নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলি, কিছু কথা!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ

খুঁজে ফিরি অর্থপূর্ণ জীবন!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং সামাজিক সংকটের আশংকা

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪১

কক্সবাজারে সাম্প্রতিক সফরে কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করে, খুব শ্রদ্ধাভাজন একজনের সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের আলাপচারিতার পর থেকে মাথায় ঘুরছে বিষয়টা!

বিশ্বের নানা প্রান্তে স্থাপিত শরণার্থী শিবিরগুলোর সঙ্গে আবশ্যিকভাবে এসেছে নানা যৌন কেলেংকারির ঘটনা। ২০০১ সালে গিনি, সিয়েরা লিওন, আর লাইবেরিয়ার বিভিন্ন শিবিরে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে বিশ্বব্যাপী। এতদিন গোপন করে রাখা এই রিপোর্ট অনুযায়ী এসব শিবিরে কর্মরত ৪০টি সংস্থার কর্মীরা সাহায্য করা বা খাবার দেওয়ার বিনিময়ে শরণার্থী শিশুদেরকে তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে! ২০১২ সালে উসান্ডার শিবিরগুলোতে প্রায় ৪৫% নারী সরাসরি যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন । ২০১১ সালে হাইতিতে শিবিরে আশ্রয় নেওয়া কিশোরীদেরকে অর্থের বিনিময়ে, খাদ্যের বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া যায়, অফিস প্রধানের সঙ্গে এ ধরনের সম্পর্ক স্থাপন না করায় অধস্তন অনেকের চাকরি চলে যাওয়ারও অভিযোগ উঠে আসে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কী অবস্থা? কী অবস্থা কক্সবাজার এলাকায়? খোঁজ খবর নেওয়ার খুব দরকার, দরকার সরকারের কঠিন নজরদারি।

ইতিমধ্যেই স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের যৌন পেশায় জড়িয়ে যাওয়া, নারী ও শিশু পাচার হয়ে যাওয়াঢ় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এই সংবাদগুলো কতটা সত্যি জানি না। এ বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন। আমি বরং চিন্তিত অন্য একটা সামাজিক সমস্যার আশংকায়!

রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করতে প্রচুর বিদেশী নারী-পুরুষ এখন কক্সবজারে। এদের বেশির ভাগই আসছেন অল্প কয়েক দিন বা মাসের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রায় সবাই এখানে এসেছেন পরিবার-পরিজন ছাড়া। এখানে এসে নতুন সম্পর্কে জড়ানো, পাশ্চাত্যের ধাঁচে পার্টনার বানানো, জৈবিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নানা পথ-পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা থাকাটাই তাই স্বাভাবিক! পরিণাম না ভেবেই বিদেশিদের সঙ্গে অস্থায়ী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া আমাদের এক শ্রেণির ছেলেমেয়ের জন্য খুবই সহজ! এমনকি পুরনো পরীক্ষিত সম্পর্ককে ত্যাগ করে হলেও! পেশার উৎকর্ষ আর আর্থিক নিরাপত্তার লোভ এখানে ভয়ঙ্কত ভূমিকা রাখে।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে অনেক ছেলেমেয়েও কক্সবাজারে চাকরি করছেন, থাকছেন পরিবার থেকে দূরে। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর অনেকেই আড্ডা আর আলাপচারিতার মধ্যেই খুঁজে নিচ্ছেন প্রশান্তি। এর সূত্র ধরে তৈরি হচ্ছে সম্পর্ক, আঘাত আসছে পুরনো সম্পর্কে।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বা সদ্য পাশ করা অনেক ছেলেমেয়ে চাকরি করছে বিভিন্ন সংস্থায়। তাদের পক্ষে ভুল করা সহজ, নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়াও সহজ। অনেকে হয়ত ফাঁদে পড়ে এমন ভুল করে ফেলছেন, যার মাশুল দিতে হবে সারা জীবন। ইতিমধ্যে অল্প বয়সী- নবীন ছেলেমেয়েদেরকে অফিস প্রধান বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিপীড়নের ঘটনার কথাও পত্র পত্রিকায় এসেছে।

কক্সবাজারে এখন অনেক টাকার লেনদেন হচ্ছে। টাকার ঝনঝনানির কারণে সামাজিক এসব সংকটের আশংকাগুলো হয়ত টের পাওয়া যাচ্ছে না এই মুহূর্তে । কিন্তু, ভয় হয়, এখনই সচেতন না হলে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরে হয়ত আফসোসের বিলাপ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু কক্সবাজার না, সব জেলায় একই চিত্র।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
এই ছবিটি / সমস্যা কেবল রোহিঙ্গা শিবির বা কক্সবাজারের নয় । বরং এই পরিস্থিতি পুরো দেশে, পুরো বিশ্বে ।
আর এখন যেই অবস্থা , আপনি খাইলেও ভূগবেন না খাইলেও ভূগবেন :(( মুক্তি নাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.