নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিশ্বাসী, কিন্তু মনের দরজা খুলে রাখাতে বিশ্বাস করি। জীবনে সবথেকে বড় অনুচিত কাজ হল মনের দরজা বন্ধ রাখা। আমি যা জানি সেটাই সত্য, বাকি সব মিথ্যা…এটাই অজ্ঞানতার জন্ম দেয়।

মুক্তমনা ব্লগার

“Ask yourself often, why do I have to think like other people think?”

মুক্তমনা ব্লগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামিক আগ্রাসন ঠেকাতে, বাঙালী পরিচিতি ( আইডেন্টিটি) সামনে আনতে হবে

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

প্রেক্ষাপট: বাদুরিয়ার দাঙ্গা

(১) বাঙালীর ধর্ম বনাম হিন্দু-মুসলমান
********************************
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করুন-ইত্যাদি উপাদেয় উপদেশ ভাল-কিন্ত কথাটির মধ্যেই র‍য়ে গেছে-স্ববিরোধিতার বীজ। পৃথক ধর্মীয় সম্প্রদায় থাকতে পারে-এটারই যদি বৈধতা থাকে, সাম্প্রদায়িক বৈরিতাও বৈধতা পায়। কারন প্রথম প্রশ্নই উঠবে, বাঙালীদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান দুটো আলাদা সম্প্রদায় কেন? এদের খাওয়া দাওয়া ভাষা কবি নগর শহর-সব এক। তাহলে বাঙালীদের হিন্দু মুসলমানে ভাগ করাটা বৈধ হয় কি যুক্তিতে?

যুক্তি খুব সরল। অধিকাংশ বাঙালী, তার বাঙালী পরিচিতির চেয়েও, তার নিজেদের ধর্মীয় পরিচিতিতে বেশী গুরুত্ব দেয়। অধিকাংশ বাঙালীর নিজের অস্তিত্বে যতনা বাঙালীয়ানা, তার থেকেও বেশী তারা নিজেদের মুসলমান বা হিন্দু ভাবে। বাঙালীর যে নিজস্ব আধ্যাত্মিক চিন্তা আছে- যা সহজিয়া, আউল বাউল হয়ে লালন রবীন্দ্রনাথে পূর্নতা পেয়েছে -সেই মাটির ধর্ম সম্মন্ধেই অধিকাংশ বাঙালী বিস্মৃত।

বাঙালীর শুধু ভাষা না-তার নিজস্ব ধর্ম আছে-যা হিন্দুত্ব বা ইসলামের থেকে আলাদা-এটাইত অধিকাংশ বাঙালী জানে না!!
যে বাঙালীর রবীন্দ্রনাথ লালন আছে- সে কেন আরব সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদে ( ইসলাম ) বুঁদ হয়ে থাকে? বা ইসলামের আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য কেনই বা তাকে উত্তর ভারতের গোবলয়ের গোচনা সেবন করতে হয়?

আমরা রবীন্দ্রনজরুল বলে অনেক লম্ফ ঝম্ফ দিই বটে-কিন্ত বাস্তবে যখন দেখা যায় এক দুষ্টু বালকের সামান্য ফেসবুক পোষ্টের জন্য বাদুরিয়ার মুসলমানরা দম দেওয়া কলের পুতুলের মতন দাঙ্গা করতে পঙ্গপালের মতন দোকান পাট বাড়ি ঘরদোর ধ্বংস করছে-তখন এটা পরিস্কার, রবীন্দ্রনাথ , নজরুল বা এমন কি লালন –শুধুই শিক্ষিত বাঙালীর ড্রইংরুমে। বাঙালী এলিট লিব্যারাল এবং সাধারন মানুষ-দুই ভিন্ন বাংলার বাসিন্দা।

দেগঙ্গা থেকে বাদুরিয়া-বাংলার যে বলকানাইজেশন চলছে, তা ঠেকাতে মমতা ব্যার্নার্জির সামনে একটাই পথ। বাঙালী সংস্কৃতি দিয়েই হিন্দু মুসলমান বলে যে পৃথক আইডেন্টিটি তৈরী করা হয়েছে, সেটাকে আগে ফিকে করতে হবে। উনি সেটা করেন নি। মুসলমান ভোট ব্যঙ্কে ধরে রাখার জন্য, বাঙালী মুসলমানকে মুসলমান করে রেখেছে সব পার্টিই- কংগ্রেস, সিপিএম, তৃনমূল , বিজেপি।

শরৎচন্দ্রের সেই বাঙালী বনাম মুসলমানের ফুটবল খেলার মতন আজো সমান কনফিউশন-এরা বাঙালী না মুসলমান!! লালন, নজরুল-কেউ সেই আইডেন্টিটি ক্রাইসিস ঘোচাতে পারেন নি। কারন সরকারি টাকায় মাদ্রাসা, আলেম, হুজুরদের পোষা হচ্ছে-লালন সাঁইকে পৌছে দেওয়া হচ্ছে না। আলেম হুজুররা নিজেদের ধর্ম ব্যবসা টেকাতে-একজন মুসলমানের মুসলমান পরিচিতিই পোক্ত করবে-ফলে বাদুরিয়াতে যখন এই সব ধর্মোন্মাদরা পঙ্গপালের মতন লাঠি নিয়ে তাড়া করে- সেটা প্রশাসনের নীতির ভুল। কারন আলেমদের টাকা না দিয়ে যদি গ্রামে গ্রামে লালন সাই এর শিষ্যদের, বাউল কালচার ছড়িয়ে দেওয়া যেত- তাহলে বাংলা মুখরিত হত, বাঙালীর চিন্তনে!
‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে।
যেদিন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান
জাতি গোত্র নাহি রবে।।

সরকার থেকে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। ফলে মুসলমানকে আরো বেশী মুসলমান বানানো হয়েছে-আর তার প্রতিক্রিয়াতে হিন্দুরা আরো বেশী হিন্দু হচ্ছে।

মধ্যে খান থেকে বাঙালীদের স্পেসটা আরো আরো অনেক ছোট হচ্ছে। অথচ এরা নাকি বাংলার মসনদে।
যে জাতি নিজের সংস্কৃতি, নিজের ঐতিহ্যশালী লোকায়িত সহজিয়া ধর্মকে চেনে না-তাদের মাটির দখল আরব আর উত্তর ভারতের দালালদের দখলে যাবে-সেটাই স্বাভাবিক।

কিন্ত এখনো সময় আছে। সংস্কৃতি প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী-গ্রামে গ্রামে বাংলার সহজিয়া ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিন। ছড়িয়ে দিন রবীন্দ্রনাথ নজরুলের জীবন দর্শন। যাতে সবাই নিজেদের বাঙালী ভাবতে শেখে আগে। তাদের মুসলমান বা হিন্দু পরিচিতি যেন গৌন হয়। তার বদলে উনি যদি দুধ কলা দিয়ে “ইসলামিক পরিচিতির” বিষ ছড়ানো কালসাপদের পোষেন মাসোহারা দিয়ে, তার ফল হবে বাউরিয়া-এবং সম্ভবত উনিও ক্ষমতা হারাবেন।

কেউ হিন্দু মুসলমান হয়ে জণ্মায় না। রাজনীতি, রাষ্ট্র, সমাজ তাকে হিন্দু মুসলমান বানায়। আমার বক্তব্য একটাই- সরকারি খরচে কেন তাহলে তাকে বাঙালী বানানোর চেষ্টা হচ্ছে না ?

(২) ধর্ম একটি ব্যক্তিগত যাত্রা- রিলিজিওন ইজ আ পারসোনাল জার্নি:

ধন্যবাদ আনিস খানকে। কালকেই লিখেছিলাম বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্পে জল ঢালতে বাঙালী পরিচয় বা বাঙালী আইডেন্টিটি সামনে আনা জরুরী। এটা দেখে ভাল লাগল, তার মতন একজন শিল্পদ্যোগী, বাঙালী আইডেন্টিটি সামনে আনার দ্বায়িত্ব নিজের পরিসরে পালন করছেন। ঘরে বাইরের নিখিলেশের কথা মনে এল।

হিন্দু বা মুসলমান কোন পরিচয় হতে পারে না। প্রাচীন ভারত, গ্রীস, রোম-কোথাও ধর্মীয় পরিচিতি বলে কিছু ছিল না। মানুষের ধর্মাচরন ছিল, আধ্যাত্মিক জিজ্ঞাসা ছিল। সবটাই ব্যক্তিগত।

মুসলমানরা যখন ভারতে প্রথম আসে-তারা ভারতীয়দের জিজ্ঞাসা করত তোমাদের ধর্ম কি? আসলেই ত কোন ধর্ম ছিল না ভারতে-প্রত্যেকের নিজস্ব উপাসনা, নিজের মতন করে সত্যকে খোঁজা। এটাই ভারতীয় দর্শনের শাস্বত বানী। উত্তর না পেয়ে, মুসলমানরা বললো-ওকে-তাহলে এটা হচ্ছে হিন্দু ধর্ম। কারন পার্শী শব্দে হিন্দু মানে সিন্দুনদের ওপারে যারা থাকে। হিন্দু শব্দটা কোন হিন্দু গ্রন্থে নেই-কারন ওই শব্দটা মুসলমানদের দান। মুসলমানদের দেওয়া সেই হিন্দু আইডেন্টিটি নিয়ে-আজ তাদের সাথেই লড়াই!

রোম সম্রাট কনস্টানটাইন প্রথম খ্রীষ্টান ধর্মের জনপ্রিয়তা এবং পরিচিতিকে কাজে লাগান উত্তরের উপজাতিগুলোকে রোমান সাম্রাজ্যের বশবর্তী করতে। খ্রীষ্ঠান সাম্রাজ্যবাদের সেই মডেলটাই আরো উন্নতাকারে নিয়ে আসে সপ্তম শতাব্দির আরবের বাসিন্দারা। খৃষ্টান এবং মুসলমান -এই দুই পরিচিতির যুদ্ধ আরো তীব্র হয় তিনটে ক্রশেডের মধ্যে দিয়ে। যেহেতু গত এক হাজার বছর এই দুটো ধর্মই গোটা পৃথিবী দখল করতে চেয়েছে -রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতিতে ধর্মীয় পরিচয় আস্তে আস্তে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন হয়েছে। ইউরোপে রেনেসাস এবং শিল্প বিপ্লবের ফলে রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে হঠানো গেছে ঠিকই-কিন্ত ৫৬ টা মুসলমান দেশ এবং ভারতে ধর্ম আষ্টেপৃষ্টে বেঁধেছে রাজনীতিকে।

বাঙালী একটা লোকের পরিচিতি বা আইডেন্টি হতে পারে-কিন্তু হিন্দু বা মুসলমান কি করে একটা লোকের পরিচিতি হয় -তা আমার বোধগম্য না। সেটা রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া কিছু না। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, বাংলা খাবার খাই-তাই আমরা বাঙালী। আমি মন্দিরে যাই-তাই হিন্দু-বা মসজিদে যাই, ইসলামিক অনুশাসন মেনে চলি, তাই মুসলিম-এগুলো অবোধের নির্বোধ বুদ্ধি। বা জোর করে ব্রেইন ওয়াশ করে শিশু বয়স থেকে শেখানো হয় ধর্ম গ্রন্থের মাধ্যমে, রাষ্ট্রের সহযোগিতায়। হ্যা-এই ব্রেইন ওয়াশ বন্ধ না হলে, এই যে কোটি কোটি ধর্মান্ধ তৈরী হচ্ছে, তাদের সামাল দিতে পারবে না কোন পুলিশ, কোন মিলিটারি।
কেন হিন্দু, মুসলমান পরিচিতিটা ফেক? ইল্যুউশন?

কারন আমি যে বাঙালী পোস্ত খাই, ইলিশ খাই-সেটা সত্য। খাবারের অস্তিত্ব আছে। হিন্দু-মুসলমানরা যেসব জিনিস মানে ধর্মের নামে-তার সবটাই রূপকথা। অতীতের রাজনীতির কারনে সাজানো রূপকথা। এইসব গল্পে বিশ্বাস করে পরিচিতি? এর মানে স্পাইডারম্যানের গল্পে বিশ্বাস করে স্পাইডারম্যান ফ্যান ক্লাবের সদস্য হয়ে ঘোষনা করা- ওটাই আমার পরিচয়! এইসব গাঁজাখুরি গল্প যদি মানুষের পরিচিতির ভিত্তি হয়, একবিংশ শতাব্দিতে, তাহলে গোড়ায় গলদ। সরি, কোন মিলিটারি, কোন বিজেপি আপনাদের বাঁচাতে পারবে না। আরেকবার দেশভাগের মতন দাঙ্গা বাঁধবে। কারন যে পরিচিতির ভিত্তিটাই মানুষের মাথায় টুপি পড়িয়ে, ছোটবেলা থেকে ব্রেইন ওয়াশ করিয়ে তৈরী হয়েছে-তার মিথ্যাচার, মিথটাকে টিকিয়ে রাখতে দাঙ্গা বাধাবেই। আজ না হলে কাল। কাঠকয়লার আগুন-ধিকি ধিকি করে জ্বলে। খড় পরলেই ঘরবাড়ি ব্যাবসা জ্বালিয়ে সাফ করে দেবে।

ধর্ম বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতা বা নিজের সন্ধান সবার মধ্যেই ওই সুরসুড়ি আছে। নাস্তিকের ও আছে। আমার ও আছে। আমার বিশ্বাস সততায়, বুদ্ধিতে পরিশ্রমে। ওইটুকুতে বিশ্বাস করেই, বাকী জীবনটা কাটানো সম্ভব। উপনিষদ পড়তে আমার ভাল লাগে-কিন্ত তার জন্যে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচিতি দেব কেন? কারন ইমানুয়েল কান্টের ক্রিটিক অব পিউর রিজন, আমার একই রকম ভাল লাগে। এটাত নিজের জানার জন্য ব্যক্তিগত যাত্রা। প্রতিটা মানুষের ধর্ম, সে হিন্দুই হৌক বা মুসলমান হোক, তার ব্যক্তিগত যাত্রা- পারসোনাল জার্নি। সেই জন্যেই ১৬০০ কোটি মুসলমানের ১৬০০ কোটি ইসলাম। কোন দুজন মুসলমান পাবেন না-যার ইসলাম হুবহু এক। কোন দুজন হিন্দু পাবেন না-যাদের হিন্দু ধর্ম হুবহু এক। কারন ধর্ম একটা ব্যক্তিগত জার্নি-তা কখনোই পরিচিতি বা আইডেন্টিটি হতে পারে না।

কিন্তু দুজন বাঙালী পাবেন -আনিশ খান এবং আশীষ রায়-যারা সর্ষে ইলিশ খেয়ে ঢেঁকুর তুলবে। গাইবে- আমি বাংলায় গান গাই। কারন ইলিশ এবং গান-দুটোই বাস্তব।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: একজন পান বিক্রেতার কাছে তিনজন মাঝহাবি মুফতি এলো।
এসে বললোঃ
- তুই মাযহাব মানিস?
- মানে ? মাঝহাব আবার কি?
- তুই মাঝহাব মানিস না? তোর তো নামাজই হয়না!
- কেন হুজুর নামাজ হয়না?
- হুজুররা বললোঃ "আয় তোর সাথে আজকে বাহাস করব। তোর
নামাজ হয় না।"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর! আমি তো দ্বীন বেশি বুঝিনা। তবে আমি
শাইখদের কাছ থেকে শিখেছি যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ বা দেখানো ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু মানা যাবে না।
আপনারা আমাকে কুরআন ও সহীহ হাদীসের মাধ্যমে বুঝান কেন আমার নামাজ হয় না।
- তিনজন হুজুর বললোঃ " ঠিক আছে বল, নামাজে আমিন কি
জোরে বলা লাগবে? না আস্তে বলা লাগবে?"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর আমার নবী তো দ্বীন পূর্ণ এনেছেন। আধা
আনেন নাই। তাহলে নামাজের মাঝখানে আগে কেন যাব? শুরু
থেকে বলুন। একেবারে ওজু থেকে বলুন। বলুন ওজুর ফরজ কয়টি।
- হানাফি মুফতিঃ হানাফি মাঝহাবে ৪ টি
- শাফি মুফতিঃ প্রথমজনকে খোঁচা দিয়ে বললো, "কে বললো
তোকে ৪ টি ফরজ? শাফি মাঝহাবে ওজুর ফরজ ৭ টি তুই জানস না?
- হানাফি মুফতিঃ "এমন কোন আয়াত তো কুরআনে নেই যেখানে
আল্লাহ বলেছেন ওজুর ফরজ ৭ টি"
- শাফি মুফতিঃ "তার মানে তুমি কেবল কোরআনের ফরজ মান, হাদিসের ফরজ মানো না?"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর আপনারা আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন কোন মাঝহাব সঠিক।
- হানাফি হুজুরঃ সব মাঝহাবই সঠিক।
- পান বিক্রেতাঃ এক মাঝহাব মতে ওজুর ফরজ চারটি আরেক মাঝহাব মতে ওজুর ফরজ ৭ টি। দুটা কিভাবে সঠিক হয়।
- তিন হুজুরঃ "জবাব নেই। নীরব"
বুঝতে পারছে বিপদে পরছে
- তিন হুজুর মিলে পান বিক্রেতাকে বললোঃ "আগের প্রশ্নের
জবাব পরে দিব। এবার তুই বল, ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা
পড়া লাগবে নাকি পড়া লাগবে না?"
- পান বিক্রেতা বললোঃ "হুজুর ফাতিহার আগে হাত বাধতে হয়। হাত কোথায় বাধব?"
- হানাফি হুজুরঃ "নাভির তলে বাধবি"
- শাফি হুজুরঃ "নামাজে হাত বুকের উপর বাধবি"
- মালেকি হুজুরঃ "তোমরা সবাই ভুল। নামাজে হাত ছেড়ে রাখতে হয়। বাধতে হয় না"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর মাঝহাব দিয়া এ কি সমাধান তিনজনে মিলে দিলেন বুঝলাম না।"
- পান বিক্রেতাঃ "একেক মাঝহাবে একেক বিধান। ইসলাম কি চারভাবে নাজিল হয়েছিল?"
অবস্থা বেগতিক দেখে তিন মাঝহাবি হুজুরঃ এখন আমরা যাই ।পরে তোর সমাধান দিব।
এলাকবাসী সম্পূর্ণ ঘটনা দেখছিলো। তারা এবার হুজুরদের
বললোঃ "এভাবে গেলে তো হবেনা। মাঝহাব দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান করবে বলে মসজিদে গেঞ্জাম লাগাও। আপন ভাইয়ের সাথে ভাইকে লাগিয়ে দাও। এখন ২টা মাসায়ালাতেই তোমরা মাঝহাব দিয়ে সমাধান দিতে পারলে না। মাঝহাব দিয়ে কি ইসলাম তোমরা আমাদের দিবে?" হাতেনাতে ধরা খেয়ে তিন মাঝাহাবি মুফতি লিখে দিল-
"মাঝহাব ইসলামের সমাধান দিতে ব্যর্থ "
# বিঃদ্রঃ "আপনাদের কাছেও মুফতি ও তাদের ভক্তরা এমন ফিতনাহ
করতে এলে বলে দিবেন, আগে প্রমান করে দেখাও চার মাঝহাবই সঠিক।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

রুরু বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ , নজরুল বা এমন কি লালন –শুধুই শিক্ষিত বাঙালীর ড্রইংরুমে।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই বিশাল ভারতে বহু পূর্বেও একবার আগ্রাসন হয়েছিলো। ইরান-আফগানিস্থান থেকে আাসা প্রাচীন আর্য জাতির আগ্রাসন। সেই আর্য জাতি সমগ্র ভারতে তাদের সংস্কৃতি ধারন করে এনেছিলো! সেই সংস্কৃতির বলে বলিয়ান হয়ে এই ভারতের বিভিন্ন উপজাতি যেমন আমরা বাঙ্গালী।

সত্যি কথা বলতে কি সংস্কৃতি গড়ে ওঠে ধর্মের ঘাড়ে ভর করে। এই চির সত্যি যারা জানে না তারা আসলে অহংকারী মনোবৃত্তি পেষন করে। অন্যদের ধার করা সংস্কৃতি নিয়ে যে জাতি নিজেদের সংস্কৃতি গড়ে তোলে তাদেরকে নিয়ে এত অহংকার করার কি আছে?

বাঙালীর যে নিজস্ব আধ্যাত্মিক চিন্তা আছে- যা সহজিয়া, আউল বাউল হয়ে লালন রবীন্দ্রনাথে পূর্নতা পেয়েছে -সেই মাটির ধর্ম সম্মন্ধেই অধিকাংশ বাঙালী বিস্মৃত।

বাউল ধর্ম সম্পর্কে আসলে আপনি কতটুকু জানেন? সেই বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। অন্তত লালনের মাজারের পাশেই আমারা বাড়ি হওয়াতে অন্তত আমি বলতে পারি বাঊল কে কখনই পূনাঙ্গ ধর্ম বলা যেতে পারে না। বাউল একটি দর্শন। সেটিও ধার করা একটি দর্শন। প্রাচীন এই কুষ্টিয়া-যশোর-ঝিনাইদহ এলাকাকে বলা হতো নদীয়া জেলা। এই নদীয়াতেই জন্মেছিলেন হিন্দু ধর্মের অন্যতম মহান ব্যাক্তি শ্রী চৈতন্য। এই শ্রী চৈতন্য মানুষের মানুষের ভেদাভেদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছেন। এবং তার হাতিয়ার ছিলো কীর্তন সংগীত। শ্রী চৈতন্যের এই পন্থাই লালন ব্যবহার করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.