নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়েশ করে, আলসেমিতে...

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

মুনির হাসান

অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!

মুনির হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিএসসি পাশে কী ডক্টরেট হওয়া যায়

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

[এটি একটি রাগ ও ক্ষোভ মূলক পোস্ট]



আমাদের উদ্ভাবনক্ষমতা, সৃজনশীলতার কোন সীমারেখা নাই। এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে আর কোন জনপদ নেই যেখানে ছোট বেলা থেকে শিক্ষা দেওয়া হয় এক মন চাউলে কত সের কাঁকড় মেশালে ৫০ টাকা লাভ হবে? কিংবা যে গোয়ালা দুধে পানি মেশানোতে সিদ্ধহস্ত সে আসলে কোন অনুপাতে দুধে পানি মেশায়!সম্ভবত আমরাই আবিস্কার করেছি মাছে ফরমালিন মেশানো যায়, কলাতে দেওয়া যায় কার্বাইড!

অথচ আমাদের ঐতিহ্য কী এমন? খুজঁতে খুঁজতে আমি দেখলাম আজ থেকে ১২০০ বছর আগে এই বদ্বীপে প্রথম বদনা আবিস্কৃত হয়। অনেকের কাছে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক মনে হতে পারে কিংবা মনে হতে পারে এ আর এমন কী? আমি কেবল বলি বদনা আবিস্কারের পৌণে বারোশ বছর পর শাদা চামড়ার লোকেরা পুশ শাওয়ার আবিস্কার করেছে!

জন্ম থেকে মানুষ উদ্ভিদ দেখছে কিন্তু তারও যে প্রাণ আছে এটা জানার জন্য মানুষকে একজন জগদীশ চন্দ্র বসুর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে।



মহাবিশ্বের তাবৎ বস্তুকণা মাত্র দুই দলে বিভক্ত। তাদের একদলকে বলা হয় বসু কনা। এই বসু হলেন সত্যেন্দ্র নাথ বসু। এখন যেখানে জাতীয় প্রেসক্লাব সেখানে একটা লাল ইটের দোতলা বাড়ি ছিল, চামেলী হাউসের পাশে। সেখানেই বসে সত্যেন বসু এই একদল বস্তু কণার খবর পেয়েছিলেন।



এই গৌরবের উত্তরাধিকার হলাম আমরা। সারাক্ষণই আমাদের নানান উদ্ভাবনী চিন্তা মাথায় থাকে্। এই আবিস্কারকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দেন আমাদের শিক্ষা-কর্তারা। তাদের মাথা থেকে এমন সব বিষয় বের হয় যা কী না পৃথিবী কেন, এই মহাবিশ্বের আর কোথাও দেখা যায় না। আমি নানান হিসাব নিকাশ করে দেখেছি, এই মহাবিশ্বে নিন্মে তৃতীয় মাত্রার বুদ্ধিমাত্রা বিশিষ্ট প্রানী আছে এমন কোন গ্রহ-মহাগ্রহে ১২ বছরের শিক্ষা জীবনে চার-চারখান পাবলিক পরীক্ষা দিতে হয়, সে রকম দেখা যায় না। আমাদের দেশে যায়। এগুলোর আবার গালভরা নামও আছে- পিএসসি, জেএসসি কতো কী?

এর মধ্যে সবচেয়ে উদ্ভাবনী হল পিএসসি। এটি দিতে হয় ক্লাশ ফাইভের কোমলমতী শিশুদের। এক আশ্চর্য কারণে আমাদের শিক্ষা-কর্তারা মনে করেন শিক্ষা-মূল্যায়নের একমাত্র হাতিযার হলো মুখস্ত করতে পেরেছে কী না সেটা টেস্ট করার নামে একটা লিখিত পরীক্ষা নেওয়া। অথচ লিখতে পারাটা শিক্ষার অনেকগুলো উদ্দেশ্যের মাত্র একটি।

একজন শিক্ষার্থী যখন ৫ম শ্রেণি পাশ করে আসে তখন আমরা তার কিছু কম্পিটেন্সী হবে এমন আশা করি। তার মধ্যে সে লিখতে পারবে একটা। কিন সে টিকমতো শোনে কী না, রবীন্দ্র নাথের গানে আপ্রুত হয় কিনা, স্বাস্থ্য সচেতন কী না, মনের ভাব মুখে প্রকাশ করতে পারে কিনা, গননা করতে পারে কিনা এরকম নানান বিষয় আছে। আমরা সেগুলোর সবিশেষ খোঁজ নিতে যা না। আমার সাম্প্রতিক এক লেখায় মিনি কী করে বিষয়ে শিক্ষার্থীর পর্যবেক্ষণ গুনের জবাব কেটে দেওয়ার কথা লিখেছিলাম। সেটি পড়ে আমার এক পরিচিত যুগ্ম সচিব সেদিন আমাকে ফোন করে একমজার কথা জানিয়েছেন- আমার ক্লাশ সেভেন পড়ুযা ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম নৌপথে। সকালে তাকে নিয়ে গেলাম জাহাজের ছাদে্। চোক বরাবর সূর্য। দুইপাশে গাছ গাছালি। সব কিছু দেখে শুনে তাকে বলতে বললাম – বাবা বলতো দেখি – আমাদের জাহাজ কোনদিকে চলছে। আমার ছেলে বলতে পারলো না!!!

আমি বললাম তাকে যদি জিজ্ঞাষা করতেন – সূর্য কোন দিকে ওঠে- তাহলে সে ঠিকই বলতে পারতো, পূর্বদিকে।

কিন্তু পূর্বদিকে সূর্য ওঠাটা আসলে কী মিন করে বেচারা সেটা জানে না। সে জানে না এই দিকের তথ্যটা কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।

কয়েক বছর আগে, ঢাকার এক নামকরা স্কুলের ক্লাশ সিক্সের এক ছাত্রী অংক পরীক্ষায় আটানম্বই পায়। কেন সে দুই সম্বর পায় নাই, সেটা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম সে একটি ২ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নাই। প্রশ্নটি ছিল- আয়তক্ষেত্রের প্রতিটি কোন কত ডিগ্রী?

আমি তার কাছে জানতে চাইলাম – আয়তক্ষেত্রের কোনগুলো কেমন।

সে জানাল – প্রতিটি কোণ সমকোণ।

আমি অবাক হযে তাকিয়ে তার কাছে জানতে চাইলাম – আর এক সমকোণে কত ডিগ্রী?

“কেন নম্বই ডিগ্রী।”

তাহলে কী দাড়ালো?

“কিছুই না। এর সঙ্গে আমার প্রশ্নের কী সম্পর্ক?”

আমি তখন বুজেছি যে বেচারির কোন দোষ নাই। জ্যামিতি পড়ানোর সময় তার শিক্ষক কোনদিন ক্লাসে ইউক্লিডের ধারনাগুলো বলে নাই। দুটো জিনিষ যদি পৃখকভাবে তৃতীয় একটা জিনিষের সমান হয়, তাহলে প্রথম দুইটা জিনিষ যে পরস্পরের সমান এটাতো সে জানে না।

আমি দেখেছি ঐ মেয়ে আমাকে প্রত্যেকটি প্রশ্ন বই-এর কোন চ্যাপ্টার থেকে করা হয়েছে সেটি বলেছে এমন কি একটি প্রশ্ন যে, উদাহরণের শেষে বক্সের মধ্যে দেওয়া সেটিও বলতে পেরেছে। বলিহারি মুখস্ত বিদ্যা।

এই মুখস্ত বিদ্যার সঙ্গে এখন এক নতুন গাঁজাখুরি ব্যাপার যোগ করা হচ্ছে। প্রথম আরোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এখন থেকে প্রাইমারী পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে ২৫ নম্বর থাকবে আনসীন।মানে সিলেবাসের বাইরে। এজ ইফ এটা করলেই শিক্ষার মান বেড়ে একেবাড়ে আকাশচুম্বী হবে এবং পিএসসিকে আমরা পিএইচডির ইকুইভেলেন্ট হিসাবে ঘোসণা করতে পারবো।



বোজা যাচ্ছে যে, আমাদের শিক্ষা কর্তারা শিক্ষার্থীর ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতে চান। কিন্তু তারা হাটছেন ভুল পথে। কেবল আনসীন জিনিষ পরীক্ষার খাতায় লিখতে দিলেই সৃজনশীলতা বাড়ানো যায় না। সে জন্য শিক্ষাতে নানান রকমউপাদান যোগ করতে হয়।

শুধুমাত্র একটি আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করতে পারলেই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, কৌতুহল এবং জ্ঞানান্বেষন কোন পর্যায়ে যেতে পারে তার একটা নমুনা সম্প্রতি আমরা দেখেছি প্রথম জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ক্যাম্পে। ঐ ক্যাম্পের মতো করে কী কোন স্কুল হতে পারে?



এমন কী কোন স্কুল হতে পারে, ছোটদের জন্য, যেখানে সৃজনশীলতা ও নান্দনিকতা অনেক বেশি প্রাধান্য পায়। সেখানে কোন কিছু শেখানো হয় না। এর শিক্ষার্থীরা নিজেরা নিজেরা শেখে। শিক্ষকরা সেখানে ঠিক শিক্ষক নন, বরং ফ্যাসিলিটেটর!!! তাঁরা কেবল পথ বাতলে দেন, দেখিয়ে দেন। শেখান না।



ভাবছেন এটি অলীক কল্পনা। আসলে তা নয়। ঠিক এমন স্কুলের স্বপ্ন দেখতেন মন্টেসরি।



তার শেখানো পথেই মন্টেসরি স্কুলগুলো চালু হয় বিশ্বে। আমাদের দেশেও, শুনেছি, মন্টেসরিকে মাথায় রেখে নাকি কেজি স্কুলের সূচনা হয়েছিল!!! তবে, এখন এ রকম স্কুল হয়তো সারা দেশে হাতে গোনা যাবে। আমি খুব একটা বেশি দেখি না।



মন্টেসরির পর এখন অনেক দিন গেছে। আরো অনকে নতুন নতুন পদ্ধতি এসেছে। খেলা আর আনন্দের মাধ্যমে শেখার ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। প্রচন্ড চাপে থেকেও আনন্দের সঙ্গে যে পড়ালেখা করা যায় সেটি আমরা আমাদের গণিত ক্যাম্প বা লীলাবতী গণিত ক্যাম্পের দেখেছি। এমনকী বুয়েটে পড়ার সময় প্রিপারেটরি লিভের আনন্দময় দিনগুলোও দেখেছি।!!!



কাজে এগুলো খুবই সম্ভব! মোটেই অসম্ভব নয়।



এরকম স্কুলগুলোতে কীরকম ভাবে দিন যায়?



ধরা যাক ক্লাশ টুর কথা। আমি যে শাখার কথা বলছি সে শাখার মাস্কট হচ্ছে ছোট ভালুক ছানা। ওদের ক্লাশে একটি ছোট ভালুক ছানা আছে। প্রতি বৃহস্পতিবার সপ্তাহান্তে সেটি নিয়ে যায় ক্লাশের কেও একজন। এ সপ্তাহে সেটি বাসায় নিয়ে এসেছে টুম্পা।

আমি বললাম,” বাহ! ওর নাম কি?”

টুম্পা- ”এর নাম শুভ্র”।

শুভ্র কেন?



দেখোনা, এর গায়ের রং। ও, আচ্ছা।

তারপর দুইদিন দেখলাম শুভ্রকে নিয়ে টুম্পার খুবই ব্যস্ততা। ওর মার সঙ্গে বসে ঠিক করা হল ও কী খাবে, কোথায় থাকবে। টগর আবার এসে যাতে ওরে কোন ডিস্টার্ব করতে না পারে তার জন্যও ব্যবস্থা করা হল।

টুম্পা একটা খাতার মধ্যে লিখে রাখছে শুভ্র‌-র সব কীর্তির কথা।

যেমন ---

“শুভ্র আজকে আমাদের বাসায় এসেছে। গাড়িতে আসতে আসতে আমি ওকে বাসার সব কথা বলেছি। বলেছি তহুরা আপু আর গোলাপী আপু তাকে ডিস্টার্ব করতে পারে। সে যেন কিছু মনে না করে। কারণ আপুরা ভাল, খালি নতুন কাউকে পেলে ডিস্টার্ব করে। বাবা অফিস থেকে আসলে আমি তাকে জড়িয়ে ধরি। আজকেও ধরবো। তখন কিন্ত আমি শুভ্রকে কোলে রাখতে পারবো না।”

---

“শুভ্র আলুভর্তা খেতে চাইলো না। আমার খুব মন খারাপ হয়েছে। আলুভর্তা আমার খুব প্রিয়। কিন্তু ও কেন খেলো না।”

---

“রাতে শুভ্র আমার সঙ্গে থাকবে। আমার মনে হচ্ছে ভাইয়া রাতের বেলায় ওকে হ্যাইজ্যাক করার চেষ্টা করতে পারে। খুব সতর্ক থাকতে হবে।”

............................

আরো অনেক কিছু ওর খাতার মধ্যে পাওয়া যাবে। টুম্পা খুব সতর্ক থাকছে যাতে শুভ্রর সব কথা সে রোববার স্কুলে গিয়ে ঠিকঠাক মতো বলতে পারে।



-------

স্কুলের এটি হলো শিশুর ক্রিয়েটিভিটি বিকাশের একটি পদ্ধতি সঙ্গে দায়িত্ববোধও!

শুভ্র আসলে একটি টেডি বিয়ার!!!!



একইভাবে গণিতের ক্লাশে ওদের ক্লাশ করতে হয় মার্বেল দিয়ে। ক্লাশে ওরা সংখ্যা রেখার ওপর লাফালাফি করে।

ওদের স্কুলে একটি থিয়েটার আছে। সেখানে ওরা নিয়মিত সিনেমা দেখে, ভিডিও দেখে।

নিজেরাই আবার নাটকও করে।



খেলার মাঠ একটা সমস্যা। তাই ওরা নিয়মিত দূরের একটা মাঠে খেলতে যায়। স্কুলেই ওদের জন্য টিফিন তৈরি হয়। সবাই মজা করে সেটি খায়। টিফিন খাওয়ার পর ক্লাশ টু-এর বড়োদের থালা বাসন ধুয়ে রাখতে হয়।



কোন একদিন যদি ঐ স্কুলে আপনি যান তাহলে দেখবেন একজন হঠাৎ করে দৌড়ে এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং‌এ চলে যাচ্ছে, থিয়েটার রুম থেকে হই হই শব্দ। কোন রকমে কোন ক্লাশের সামনে গেলে হয়তো দেখা যাবে ‌ক্লাশের মধ্যে টিচারের চোখে রুমাল বেধে কারামাছি ভো ভো খেলা হচ্ছে!!!



আপনি ততক্ষনে হয়তো নিশ্চিত হবেন যে, এই স্কুলে কোন পড়ালেখা হয় না। তারপরও আসছেন যখন ভদ্রতা করে প্রিণ্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। হয়তো তিনি রুমে নেই।

তখন আপনি সেখানে টাঙ্গানো স্কুলের রেজাল্ট দেখবেন। এবং চমকে গিয়ে জানবেন স্কুলটি হলো এই এলাকার সেরা বিদ্যাপীঠ!!!!



এমন একটা ইশকুল কখনো বানাবো আমরা?





মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা। অতীব চমৎকার! আমাদের দুর্ভাগ্য যে এদেশের শিক্ষা বিষয়ক সব চিন্তা ভাবনা গুলো 'করা' আর সেগুলো বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব নিয়েছেন কতগুলো অশিক্ষিত অর্বাচীন তৃতীয় শ্রেনীর হামবাগ জাতীয় দুপেয়ে জীব। এরা হয়ত কোটা সিস্টেমের কল্যানে ৫৯% নম্বর পেয়ে আমলা হয়েই দেশের সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বা উপদেশ দেয়ার ভয়ংকর মালিক হয়ে গেছে। এরা শিখেছে কোন গাড়ী চালালে প্রেস্টীজ বাড়ে-- শেখেনি রাস্তাঘাটে থুতু ফেলা বারণ বা শেখেনি খেতে বসে হাঁচি দেয়া নিষেধ । এদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করাটাইু অনুচিত। বোঝার উপর শাকের আঁটি হল এদের বসরা আরো বিপদজনক রকম খারাপ। ধন্যবাদ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সব আমলারা হয়তো খারাপ নন।
আমি একজন বিখ্যাত আমলাকে চিনি যিনি মনে করেন তিনি ৩৪টি দেশ সফর করেছেন। কাজে তিনি ভাল করেই জানেন পড়ালেখা কী করে করাতে হয়।
পৃথিবীর প্রায় সকল বিষয়ে তিনি জানেন এবং সিদ্ধান্ত দিতে পছন্দ করেন।

কী আর করা যাবে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪২

প্রান্তজাকির বলেছেন: মুনির ভাই
এত সুন্দর কষ্টসাধ্য লেখাটি সামুর অজস্র অচল লেখার ভিড়ে হারিয়ে গেল। এ ধরনের লেখাগুলো সচলায়তন'র মতো ব্লগে দেওয়া ভালো।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০১

মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সচলায়তন তাদের ব্লগে লেখার মত আমাকে যোগ্য মনে করে না। তাই চাওয়ার পরেও আমাকে কোন একাউন্ট দেয়নি।
আমি এখন আমার নিজের একটা সাইট বানানোর চেষ্টা করছি।
হয়তো সেখানেই লিখবো।
আর এই লেখাটার একটা ভদ্রস্থ সংস্করণ পত্রিকার পাতায় দেবো।
বেশ কিছুদিন আগে জয় পরীক্ষা!জয় সার্টিফিকেট নামে এক লেখার জন্য অনেক আমরার রোষে পরেছি। তবে, লেখাটা চালায়া যাবো।

তারপর ভাবছি, রাস্তায় নামবো পিএসসির বিরুদ্ধে যদি কাউকে সঙ্গে পাই!

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

মনুমনু বলেছেন: প্রান্তজাকির বলেছেন: মুনির ভাই
এত সুন্দর কষ্টসাধ্য লেখাটি সামুর অজস্র অচল লেখার ভিড়ে হারিয়ে গেল। এ ধরনের লেখাগুলো সচলায়তন'র মতো ব্লগে দেওয়া ভালো।

একমত

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যাবদ। সচলায়তন আমার লেখা ছাপে না।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আপনি ভাবছেন এক, আর আমাদের শিক্ষা কর্মকর্তারা ভাবছেন সৃজনশীলতা বাড়াবার কথা। এই সৃজনশীলয়া বাড়াবার নামে যে জগদ্দল পাথর শিশুদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার তুলনা এই পৃথিবীতে নাই।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

মুনির হাসান বলেছেন: পৃথিবীটা ছোট্ট জায়গা!

পিএসসির বিষয়টা আমি মহাবিশ্বে খোঁজার চেষ্টা করেছি। তৃতীয় মাত্রা (মানুস) বা তার উন্নত প্রাণী আছে এমন কোন গ্রহ-মহাগ্রহে এমন পাবলিক পরীক্ষা নাই।
থাকার কথাও নয়। কারণ ওরা ঘাস খায় না!

ধন্যবাদ এতবড় পোস্ট পড়ার জন্য।

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দুর্দান্ত পোষ্ট!!!!

প্রিয়তে .....

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২০

নিমচাঁদ বলেছেন: আরেকটা জিনিশের প্রতি মনযোগ দেয়া দরকার বলে আমি মনে করি । ক্ষমা করবেন ,বিষয় টি হয়তো আপনার পোষ্টের সাথে যায় না ।
সেটা হলো ,
ছোটবেলা থেকে বেশ কিছু জিনিশ পাঠ্য পুস্তকের সাথে শেখানো দরকার। সেটা পাঠ্য পুস্তকের অন্তর্ভুক্তও হতে পারে।
তা হলো , মানুষ হিসাবে পরষ্পরের প্রতি পরষ্পরের ভালোবাসা , শ্রদ্ধা ,সন্মান প্রদর্শন এত্যাদি।রাস্তাঘাটে , পথে প্রান্তরে সব সময় বাংলাদেশে দেখা যায় প্রচন্ড অসহিষ্ণুতা। সব জায়গায় ঠেলাঠেলি, রেসের ঘোড়ার মতোন কে কাকে পার হয়ে যাবে , কে কা গুতিয়ে চলাফেরা করবে - এই সব ।পথচারী রিকশাকে সাইড দেয় না, রিকশা পথচারীকে সাইড দিচ্ছে না , গাড়ী কাওউকে সাইড দিচ্ছে না, যে রাস্তা পার হবে , সে অপেক্ষা করতেছে না , আর অপেক্ষা করলে ও গাড়ী তার জন্য থামছে না ,বাসে উঠেন গুতাগুতি করে ,কারো মধ্যে ধৈর্য নাই, -সহনশীলতা নাই, কি যেন এক অস্থিরতা সবার মধ্যে।
এ নিয়ে কি কিছু করা যায় না ?

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

মুনির হাসান বলেছেন: এটিও শিক্ষার অংশ।
যেহেতু পরীক্ষায় আসে না তাই আমাদের শিক্ষায় এর কোন প্রয়োগ নাই!!!

আমার মনে পড়ে, কোন কোর্সের শুরুর দিন সব শেষে যখন জানতে চাইতাম কোন প্রশ্ন আছে কী না, তখন অবধারিত ভাবে শুনতে হতো - স্যার, পরীক্ষার প্রশ্নটা কেমন হবে?

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

সম্রাট০ বলেছেন: স্যার পাচবার পরলাম.। আমারা এমন শিক্ষা বাবস্থা কোন দিন পাবো.।।????

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

মুনির হাসান বলেছেন: জীবদদশায় দেখে যেত পারবো কী না জানি না।

কিন্তু বলতে হবে, বলে যেতে হবে আর কি।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

মুনির হাসান বলেছেন: যে স্কুলের কথা লিখেছি সেরকম একটা স্কুল বানানোর জন্য অচিরেই মাঠে নেম পড়বো।
যা আছে কপালে!

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

বটের ফল বলেছেন: আপনাকে স্যালুট স্যার। আপনার মত মানুষ আরো অনেক দরকার আমাদের।

ভালো থাকবেন স্যার। শুভকামনা রইল।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট স্যার ! আপনার আশা নিশ্চই পূরণ হবে !

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

মুনির হাসান বলেছেন: অলসদের আশা কি আর সহজে পূরণ হয়!!!

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

বটের ফল বলেছেন: এই পোষ্টটি এখোনো কেন নির্বাচিত পাতায় যায়নি , সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। মডুরা সব কি করছে???

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

রাইসুল নয়ন বলেছেন: এমন একটা ইশকুল কখনো বানাবো আমরা?

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: মুনির হাসান বলেছেন: যে স্কুলের কথা লিখেছি সেরকম একটা স্কুল বানানোর জন্য অচিরেই মাঠে নেম পড়বো।
যা আছে কপালে!
সাথে আছি ।

ভালো থাকবেন স্যার। শুভকামনা রইল।

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

মামুন রশিদ বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগলো পড়ে । প্রাথমিক শিক্ষা সব ধরণের শিক্ষার ভিত্তি । তাই এটা নিয়ে বিকল্প কিছু ভাবার সময় এসেছে ।


চমৎকার পোস্টে ভালোলাগা :)

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: খুব ভাল একাট লেখা। ধনবাদ লেখার জন্য।

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৪

বিধুভূষণ ভট্টাচার্য বলেছেন: এখন শিশুশিক্ষার উদ্দেশ্য হয়ে গেছে পরীক্ষায় বেশী নম্বর পা্ওয়া। 'এ-প্লাস' নামক গাধার পিছনে ছুটছে সবাই।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

@প্রান্তজাকির & মনুমনু ,


আপনারা স্যারকে বললেন সামুতে না লিখে সচলায়তনে লিখতে। আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন আপনারা সচলায়তনে না গিয়ে সামুতে কেন আসলেন। আসলেনই যখন কমেন্ট করার কি দরকার ছিল।

সচলায়তন একটা ব্লগ হল। আপনাদেরকে কি আর বলবো যারা আগরতলা আর চকির তালার পার্থক্যই বুঝেনা। X( X(
দালালি করা ছাড়ুন!!






@ মুনির হাসান,

স্যার আপনি কার কথাতে কান দিবেন না। আপনি সামুতে লিখে জাবেন। আমরা আপনার পোষ্ট পড়ব। আমি আপনার বিশাল একজন ভক্ত।
ভাল থাকুন সবসময় সেই কামনা রইলো এবং থাকবে।
আমাদের সাথে থাকবেন সবসময় সেই আশা রইলো।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯

মুনির হাসান বলেছেন: আমার মনে হয় সামু-সচলের বিষয়টা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।

সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:


চমৎকার পোষ্ট। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিযোগিতা লিপ্ত। তাদের সময় বা ইচ্ছে নাই সৃজনশীল বা নাগরিকের জন্য ভালো-মন্দ কিছু করার। আমরা যারা এই ধরণের স্বপ্ন দেখি তাদের নিজেদেরই চেষ্টা করে যেতে হবে তার বাস্তবায়ন করার। আপনি যখন এই ধরণের একটা স্কুল করার উদ্যোগ নিবেন আমাকে পাশে পাবেন।


@প্রান্তজাকির এবং মনুমনু

এই লেখা শুধু সচলায়তনই কেন সব ব্লগই প্রকাশ করা উচিত। তবে আপনাদের একটা কথার সাথে সহমত নই তাহলো "এত সুন্দর কষ্টসাধ্য লেখাটি সামুর অজস্র অচল লেখার ভিড়ে হারিয়ে গেল"। সামুতে এই লেখা হারিয়ে গে্লেও যত ব্লগার এই পর্যন্ত এই লিখা পড়েছে আমার মনে হয় না সচলায়তনে তত ব্লগার আছে ... কাউকে ছোট করে কথাটা বলছি না, ব্লগ সম্পর্কিত যত বড় বড় ইভেন্ট তৈরি হয়েছে তার বেশিরভাগই সামুর হাত ধরেই ঘটেছে।

১৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৬

মোর্শেদ হায়দার বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

"এমন একটা ইশকুল কখনো বানাবো আমরা?"

নিশ্চয়ই হবে একদিন। আমরা যখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি, একদিন না একদিন স্বপ্ন পূরণ হবেই।

২০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

গর্জন ওয়ারিওর বলেছেন: চমৎকার

২১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অচম একটা পোস্ট !


এমন কী কোন স্কুল হতে পারে, ছোটদের জন্য, যেখানে সৃজনশীলতা ও নান্দনিকতা অনেক বেশি প্রাধান্য পায়। সেখানে কোন কিছু শেখানো হয় না। এর শিক্ষার্থীরা নিজেরা নিজেরা শেখে। শিক্ষকরা সেখানে ঠিক শিক্ষক নন, বরং ফ্যাসিলিটেটর!!! তাঁরা কেবল পথ বাতলে দেন, দেখিয়ে দেন। শেখান না।

এরকম স্কুল বদলে দিতে পারে আমাদের এডুকেশন সিস্টেম - আর বদলটা আমাদের এডুকেশন সিস্টেমের জন্য খুব দরকার!

২২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৬

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার লেখা । ফেবুতে ২২১ টা শেয়ার হয়েছে । সবাইকে লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি ।

২৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৮

অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন: স্যার,
আমার অনেক দিনের ইচ্ছা এরকম একটা স্কুল দেওয়ার। বয়স কম বলে এগোতে পারছি না। আপনি যদি কখনও শুরু করেন তবে জানাবেন। অবশ্যই পাশে থাকব। এই পোস্টেই কয়েক জন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের আগ্রহটা কাজে লাগাতে পারলে ভালো হয়।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর বিরক্ত হয়ে এক সময় লেখা পড়াই ছেড়ে দিয়েছিলাম।

পোস্ট স্টিকি করা হোক।।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

মুনির হাসান বলেছেন: ভাল বলেছেন। তবে, শুরু করতে সময় লাগবে। এরকম একটা স্কুলের কয়েকবছরের বাজেট যোগাড় করতে না পারলে নামা যাবে না।

আর আমারে কেও স্কুল বানানোর টাকা দেবে না।

২৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা লেখা!!!!! এই ধরনের একটা স্কুল দিতে পারলে দারুন হত।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৩৪

মুনির হাসান বলেছেন: এ রকম একটা স্কুল দেওয়া কঠিন নয়। মুশ্কিল হল সে স্কুলে শিক্ষার্থী পাওয়া!

বাবা-মা রা যখন দেখবেন তার ছেলে বা মেয়ের কোন হোমওয়ার্ক নাই, ও বাসায় কাগজ কাটাকাটি করে বা করাত দিয়ে কাঠ কাটে, কিংবা মা'র শেলাই-এর সুতা নস্ট করে তখন মনে হয় আমাকে এসে বাড়িতে মাইর দিয়ে যাবে!

আমার ছেলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় মেরী কুরি স্কুলে। প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সঙ্গে আমার একটা চুক্তি ছিল যে, আমার ছেলেকে কোন হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে না।
কিন্তু ছয়মাস পরে একদিন দেখলাম হোমওয়ার্ক দিয়েছে। গেলাম প্রিন্সিপালের কাছে। ম্যাডাম ক্লাশ টিচারকে ডেকে জিঙ্গাষা করলেন। ক্লাশ টিচার বললেন - সব অভিভাবক বলেছেন যে, শিশুরা বাসায় পড়ে না। ছুটির দিনে খালি খেলাধুলা করে! কাজে...
পরে প্রিন্সিপাল বলে দিলেন - রুবাইকে কোন হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে না।
পরের বছর ওর স্কুল বদলে ওকে নিয়ে যাই স্যার জন উইলসন স্কুলে। এটির তখনকার প্রিন্সিপাল এ্যানা বার্গহার্ড একজন যথাযথ মন্টেসরিয়ান। কাজেই বলা যায় ক্লাশ ফাইভ পর্যন্ত সেই অর্থে কোন হোমওয়ার্ক রুবাই-এর থাকতো না। এমনকী উইন্টার বা সামার ভ্যাকেশনেও কোন এসাইনমেন্ট দেওয়া হতো না।
তো, বার্গহার্ডকে পেয়ে একদিন হাসতে হাসতে জিঙ্গাষা করতেই বলেন - ইট ইজ ভ্যাকেশন টাইম, নট এসাইনমেন্ট টাইম!!!

একবার রোজার ঈদে রুবাই-দের এসাইনমেন্ট ছিল ঈদের ঈদ কেমন কেটেছে সেটা লিখে নিয়ে যেতে হবে স্কুলে। আমি ওর ঈদটা অন্যরকম করার চেষ্টা করলাম। ও জাতীয় ঈদগাঁ ময়দানে নামাজ পড়লো,নানা-নানীকে সালাম করলো, জাফর ইকবাল স্যারের বাসায় গেল, একজন বীর প্রতীকের সঙ্গে দেখা করলো, বিকেলে ডিঙ্গিতে করে বেড়াল আর ঈদের পরে স্কুলে গিয়ে সবাইকে সেটা জানালো!

এটা যে একটা বাড়ির কাজ ছিল এটা তার মনেই হয়নি!!!

ক'দিন আগে একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি এরকম একটা স্কুলের প্ল্যান করছেন।
আমি শুনেছি, কয়েক জায়গায় এমনতর কিছু বিদ্যালয় আছে। যেমন ঢাকার নালন্দা স্কুল। তবে, কোনটা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না।

আমি একবার ঢাকার এক স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ক্লাশ সিক্সে অংক করাতে চেয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা গোল্লায় যাবে ভেবে প্রধান শিক্ষক রাজী হোননি। তিনি আমাকে এককাপ চা খাইয়ে বিদায় করে দিয়েছিলেন।

২৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন:
কয়েক জন ভলান্টিয়ার পেলে মনে হয় না খুব একটা বেশি বাজেট লাগবে না।
আর একবারে পুরো স্কুল শুরু করার আগে একটা পাইলট স্কুল দেওয়া যায়। প্রথম বছর শুধু মাত্র একটা বা দুটো ক্লাস নিয়ে।
ঢাকায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা স্কুলগুলো যে হারে শিক্ষার্থী পায় তাতে এই স্কুলও ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী পেয়ে যাওয়ার কথা। অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত কাউন্সিলিং করলে খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।

পথে নামলেই তো পথ চেনা যায় 8-|

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২১

মুনির হাসান বলেছেন: পাইলটিংটা আমরা করছি। কাজে শুরু করলে একটা স্কুলেই করতে হবে। সেটার অনেক হ্যাপা। একটা বাড়ি দরকার।
একজন এক্সপার্টকে এনেছিলাম্ দেশে, আমেরিকা আর ঘানাতে এমন স্কুল বানিয়েছেন। তিনি প্রতি ২০ জনে একটা টয়লেট চান, প্রতি ১০০ জনে একটা লাইব্রেরি (মানে পড়ার রুম) আর ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক!

শুধু ছাত্রবেতন দিয়ে সেই স্কুল চালানো কঠিন হবে। তাইনা?

তবে, অন্য মডেলে হতে পারে। যেমন নতুন যেসব আবাসিক এলাকা হচ্ছে সেখানকার স্কুল এমন হতে পারে। আবাসিক এলাকা উন্নয়নের জন্য টাকার পাশাপাশি সবাই ১ লাখ টাকা করে দিয়ে স্কুল ফান্ড বানাবে।
তাহলে অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে।

২৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩১

ইকারূস বলেছেন: আমার দেখা কিছু গ্রামের স্কুল আছে যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার দেয়া হয়েছে। কিন্তু ২ টি কারনে সেগুলো ব্যাবহার করা হয় না-

১। বিদ্যুৎ সমস্যা!

২। শিক্ষকের অভাব!

ঐসব স্কুলে কম্পিউটার শেখানর জন্য একজন বেতনভুক্ত শিক্ষক আছেন ঠিকই, কিন্তু এ বিষয়ে তার জ্ঞানের পরিধি ভয়াবহ এবং সবার ধারনা ব্যবহার করতে গেলেই সবেধন-নীলমনি যন্ত্রটি নষ্ট হবে এবং তার জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে!!

আমাদের শাসনযন্ত্র শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পরিক্ষা-নিরিক্ষার নামে (সাথে আছে দেশকে ডিজিটাল করার ভূত!) দেশের আনাচে-কানাচে কম্পিউটার পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু যাদের জন্য এতসব আয়োজন তারা কতটা উপকৃত হচ্ছে বা আদৌ হচ্ছে কিনা তা তলিয়ে দেখার ইচ্ছা বা সময় কোনটাই কতৃপক্ষের নেই।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৬

মুনির হাসান বলেছেন: গ্রামে কম্পিউটার দেওয়ার পেছনে শেখানোর ব্যাপারটা একটা মাত্র কারণ। বাকীগুলোর একটা হচ্ছে অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীরা ল্যাবের কন্ট্রোল পাবে, খয়েক জায়গায় এমনটিচার যাবে যিনি অনেকদূর এগিয়ে নেবেন।
সবকিছু একসঙ্গে হয় না, আমরা চেয়েছি প্রথম চোটে কম্পিউটারটা যাক। তবে, আপনার পর্যবেক্সণ
ঠিক আছে।কি্ন্ত টিচারদের তৈরি করে তারপর এগুোতে হলে আমদের বড্ড দেরি হয়ে যাবে।
গণিত অলিম্পিয়াডে আমরা দেখেছি যে, সরাসরি শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু করতেপারে।

২৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৯

শাহেদ খান বলেছেন: চমৎকার লাগল। দৃশ্যগুলো স্বপ্নময়, স্বপ্নগুলো বাস্তব হোক।

শুভেচ্ছা।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৪

মুনির হাসান বলেছেন: সকল মানুষ তাঁর স্বপ্নকে ছুঁয়ে যাক।

২৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

মনুমনু বলেছেন: সচলায়তন এর নাম শুনেছি, কিন্ত ওখানে ঢুকেছি বলে মনে পড়ে না। আমার আগেরজন ভাল কমেন্ট করলেন, তাই টাইপ করার আলস্যে কপি পেস্ট করে দিয়েছি।- স্যার মানুষটি ভালই-তা নাহলে কি আর বলতেন যে, এখানে সামু আর সচলায়তন মূখ্য নয়।
যাহ - আবার টাইপ করতে হল কতগুলো.।

২৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

মুনির হাসান বলেছেন: ব্লগটির একটি সংক্ষিপ্ত ভার্সন পত্রিকায় ছাপানোর জন্য দিয়েছি।

৩০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এরকম স্কুল পেলে বাচ্চাদের কি যে উপকার হত!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৩

মুনির হাসান বলেছেন: চাইলে কেও উদ্যোগ নিতে পারে।
ফোর পর্যন্ত এরকম পড়ে ফাইফের জন্য কিছু বাড়তি এদিক ওদিক। ওরা কনফার্ম জিপিএ ৫ পাবে সবাই।

কাজে কোন অসুবিধা হবে না।

তবে, কে করবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.