নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

Sometimes in this lifetime, we meet a special soul, who fills our very essence, to almost overflow, we drink the cup of friendship, it tastes like ruby wine, and you know within your heart, this meeting was Divine.

মুগ্ধ আহমেদ

Sometimes in this lifetime, we meet a special soul, who fills our very essence, to almost overflow, we drink the cup of friendship, it tastes like ruby wine, and you know within your heart, this meeting was Divine.....

মুগ্ধ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কিছু "রবীন্দ্রসঙ্গীত" এর লিরিক্স:):):)

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

১।চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।



অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে॥



ধরায় যখন দাও না ধরা হৃদয় তখন তোমায় ভরা,



এখন তোমার আপন আলোয় তোমায় চাহি রে॥



তোমায় নিয়ে খেলেছিলেম খেলার ঘরেতে।



খেলার পুতুল ভেঙে গেছে প্রলয় ঝড়েতে।



থাক্‌ তবে সেই কেবল খেলা, হোক-না এখন প্রাণের মেলা--



তারের বীণা ভাঙল, হৃদয়-বীণায় গাহি রে॥





রাগ: ইমন

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২১ ফাল্গুন, ১৩২১

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৫ মার্চ, ১৯১৫

রচনাস্থান: সুরুল

স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার



২।আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে



তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে ॥



একতারাটির একটি তারে গানের বেদন বইতে নারে,



তোমার সাথে বারে বারে হার মেনেছি এই খেলাতে



তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে ॥



আমার এ তার বাঁধা কাছের সুরে,



ওই বাঁশি যে বাজে দূরে।



গানের লীলার সেই কিনারে যোগ দিতে কি সবাই পারে



বিশ্বহৃদয়পারাবারে রাগরাগিণীর জাল ফেলাতে--



তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে?।





রাগ: খাম্বাজ

তাল: দাদরা-খেমটা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1326

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1919



৩।ওগো নদী, আপন বেগে পাগল-পারা,



আমি স্তব্ধ চাঁপার তরু গন্ধভরে তন্দ্রাহারা॥



আমি সদা অচল থাকি, গভীর চলা গোপন রাখি,



আমার চলা নবীন পাতায়, আমার চলা ফুলের ধারা॥



ওগো নদী, চলার বেগে পাগল-পারা,



পথে পথে বাহির হয়ে আপন-হারা--



আমার চলা যায় না বলা-- আলোর পানে প্রাণের চলা--



আকাশ বোঝে আনন্দ তার, বোঝে নিশার নীরব তারা॥



রাগ: পিলু

তাল: একতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৩ ফাল্গুন, ১৩২১

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৭ মার্চ, ১৯১৫

রচনাস্থান: বোলপুর থেকে কলকাতা যাবার পথে ট্রেনে

স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী



৪।দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার



গানের ওপারে।



আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি



পাই নে তোমারে।







বাতাস বহে মরি মরি



আর বেঁধে রেখো না তরী,



এসো এসো পার হয়ে মোর



হৃদয়-মাঝারে।







তোমার সাথে গানের খেলা



দূরের খেলা যে,



বেদনাতে বাঁশি বাজায়



সকল বেলা যে।



কবে নিয়ে আমার বাঁশি



বাজাবে গো আপনি আসি,



আনন্দময় নীরব রাতের



নিবিড় আঁধারে।





৫।এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে, এসো করো স্নান নবধারাজলে॥



দাও আকুলিয়া ঘন কালো কেশ, পরো দেহ ঘেরি মেঘনীল বেশ--



কাজলনয়নে, যূথীমালা গলে, এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে॥



আজি ক্ষণে ক্ষণে হাসিখানি, সখী, অধরে নয়নে উঠুক চমকি।



মল্লারগানে তব মধুস্বরে দিক্‌ বাণী আনি বনমর্মরে।



ঘনবরিষনে জলকলকলে এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে॥



রাগ: কাফি

তাল: ২ + ২ ছন্দ

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1332

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1925

স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার



৬।মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে সে দিন ভরা সাঁঝে,



যেতে যেতে দুয়ার হতে কী ভেবে ফিরালে মুখখানি--



কী কথা ছিল যে মনে॥



তুমি সে কি হেসে গেলে আঁখিকোণে--



আমি বসে বসে ভাবি নিয়ে কম্পিত হৃদয়খানি,



তুমি আছ দূর ভুবনে॥



আকাশে উড়িছে বকপাঁতি,



বেদনা আমার তারি সাথি।



বারেক তোমায় শুধাবারে চাই বিদায়কালে কী বল নাই,



সে কি রয়ে গেল গো সিক্ত যূথীর গন্ধবেদনে॥





রাগ: ইমনকল্যাণ

তাল: ২ + ২ ছন্দ

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1344

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1937

স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার



৭।মেঘ বলেছে 'যাব যাব', রাত বলেছে 'যাই',



সাগর বলে 'কূল মিলেছে-- আমি তো আর নাই' ॥



দুঃখ বলে 'রইনু চুপে তাঁহার পায়ের চিহ্নরূপে',



আমি বলে 'মিলাই আমি আর কিছু না চাই' ॥



ভুবন বলে 'তোমার তরে আছে বরণমালা',



গগন বলে 'তোমার তরে লক্ষ প্রদীপ জ্বালা'।



প্রেম বলে যে 'যুগে যুগে তোমার লাগি আছি জেগে',



মরণ বলে 'আমি তোমার জীবনতরী বাই' ॥





রাগ: বেহাগ

তাল: তেওরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৭ আশ্বিন, ১৩২১

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৪ অক্টোবর, ১৯১৪

রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন

স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী



৮।আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে



তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে ॥



একতারাটির একটি তারে গানের বেদন বইতে নারে,



তোমার সাথে বারে বারে হার মেনেছি এই খেলাতে



তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে ॥



আমার এ তার বাঁধা কাছের সুরে,



ওই বাঁশি যে বাজে দূরে।



গানের লীলার সেই কিনারে যোগ দিতে কি সবাই পারে



বিশ্বহৃদয়পারাবারে রাগরাগিণীর জাল ফেলাতে--



তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে?।





রাগ: খাম্বাজ

তাল: দাদরা-খেমটা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1326

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1919



৯।তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী,



অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি।



সুরের আলো ভুবন ফেলে ছেয়ে,



সুরের হাওয়া চলে গগন বেয়ে,



পাষাণ টুটে ব্যাকুল বেগে ধেয়ে,



বহিয়া যায় সুরের সুরধুনী।



মনে করি অমনি সুরে গাই,



কণ্ঠে আমার সুর খুঁজে না পাই।



কইতে কী চাই, কইতে কথা বাধে;



হার মেনে যে পরান আমার কাঁদে;



আমায় তুমি ফেলেছ কোন্‌ ফাঁদে



চৌদিকে মোর সুরের জাল বুনি!



রাগ: খাম্বাজ

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১০ ভাদ্র, ১৩১৬

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1909

স্বরলিপিকার: ভীমরাও শাস্ত্রী, এ. এ. বাকে





১০।তুই ফেলে এসেছিস কারে, মন, মন রে আমার।



তাই জনম গেল, শান্তি পেলি না রে মন, মন রে আমার॥



যে পথ দিয়ে চলে এলি সে পথ এখন ভুলে গেলি--



কেমন করে ফিরবি তাহার দ্বারে মন, মন রে আমার॥



নদীর জলে থাকি রে কান পেতে,



কাঁপে যে প্রাণ পাতার মর্মরেতে।



মনে হয় যে পাব খুঁজি ফুলের ভাষা যদি বুঝি,



যে পথ গেছে সন্ধ্যাতারার পারে মন, মন রে আমার॥



রাগ: ভৈরবী-বাউল

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1321

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1915

স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী





১১।তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই।



মনোহরণ চপলচরণ সোনার হরিণ চাই॥



সে-যে চমকে বেড়ায় দৃষ্টি এড়ায়, যায় না তারে বাঁধা।



সে-যে নাগাল পেলে পালায় ঠেলে, লাগায় চোখে ধাঁদা।



আমি ছুটব পিছে মিছে মিছে পাই বা নাহি পাই--



আামি আপন-মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই॥



তোরা পাবার জিনিস হাতে কিনিস, রাখিস ঘরে ভরে--



যারে যায় না পাওয়া তারি হাওয়া লাগল কেন মোরে।



আমার যা ছিল তা গেল ঘুচে যা নেই তার ঝোঁকে--



আমার ফুরোয় পুঁজি, ভাবিস, বুঝি মরি তারি শোকে?



আমি আছি সুখে হাস্যমুখে, দুঃখ আমার নাই।



আমি আপন-মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই॥



রাগ: বেহাগ-বাউল

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1317

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1910

স্বরলিপিকার: প্রফুল্লকুমার দাস



১২।তোমার হল শুরু, আমার হল সারা--



তোমায় আমায় মিলে এমনি বহে ধারা ॥



তোমার জ্বলে বাতি তোমার ঘরে সাথি--



আমার তরে রাতি, আমার তরে তারা ॥



তোমার আছে ডাঙা, আমার আছে জল--



তোমার বসে থাকা, আমার চলাচল।



তোমার হাতে রয়, আমার হাতে ক্ষয়--



তোমার মনে ভয়, আমার ভয় হারা ॥



রাগ: বিলাতি ভাঙা

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৭ চৈত্র, ১৩২২

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৯ এপ্রিল, ১৯১৬

রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন

স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর





১৩।পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে



পাগল আমার মন জেগে ওঠে॥



চেনাশোনার কোন্‌ বাইরে যেখানে পথ নাই নাই রে



সেখানে অকারণে যায় ছুটে॥



ঘরের মুখে আর কি রে কোনো দিন সে যাবে ফিরে।



যাবে না, যাবে না--



দেয়াল যত সব গেল টুটে॥



বৃষ্টি-নেশা-ভরা সন্ধ্যাবেলা কোন্‌ বলরামের আমি চেলা,



আমার স্বপ্ন ঘিরে নাচে মাতাল জুটে--



যত মাতাল জুটে।



যা না চাইবার তাই আজি চাই গো,



যা না পাইবার তাই কোথা পাই গো।



পাব না, পাব না,



মরি অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে॥



রাগ: বাউল

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1346

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1939

স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার





১৪।আমি, জেনে শুনে বিষ করেছি পান।



প্রাণের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ।



যতই দেখি তারে ততই দহি,



আপন মনোজ্বালা নীরবে সহি,



তবু পারি নে দূরে যেতে, মরিতে আসি,



লই গো বুক পেতে অনল-বাণ।



যতই হাসি দিয়ে দহন করে,



ততই বাড়ে তৃষা প্রেমের তরে,



প্রেম-অমৃত-ধারা ততই যাচি,



যতই করে প্রাণে অশনি দান।



রাগ: দেশ

তাল: তেওরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): অগ্রহায়ণ, ১২৯৫

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1888

রচনাস্থান: কলকাতা, দার্জিলিং

স্বরলিপিকার: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা দেবী



১৫।আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী।



তুমি থাক সিন্ধুপারে ওগো বিদেশিনী॥



তোমায় দেখেছি শারদপ্রাতে, তোমায় দেখেছি মাধবী রাতে,



তোমায় দেখেছি হৃদি-মাঝারে ওগো বিদেশিনী।



আমি আকাশে পাতিয়া কান শুনেছি শুনেছি তোমারি গান,



আমি তোমারে সঁপেছি প্রাণ ওগো বিদেশিনী।



ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমি এসেছি নূতন দেশে,



আমি অতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী॥



রাগ: খাম্বাজ

তাল: একতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৫ আশ্বিন, ১৩০২

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1895

রচনাস্থান: শিলাইদহ

স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সরলা দেবী



১৬।ও আমার দেশের মাটি, তোমার 'পরে ঠেকাই মাথা।



তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা ॥



তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে,



তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে,



তোমার ওই শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা ॥



ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মরণ তোমার বুকে।



তোমার 'পরে খেলা আমার দুঃখে সুখে।



তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে,



তুমি শীতল জলে জুড়াইলে,



তুমি যে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা ॥



ও মা, অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা--



তবু জানি নে-যে কী বা তোমায় দিয়েছি মা!



আমার জনম গেল বৃথা কাজে,



আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে--



তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা ॥





রাগ: পিলু-বাউল

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1312

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1905

স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী



১৭।আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে



ভোরের আলো মেঘের ফাঁকে ফাঁকে॥



বাদলপ্রাতের উদাস পাখি ওঠে ডাকি।



বনের গোপন শাখে শাখে, পিছু ডাকে॥



ভরা নদী ছায়ার তলে ছুটে চলে--



খোঁজে কাকে, পিছু ডাকে।



আমার প্রাণের ভিতর সে কে থেকে থেকে



বিদায়প্রাতের উতলাকে পিছু ডাকে॥





রাগ: আশাবরী-ভৈরবী

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ভাদ্র, ১৩৩০

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1923



১৮।আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন--



আমার ব্যথার পূজা হয় নি সমাপন ॥



যখন বেলা-শেষের ছায়ায় পাখিরা যায় আপন কুলায়-মাঝে,



সন্ধ্যাপূজার ঘণ্টা যখন বাজে,



তখন আপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন--



আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন ॥



অনেক দিনের অনেক কথা, ব্যাকুলতা, বাঁধা বেদন-ডোরে,



মনের মাঝে উঠেছে আজ ভ'রে।



যখন পূজার হোমানলে উঠবে জ্বলে একে একে তারা,



আকাশ-পানে ছুটবে বাঁধন-হারা,



অস্তরবির ছবির সাথে মিলবে আয়োজন--



আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন ॥





রাগ: মিশ্র ভীমপলশ্রী

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): আশ্বিন, ১৩২৫

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1918

স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর



১৯।চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো।



ও রজনীগন্ধা, তোমার গন্ধসুধা ঢালো ॥



পাগল হাওয়া বুঝতে নারে ডাক পড়েছে কোথায় তারে--



ফুলের বনে যার পাশে যায় তারেই লাগে ভালো ॥



নীল গগনের ললাটখানি চন্দনে আজ মাখা,



বাণীবনের হংসমিথুন মেলেছে আজ পাখা।



পারিজাতের কেশর নিয়ে ধরায়, শশী, ছড়াও কী এ।



ইন্দ্রপুরীর কোন্‌ রমণী বাসরপ্রদীপ জ্বালো ॥



রাগ: পিলু

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1336

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1929

স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর



২০।ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু,



পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু॥



এই-যে হিয়া থরোথরো কাঁপে আজি এমনতরো



এই বেদনা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু ॥



এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু,



পিছন-পানে তাকাই যদি কভু।



দিনের তাপে রৌদ্রজ্বালায় শুকায় মালা পূজার থালায়,



সেই ম্লানতা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু ॥



রাগ: ইমনকল্যাণ

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৬ আশ্বিন, ১৩২১

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৩ অক্টোবর, ১৯১৪

রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন

স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর





সংগ্রহঃ ফেসবুক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

শ্রাবণ জল বলেছেন: যতই দেখি তারে ততই দহি,

আপন মনোজ্বালা নীরবে সহি,

তবু পারি নে দূরে যেতে, মরিতে আসি,

লই গো বুক পেতে অনল-বাণ।


আহা! কি গান! কি আবেগ!

সবগুলোই প্রিয় আমার।

আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে- এটা খুব একটা শোনে না কেউ। তবে আমার প্রিয় অনেক।
শ্রীকান্ত অসাধারণ গেয়েছে গানটা। শুনে দেখবেন।

আপনার পোস্ট দেখতে দেখতে গুনগুণ করছি।


ভাল লাগল।
ভাল থাকুন।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১১

মুগ্ধ আহমেদ বলেছেন: osongkho dhonnobad....vlo thakben...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.