সময়টা ছিলো ডিসেম্বরের শেষের দিক ( দুই )

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৯

কারোর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে লেখছি না, ঘটনাটি সত্যি এরকম, তাছাড়া আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে ; -প্রতি বছর যিশু খৃষ্টের জন্মের রাতে সান্তা ক্লজে"র আগমন ঘটলে-ও যিশু খৃষ্টের জন্মের সাথে "সান্তা ক্লজ"র কোন সম্পর্ক নাই এবং অনেকে মনে করেন সান্তা ক্লজ বা ক্রিসমাস ফাদার ২৪ এবং ২৫শে ডিসেম্বর রাতে আবির্ভাব হন বলে এটি একটি ক্রিসমাস উৎসব, আসলে এ ভাবনাটা সত্যি মিথ্যায় জরিত, কেননা, এ একটি লোককাহিনী হলোও "সান্তা ক্লজ"র উৎসব সাধারণত খৃষ্টানরাই পালন করে থাকেন এবং এই দিনে সাদা চুল সাদা দাড়ি এবং লাল পোশাক পরিহিত সান্তা ক্লজ"র আবির্ভাব ঘটে ঠিকই । শুরুতে সান্তা ক্লজ"র পোশাক এখনকার মত লাল ছিলোনা, প্রথমে সবুজ রং এর, পরে নীল রং এর পোশাকে সান্তা ক্লজ বা ক্রিসমাস ফাদার-কে দেখা যেত । যিশু খৃষ্টের জন্মের সাথে "সান্তা ক্লজ"র যে কোন সম্পর্ক নাই তার আর একটি উদাহরন হলো ঃ যিশু খৃষ্টের জন্মের ১৮৫৪ সাল পরে "সান্তা ক্লজ"র আবির্ভাব হয়, উত্তর ইউরোপের কোন এক দেশে, নরওয়ে, সুইডেন বা ফিনল্যান্ড, নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন ঠিক কোন দেশে "সান্তা ক্লজ"র আবির্ভাব ঘটে । প্রাথমিক ভাবে "সান্তা ক্লজ"র আবির্ভাব ঘটে ডিসেম্বরের ৬ তারিখে, তারপর দিন পিছিয়ে হয় ১৯ শে ডিসেম্বর । ছেলে মেয়ে না থাকা কোন এক বৃদ্ধের আবিস্কার হলো এই দিনটি, প্রচুর টাকা পয়সা এবং ধন সম্পত্তির মালিক, মরে গেলে কে খাবে এবস । তাই এই বৃদ্ধ, গরীব ছেলে মেয়েদের মাঝে কিছু উপহার বিতরন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে সেই জন্য ছদ্মবেশে সাদা চুল সাদা দাড়ি আর সবুজ রং এর পোশাক পড়ে সেই উপহার একটি ঝুলিতে ভরে তা ঘাড়ে নিয়ে বের হয়ে পড়লেন, দিনটি ছিলো ১৮৫৫ সালের ৬ই ডিসেম্বর রাত ।

০ টি +০/-০