নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়েশ করে, আলসেমিতে...

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

মুনির হাসান

অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!

মুনির হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাই উদ্যোগ, চাই ভরসা

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব গ্রুপের উদ্যোগে একটি বুট ক্যাম্প হয়েছে কয়েকদিন আগে। যেদন সেটি শেষ হয় সেদিন সকালে একটা গোল টেবিল আলোচনাতে গিয়েছিলাম

দুইটি অভিজ্ঞতাকে নিয়ে গতকাল প্রথম আলোতে আমার একটি লেখা ছাপা হয়েছে - চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব



ইদানিং গ্রামীণ কর্মসংস্থানের একটি বিষয় আমাকে খুবই পীড়া দিচ্ছে। এটি হল গ্রামের তরুনরা কোনভাবে ই পূঁজি যোগাড় করতে পারেন না। এমন কি যে তরুন মাত্র ৫০ হাজার অভাবে তার পুকুরটিকে লাভজনক উদ্যোগে পরিণত করতে পারছেন না, তিনিই আবার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে তিন লক্ষ টাকা যোগাড় করে ফেলেন! যখন কী না তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যান শ্রমিকের চাকরি নিয়ে!!!



তার মানে দাড়াচ্ছে আমরা কোন ভাবেই উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে কাউকে আগ্রহী করতে চাই না।



প্রশ্ন হচ্ছে সরকার বা বড় কর্পোরেটদের কাছে নানান তদবির আর দাবী দাওয়া করে কি এই থেকে আমাদের মুক্তি হবে?



আমি আসলে এনালিস্ট নই, কামলা শ্রেণীর লোক। যদিও অলস। তাই আমার হিসাব সোজা।



আমাদের যা কিছু আছে, তা-ই নিয়ে নতুন আর হবু উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আত্মকর্মসংস্থানের মূল বিষয়গুলো শিক্ষাক্রমের আওতায় আনতে হবে। ক্যারিয়ার ক্লাবের পাশাপাশি এন্ট্রাপ্রেনিউর ক্লাব বানাতে হবে। শিক্ষার্থীরা জীবনবৃত্তান্ত লেখা যেমন শিখবে, তেমনি ঋণের প্রস্তাব আর উদ্যোগের পরিকল্পনাও করতে শিখবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কিছু কিছু ব্যবসা উদ্যোগ-সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা ইদানীং শুরু হয়েছে। এসব প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া উদ্যোগগুলো যাতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিতে

পারে, তার জন্য চেষ্টা চালাতে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দেশে যেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আর এনজেল ইনভেস্টরদের উদ্যোগগুলো প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ভিত্তি পায়, সে জন্য আরও তৎপর হতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। কয়েকটি ছোট নীতিমালা হলেই প্রবাসীরা তরুণদের উদ্যোগে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাত্র ১০ শতাংশকে যদি জমির দাম বাড়ানো থেকে বিনিয়োগে রূপান্তর করা যায়, তাহলেই বছরে নতুন দেড় লাখ উদ্যোক্তার সংস্থান হয়ে যেতে পারে।

প্রতিবছর ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর বিশ্ব উদ্যোক্তা সপ্তাহ হিসেবে পালিত হয়। এ বছর এটি আমাদের দেশেও নানাভাবে পালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে শুরুতে উল্লেখ করা ‘উদ্যোক্তা বুট ক্যাম্প’। হচ্ছে আরও নানা আয়োজন।

কেবল সাহস আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে পুঁজি করে অনেক তরুণ-তরুণীই এখন পথ না হারানোর পথে নেমে পড়েছে। তাদের জীবনের মূল মন্ত্র হয়ে উঠছে, তারা ‘চাকরি খুঁজবে না, চাকরি দেবে’।

পরিবার, ব্যাংক, স্থানীয় করপোরেট, সরকার আর সমাজ—সবাই মিলে আমরা যেন তাদের ভরসা হতে পারি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

রাজীব বলেছেন: নতুন উদ্যক্তাদেরকে যদি মাত্র ১ থেকে ৫ লাখ টাকা করে লোন দেয়া যায় তাহলে এটুকু সাহায্যেই বছরে অনেক ভালো উদ্যক্তা তৈরী করা সম্ভব। সরকার যদি এজন্য একটি থোক বরাদ্দ রাখত তাহলে ভালো হতো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

মুনির হাসান বলেছেন: সরকার থোক বরাদ্দ রাখলে সেটি যে উদ্যোক্তারা পাবে সেটা হলফ করে বলা মুশ্কিল। আমাদের সিস্টেম সব জানি কেমন।
পার্সোনাল কেয়ারিং না থাকলে সবই লুটপাট হয়ে যায়!

ঢাকা চেম্বারের প্রজেক্টের জন্য ১০০ কোটি টাকার একটা রিফাইন্যান্সের ব্যাপার করা হচ্ছে। দেখা যাক।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে ব্যাবসা করার সবচাইতে নিকৃস্ট জায়গা, ব্যাবসা করতে সবচাইতে বেশী খরচ হয়, সবচাইতে দুর্নীতিবাজ দেশের নাম বাং ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৫

মুনির হাসান বলেছেন: বিশ্বব্যাংক বা আইএফসির রিপোর্ট অবশ্য তা বলে না। গত কয়েক বছরে আমরা ডুয়িং ািজনেজ ইনডেক্সে কয়েক ধাপ উঠেছি। আর সবচাইতে দুর্নীতিবাজের তালিকা থেকেও সরছি, বেশি না অবশ্য।

এর মানে হল ট্রেন্ডটা সামনের দিকে।

ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: ফ্যাশন হাউস এর নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংক থেকে কি পরিমাণ এবং কি কি শর্তে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যেতে পারে স্যার?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

মুনির হাসান বলেছেন: সব ব্যাংকেরএই ক্ষু্দ্র উদ্যোক্তা ঋণের ব্যবস্থা আছে। তবে, একেবারে নতুনদের কেও টাকা দেয় না।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোষ্ট করা ও পত্রিকায় কলাম লিখার জন্য।

এবার ঈদে গ্রামে যাওয়ার পর এক বন্ধু বলল আমি মধ্যপ্রাচ্যে যাব। আমি তখন তাকে বললাম তুই যে টাকা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যাবি সেই টাকা দিয়ে দেশে খুব সুন্দর ব্যবসা করতে পারবি। ঐ খানে জাইলে মানুষের কামলা খটাতে হইব।
ও জবাবে আমারে বলে , বিদেশ যাওয়ার কথা কইলে আত্মীয়-স্বজন থেকে তিন দিনে তিন লাখ টাকা মেনেজ করা কোন ব্যাপার না। কিন্তু ব্যবসার কথা কইলে এক টাকাও না।

আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিদেশ গেলেই টাকা ইনকাম করা যায় এধরণের মনভাবের ফলে মানুষ ব্যবসার প্রতি তেমন গুরুত্ব দেয় না। অথচ আর কম টাকায় কত লাভ জানক ব্যবসা করা যায় দেশে থেকেই।

শুধু তরুণদের না সকলকে নতুন উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী করে তুলতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আশাকরি আপনাদের প্রচেষ্টা সার্থক হবে।

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

খুব সহজে এই বোধ সমাজ থেকে দূর করা যাবে না। আমাদের অনেক উদাহরণ বানাতে হবে।
বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা দেয় কারণ আগে বিদেশে গিয়ে অনেকে কাড়ি কাড়ি টাকা এনেছেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সেভাবে সফল হয়েছেন বলে আশে পাশের লোকজন দেখে না। তাই রাজী হয় না।

আমাদের বকবকানি চলতে থাকবে। এই আর কি।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.