নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলি, কিছু কথা!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ

খুঁজে ফিরি অর্থপূর্ণ জীবন!

মুনিরেভ সুপ্রকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেলওয়ে বুক স্টল

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২২


রেলওয়ে বুক স্টল- নামের স্বার্থকতা রাখতে নাম কাওয়াস্তে কতগুলো ছেড়া ম্যাগাজিন আর বই আছে বৈকি! চারপাশে প্রবল প্রতাপে ঝুলানো রয়েছে অসংখ্য মাস্ক।

কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশনে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে দেখলাম, উন্নয়নকর্মের ধাক্কায় প্রায় নিখোঁজ বইয়ের দোকানগুলো। বাহারি নানা দোকানের চাকচিক্য বেড়েছে,, কিন্ত পত্রিকা আর বইয়ের দু্টি দোকানের একটি খুঁজেই পেলাম না, আর একটির এই দশা!

মনে আছে স্কুলে পড়ার সময় এখানেই পরিচয় হয়েছিলো 'খবরের কাগজ' নামের দারুণ এক সাপ্তাহিক পত্রিকার। ড. আহমেদ শরিফ, মোজাফফর আহমেদ, মুনতাসির মামুন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ অনেক কলাম লেখকের সন্ধান পাই কাজী শাহেদ সম্পাদিত এই খবরের কাগজের মাধ্যমেই। এখানেই পাওয়া যেতো সুগন্ধা, যায় যায় দিন, আজকের সুর্যোদয় নামের অসাধারণ সব রাজনৈতিক ম্যাগাজিন। ছয় টাকায় কিনতাম উন্মাদ নামের কার্টুন পত্রিকা। পাওয়া যেতো ছায়াছন্দ, মনোরমা, ক্রীড়ালোক, ক্রীড়াজগত, কিশোর তারকালোক, তারকালোক, বর্তমান দিনকালসহ আরও কত কত জ্বলজ্বলে ম্যাগাজিন। আমার স্কুল ছিলো স্টেশনের কাছাকাছি, টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে স্কুল থেকে ফেরার সময় কিনে নিতাম ম্যাগাজিন।

এই দুই বুক স্টলের মালিক আর কর্মচারিদের আমি দেখতাম ভীষণ ঈর্ষার চোখে! ফ্রি ফ্রি কত পত্রিকা-বই তারা পড়তে পারছে। আমার তো সাধ্য ছিলো না সব কেনার, মাঝেমধ্যে অবাক হয়ে শুধু ঝুলিয়ে রাখা ম্যাগাজিন আর বইয়ের প্রচ্ছদ দেখতাম। স্টলের সামনে সবসময়ই বেশ ভিড় লেগে থাকতো, ভিতরে বসা লোকগুলোর ভাবসাবও ছিলো আলাদা!

সেই উজ্জ্বল বুক স্টলের আজ জীর্ণ-শীর্ণ এই দশা! দেখে কষ্টই লাগলো বেশ!

আর একটা অদ্ভূত বিষয় দেখলাম রেল গাড়িতে বসে। রেল গাড়িতে অনেকেই পত্রিকা বিক্রি করতো। একজন ছিলেন বেশ বিখ্যাত। তাঁর কাছেই সবচেয়ে বেশি পত্রিকা , ম্যাগাজিন আর বই পাওয়া যেতো। মাসুদ রানার বই বিক্রি করতেন বেশি। কিশোরগঞ্জ ষ্টেশনে শুরু করে বিক্রি করতে করতে বাজিতপুর ষ্টেশনে তিনি নেমে যেতেন। বাজিতপুর স্টেশনে ছিলো তাঁর ছোট একটা পত্রিকার দোকান। তিনি যখন গাড়িতে বিক্রি করতেন, দোকান চালাত তাঁর ছোট একটা ছেলে। আমি দুজনের কাছ থেকেই পত্রিকা কিনেছি। আজ দেখলাম রেলে পত্রিকা বিক্রি করছে তাঁর সেই ছেলে! একটা পত্রিকা কিনলাম। তাঁর সঙ্গে অনেক গল্প করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, হলো না! ভাবছি কোন একদিন বাজিতপুর গিয়েই তাঁর সঙ্গে অনেক গল্কপ করবো। জানাবো কৃতজ্ঞতাও! আমি কিছুদিন বাজিতপুর ছিলাম, তখন এই ক্ষুদে বিক্রেতা আমার জন্য এক কপি ভোরের কাগজ পত্রিকা রেখে দিতো! অই এলাকায় তখন ভোরের কাগজ কেউ পড়ে না, শুধু আমার জন্য কয়েকদিন আনা হতো!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৭

আশিকি ৪ বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.