![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামীকাল নববর্ষের প্রথম দিনে বদলে যাবে রাজধানী ঢাকার দৃশ্যপট। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলায় বর্ণবহুল হয়ে উঠবে নগরী। বরাবরের মতই ভোর সোয়া ছ’টায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানে ভোরের সূর তুলে শুরু হবে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা। এর সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমন্ডির লেকের পাড়, সংসদ ভবনসহ শেরেবাংলা নগর, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ি, অর্থাৎ এক কথায় পুরো রাজধানীই বৈশাখী আমেজে মেতে উঠবে। কাকডাকা ভোর থেকেই নগরীর পথে ঢল নামবে বাঙালি সংস্কৃতি লালনকারী আনন্দপিয়াসী নগরবাসীর। সবার পরনেই থাকবে বৈশাখী রং লাল-সাদার পাশাপাশি অন্যান্য রঙের বাহারি নকশার পোশাক।
নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো এবং রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টে কাল থাকবে ইলিশ-পান্তার আয়োজন। বাসাবাড়িতে তৈরি হবে বাঙালি খাবার- ইলিশ মাছভাজা, শুটকি-বেগুন-ডাল-আলু-কালিজিরাসহ নানা পদের ভর্তা। আবার অনেকের ঘরে সর্ষে ইলিশও থাকবে। কায়মনে বাঙালি হয়ে উঠার বাসনা ছাড়া সব কিছুই তুচ্ছ মনে হবে সকলের।
জাতি, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই নয়, পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষী মানুষ রয়েছে, সেখানেই বর্ণাঢ্য উৎসবের পালিত হবে পয়লা বৈশাখ।
নববর্ষ উপলক্ষে কাল সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় সংবাদপত্রগুলো বাংলা নববর্ষের বিশেষ দিক তুলে ধরে ক্রোড়পত্র বের করবে। সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নববর্ষকে ঘিরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।
বাংলা ১৪২১ সালকে বিদায় এবং নববর্ষ ১৪২২ বরণকে কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য জেলার আদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা পালন করছে।
বাঙালীর এই প্রাণের উৎসবকে ঘিরে রমনা পার্কসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পুরোটাই ঢেকে দেয়া হয়েছে নিরাপত্তা চাদরে। শুধু রাজধানী ঢাকাই নয় এ উপলক্ষে সারাদেশই নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যৌথভাবে কাজ করছে সব সংস্থা।
সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারি নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে কন্ট্রোল রুম, অবজারভেশন পোষ্ট ও চেকপোষ্ট। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি থাকছে গোয়েন্দা দলের সদস্য, বোমা ডিসপোজাল টিম ও মেডিক্যাল টিম।
বর্ষ আবাহনে মূল অনুষ্ঠানসমূহ
বর্ষবরণে রাজধানী জুড়ে আগামীকাল থাকবে নানা আয়োজন। দিনের প্রথম প্রভাতেই রমনার বটমূলের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়ানট ভোরের সুর্যের আলো দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ভোর সোয়া ছ’টায় শুরু করবে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ছায়ানটের দু’ঘন্টার আয়োজনে রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও, নজরুল, লালন, সলিল চৌধুরী ও রশিদউদ্দীনের গানের একক ও সম্মেলক পরিবেশনা ছাড়াও থাকবে পাঠ ও আবৃত্তির পরিবেশনা। শেষে দেশের সাম্প্রতিক সময় ও এর পরিবেশ তুলে ধরে বক্তৃতা দেবেন ছায়ানট সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে নয়টায় বের করবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়েছে-‘অনেক আলো জ্বালতে হবে মনের অন্ধকারে’। এ প্রসঙ্গে চারুকলার ডিন শিল্পী নেসার আহমেদ বলেন, ধর্মান্ধরা আমাদের যেভাবে আঁকড়ে ধরছে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষদের মাঝে তার স্বরূপ তুলে ধরতেই এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় ২৫ ফুট উচু ‘হাতের পাঞ্জা’র একটি ভাস্কর্য স্থান পাচ্ছে। মৌলবাদী শক্তি যেভাবে অসাম্প্রদায়িক নিরীহ সাধারণ মানুষের গলা টিপে ধরছে, তা তুলে ধরা হয়েছে এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে।পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব।
Panjabi Collection by Muad Fabrication
মানব সভ্যতার কূলে কূলে বিকশিত বিভিন্ন জাতি তার ঐতিহ্য ও ধর্মীয় কূশলতায় কিছু আনন্দকে নিজের করে নেয়। এভাবেই ঘটে বিভিন্ন সংস্কৃতির বিকাশ।প্রত্যেক জাতি ও সভ্যতা এর মাধ্যমে খুঁজে পায় স্বকীয় অনুভূতি ও আলাদা পরিচয়।বাংলাদেশের এমনি একটি উত্সব-পহেলা বৈশাখ।
বর্ষবরণের দুদিন আগে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, "৫টার পর কেউ ওই সব এলাকায় থাকবেন না। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকতে পারবেন সন্ধ্যা ৭টা পযর্ন্ত। অবশ্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেন পুলিশ কমিশনার।
©somewhere in net ltd.