নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং উত্তরাঞ্চলের বড় অংশ বন্যায় তলিয়ে আছে। সংবাদপত্রে-টেলিভিশনে তাদের দুর্ভোগের কথা প্রচারিত হচ্ছে নিয়মিত। অপ্রতুল ত্রাণ তৎপরতার কথাও ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে, কিন্তু বন্যার্ত মাুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সারাদেশ জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগের মতো তেমন কোনও স্বতস্ফূর্ত উৎসাহ, সংশ্লিষ্টতা তেমন একটা চোখে পড়ছে না। তাছাড়া উপরের শিরোনামের মতো করে প্রায় হুবহু খবর চোখে পড়েছে দু-একটি পত্রিকায়। এসব নেতিবাচত খবর সহজেই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পাঠক ঋণগ্রস্ত লোকটি বা পরিবারটির জন্য আফসোস করেন, আর এনজিওর লোকজনদেরকে ইচ্ছে মতো গালাগাল করে শান্তি খোঁজার চেষ্টা করেন।
নিজেও যেহেতু এনজিওতে কাজ করি, তাই কয়েকটা গালি নিজের উপর পড়ে যায় বলেই অনুভব করি। কিন্তু আসলে বিষয়টা কী? কেনই বা এনজিওর মাঠ পর্যায়ে স্বল্প বেতনে কাজ করা কর্মীটি এই দুর্দিনেও ঋণের কিস্তি আনতে যায়? এনজিওরা কি শুধু বন্যার্তদের কাছে ঋণের কিস্তি আনতেই যায়? নাকি ত্রাণও নিয়ে যায়?
দেশের এনজিওদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হলো মাইক্রোক্রডিট রেগুলেটরি অথরিটি বা এমঅারএ। এমআরএ এনজিওদের 'পরামর্শ' দিয়েছে দুই মাস ঋণের কিস্তি আদায় না করতে (কোন কোন পত্রিকা বলছে নির্দেশ দিয়েছে)। এমআরএ এ উদ্যোগের জন্য বাহবা পেতেই পারে। কিন্তু যদি বলি এমআরএ-এর এই ঘোষণা অনেকাংশেই শুধু বাহবা পাওয়ার জন্যই!? কাজের কাজ কিছুই হবে না! এমআরএ-এর উচিৎ ছিল এনজিওদের পরামর্শ বা নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন বা পিকেএসএফ-এর সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলা। তাদেরকেও এই বিষয়ে রাজি করানো। তাহলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই ঘোষণা বাস্তবায়ন করা যেত। এ ছাড়া যা বছর খানেকের মধ্যে বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কর্মরত এনজিওগুলো ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে পিকেএসএফ'র আর্থিক সহযোগিতায়, সংস্থাটির কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। পিকেএসএফ থেকে ঋণ নিয়েই অধিকাংশ সংস্থা কাজ করে, প্রতি মাসে কিস্তিতে এই ঋণ শোধ করতে হয়। ঋণ শোধ করার ব্যাপারে আছে কঠিন সব নিয়ম কানুন, যেগুলো এনজিওগুলোকে মা্নতেই হয়। এনজিওগুলো ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা তুলেই পিকেএসএফকে দেয়, পিকেএসএফ যদি তাদের কিস্তি মওকুফ না করে তাহলে ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করে রাখা কোনভাবেই এনজিওদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কারণ দুই মাস নিজের তহবিল থেকে ঋণের কিস্তি শোধ করার ক্ষমতা মাঠ পর্যায়ে কাজ করা অনেক এনজিওরই নেই।
সুতরাং শিরোনামের মতো নেতিবাচক অবস্থার অবসানে বা প্রতিরোধে এমআরএ নয়, আগে উদ্যোগী হতে হবে পিকেএসএফকে।
এনজিওরা কিন্তু এই বন্যায় ত্রাণ নিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি বলছি না সব এনজিও ধোয়া তুলসি পাতা। ভাল তো কিছু অাছে, সেটাও যেন আমাদরে মনে থাকে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
মুনিরেভ সুপ্রকাশ বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংক বললেই তো কাজ হবে না। আসল কাজটা হবে যদি পিকেএসএফ বলে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে না এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল , খবরে দেখেছিলাম !!!