি’ লিখি (প্রবন্ধে)। আমি মানুষটা অনেক বেশি রুটেড, কিছুটা বটগাছের মত… জোর করে তো সেখানে খেজুর গাছ লিখলে মানাবে না।

আজ অবশ্য বিপ্লবের সংজ্ঞা দেবো না, ব্যাখ্যাও করবো না। কিন্তু একটা কবিতার দুটো লাইন উল্লেখ করতে চাই। কবিতার নামও বেশ অদ্ভূত, ‘The Fence’ মানে ‘বেড়া’। একজন গাম্বিয়ান কবি Lenrie Peters তিনি তার এই কবিতায় লিখেছিলেন,

“It seems the world has changed her garment / but it is I who have not crossed the fence.”

আরো মজার বিষয় কি জানেন? ১১ নভেম্বর ২০১৯ সালে আফ্রিকার এই ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া মায়ানমারের গনহত্যার বিরোধীতা করে আন্তর্জাতিক আদলতে কেস ঠুকে দিয়েছিলো। এবং পরবর্তীতে গাম্বিয়া মায়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে (ICJ) -তে জিতে যায়!

শেষ করছি, রবার্ট ফ্রস্ট (Robert Frost) -এর একটি বিখ্যাত কবিতা ‘Mending Wall’ -এর একটি লাইন দিয়ে,

“Good fences make good neighbors.”

ছবি: Copilot Enterprise (GPT - 05)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার লেখা হেয়ালির মতো লাগে।কার পক্ষে বলছেন কার বিপক্ষে বলছেন কিছুই বুঝা যায় না।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৯

মি. বিকেল বলেছেন: আপনি বলেছেন লেখাটি হেয়ালির মতো শোনায়, কার পক্ষে বলছি কার বিপক্ষে বলছি কিছুই বোঝা যায় না। আপনার এই প্রশ্নের সবচেয়ে সরল উত্তর হলো আমি কারো পক্ষেই বলিনি, কারো বিপক্ষেও না। আমি পক্ষবিহীন দাঁড়াতে চেয়েছি সেই দেওয়ালটার ওপর যে দেওয়াল দুই বাংলাদেশকে আলাদা করে রেখেছে। দেওয়ালের ওপর দাঁড়িয়ে কথা বললে দুই পাশ থেকেই ঢিল আসে, তবুও সে জায়গাটা ছেড়ে কোনো পক্ষে নামিনি, কারণ পক্ষে নেমে গেলে যে প্রশ্নগুলো আমি করছি সেগুলো আর করা যায় ন

আপনি চেয়েছিলেন স্পষ্ট দাবি, স্পষ্ট শত্রু, স্পষ্ট সমাধান। আমি দিলাম না, কারণ আমি দেখছি এই স্পষ্টতাই আমাদের গায়ে লেগে থাকা রক্তের মূলে। এক পক্ষ বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আরেক পক্ষ বলে ধর্মের পবিত্রতা; দু’পক্ষই যখন শতভাগ নিশ্চিত তখন মাঝখানের মানুষটি কোথায় যায়? সে তো আমি, আপনি, আমাদের চালের বস্তার দাম জানা মা, রিকশাচালক ভাই, বেকার ভাতিজা। তাদের জন্য শব্দটা কী হবে জুলাই অভ্যুত্থান নাকি জুলাই বিপ্লব সেটা নিয়ে আমি এখনো ভাবছি, ভাবতে চাই।

আপনি বলতে পারেন এভাবে লিখে কী লাভ। লাভ এই যে, আমি নিজেকে বোঝার আগে অন্যের মুখে স্লোগান তুলে দিতে রাজি নই। আমি লিখছি না যাতে কেউ খুশি হয়, লিখছি যাতে কেউ থমকে দাঁড়ায়। থমকে দাঁড়ানোর মধ্যেই একদিন উত্তর জন্মাতে পারে, স্লোগানে নয়।

তাই আপনি যদি আমার কাছে স্পষ্ট পক্ষ চান, আমি বলব পক্ষ আমার নিজের অজান্তেই আমি নিচ্ছি—আমি আছি সেই মানুষগুলোর পক্ষে যারা এখনো জিজ্ঞেস করে কেন চালের দাম বাড়ে, কেন বিনা বিচারে কেউ মারা যায়, কেন একই ইতিহাসকে দুই রঙে রাঙিয়ে আমাদের দুই ভাগ করা হয়। এই পক্ষে দাঁড়ানোর ভাষা আমি এখনো গড়ছি, আপনার অভিযোগ আমাকে আরও খানিকটা এগিয়ে দিল।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:২৬

ক্লোন রাফা বলেছেন: দু’টি বাংলাদেশ দেখতে পান। আপনার বাংলাদেশ

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১৪

মি. বিকেল বলেছেন: আপনি জানতে চান আমার বাংলাদেশ কোনটি?

আমার বাংলাদেশ সকাল ছয়টায় রাস্তায় নেমে যে মানুষটি টানা বারো ঘণ্টা রিকশা টেনে পাঁচশ টাকা রোজগার করে, তার গলার ঘামে ভেজা গামছাটি। আমার বাংলাদেশ গ্রামের স্কুলে মাটির মেঝেতে বসে অক্ষর কাটে যে কিশোরী, তার খাতার খালি পাতায় লেখা আম, আমি, বাংলাদেশ। আমার বাংলাদেশ কুমিল্লার ট্যানারি শ্রমিক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানের হাড়ভাঙা মজুর, পটুয়াখালীর লবণাক্ত জমিতে ধান রোপণ করে যে পুরুষ-নারী—তাদের নাম না জানা হাঁটুজল। আমার বাংলাদেশ পুরান ঢাকার ফজরের আজান, রাজশাহীর পদ্মার ঘাটে বসে বারো বছর পর মায়ের সঙ্গে কথা বলা প্রবাসী শ্রমিকের ফিরতি টাকা।

এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ মানে শুধু ১৯৭১ নয়, মানে প্রতিদিন সকালে বেঁচে ওঠা। এখানে ধর্ম মানে মসজিদের পাশে মন্দিরে যাওয়া বৃদ্ধার নির্ভয় পা, আর রাজনীতি মানে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ক্ষুধার্ত শিশুকে এক প্লেট খিচুড়ি কিনে দেওয়া যুবকের হাত। আমার বাংলাদেশ কোনো বয়ান দিয়ে বন্দী করা যায় না, কারণ সে প্রতি মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে লেখে—জীবন্ত, দম নেয়, ঘাম ঝরায়, হাসে।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ একটাই। মানুষের চোখ দুটা।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১৬

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার দুই চোখের কথাটায় পুরো ব্যাপারটাই আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। দেশ একটাই—ঠিক আছে—কিন্তু সেই দেশকে দেখার দুটি চোখের চশমা দুই রকম। এক চোখে বিপ্লব, আরেক চোখে অভ্যুত্থান; এক চোখে ৭১-এর বিজয়, আরেক চোখে ৭১-এর বিভাজন। আমি যে দেয়ালের ওপর দাঁড়িয়ে আছি, সেটি আসলে এই দুই চোখের মাঝখানের পাতা—যেখানে দৃষ্টি ক্রস হয়, যেখানে ছবি দ্বিগুণ হয়, কখনো অস্পষ্টও হয়।

আমি যদি কোনো চোখ বেঁধে দিই, চিত্রটা সহজ হয়, কিন্তু গভীরতা চলে যায়। তাই আমি দু’চোখই খোলা রাখতে চাই, যতই দ্বিধা আর ঝাপসা আসুক। কারণ দেশ যে একটাই, তার আলো ছড়ায় দুটি চোখে—একটিতে আলো, আরেকটিতে ছায়া—আর আমি চাই সেই ছায়াটুকুও দেখতে, যাতে আলোর দিকটা আরও পুরো হয়।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:১০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগীয় বাংলাদেশ ও জনতার বাংলাদেশ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১৮

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার কথাটা এক ধাক্কায় পুরো ব্যাপারটা খুলে দিল। একটা আম্লিগীয় বাংলাদেশ—যেখানে সিদ্ধান্ত হয় সভা কক্ষে, ফাইলের খাতায়, এসি ঠান্ডা টেবিলে; আরেকটা জনতার বাংলাদেশ—যেখানে সিদ্ধান্ত হয় রাস্তার ধুলায়, ভাতের প্লেটে, বাসের হেলপারের চিৎকারে।

আমি লিখতে গিয়ে দেখি আমার কলমটা যতই এলিট কাগজে লেখুক, তার শব্দগুলো আসলে জনতার ঘামে ভেজা। তাই আমি আর দুই বাংলাদেশ দেখি না; আমি দেখি একটাই দেশ, যার নীল নকশা আমলাতন্ত্রে, আর রক্তের রং জনতার হাতে। প্রশ্ন হলো—কখন এই দুই রং একই ক্যানভাসে মিশবে?

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখায় একটা জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব আছে।
কিন্তু আপনি সুযোগ সন্ধানী।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২১

মি. বিকেল বলেছেন: আপনি যে কথাটা বলেছেন তা শুনে আমার মনে হয়েছে আপনি আমাকে ছোট করতে চেয়েছেন। আমি স্পষ্ট করে বলছি, আমার লেখায় যদি কোনো ভাব ধরে থাকে সেটা আমার অভিজ্ঞতার ফসল, আর যদি কোনো ত্রুটি থাকে সেটাও আমার দায়। আপনি আমাকে সুযোগ সন্ধানী বলেছেন, কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি, আপনি একটা বিষয় নির্দিষ্ট করে বলুন আমি কোন সুযোগ নিয়েছি। আমি প্রস্তুত তার জবাব দিতে।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১০

বিজন রয় বলেছেন: আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

............. এত কিছু আপনি কখন করেন? কিভাবে সম্ভব?

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২৩

মি. বিকেল বলেছেন: আমি এত কিছু একসঙ্গে করি না, বরং এক জীবনের বিভিন্ন ঘরে একেক সময় একেকটি ভূমিকা পালন করি। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমি একজন প্রযুক্তিবিদ; সন্ধ্যায় রেডিও বুথে ঢুকলে জকি; রাতে মঞ্চে দাঁড়ালে অভিনেতা; শনিবার সকালে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্তদাতা; আর রবিবার দুপুরে শিশুদের নাট্য শিবিরে পরিচালক।

এই ভূমিকাগুলো কোনো দুইটিই একই মুহূর্তে ঘটে না, তাই সময়ের খণ্ডে খণ্ডে তাদের গুছিয়ে নেওয়া যায়। আসল চাবিকাঠি অগ্রাধিকার ও পরিত্যাগ—প্রতিটি দিনে সামান্য কিছু ছেড়ে দেওয়া, যাতে পরের দিনে নতুন কিছু ধরা যায়।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৪

মি. বিকেল বলেছেন: কামাল১৮ আপনি বলেছেন লেখাটি হেয়ালির মতো কারণ পক্ষ বিপক্ষ স্পষ্ট নয়। আমি বলছি আমি ঠিক পক্ষের দাবি করছি না, আমি দাঁড়িয়ে আছি সেই মানুষগুলোর পাশে যারা শাহবাগেও না শাপলা চত্বরেও না, তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভাবেন কাল সকালের নাস্তার টাকাটা কীভাবে জুটবে?

ক্লোন রাফা দেশ একটাই চোখ দুটো বলেছেন। আমি বলি চোখ দুটো খুলে রাখি যাতে এক চোখে ৭১ এর বিজয় আরেক চোখে ৭১ এর বিভাজন দুটোই দেখি, কারণ দুটোই সত্য।

সৈয়দ মশিউর রহমান আমলা আর জনতার দুই বাংলাদেশের কথা তুলেছেন। আমি বলি আমলার ফাইলে যে বাজেট আর জনতার ঘামে যে বাজার দুটোই একই মাটিতে মিশে যায়, তাই দুটোর কথাই বলতে হয়।

বিজন রয় বলেছেন জ্ঞানী ভাব আছে কিন্তু সুযোগ সন্ধানী। আমি বলি হ্যাঁ, আমি উঁচু বক্তব্যে লুকিয়ে থাকা নিরাপদ দূরত্ব নিয়ে লিখেছি, আপনার কথায় আমি পা মাটিতে নামিয়ে দিলাম এবং এখন স্পষ্ট দাবি করছি আমার পরবর্তী লেখা হবে মাটির গন্ধে ভেজা, নিরাপদ উচ্চতা ছেড়ে।

রাজীব নুর বারবার ফিরে আসছেন মন্তব্য দেখতে। আমি বলি এই সব মন্তব্য আমার কাছে একই দেশের নতুন ঠিকানা, আমি সেগুলো কপি করে রাখছি যাতে ভোরে আবার রাস্তায় নেমে দেখি কোন ঠিকানায় আলো পড়েছে আর কোনটায় এখনো অন্ধকার।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৩০

ক্লোন রাফা বলেছেন: অন‍্য কারো মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার নেই।
আমার মন্তব্য নিয়ে দুটো কথা বলছি। দেশ বিভাজিত হয়েছে ,৭০-এর নির্বাচনেই পরিস্কার হয়েছে ।
তখনও ৩০% লোক বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিলো। স্বাধীনতার পর ৩০% পরিবর্তিত হয়ে ২০% হয়েছিলো।এখনকার পরিসংখ্যান সঠিক বলতে পারবোনা।
এই বিভাজিত দেশ কে একীভূত করতে পারতো বঙ্গবন্ধুর বাকশাল। নিশ্চয়ই চমকে উঠেছেন! আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান আমাকে এটাই বলে।

আইন করে স্বাধীনতা বিরোধীদের কিছু অধিকার খর্ব করা উচিৎ ছিলো-
প্রথমত ভোটের
দ্বিতীয় সরকারি চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা,
তৃতীয় জাতীয় পর্যায়ে ব‍্যবসা বানিজ্য করা থেকে বিরত রাখা।
তাহলেই জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারতো।অর্থাৎ দেশের পরিচালনা এবং বিরোধী ভূমিকায় উভয় শক্তিই বাংলাদেশের পক্ষে।
আপনি চোর , ডাকত’ কে ক্ষমা করে দিতে পারেন কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমতায় নিয়ে এসে পুরস্কৃত করতে পারেননা। কারন তাহলে আসলে ন‍্যায় বিচার করা হয়না পুরো জাতির সাথে।

আরেকটি কথা বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্র ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে এলিট শ্রেণীর প্রয়োজন আছে। এমনকি কম‍্যুনিস্ট দেশগুলোও তা মেনে নিচ্ছে।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.