নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুখতার বাবলু

আমি মুখতার বাবলু। বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাসে স্বপ্নগুলো ছড়িয়ে দিতে চাই নীল আকাশের প্রান্তরে।

মুখতার বাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতে ইসলামের ৩য় দফা দাবি ও তার যৌক্তিকতা

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

হেফাজতে ইসলামের ৩য় দফা দাবি হচ্ছে



“কথিত শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক মুর্তাদ এবং প্রিয় নবীর শানে কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে”।





এই দাবির বিরোধীতা করে শাহবাগীরা বলে থাকে- তারা ইসলামের বিরোধীতা করছেনা, তারা বিরোধীতা করছে যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকারদের, তারা বিরোধীতা করছে জামাত শিবিরের। তারা বরং হেফাজতে ইসলামের দিকে পাল্টা অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলে- হেফাজতে ইসলামই নাকি ইসলাম রক্ষার নামে যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবিরকে রক্ষার জন্যে তাদের বিরোধীতায় মাঠে নেমেছে।





অথচ বাস্তব অবস্থা তাদের এই বক্তব্য সমর্থন করে না। কারণ, হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে আছে দেশের বিভিন্ন কাওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রিক হুজুর ও আলেম ওলামারা যারা অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন কারণে জামাত শিবিরের বিরোধীতা করে আসছে। এমনকি গত চার বছর ধরে সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে জামাত শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে আসতেছে তখনও এসব আলেম ওলামারা চুপ ছিল। আলেম ওলামারা জামাত শিবিরকে রক্ষা করার জন্য মাঠে নামলে এতদিন ধরে ঘরে বসে থাকতনা।





কিন্তু আমরাই বরং দেখেছি, তারা জামাত শিবিরের বিরোধীতার আড়ালে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আড়ালে এদেশের আলেম ওলামাদের নিরবতার সুযোগে এদেশ থেকে ইসলাম, ইসলামী সংস্কৃতি, ইসলামী রীতি-নীতি মুছে ফেলে এদেশে ভারতীয় বেহায়াপনা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশের সুগভীর এক ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল। এক্ষেত্রে তারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং পুলিশি নিরাপত্তায় গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলনকে তাদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তাদের এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরা শাহবাগ আন্দোলনের দাবিগুলোর ব্যাপারে তাদের নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে আসলেও ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি কোন প্রকার রাখঢাক না রেখে জনসম্মুখে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল। জনৈক ইশ্বরের হাত দিয়ে কোটি কোটি টাকা বন্টনের চিত্রও আমরা শাহবাগ আন্দোলনের বিভিন্ন ফুটেজে লক্ষ্য করেছি।





যুদ্ধাপরাধ ইস্যু একটি রাজনৈতিক ইস্যু হওয়ায় সেখানে জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে যতই শ্লোগান দেওয়া হোক আলেম ওলামারা চুপ ছিল যদিও প্রথম থেকেই সবাই বুঝতে পারে যে এখানে সরকারদলীয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। কিন্তু আলেম ওলামাদের নিরবতার সুযোগে শাহবাগের নাস্তিক ব্লগাররা যুদ্ধাপরাধের বিচারের আড়ালে ইসলাম বিরোধিতায় নিমগ্ন হয়, তারা চেয়েছিল এদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় চেতনাকে মুছে ফেলে দেশকে একটি ধর্মহীন ও নৈতিকতাহীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে যেখানে তারা নিজেদের খেয়ালখুশিমত অবাধে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতায় মেতে তাদের বিকৃত যৌনলালসা পরিতৃপ্ত করতে পারবে যাতে কেউ তাদের বাধা দিতে না পারে (শাহবাগ আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের ব্যক্তিগত জীবনধারা এরকমই)। আর সে লক্ষ্যে তারা সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের মুর্তি বানিয়ে তাদেরকে ইসলামের পোশাক পরিচ্ছদ দাড়ি-টুপি, পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিয়ে এসব পোশাক পরিচ্ছদের উপর বারবার জুতিা ঠেকিয়ে মারাত্মকভাবে অবমাননা করতে থাকে। তারপরও আলেম ওলামারা কোন প্রকার প্রতিবাদ না করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকলে একসময় তারা ওদ্যাত্বের সীমা ছাড়িয়ে যায়। সুযোগ পেয়ে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিরোধীতার নামে আলেম-ওলামা, নবী-রাসূল এমনকি সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার নামেও অশ্রাব্য ভাষায় কুৎসা রটাতে থাকে, একসময় তারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধেরও দাবি জানাতে থাকে। জনসম্মুখে তারা জামাতে ইসলামকে ইসলামী দল হিসাবে স্বীকার না করলেও অথচ তখন জামাতে ইসলামের বিরোধিতা করতে গিয়ে তারা ইসলামের বিরোধিতায় লেগে পড়ে। অবস্থা এমন দাঁড়াল যে কেউ ইসলামের পক্ষে কিছু বললে তাকে জামাত শিবির এবং যুদ্ধাপরাধী রাজাকার ট্যাগ দিয়ে চুপ করতে বাধ্য করা হত।





ব্লগার রাজীব হায়দারের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যখন তাদের এই ভন্ডামি এবং ইসলাম অবমাননার বিভিন্ন চিত্র জনসম্মুখে চলে আসে তখনই তাদের সুগভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় আলেম ওলামাদের প্রতিবাদ। আর আলেম ওলামাদের এই প্রতিবাদ প্রতিরোধকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা তাদের মনগড়া বিভিন্ন গল্প বানাতে থাকে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে। তাদের ভাষায়- নুর ইসলাম নামে একজন চোর খাদে পড়ে বাঁচার জন্য ইসলাম বাঁচাও, ইসলাম বাঁচাও বলে চিৎকার করলে হুজুররা সবাই চিলে কান নিয়েছে বলে চিলের পেছনে দৌড়াতে থাকে। অথচ আমরা দেখলাম, তারাই বরং নুর ইসলাম নামক একজন ব্যক্তিকে চোর সাজিয়ে চোর বলে পিটাইতেছে, আর সবাই যখন কৌতুহল ভরে তা দেখতেছিল তখন সুযোগ পেয়ে তারা এবার নুর ইসলামকে ইসলাম চোর ইসলাম চোর বলে ইসলাম নামের যত ব্যক্তি আছে সবাইকে পিটানোর বুদ্ধি করতেছিল। সাধারণ জনগণ যখন তাদের কুবুদ্ধি ধরে ফেলে তাদেরকে পিটাইতে উদ্যত হল তখন তারা আবার চিৎকার করতেছে তারা ইসলামকে নয় নুরু চোরকে পিটাইতেছিল, নুরু চোর নুর ইসলাম নয়। অথচ, নুরু চোরও বানাল তারা, আবার নুর ইসলাম বলে ইসলামকে পিটানোর বুদ্ধিও করল তারা। আসলে তাদের মূল টার্গেট জামাত শিবির নয়, তাদের মূল টার্গেট হল ইসলাম। ইসলাম নির্মূলের মিশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা জামাত বিরোধীতাকে এখানে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে মাত্র।





শাহবাগের এই নগণ্য সংখ্যাক উশৃঙ্খল নষ্ট যুবক এদেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ইসলাম, মহানবী (সা), এমনকি সর্বশক্তিমান আল্লাহ সম্পর্কে কটুক্তি করার যে দৃষ্টতা দেখিয়েছে এর শাস্তিস্বরুপ জাতি তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা আশা করে। আর এজন্য তাদেরকে কোন প্রকার শাস্তির সম্মুখীন করা না হলে উগ্রপন্থী এবং ক্ষুব্দ কোন গ্রুপ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে যা সামাজিক শান্তিশৃঙ্খলাকে ব্যাহত করবে (ব্লগার রাজীবের ক্ষেত্রে যা হয়েছিল)। রাষ্ট্রের আইন যখন অপরাধীদের উপযুক্ত সাজা প্রদানে ব্যর্থ হয় তখন একদিকে যেমন অপরাধীরা প্রশ্রয় পেয়ে অপরাধ কর্মে আরো উৎসাহী হয় অন্যদিকে তেমনি বঞ্চিত পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে আইন ভাঙ্তে উদ্যত হয়্। আর এভাবে একটি সমাজে, রাষ্ট্রে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়, জননিরাপত্তা ব্যহত হয় যা কারোরই কাম্য নয়। অপরপক্ষে যেকোন অপরাধের জন্য অপরাধীর উপযুক্ত সাজা হলে অপরাধীদের ক্ষুদ্র একটি অংশ সাময়িক অসন্তুষ্ট হলেও রাষ্ট্রের বৃহত্তর অংশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে, মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, অপরাধ কর্মে নিরুৎসাহিত হয়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে রাষ্ট্রে শান্তিশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা চাই। রাষ্ট্রকে অপরাধীদের অভয়াশ্রম হতে দিতে চাইনা।





তাই হেফাজতে ইসলামের যৌক্তিক দাবি অনুযায়ী কথিত শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী নাস্তিক-ব্লগারদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করাটা এদেশের কোটি কোটি মুসলমানের প্রাণের দাবি। অবিলম্বে এই দাবি পূরণ করে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক। অন্যথায়, ক্ষুব্দ জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এবং সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যাবে যার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে এবং এর জন্য একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

ইন্দ্রজাল বলেছেন: নুর ইসলামের এক্সাম্পল টা সেইরাম হইছে

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

জাতির চাচা বলেছেন: শাহবাগীদের আসল রূপ মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে।তার আর মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেনা।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

লীনা জািম্বল বলেছেন: সব মিছা কথা-- প্রলাপ------ বুদ্ধি বিভ্রম ভ্রান্ত কথা-------

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

তাজুল_ইসলাম বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
আমার ব্লগ থেকে ঘুরেদ আসলে খুশি হবো,
ভাল থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.