![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতার সমঝদার পাঠক আমি নই, তবে কবিতা পড়তে আমার ভাল লাগে। কবিতা পড়ার চেষ্টা করি, মুশকিল হলো এখনকার অনেক কবিতাই পড়ে বুঝতে পারি না। অবশ্য এগুলো নাকি না বোঝারই কথা! বেশ কিছুদিন আগে কবিতা লিখেন এমন একজন বলছিলেন, উত্তরাধুনিক কবিতা যদি পুরোপুরি বোঝা যায়, তবে সেটা উত্তারাধুনিক কবিতা নয়!! সাধারণ একজন পাঠক হিসেবে অামার প্রশ্ন হলো, কবিতা যদি বোঝাই না যায়, পাঠক যদি নাই বা বুঝতে পারে তবে সেই কবিতা প্রকাশ করার দরকারটা কী? নিজের কাছেই রেখে দিন। আমার এক বন্ধু মজা করেই বলেন, এখন কবিতা লেখা খুবই সহজ। যা মনে আসে একটা প্যারায় লিখে ফেল, তারপর কিবোর্ড-এর এন্টার বাটন চেপে চেপে এই প্যারাকে কয়েকটা লাইন বানিয়ে ফেললেই কবিতা হয়ে গেল!! অবশ্য এর স্বীকৃতি পেতে হলে কোনও একটা পত্রিকার সাহিত্য পাতার সম্পাদকের অনুকম্পা লাগবে।
কথাগুলো মনে হচ্ছিল একটু আগে একটা কবিতা পড়তে গিয়ে। কবিতাটি ছাপা হয়েছে আজ একটি পত্রিকার সাহিত্য পাতায়। কবি লিখেছেন, তিনি যখন কলকাতায় যান, তখন তিনি ঢাকায় থাকেন না। আমার স্বল্প জ্ঞানে আমি বুঝলাম, তিনি হয়ত কলকতাায় যখন যান তখন যে মনের দিক থেকে ঢাকায় থাকেন না, সেটা বলতে চাইছেন। তিনি বলছেন, ‘কিছুতেই’ তিনি ঢাকায় থাকেন না। তার মানে, মনের তিক থেকেও তিনি ঢাকায় থাকেন না। হতে পারে হয়ত তিনি অভিমান করেই বলছেন, আসলে তিনি কলকাতা গেলেও তার মনে পড়ে থাকে ঢাকায়। কারণ তিনি যখন কোথাও যাব যাব করেন তখন কচুক্ষেত, গ্রিন রোডের কথা মাথায় আসে, কিন্তু কার সামনে টাক্সি এসে ডাক দেয় পার্ক সারকাস বলে!
তিনি বলছেন, বাল্টিামোরের ব্যাপারটাই যদি ধরো, চাঁটগার বাবার বাড়িটির জানালায় তখন কেমন ভেজা নক্ষত্রের ঝাপটা, সাদা ওড়নার লতা!
কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা হলে তিনি হয়তো বাল্টিমোরের ব্যাপরটা বুঝতে পারছেন, আমার মতো নাদান পাঠক কী করে বুঝবো বাল্টেোরের ব্যাপারটার সঙ্গে ওনার বাবার বাড়ির নক্ষত্রের রাতের সম্পর্ক?
তিনি শেষ করেছেন একটা অাফসোস দিয়ে। বলছেন, তার অনেক পাওনা, তা না নিয়ে তিনি কিভাবে ফিরবেন তা তিনি জানে না!
অন্তত শব্দগুলো বেশ ভালভাবে বুঝতে পেরেছি, বুঝতে পেরেছি বাক্যগুলোও। এজন্য ধন্যবাদ কবিকে। অনেকে তো মনে হয় বাংলা ডিকশানারি কাছে নিয়ে লিখতে বসেন, তারা মনে করেনি কঠিন কঠিন শব্দ যদি নাই থাকে তবে আর কবিতা কিসের?
এখনকার কবিতা প্রায়শই একটি বিষয়ের উপর লেখা হয় না, একই সঙ্গে নানা বিষয় থাকে। কাছ থেকে দেখেছি একজন কবি একেক সময় সুন্দর সুন্দর কয়েকটা লাইন মনে হচ্ছে তিনি সেটা লিখে রাখছেন। পরে হয়ত আরও একটা বিষয়ে তার কয়েকটি লাইন মনে হলো, তিনি লিখে ফেললেন। তারপর একদিন সবগুলো লাইনকে পর পর সাজিয়ে দিলেন, ব্যস হয়ে গেল কবিতা!
দ্বিধাহীনভাবেই বলি, এই কথাগুলো কতিপয় কবিতা লেখকের বেলাতেই প্রযোজ্য। এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে নাম উচ্চারণ করা যায় এমন কবিও আছেন, যাদের কবিতা পড়ে চিত্তে আনন্দ আর চেতনা জাগ্রত হওয়ার মতো সব উপকরণই আছে।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
হামিদ আহসান বলেছেন: এখন তো কবিতার আগা মাথা কিছুই খুঁজে পাইনা।