![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জন্ম সূত্রে বাংগালী, বাংলা আমার মায়ের ভাষা, যে ভাষাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন সালাম রফিক বরকত জব্বার সহ হাজার হাজার ভাষা প্রিয় বাংগালী । আমি বাংগালী, বাংলা আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ, যে দেশকে স্বাধীন করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন আরো ত্রিশ লক্ষ স্বাধীনচেতা বাংগালী পুরুষ এবং নারী, বীরাঙ্গনা হয়েছেন আরো হাজার হাজার মা বোন । বাংলাদেশ আমার গর্ব, বাংলাদেশ আমার অহংকার ।
কয়েক শত বছর হলো বাংলা সাহ্ত্যের অন্ধকার যুগ পাড় হয়ে এসেছি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্রপাধ্যায় থেকে শুরু করে হুমায়ুন আহমেদ পর্যন্ত পাশ করলাম, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের সাহিত্য চার ভাষায় প্রকাশ পাওয়ার মত পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলোনা, ইতিহাস ঘেটে ঘেটে ১৯৫২ সালে এসে থামলাম, ভাষার জন্য প্রান দিলো হাজার হাজার বাংগালী, দেশ স্বাধীন করার জন্য প্রান দিলো শিশু কিশোর সহ ৩০ লাখ বাংগালী, বীরঙ্গনা হলেন হাজার হাজার মা-বোন, তবুও কেন বাংলা সাহিত্য কে ইউরোপীয় সাহিত্যের পাশাপাশি এনে দাড় করাতে পারছিনা ? ইউরোপীয় সাহিত্যের প্রগতির ধারা দেখে বিস্মিত হই, যখনই দেখি বাজারে কোন নতুন বই বের হয়েছে, আমি ইচ্ছা করলে তখনি সে বইটির অন্তত চার ভাষায় প্রকাশিত সংকলন কিনতে পারি, ইংরেজী তো অবশ্যই, এ ছাড়াও আরো অন্তত দুটি ভাষায় সংগ্রহ করতে পারবো, এ সুযোগটি কেন বাংলা বইয়ের বেলায় পাই না । আর কবে হবে আমাদের সাহিত্য ইউরোপের সাহিত্যের মত ? আর কবে হবে আমাদের দেশটি ইউরোপের শহর গুলোর মত, বা গ্রাম ? আমাদের রাজধানী ঢাকার ইংরেজি বানানের সংশোধন সেই কবে করেছে এরশাদ সাহেব, তারপর কত সরকার আসলো এবং গেলো, অথচ আজও তার সার্বজনিতা দেখিনা, এখনও সব দেশের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা পায়নি । এসব কি প্রধান মন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের কাজ ? তাঁরা কি প্রতিটা দেশে দেশে এসে ঘোষনা করবেন যে "আমাদের রাজধানী ঢাকার ইংরেজি বানানের সংশোধন করা হয়েছে আপনারা তা মেনে নিন", নাকি এটা মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাজ ? অবশ্যই এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাজ, ঢাকায় অবস্থিত সকল এ্যাম্বেসী গুলোতে তিনি নোটিশ পাঠাবেন এবং সে নোটিশ পাওয়ার পর এ্যাম্বেসী গুলো পদক্ষেপ নিবেন । বাকি কাজ করবেন বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশ এ্যাম্বেসীর অ্যাম্বাসেডর গন, মিনি বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত । অথচ এ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রদূতই তাদের এই কর্তব্য পালন করতে ব্যার্থ হয়েছে বা কোন চেষ্টাই করে নাই, বরং তাদের সাথে দেখা করতে গিয়ে বাংগালী পরিচয় দেয়ার পরও তাদের মুখ দিয়ে বাংলার বর্ণমালার "ব"-টি পর্যন্ত উচ্চারন হয় না, ইংরেজীর ঝড় বইয়ে দেন । তার ইংরেজী বলার ধরন দেখে স্পষ্টই বুঝা যায় যে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেননা, তিনি ইংরেজ ভাষী আমেরিকার নাগরিক, আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করছেন । তার আচরন দেখে বিশ্বাষ হয় না যে, যে দেশকে স্বাধীন করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন আরো ত্রিশ লক্ষ স্বাধীনচেতা বাংগালী পুরুষ এবং নারী, বীরাঙ্গনা হয়েছেন আরো হাজার হাজার মা বোন এবং এ দেশেরই ঐ ইংরেজ ভাষী একজন বাংলাদেশী নাগরিক, তাকে কি আমাদের বিশ্বাষ করতে হবে, না ঘৃনা ? তবুও বাংলাদেশ আমার গর্ভ, বাংলাদেশ আমার অহংকার ।
©somewhere in net ltd.