নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়েশ করে, আলসেমিতে...

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

মুনির হাসান

অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!

মুনির হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা বিষয়ক দুইটি আয়োজন

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬



আগামীকাল ২৪ আগস্ট চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব গ্রুপের উদ্যোগে উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা বিষয়ক দুইটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন রয়েছে। দুইটিতেই যোগ দেওয়ার ইচ্ছে আছে।

সকাল ১১টা থেকে যে আয়োজন সেটির মূল লক্ষ্য হল উদ্যোক্তাদের তূণে একটি গুরুত্বপূর্ণ শরকে সমৃদ্ধ করা। উদ্যোক্তা মাত্রই প্রচুর কথা বলতে হয়। এবং এগুলো বেশিরভাগই কিন্তু স্বগতোক্তি নয়। একেবারে শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রচুর কথা, সাপর্টেড ভাই ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার, মোটিভেশন এন্ড ইনস্পিরেশন। কোন মাফ নাই। শুরু করতে হয় বাসা থেকে। বোঝাতে হয় কেন এন্টারপ্রনিয়র হবে, কেন একটা কস্টার্জিত পথ বেঁছে নেবে। কনভিন্স করাটা কঠিনই যদিনা বলার কায়দা ঠিক হয়। এরপর হচ্ছে টিম মিটিং, সেলস, বোর্ড মিটিং, ব্যাংকার, ইনভেস্টর – মোটামুটি কথার ওপরেই থাকতে হয়। এবং এখানেই একজন সফল উদ্যোক্তার সঙ্গে অন্যদের পার্থক্য তৈরি হয়। অনেককে আমি দেখেছি নিজের কাজটা (হয়তো প্রোডাক্ট তৈরি) খুবই ভাল করতে পারেন কিন্তু সেটা সম্পর্কে বলতে পারেন না। অনেকই বেশি সময় পেলে একটা কিছু বলতে পারে। কিন্তু যদি বলা হয় ২ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে তখন মোটামুটি রণে ভঙ্গ দিতে হয়। অনেকের প্রচুর তথ্য, ফিগার, উদাহরণ থাকা স্বত্ত্বেও বলাটা ঠিক হয় না। আবার অনেকেই খুব কম তথ্য দিয়ে শ্রোতা/দর্শকের মন জয় করতে পারেন। উদ্যোক্তাদের জীবনের একটা বড় অংশই থাকে মন জয় পর্ব। সেখানে কথা বলাটা একটা আর্টের পর্যায়ে নিতে হয়। এখন এই আর্টের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। কারণ এই তো কয়েকদিন আগে ইউরোপে একটা জরিপে দেখা যাচ্ছে মার্কেটিয়ারদের মধ্য ইনবাউন্ড মার্কেটিং-এর প্রবণতা বাড়ছে। এবং সেটা সফলও হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই পাবলিক স্পিকিং একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। সকাল ১১টা থেকে প্রেজেন্টেশন স্কিল ও পাবলিক স্পিকিং-এর যে অায়োজন তাতে এসব বিষয় উঠে আসবে। কেমনে নিজের স্পিকিং স্কিল বাড়ানো যায়। কেমনে মানুষকে মোহিত করতে হয়। এমন অনেক সেলস পার্সন আছেন যারা আপনাকে এমন জিনিষ বিক্রি করে দেবে যা কী না আপনার দরকার নাই। ওনারা সেটা কেমন করে পারেন। এসবই এই কর্মশালার উপজীব্য।

উদ্যোক্তারা ছাড়াও যারা নিজের কথা বলার কায়দা উন্নত করতে চায় তাদেরও সবিশেষ উপকার হবে এই কর্মশালা থেকে।

রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে যে কেও সেখানে যেতে পারবে। রেজিস্ট্রেশন ফী ২০০ টাকা এবং সেটা স্পটেও দেওয়া যাবে। হবে পলাশীর মোড়ের ফ্রেপড অডিটরিয়ামে।

শুরুর দিকে আমার নিজেরও সেখানে থাকার ইচ্ছে আছে। বাকীঅংশ সামলামে াপটিমার মুর্শেদ ও তাঁর সহযোগী। আয়োজনের ইভেন্ট পেজে আরো কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।

দ্বিতীয় আলোচনাটি ইলেকট্রনিক্স নিয়ে যারা উদ্যোগ নিতে চান তাদের জন্য। আমরা অনেকেই জানি ২০২০-এর দিকে গার্মেন্টস আর আমাদের প্রধান রপ্তানি খাত নাও থাকতে পারে। আবার বিশ্বব্যাপী অটোমেশনের কাজকারবার অনেক বেড়ে গেছে। এর ফলাফল আমরাও দেখছি। কিন্তু আমাদের দেশে ইলেকট্রনিক্স কারখানা কিংবা উদ্যোগের সংখ্যা খুবই কম। এমন কী বাজারে যে মাল্টিপ্ল্যাগগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর বেশিরভাগই চায়না থেকে আসে। কেন আমাদের তরুন-তরুনীরা এই খাতে বেশি আসছে না, তাদের চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?

এটি একটা মুক্ত আড্ডা ফরম্যাটে হবে। বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক্স শিল্প গড়ে তোলার অগ্রপথিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সিদ্দিক-ই-রাব্বানী স্যার এখানে থাকবেন।



তাঁর সঙ্গে আরো থাকবেন সাইবারনেটিক সিস্টমের এমডি সিরাজুল হোসেন এবং অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের অন্যতম উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগ। এই আড্ডাটি আমি সঞ্চালনা করবো।

হবে ঐ ফ্রেপড-এ। এটি আগ্রহীদের জন্য উন্মুক্ত। কোন ফী বা রেজিস্ট্রেশনের বালাই নাই। খালি উপস্থিত থাকলেই হবে।

এই ইভেন্টের ফেসবুক ইভেন্ট পেজে গিয়ে ফ্রেপড এর খোঁজ খবর জানা যাবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

মদন বলেছেন: সব কিছুই ঢাকা কেন্দ্রিক হলে বিপদ :(

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

মুনির হাসান বলেছেন: সেটা ঠিক। তবে, স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগগুলোকে ছড়িয়ে দিতে হলে ঢাকার বাইরেও উদ্যমী স্বেচ্ছাসেবক দরকার।
গ্রুপের চট্টগ্রাম, সিলেট আর ময়মনসিংহে চ্যাপ্টার আছে যেখানে কিছু কাজ হয়। তবে, অন্যত্র এখনো সংগঠিত হওয়ার মত স্বেচ্ছাসেবক পাওয়া যায় না।

যেমন রাজশাহীতে এমন একটা উদ্যোগ নিতে কী সমস্যা? সেখানে দুইট বড় বিশ্ববিদ্যারয় আছে কাজে রিসোর্স পার্সনের অভাব হওয়ার কথা না। এপ্রোচ করলে তারা আসবেন না এটাও আমি মানি না।
বাকী থাকে একটা অডি। সেটা পার্টিসিপেটরি পদ্ধতিতে করা যায়। এখানে যেমন সকালে যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন তাদের ফূ দিযে দুইটি অনুষ্ঠান হয়ে যাবে। পার হেড মাত্র ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে। কাজে সেটাতেও ঘাটতি হবে না।
তাহলে বাকী থাকলো কয়েকজন উদ্যমী ভলান্টিয়ার যারা কাজটা করার জন্য পথে নেমে পড়বে।

আর কোন সাহায্য সহযোগিতা যদি এরপরও লাগে তাতে তো আমরা আছি!

তাই না?

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মদন বলেছেন: কথা ঠিক

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

লজিক মানুষ বলেছেন: সব ই তো বুঝলাম, কিন্তু ফেসবুক পেজ টা কই গেলো????????????????

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মুনির হাসান বলেছেন: ইভেন্ট পেজ দুইটা দেখাচ্ছে তো!!!

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৬

লজিক মানুষ বলেছেন: ফেবু তে যে একটা গ্রুপ ছিলো ওটা কই?????

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মুনির হাসান বলেছেন: আছে তো!
চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব - এটা দিয়ে সার্চ দিলে পাওয়া যাবে। এখন অবশ্য আরো কয়েকজন এই নাম (একটু এদিক ওদিক করে)-=এ আরো গ্রুপ খুলছে।
আমাদের গ্রুপে ১৪হাজার মেম্বার। এটা দিয়ে চেনা যাবে।

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

মামুন রশিদ বলেছেন: ভাল উদ্যোগ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.