নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলি, কিছু কথা!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ

খুঁজে ফিরি অর্থপূর্ণ জীবন!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টিকেটের জন্য রাত জেগে থাকা শত মানুষ বনাম রেলের লোকসান

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৩

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, রাত আট টা। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন। একটা টিকেট কাউন্টারের সামনে বেশ কিছু মানুষ সারি বেঁধে বসে আছেন, কেউ দাঁড়িয়েও আছেন। জানতে পারলাম তারা ১১ তারিখের সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকেট কাটতে এসেছেন। টিকেট দেওয়া শুরু হবে আগামী কাল সকাল ৯ টা থেকে, তারা সবাই আগের দিন সন্ধা থেকেই লাইনে আছেন। পরের দিন সকাল ৬ টায় গিয়ে মনে হলো ঈদের সময়কার দৃশ্য! টিকেটের জন্য লম্বা লাইন একে বেকে স্টেশনের বাইরে চলে গেছে। ৬ তারিখেই জানা গিয়েছিল ১০ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার কোনও টিকেট নেই, এরা সবাই তাই ১১ তারিখের টিকেটের জন্য লাইনে আছেন। !

রেলের টিকেটের এত চাহিদা তাহলে রেল প্রতি বছর লোকসান কিভাবে দেয়?

উত্তর পেয়েছি গত ১ তারিখ ঢাকা থেকে মহানগর গোধূলী ট্রেনে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময়। অনেক কষ্টে তিন টা টিকেট পেলাম। স্টেশনে গিয়ে দেখলাম অনেকে টিকেটের জন্য ঘুরছেন, জানলাম তারা নাকি টিকেট পাচ্ছেন না। অথচ ট্রেনে গিয়ে দেখলাম অনেক সিটই খালি পড়ে আছে! তার মানে কী?



সুবর্ণ এক্সপ্রেস দেশের ভিতরে চলাচল করা সবচেয়ে সেরা ট্রেন। অথচ কেমন এর ব্যবস্থাপনা? সিট পরিষ্কার হরা হয় না মনে হয় বহুদিন। অনেক সিটের গিয়ার কাজ করে না, অনেক জানালা ঠিক মতো খোলা-লাগানো যায় না, সিটের অনেক ট্রে ভাঙ্গা!

এত কিছুর পরেও মানুষ ট্রেনে যেতে চায়, যায়ও প্রতিদিন। কিন্তু এর পরেও কিভাবে রেল বিভাগ এত লোকসান দেয়, এ প্রশ্নের উত্তর যাদের খোঁজার কথা তারারই যে প্রশ্ন তৈরি করে চলেছেন প্রতিদিন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ভাইরে রেলের ভিতরের সিন্ডিকেটের জন্য এমনটি দায়ী। তাছাড়া মোবাইল কোম্পানী গুলো যে পরিমাণ কোঠার সিট নিয়ে রাখে সেগুলো কজনই বা কিনে। বেশীর ভাগ মানুষই কাউন্টার থেকে টিকেট কিনে। আর মোবাইলে যে টিকেট কিনতে পাওয়া যায় সেটা জানলেও ব্যবহার খুবই কমই হচ্ছে।

আর সিন্ডিকেটের ভিতরে কিছু কালোবাজারি আছে যারা টিকেট কিনে উচ্চ মূল্যে বিপদগ্রস্থ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে। ঐদিনেরই ঘটনা। আমার মা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ট্রেনে করে আসতে চেয়েছিল। তো সুর্বণ, মহানগর প্রভাতী, ও গোধূলী একটারও টিকেট নেই। সুর্বণ নেই সেটা বিশ্বাসযোগ্য কিন্তু বাকি দুটি ট্রেনের ভৈরব পর্যন্ত নাকি টিকেট নেই। এরপর আর কি করা। পরে বাসে এসে পরেছে।

ট্রেনের ভাড়া শুধু বাড়িয়েছে, সে পরিমাণ একটু বাড়ে নি। তাছাড়া সিলেটের ট্রেন তো আরও বাজে অবস্থা!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.