নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখনো ছাত্র। শিখছি প্রতিদিন। লিখতে পছন্দ করি।
পত্রপল্লবের উপরে শহরের যান্ত্রিকতার ধূলো একের পর এক আস্তরণ তৈরি করে ঘন হচ্ছে। একটু ভার বেশি হয়ে যাওয়ায় নুয়ে গেছে পাতাগুলো। সামান্য এই উদ্ভিদ দেহকে ঘিরে চারিদিকে গড়ে উঠেছে ইটের পাহাড় । মনে হবে যেন একটি কার্বন পরমাণু ও দুইটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গঠিত বিষাক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড শোষণের একমাত্র দায়িত্ব আজ তার উপরেই ৷ পাহাড়সম ইটের সমষ্টি গুলোর ফাঁকফোকর দিয়ে সূর্যের আলোর রশ্মি গাছটাকে ছুঁতে চলে আসে। আলোর চিরচেনা বৈশিষ্ট্য বলে কথা! তার বন্ধুকে সে ঠিকই সময় দিচ্ছে।
.
এই যে বর্ষা চলে এল। সে ভেবেছিল যদি বৃষ্টির ফোঁটায় এই দৈতাকার পাহাড়গুলো গলে যেত! তবে সেও দখিনা বাতাসে গা এলিয়ে পাতাগুলোর তালহীন নাচ দেখে মুগ্ধ হতে পারতো। কিন্তু তা তো আর হবে না। সব চাইলেই কি আর পাওয়া যায়? কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টির জলধারা শুরু হয়। শহুরে বৃষ্টির দুটি সুবিধা হচ্ছে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ কম থাকে। টুপ টুপ বৃষ্টির ফোঁটায় পত্রের আস্তরণ ধুয়েমুছে নেমে যায়। তাকে দেখে মনে হয়েছে এই বৃষ্টিতে সে নিদারুণ প্রাণবন্ত! মনে হয় যেন নতুনভাবে ফুটে উঠেছে তার কুমারিত্ব! স্রষ্টা এক দিক থেকে না দিলেও অন্যদিক থেকে ঠিকই দিয়ে দিয়েছেন। এইটুকু বর্ষাতেই যান্ত্রিকতার মাঝে এক টুকরো সবুজের বেঁচে থাকা।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫
মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: পরিপাটি সুন্দর লেখা। গাছেদের গায়ে ধুলোর আস্তরণ দেখলে আমিও তাদের জন্য বৃষ্টির প্রার্থনা করি। মায়া লাগে বেশ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫
মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: বাহ! বেশ।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫
অধীতি বলেছেন: বেলকনিতে বসে সবুজ গাছের দলের বৃষ্টিস্নানের ছবি আর ক'দিন বাদে হয়ত থাকবেনা। হয়ত সেখানে উকি দিবে সিরামিক ভবন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬
মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: দুঃখজনক ও মর্মান্তিক হবে।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৩
netheritejittery বলেছেন: বায়ু সত্যিই অত্যন্ত দূষিত. এখন বাস্তবায়ন শুধুমাত্র পরিবেশে নির্গত গ্যাসের পরিমাণ কমাতে পারে। এটি অবশ্যই করা দরকার। https://minicrossword.io
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বর্ষাকাল শেষ।
আরো একমাস আগে এই লেখাটা লিখলে বেশ হতো।