![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের যত লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়, এই মহাবিশ্বের আর কাউকে সেটা দিতে হয় না। সম্ভবত প্যারালাল ইউনিভার্সেও নয়। এই নিয়ে আমার একটি লেখা আজকের প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে -
ওদের পরীক্ষাযন্ত্রণা থেকে রেহাই দিন - এই শিরোনামে।
এর আগে এমন আর একটা লেখা লিখে বাংলাদেশ সরকারের একজন সচিবের রোষের মুখে পড়েছিলাম। সেই লেখাটি ছিল জয় পরীক্ষা! জয় সার্টিফিকেট শিরোনামে।
গতকাল একটা কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন দেখেছি - এই মাস থেকে শুরু হবে জেএসসির মডের টেস্ট!
মাত্র হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষা হয়েছে। এখনই চূড়ান্ত পরীক্ষার মডেল টেস্ট!!!
আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে। চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুলে পড়ার সময় আমার একটা কাজ ছিল সকালে পত্রিকা পড়ে বের করা কোন বিশষে দিন কিনা। যাতে আধাবেলা পর ছুটি পাওয়া যায়।
স্কুল পালিয়ে রঙ্গম সিনেমায় সিনেমা দেখার কথাও মনে পড়ে।|আরো ছোট বেলায় মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি স্কুলে পড়ার সময় সকালের দিকে আমার প্রায়শ পেটে ব্যাথা করতো আর দশটা বাজলেই সেই ব্যাথা চলে যেত!
সমকালের একটি গোলটেবিল বৈঠকে একজন এমপি একটি মজার কথা বলেন। বিজ্ঞান জাদুঘরের একটি মিউজু বাস আছে। তাঁর এলাকায় সেটি যাবার পর তিনি লক্ষ করেছেন শিক্ষার্থীরা এমন সব এক্সপেরিমেন্ট দেখে আপ্লুত হচ্ছে যেগুলো তার আমলে তারা করেছেন স্কুলে। তিনি বুঝেছেন এখন আর স্কুলে কোন ব্যবহারিক ক্লাশ হয় না, ব্যবহারিক ক্লাশের বিষয়টাকে মুখস্ত করিয়ে ফেলা হয়!
গণিত অলিম্পিয়াড শুরু প্রথম বছরে আমি ঢাকার একটি বিখ্যাত স্কুলে গিয়েছিলাম ভ্যেনু চাইতে। তখন স্কুলের অধ্যক্ষ আমাকে জানালেন - শুক্র শনিবার তার স্কুল যদিও বন্ধ কিন্তু ভ্যেনু দেওয়া যাবে না। কারণ রোববারে তাঁর স্কুলে ড্রিল পরীক্ষা আছে। এবং তার পরদিন ড্রয়িং পরীক্ষা।
আমি এতো অবাক হয়েছিলাম যে কিছুক্ষণ কোন কথা বলতে পারি নাই।
আজকের লেখাতে লিখেছি এবং অনেকদিন ধরেই খেযাল করছি আমরা অনেকেই শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে পারি না। এবং তাতে লজ্জাও পাই না!
কোন একটা হিন্দি সিনেমাতে দেখেছিলাম বন্ধুরা মিলে নায়ককে স্টেজে তুলে দেয তামাশা করার জন্য। বেচারার যখন শেষ অবস্থা তখন কোন উপায় না পেয়ে সে ভারতের জাতীয় সংঘীত গাইতে শুরু করে (কারণ ঐ একটি গানই সে পারে)। তখন সবাই হাসা বাদ দিয়ে দাড়িয়ে তার সঙ্গে গাইতে শুরু করে।
এবারের বিজ্ঞান ক্যাম্পে খুব ভোরে উঠে ক্যাম্পাররা যখন আমার সোনার বাংলা গাইতো তখন মনে হত একদিন আমরাও আমাদের দেশটাকে উর্ধে তুলে ধরার সংস্কৃতিটাকে বুকের গভীরে রাখতে পারবো।
সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
মুনির হাসান বলেছেন: বেচারারা কত দু:খে আছে!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮
আমি সুফিয়ান বলেছেন: আরো ছোট বেলায় মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি স্কুলে পড়ার সময় সকালের দিকে আমার প্রায়শ পেটে ব্যাথা করতো আর দশটা বাজলেই সেই ব্যাথা চলে যেত

আমার করত মাথা ব্যাথা, প্রবল ব্যাথা। তবে ১১ টার দিকে চলে যেত
এখন দেখি স্কুলের আগেই নার্সারি বলে ও একটা ব্যাপার আছে সেই ব্যাপারের বাচ্চাদেরকে সকাল ৭ টায় স্কুলে গিয়ে আবার দুপুরে স্কুলের স্যারদের কাছে পড়তে যেতে হয় ( নাহলে পরীক্ষায় নাম্বার পাবে না) এবং সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউটর....