নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলি, কিছু কথা!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ

খুঁজে ফিরি অর্থপূর্ণ জীবন!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বনাম ধর্ম ভিত্তিক ধান্ধা!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

একটা কিছু হলেই আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। শুনলাম সরকারি একটি ব্যাংকের ক্যালেন্ডারে মন্দিরের ছবি থাকায় সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে। মসজিদের পাশাপাশি মন্দিরের ছবি থাকায় সেটা ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত করে, তাই এই ব্যবস্থা! হাজার হাজার কোটি টাকা যখন চুরি হয়ে যায়-লুটপাট হয়, তখন এই অনুভূতিটা কোথায় থাকে? ধর্মটাই বা কোথায় থাকে?
ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোনও ধর্ম-এর প্রতি আমার কোনওবিদ্বেষ নেই, থাকার প্রশ্নও আসে না। আমার আপত্তি বরং ধর্মটা বর্ম করে যারা আকাম-কুকাম করে বেড়ায় তাদের ব্যাপারে।

আমি অন্তত তিনজনকে চিনি, যারা শুধু নিজেরা ধর্ম- কর্ম করেই শান্তি পান না, অন্যকেও উঠতে বসতে পরামর্শ দেন। অন্যকে সালাম দেওয়ার সুযোগই দেন না। অথচ আমার চেনা-শুনা মানুষদের মধ্যে এরাই সবচেয়ে বেশি মিথ্যা কথা বলেন, এরাই সবচেয়ে বেশি মানুষের গিবত করেন। এটাকে কী বলা যাবে?

সাম্প্রতিক একটা উদাহরণ দেই। একটা প্রতিষ্ঠানের ছাপার কাজ করেন একজন ‘হাজী’। কথাবার্তায় একেবারে সহীহ! জানা গেল গত দশ বছর ধরে তিনি ভ্যাট-ট্যাক্স জমার ভুয়া রশিদ দেখিয়ে যাচ্ছেন। ছাপার কাজ করতে গিয়ে যে ভ্যাট জমা দেওয়ার কথা, সেটা তিনি আসলে জমা দেননি, আর ঐ অফিসে সরবরাহ করেছেন ভুয়া-জাল কাগজপত্র!!
একটি টিভি চ্যানেলে গরিবের জন্য সরকারের পরিচালিত ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহের অনিয়মের উপর একটা প্রতিবেদনে দেখা গেল, একটা সিন্ডিকেট গরিবের জন্য বরাদ্দ কম মূল্যের এই চাল-ডাল নানা ছলেবলে বাইরে বেশি দামে বিক্রি করছে। সিন্ডকেটের অন্যতম প্রধান যিনি তিনি দাঁড়ি-গোফে মেহেদি দেওয়া-আলকেল্লা পড়া হুজুর!!
রাজধানীর কাওরানবাজার থেকে আটক হওয়া ভুয়া দাতের ডাক্তারদের বেশিরভাগই কিন্তু লেবাসধারী!

ইসলামের নামে প্রাতিষ্ঠানিক জালিয়াতিরও অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। ‘ইসলামিক’নামের হায় হায় কোম্পানি বেশ কিছু টাকা পয়সা নিয়ে হাওয়া গেছে এমন উদাহরণ আছে।

ব্যক্তিগত আরেকটা উদাহরণ দেই। বছর পাঁচেক আগের কথা। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাব। সায়েদাবাদে বিভিন্ন কাউন্টারে খোঁজ খবর নিচ্ছি। হঠাৎ পুরোদস্তুর মৌলভীর পোশাক পড়া এক কাউন্টার ম্যানেজারের দিকে নজর গেল। আশা জাগলো, ওনার কাছে যাই, ঠকবো না নিশ্চয়ই! চকরিয়া পর্যন্ত একটা টিকেট চাইলাম। ওনি জানালেন, নতুন নিয়ম হয়েছে, এখন থেকে চকরিয়া গেলেও কক্সবাজারের সমান টাকা দিতে হবে। বিশ্বাস করলাম, নিলাম। বাসের সুপারভাইজার টিকেট নিয়ে জানতে চাইলো কোথায় নামবো, জানালাম চকরিয়া। এর পর যা শুনলাম, তাতে বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম।
আসলে ঢাকা থেকে চকরিয়ার টিকেট ছিল ৪০০ টাকা, আর কক্সবাজার ৪৫০ টাকা।৫০ টাকার জন্য মিথ্যা বলেছিলেন ঐ হুজুর টাইপের লোক। পরে একদিন তাঁকে খুজে বের করে এই কথাটা বলেছিলাম তাকে!

এগুলো কেন আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে অাঘাত করে না??!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: অফিস করতে গেলে নির্দিষ্ট ড্রেসকোড মানতে হয় তেমনি ধর্ম-ব্যবসাতেও নির্দিষ্ট ড্রেসকোড আছে...বোঝা গেল!

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ভাইরে হজ্জ করেছে মানেই কী ঈমানদার, ঈমানদার হতে মুসলিম হওয়া আবশ্যক।
আর মুসলিম, থাক আর নাই বললাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.