নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখালিখি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। আমার ভাব টুকু সহজে বুঝুক সকলে, এটাই চাই। প্রশংসা, সমালোচনা দুই বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ফেসবুকে আমাকে পেতেঃ https://www.facebook.com/thinker.sifat

মুনাওয়ার সিফাত

এখনো ছাত্র। শিখছি প্রতিদিন। লিখতে পছন্দ করি।

মুনাওয়ার সিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে ভয় ভাবতে বাধ্য করে

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬


মাঝে মাঝে ক্যান্সার, কিডনি জটিলতা, থ্যালাসেমিয়া এসব রোগের কথা ভাবলে আমার ভয় করে। যে পরিবারে কারো এমন রোগ দেখা দিয়েছে সে পরিবারের একেবারে অপূরণীয় ক্ষতে হয়ে গিয়েছে। কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে রোগী যায় তা ভাবলেই আমার গা শিউরে উঠে। রোগীর দীর্ঘদিনের অসুস্থতাকে যদি পরিবার বোঝা ধরে নেয় তাহলে আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি আমার এক ক্লোজ আত্মীয়ের ক্যান্সার স্ট্রাগল করা দেখেছি। একেকটা ক্যামো থ্যারাপির পর একটা মানুষের শরীরের উপর দিয়ে কি যে যায়! ওনাকে দেখেই আমার চোখে পানি চলে আসতো।

১৭/১৮/২০/২৪ বছর বা সদ্য চাকরিতে ঢুকা যুবক যখন জানতে পারে তার মরণব্যাধি ক্যান্সার হয়েছে তখন কেমন লাগে তার? মনে হয় না মাত্র মুখের লোকমা কেড়ে নেয়া হচ্ছে? আমি টাইমলাইনে প্রায়ই এমন জটিলতায় ভোগা ছাত্র-ছাত্রীদের খবর দেখি। ছবি দেয়া হয় যাতে সাহায্য করতে কেউ কার্পণ্য না করেন। আমি ছবিগুলো দেখি আর ভাবি কতটা দুর্বল করে দেয় এই রোগগুলো! তীলে তীলে কষ্ট দিয়ে যায়।

সেদিন রাতে মাথাব্যথা উঠেছিল। ঔষধও ছিল না। অসহ্যকর ব্যথা। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছিলাম শুধু। আমি এই ব্যথা সহ্য করতে পারছিলাম না অথচ স্বাভাবিক আয়ু পেলে বার্ধক্যজনিত যেসব রোগ আসবে সেগুলো কিভাবে সহ্য করবো জানিনা।

ভাগ্য বা তকদিরে খোদা তায়ালা কি রেখেছেন কেউ জানে না৷ অনুমান করাও যায় না। সময় অতীত হওয়ার পর তকদিরে কি ছিল তা জানা যায়৷ এটা সৃষ্টিকর্তা সিস্টেম করে রেখেছেন। আমরা স্রেফ উনি পরীক্ষা নেন এ ব্যাপারে জানি। এবং এটাই আমাদের সান্ত্বনা। যেকোনো কঠিন মুহূর্তে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে "এটা আমার সাথেই কেন হলো?" এই প্রশ্ন রোগী, রোগীর পরিবার সবার মাঝেই আসে।

সূরা বাক্বারার ১৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
"আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।"

এমন কঠিন সময়ে সবাই কি ধৈর্য ধরতে পারে? যদি না পারে তাহলে?

আল্লাহ তায়ালা আমাদের পরিবারকে এসব কষ্টদায়ক রোগ থেকে হেফাজত করুক ও বৃদ্ধকালে বিছানাবন্দী না করুক। আমিন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই রোগগুলি একটা পরিবারের জীবন যাপনের ধারা বদলে দেয় অনেক সময়। ভালো লিখেছেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালোবাসা জানাই।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:




থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার বা কিডনি ড্যামেজের মতো ভয়াবহ না ।
মাইনর থ্যালাসেমিয়ায় ভয়ের কিছু নেই ।
মেজর থ্যালাসেমিয়া চিন্তার বিষয়, তাও সেটা ক্ষেত্রবিশেষে চিকিৎসায় ভালো হয় ।

কঠিন ব্যাধিগুলোতে রোগী এবং পরিবারের সবাই ভুক্তভোগী হয় ।


০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৬

মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা রইল।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

কামাল৮০ বলেছেন: পলিও,কলেরা,ডিপথেরিয়া এগুলির প্রতিষধ মানুষ বের করেছে।এখন আর ভাগ্যে নাই।যে সব রোগের নাম করলেন এগুলিও এক সময় ভাগ্যে থাকবে না।মানুষই মানুষের ভাগ্য নির্ধারন করে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৪

মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: ভাগ্য কর্মে পরিবর্তন হয়। তবে কর্মের মাধ্যমে পরিবর্তন হবে এটাও ব্যক্তিসাপেক্ষে নির্ধারিত হয়ে আছে সৃষ্টির আগে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৩

কামাল৮০ বলেছেন: প্রতিষেধক হবে

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১। আমি ৭ মাস ডায়ালিসিস করিয়েছি আমার শরীরের, প্রথমে সপ্তাহে ২ দিন, পরে সপ্তাহে ৩দিন। তারপর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট।

২। আমার স্ত্রীর ব্লাড ক্যান্সার, সার্জারি হয়, ৬টা কেমোথেরাপি, ১৭টা হরমোন থেরাপি নিতে হয়। একটা মুরগি জবাই করে ছেড়ে দিলে কীভাবে লাফায়? কেমোথেরাপির পর আমার স্ত্রীর যন্ত্রণা ওরকম ভয়াবহ ছিল। আমি তার পাশে। এ দৃশ্য লেখা সহজ, দেখা বা সহ্য করা সহজ না।

আমি নিজে যখন রোগী, আমার স্ত্রীকে দেখেছি, আমার জন্য কী ত্যাগ তাকে করতে হয়েছে।

আমার স্ত্রীর অসুস্থতার সময়ে আমাকে ও আমার আত্মীয়দেরও অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে।

একটা পরিবারে কঠিন রোগাক্রান্ত কেউ থাকলে ঐ পরিবারের জীবন খুব দুর্ভোগময় হয়ে ওঠে।

আল্লাহ সবাইকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।

আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। এগুলো নিয়ে ভেবেছেন, তার মানে নিজেও কিছুটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আছেন। শুভ কামনা ও দোয়া আপনার জন্য। আপনি ইন শা' আল্লাহ ভালো থাকবেন।

অনেক ব্যক্তিগত কথা বলে ফেললাম।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২০

মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: এতটা কঠিন সিচুয়েশন পার করে এসেছেন! আল্লাহ আপনার সহায় হোক। আপনার পরিবারের সবাইকে হেফাজত করুক ও নেক হায়াত দান করুক। আমিন। আপনার স্ত্রীর জন্য আপনার ত্যাগ ও আপনার জন্য আপনার স্ত্রীর ত্যাগ উভয়ের প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা দিবেন ইনশাআল্লাহ। আসলে যে ই এরকম সময়ের মধ্যে দিয়ে যায় সে-ই বুঝে জীবন আসলে কি! আমার সাথে শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। মন থেকে দোয়া রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.