নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলি, কিছু কথা!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ

খুঁজে ফিরি অর্থপূর্ণ জীবন!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের অকৃতজ্ঞতা বোধ!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫

সফল হয়ে গেলে আমরা দিব্যি ভুলে যাই এই সাফল্যের পিছনে যাদের ভূমিকা আছে, তাদের কথা! জোর করে ভুলে যাওয়ার ভান করি নিজের অতীত। কিন্তু ঠিক উল্টোটা করলেন হিন্দি সিনেমার এই সময়কার মহা তারকা রনবির সিং! পরশু সম্প্রচারিত দেশটির সিনেমাজগতের সবচাইতে সম্মানজনক ‘ফিল্মফেয়ার’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী ভুমি পাটনেকারের নাম ঘোষণার সময় অকপটে তিনি বলতে থাকেন, এই সেই নারী যার কারণে আমি আজ হিন্দি সিনেমায় আসতে পেরেছি! এই ভুমিই তাঁকে প্রথম সুযোগ দিযেছিলেন সিনেমায় অভিনয়ের। কী দরকার ছিলো এটা বলার?! তিনি বলেছেন, কারণ তাঁর মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ আছে।
পংকজ ত্রিপাঠি। হিন্দি সিনেমার একজন শক্তিশালী অভিনেতা। তিনি এক সময় একটি হোটেলে রান্নাঘরে সহকারীর ছোট কাজ করতেন। সেই হোটেলে একবার থাকতে এলেন আরেক শক্তিমান অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ি। রুম সার্ভিসের লোকজনকে অনেক অনুরোধ করে মনোজ বাজপেয়ির রুমের সব কাজের দায়িত্ব নিজেই নিলেন। উদ্দেশ্য কাছে থেকে শ্রদ্ধার সেই মানুষটাকে দেখা। সুযোগ পেয়ে পা ছুঁয়ে প্রণামও করেছেন। মনোজ বাজপেয়ি হোটেল ত্যাগ করে যাওয়ার সময় তাঁর একজোড়া স্যান্ডেল ভুলে ফেলে যান। হোটেলের কর্মচারীদের কাছে এই খবর পেয়ে অনেক বলে-কয়ে সেই স্যান্ডেল জোড়া নিজের কাছে নেন পংকজ ত্রিপাঠি। উদ্দেশ্য? তাঁর নিজের ভাষায়-‘গুরুর জুতা পায়ে’- বাক্যটা আর শেষ করতে পারেননি তিনি, কেঁদে ফেলেন! আজ পংকজ ত্রিপাঠি একজন সফল অভিনেতা, প্রায় ৬০টি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন, পেয়েছেন বেশকিছু পুরস্কারও। এরপরেও এই গল্পটি তিনি বলেছেন প্রকাশ্যে, তাও আবার কপিল শর্মা শো-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে! এত সাফল্যের পর এসব কথা না বললেও পারতেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, কারণ তাঁর মধ্যে সেই কৃতজ্ঞতাবোধ আছে।
নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি শক্তিশালী অভিনেতা হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এক সময় সবজি বিক্রি করতেন, দুধ ফেরি করে বেঁচতেন! এই কথাগুলো কোনও রাখঢাক না করে প্রায়ই তিনি বলেন।
আমাদের একজন উপস্থাপিকার কথা মনে পড়ছে। দারুণ জনপ্রিয় একজন রান্না বিশারদের টিভি অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করতেন তিনি। মূলত এই অনুষ্ঠানই তাঁকে পরিচিত করে তুলে। এক অনুষ্ঠানে তাঁর ক্যারিয়ারে সেই রান্না বিশারদের ভূমিকার কথা জানতে চাইলে দিব্যি অস্বীকার করে বসেন তিনি! খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
আমাদের দেশেও অনেক সংগ্রাম করে, নিজের প্রতিভা প্রমাণের মাধ্যমে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। কিন্তু কেন যেন, প্রতিষ্ঠার পরপরই তাঁদের প্রথম সংগ্রাম-প্রচেষ্টা হয়ে যায় নিজের অতীতকে অস্বীকার করার। কেন?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম উদাহরন সমাজে ভুরি ভুরি আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.