নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলি, কিছু কথা!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ

খুঁজে ফিরি অর্থপূর্ণ জীবন!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ত্রাণ বাণিজ্য!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫

কিছু বিদেশী সংস্থা আর বিদেশী কর্মীর ‘ত্রাণ বাণিজ্য’ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হবে। বিদেশী সাহায্য-সহযোগিতা দরকার আছে অবশ্যই, কিন্তু পুরো ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে সরকারের হাতে, কোনও বিদেশী সংস্থার হাতে নয়। রোহিঙ্গাদের জন্য মায়াকান্না রত তথাকথিত মানবিক ত্রাণ কর্মী নামের যে বিদেশীরা আছে, তাদের বেতন ১০০০ টাকা কমিয়ে দিলেও রোহিঙ্গাদের সেবায় তাঁদের আর পাওয়া যাবে না! লুটপাটের সুবিধার্থে এরা (১) সব তথ্য প্রকাশ করে না। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ২০২০ সালের জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, সেই পরিকল্পনায় কী আছে, দিনের পর দিন চেষ্টা করেও তা জানতে পারেনি স্থানীয় মানুষ ও স্থানীয় সংগঠন! খসড়া চূড়ান্ত করার মাত্র অল্প কিছু সময় আগে এটা দেখতে দেওয়া হয়। (২) কোথাও যেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও শব্দ উচ্চারণ করা না যায়, এ ব্যাপারে তারা উগ্রভাবে তৎপর! আজ একটি সভায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে স্থানীয় মানুষ কী ভাবছে সে ব্যাপারে কথা বলছিলাম, , অন্য কোনও বিষয়ে মন্তব্য না থাকলেও, বিদেশী সংস্থার বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষণের তীব্র ক্ষুব্ধ হলেন এক বিদেশী ত্রাণজীবী! শুরু করলেন আক্রমণ! সেই আক্রমণে আমি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বর্ণবাদী-মুনাফালোভী রবার্ট ক্লাইভের ছায়া দেখেছি। দেশের প্রতি, সংস্থার প্রতি অপমান সইব কী করে? বলা বাহুল্য উচিৎ জবাব দিয়েছি আমিও! বিদেশীর ক্ষোভের কারণ জানি, রোহিঙ্গাদের নামে অর্থ এনে তার ৬৫ শতাংশই নিজেদের জন্য খরচ করছে বলে অভিযোগ আছে খোদ সরকারের র্শীষ পর্যায় থেকেই। তাদের কাছে আসলে চাকরি আগে, রোহিঙ্গা তার পর, আর সবার পরে বাংলাদেশ! কিন্তু বাংলাদেশীদের কাছে? সভায় উপস্থিত বাংলাদেশীদের প্রতিক্রিয়া দেখে কষ্ট পেয়েছি। সবাই চুপ, চাকরির মায়ায় দেশকে গোল্লায় যেতে দেখাটা এদের কাছে কত সহজ! লজ্জা, ধিক তাদের। শুধু একজনকে পেলাম, যিনি আমাকে দিলেন পুর্ণ সমর্থন!
সভায় উপস্থিত থাকা বিদেশীদের বক্তৃতার মূল কথা: কয়েকটি সংস্থা ছাড়া রোহিঙ্গা কর্মসূচির বিষয়ে কোনও কিছু বলার আসলে কারো অধিকার নাই, সমালোচনা তো করাই যাবে না। এমনকি স্থানীয় মানুষ, যারা এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত, তারাও যদি তাদের দুঃখের কথা, ক্ষোভের কথা বলতে চায়, তবে সেটা বলতে হবে ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি’ অবলম্বন করে! শুধু তাই নয়, স্থানীয়দেরকেও আগে তাদের বক্তব্য ঐ বিদেশীদেরকে দের্খিয়ে, তারা যদি অনুমোদন দেয়, তবেই সেটা প্রকাশ্যে বলতে হবে!
প্রতিবাদ করেছি। বলেছি স্থানীয় মানুষ ভুল বললেও সেটা তাকে বলতে দিতে হবে, তার কথা শুনতে হবে। ভুল-শুদ্ধ সেটা পরে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
কক্সবাজারের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বার্থে, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে চাইলে, স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকেই পুরো ব্যবস্থাপনার নিয়স্ত্রণে আনার এখনই সময়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: চোরের দেশ। এটা চোরের দেশ। সুযোগ পেলেই সকলে চুরী করতে ওস্তাদ।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চোরের খুনি আছে আমাদের

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.