নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়েশ করে, আলসেমিতে...

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

মুনির হাসান

অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!

মুনির হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণিত যাত্রীর ডায়েরি ২০১৩-২: যাদু বাস্তবতা এবং জ্যামিতি

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪১

পর্ব-১



২৪ জুলাই, রাত ৮.২০: সান্টা মার্তা, কলম্বিয়া



পার্ক নাকি বিশ্ববিদ্যালয়



কলাম্বিয়া আসার তিনদিন পর অবশেষে মার্কেসের দেখা পাওয়া গেল। দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা শুরুর পর আমাদের “সিটি ট্যুর” শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর আমরা যেখানে থামলাম সেটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, মনে হবে পার্ক। কারণ সব খালি জায়গাকে পার্ক বানিয়ে রাখা হয়েছে। ছেলে মেয়েরা গল্প করছে, হৈ হট্টগোল করছে। আবার দেখা গেল ক্লাস থেকেও বের হচ্ছে। আমাদের নিয়ে যাওয়া হল লাইব্রেরিতে। নীরবতার ম্যানন্ডেট ভেঙ্গে প্রথমে দেখানো হল একটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি ভিডিও। সার কথা হল ১৮টি শাখায় ২১৯টি ডিসিপ্লিনে সেখানে ডিগ্রী দেওয়া হয়। ভার্সিটির কয়েকজন কর্তাব্যক্তি আমাদের স্বাগত জানালেন, তাদের ভাষায়। আজকে অবশ্য একজন ট্রান্সলেটর ছিলেন তিনি কিছু ধরিয়ে দিয়েছেন। একজন কর্তাব্যক্তি কলাম্বিয়াকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় মার্কেসের কথা বললো। বললো তার ১০০ বছরের নি:সঙ্গতার জন্য নোবেল পাওয়ার কথা। তিনি অবশ্য কলাম্বিয়ার অন্যান্য গুনের কথা বলতে গিয়ে বলেছে ফুটবলের কথা। আমি মাত্র দুইজন কলাম্বিয়ান ফুটবলারের নাম জানি – ভালদারেমা আর হিগুইতা।

তিনি তাদের নামে নেননি! তারপর ভার্সিটির ছেলেমেয়েরা গান শোনালো আমাদের। কলম্বিয়ানদের রক্তে মনে হয় নাচ। কারণ উদ্বোধনের দিন শিক্ষামন্ত্রীকে দেখেছিলাম আসন ছেড়ে নাচতে। আজকে ডিপার্টমেন্টের হেডরাও নাচলো।



একটা বড় আড্ডা দেওয়ার জায়গায় আমাদের একটা গ্রুপ ছবি তোলা হল। সেখানে দেকলাম ৭/৮ ফুট লম্বা ব্লেড ওয়ালা সিলিং ফ্যান!!!আমি অবশ্য বুঝিনাই কেন ওখানে আমাদের নেওয়া হল।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা অবশ্য আমার পছন্দ হয়েছে। পার্কের মতো দোল খাওয়ার জায়গা যেমন আছে তেমনি সেখানে পড়ালেখারও একটা পরিবেশ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের নেওয়া হল পোতাশ্রয়ে। ওখানে নানান আকারের ইয়ট আর বড় নৌকা। আমরা কিছু ছবি তুললাম।



আমাদের আশা ছিল, আমাদের কোন শপিং কমপ্লেক্স-এ নিয়ে যাওয়া হবে। তবে, সেটা আর হলো না। আমরা ভিন্নপথে হোটেলের দিকে রওনা দিলাম। আসার পথে একটা রেসিডেন্সিয়াল এলাকা পার হয়েছি যেটা পুরানো, বনেদি। মানে বেশিরভাগ বাড়ি একতলা বা দোতলা। তবে, ছাদে বেশিরভাগই টাইল। নানান ধরণের টাইল তবে সবই মেটে রঙের। লক্ষনীয় হলো সব বাড়ির প্রতি ইঞ্চি খালি জায়গায় গাছ লাগানো রয়েছে। একটি বাড়িতে মনে হল মূল বাড়ি আর রান্নাঘরের মাঝখানের একচিলতে জায়গাতেও গাছ লাগানো হয়েছে। এখানে প্রচুর আম হয়। আমগুলি ছোট ছোট। আমগাছই একমাত্র চিনলাম। বাকীগুলো আল্লাহ জানেন। ঘুরতে ঘুরতে আমরা একটা দামী এলাকাও পার হলাম যেখানে বড় বড় এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। একটি দেখলাম চালু হয়েছে, ১৩৩টি ফ্ল্যাট আছে বলে বড় বিলবোর্ডে লেখা ছিল। কিছু বাচ্চা ছেলেমেয়েকে দেখা গেল টেরাসে খেলছে।খালিগায়ে হাফপ্যান্ট পড়ে বেশ কিছু বাচ্চাকে দেখলাম ফুটবল খেলছে বাড়ির সামনে, সেটি অবশ্য কম পয়সাওয়ালাদের এলাকা মনে হল।

আসা-যাওয়ার পথে কলম্বিয়ানদের বাড়িঘরের দুইটি বৈশিষ্ট্য দেখা গেল। প্রথমত এরা প্রতি ইঞ্চি জমিতে গাছ লাগাতে ভালবাসে। বৃষ্টি কম হলেও অনেক গাছপালা দেখা যায়। আর বাড়িগুলো ছোট ছোট, বাহুল্য নেই। মনে পড়লো মাত্র ৭৬৮ বর্গফুটের বাড়িতে থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকাকে বর্ণবাদ থেকে মুক্ত করে গেছেন।

প্রথম দিনের তুলনায় আজকের পরীক্ষার সমস্যাগুলো অনেকটা সহজ বলেছে পরীক্ষার্থীরা।



পরীক্ষা হলের সামনে আমাদের চার খুদে গণিতবিদ

জ্যামিতি চার নম্বরে থাকায় সেটি খুব সহজে সমাধান করা গেছে। বিকেল নাগাদ আমাদের দলনেতা মাহবুব এসে যোগ দিয়েছেন আমাদের সঙ্গে। তার কাছ থেকে জানলাম, নতুন একটা নিয়ম করার চেষ্টা চলছে, যেটা হলে ১,২,৪ এবং ৫ নং সমস্যা সবসময় জ্যামিতি, বীজগণিত, নম্বরতত্ত্ব এবং কম্বিনেটরিক্স থেকে আসবে। এই চারটা সমস্যা বাছাই হওয়ার পর ৩ ও ৬ নং সমস্যা বাছাই করা হবে। এর ফলে, আমাদের খুদেদের পছন্দের জ্যামিতি থেকে ৩ বা ৬ ছাড়া দুইটি সমস্যা পাওয়া যাবে না। যেমনটি এবার ৩ নম্বর সমস্যা ছিল জ্যামিতির। প্রথানুসারে ৩ এবং ৬ নং সমস্যা হয় সবচেয়ে কঠিন। ড. মাহবুব বললেন আগামীতে ভাল করার জন্য আমাদের পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রাইমারি ও জুনিযরদের জন্য বেশি করে গণিত ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।

রাতের বেলায় সমুদ্রের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায়। সেটা দেখে দেখে রাত কাটিয়ে দেওয়াটা কোন কঠিন ব্যাপার নয়!



সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০০

ভ্রমন কারী বলেছেন: +++++++++++

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

সোহানী বলেছেন: বরাবরের মতই ভালো লিখা মুনির ভাই। তবে ছবিগুলোও দারুন হয়েছে ............... .... +++++++++++

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন।
লেখায় আমরা ও ঘুরে ফেরার আনন্দ পাচ্ছি।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার !
আপনার ইদানিং কালের পোষ্ট গুলোতে(সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।) এই জিনিস টা দেখছি ! একটু ব্যাখ্যা করলে উপকৃত হতাম !

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩০

মুনির হাসান বলেছেন: গণিতে কোন ফাংশনের মান সর্বোচ্চ হলে এর সেকেন্ড ডিঢারেন্সিয়ালটা নেগেটিভ হয়। মানে আমি যদি কাউকে বলি তোমার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক, তাহলে এর মানে দাড়ায় তোমার জীবনের সর্বোচ্চ উন্নতি হোক। গণিতের ভাষায় শুভ কামনা।

আমরা আরো কয়েকটা ব্যবহার করি যেমন - পাই এর মত সুন্দর হও। পাই হচ্ছে এমনসংখ্যা যার বর্ণনা শেষ হয় না। মানে, এতো সুন্দর যে বর্ণনা করে যেন শেষ করতে না পারে।

আবার লগ করে ছেড়ে দেওয়া মানে সাইজ করা!!!

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৫

ঝরাপালক বলেছেন: +++++

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১১

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

সুন্দর পোষ্ট স্যার।


সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক ও পাই এর মত সুন্দর হও কথা দুটোর বর্ণনা দারুণ লাগলো। :)





পাই এর মত সুন্দর হোক আপনার জীবন। :)




৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

বাংলার অধম বলেছেন: ভালো তো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.