![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!
গুগল বিজনেস গ্রুপ, ঢাকার একবছর পূর্তি হয়ে গেল কাল, ৯ জুলাই। এ জন্য একটা প্রীতি সম্মিলনীও হয়েছে ঢাকার ইএমকে সেন্টারে। ম্যাথ ক্যাম্প, কান পেতে রই হয়ে আমি যখন সেখানে পৌছি ততক্ষনে সম্মিলনীতে অনেকে এসে পড়েছে। আলাপ আলোচনা হচ্ছে।
১৯৯৫-৯৬ সালে কাকলি ডিওএইচএসে থাকার সময়ে আমার পেছনের বাসায় রাবি-প্রিতম নামে দুইটি দুরন্ত শিশু থাকতো। তাদের একজনকে দেখলাম অনেক বড় হয়ে গেছে। নিজে এখন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। বুঝলাম বুড়ো যে হচ্ছি সেটা আয়নাতে দেখা যাচ্ছে।
ন্যাশ, সালমানরা জিবিজি ঢাকা কে অনেক এগিয়ে এনেছে। আমাদের দেশে টেক ফোরামের সাফল্য কম। বেসিস বিসিএসেকে দেখলে সেটা টের পাওয়া যায়। তারপরও প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের কোন গতি নাই। কাল আনন্দ তিলক তিনটে ভিডিও দেখালেন। এর মধ্যে একটি হল গুগলের চালক বিহীন গাড়ি। আমার ধারণা এটি আগামী এক দশক পর্যন্ত সবচেয়ে ইম্প্যাক্ট সৃষ্টিকারী উদ্ভাবন হিসেবে বিবেচিত হবে। একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে গাড়িটি তার গন্তব্যে নিয়ে গেল। আমাদের মত জনবহুল দেশে এটি কেমন চলবে সেটা জানতে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু বড় পর্দায় গাড়িটি যখন চলছিল তখন আমার কেবল মনে হয়েছে আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের কথা। তাদের অনেকেই গাড়ি চালান, গাড়ি চালিয়ে মূল্যবান ডলার পাঠান আমাদের।
ইরাজ বলছিল বিশ্বব্যাপী অটোমেশনের যে হাল-হকিকৎ সেখানে শ্রমনির্ভর কাজের অবস্থা কমেই খারাপ হবে। উন্নত বিশ্বে অনেক কাজই রোবটরা করে ফেলবে। তখন আমাদের যে এককোটি লোক বিদেশে আছেন তাদের অনেকেই বেকার হয়ে যেতেপারেন যদি না তারা নতুনভাবে নিজেদের গড়ে না তুলেন।
অন্যদিকে প্রতিবছর আমাদের ২১ লাখ কর্মপ্রত্যাশী কর্মবাজারে আসছে। এদের ৫-৬লাখ চলে যান প্রবাসে। প্রবাসে শ্রমের বাজার সংকুচিত হয়ে পড়লে আমাদের কী হবে?
আমাদের যারা নেতা তারা কী এসব ভাবেন। আমার কেন জানি মনে হয়, যতোটা জোরে শোরো ভাবা দরকার ততোটা জোরে শোরে ভাবেন না। এই জন্য হয়তো শ্রমের পরিবর্তে জ্ঞানের বাজার খোঁজার ব্যাপারে আমাদের আগ্রহ কম। আবার প্রবাসী কল্যানের অনেক উদ্যোগও খালি নজর পাচ্ছে না বলে এগোতে পারছে না।
এসবের মধ্যে টেকিদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। কেবল নিজেদের সাফল্যের গল্প নয়, মানুষকে অনৃপ্রাণিত করার কাজটাও তাদের করতে হবে।
জিবিজি, ঢাকা গত এক বছরে অনেক সুন্দর সুন্দর এবং সাফল্যের গল্প সবাইকে শুনিয়েছে। সে জন্য হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে যে আয়োজন সেটা অনেকখানি এগিয়েছে।
আশাকরি, আগামীতে আরো এগোবে। ঢাকার বাইরেও এর কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়বে।
সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৫
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: একেবারে অপ্রাসঙ্গিক কি না বুঝতে পারছি না। তবুও লেখাটি পড়তে পড়তে মনে হল আমার মত একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি, যার এতো দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বর্ষে পড়ার কথা ছিল কিন্তু এখনো উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডী পেরোতে পারে নি(!!) এবং ক্রমেই প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার পাঠ ইতি টানতে চায়.... কিন্তু গুগল ঘুরে অনেক কিছু জানার আছে, কোড ব্লক্স হাতড়িয়ে নতুন কিছু করার ইচ্ছা করে, সর্বোপরি তথাকথিত উন্নয়নশীল দেশটার সত্যিকার উন্নয়নের অংশ হওয়ার সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা আছে, তার জন্য কি কোনো দিক নির্দেশনা আছে, স্যার?
এমন কিছু, যেখানে সনদের গন্ধ থাকে না।