নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়েশ করে, আলসেমিতে...

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

মুনির হাসান

অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!

মুনির হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানেই পড়তে হবে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

অটো প্রমোশন ছাড়াই প্রায় ২০ লাখ ছেলে-মেয়ে ১ জানুয়ারি নবম শ্রেণীতে নতুন ক্লাস শুরু করবে। তাদের সবাইকে একটি গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিভাগ নির্বাচন - বিজ্ঞান, ব্যবসা শিক্ষা নাকি মানবিক। আজকাল আমাদের দেশে বাণিজ্যে বসতি লহ্মী ধরে নিয়ে সবাই বাণিজ্যতেই নিজেকে দেখতে চায়।



অনেকের ধারণা বাণিজ্য পড়লে সম্ভবত চাকরি বেশি পাওয়া যায়! আমার ধারণা এর উল্টো। আমি দেখেছি বিসিএস পরীক্ষায় সাফল্যের হার বিজ্ঞানের স্নাতকদের বেশি। ডেপুটি গভর্ণর থেকে শুরু করে নানান পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে ফিজিক্স গ্রুাজুয়েটরা এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমি আরো হিসাব দিতে পারি তবে সেগুলো কেও শুনবে বলে মনে হয় না! কারণ আমরা না জেনে চিলের পেছনে দৌড়াতে ভালবাসি।

যারা ২০১৪ সালে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হবে তারা কর্মবাজারে যাবে ২০২২+ সালে। সে সময় পৃথিবীতে কোন ধরণের কাজ বেশি থাকবে?

ধারণা করা হচ্ছে সে সময় নতুন দুইটা কাজের একটা হবে আউটসোর্সিং। মানে একজায়গার কাজ হবে আর এক জায়গায়। তারমানে ভাল দক্ষতা থাকতে হবে তিনটি বিষয়ে - প্রবলেম সলভিং, লিডারশীপ এবং টেকনোলজি। গণিত আর বিজ্ঞানে জোর না থাকলে প্রথমটা দূর পরাহত!

দুইদিন আগে এক ঘন্টার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রোগ্রামে আমাদের সুবিন একটা উদাহরণ দিয়েছিল। একদিন বাসে উঠে সে দেখতে পায় পেছনের দিকে একটা সিট পড়ে আছে এবং তার পাশে কয়েকজন দাড়িয়ে আছে। সুবিন তখন ঐ সীটটা তুলে খাড়া করে সেখানে বসে পড়লো। তখন বাকী আরো দুইজন সেখানে বসেছে! এই হচ্ছে গণিত-প্রোগ্রামিং-বিজ্ঞানের ম্যাজিক।

২০২২ সালটা গুরুত্বপুর্ণ কারণ সেবার কাতারে হবে বিশ্বকাপ! সেই বিশ্বকাপে প্রযুক্তির নানান ব্যাপার থাকবে থাকবে বলে হাজার হাজার নতুন কাজের সৃষ্টি হবে। কোন কোনটা হয়তো ভুরঙ্গামারিতে বসেও করা যাবে। কিন্তু করার জন্য গণিত আর লজিক দুইটা লাগবেই।

আমাদের দেশে কেন জানি বিজ্ঞান পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমরা যদি সবাই মিলে উদ্যমী না হয় তাহলে ২০২৭ সাল নাগাদ বাংলাদেশে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টোকনলজিস্ট থাকবে, দুর্ভাগ্যবশত, তাদের কারো মাতৃভূমি বাংলাদেশ হবে না!

২০২২ সালে আমাদের কয়েক লক্ষ উদ্যোক্তা লাগবে। তার জন্যও প্রবলেম সলভিং জানতে হবে। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যখন খুশী তখন নিজের পছন্দের অন্য সাবজেক্টে সুইচ করা যায়। যেটা অন্য কিছুতে সম্ভব নয়।



এই নিয়ে চট্টগ্রামের হালখাতা চট্টহআম বই-এ আমার একটা বিস্তারিত লেখা ছাপা হয়েছে। ইচ্ছে করলে আমার সাইটে সেটা পড়ে আসা যাবে



কাজে যার যার সুযোগ আছে, অনুগ্রহ করে নতুনদের কাছে বিষয়টা ব্যাখ্যা করেন।



সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার একটা পোষ্ট! ভালো বলেছেন। তবে আমি একটু যোগ করতে চাই, যে বিষয় নিয়েই পড়াশুনা হোক না কেন, সঠিক চর্চা এবং মনযোগ না দিলে কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

মশিকুর বলেছেন:
সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

আদম_ বলেছেন: "আমাদের দেশে কেন জানি বিজ্ঞান পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে"
এই কেন জানির উত্তরটা কি কখনো খুজেছেন?

কয়েকদিন আগে এক লোক আমার অফিসে এসেছিলো, তার কাজ হলো অফিসে-অফিসে ঘুরে চেক কালেকশন করা। উনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ব থেকে পাশ করা। প্রশ্ন করলাম, এত ভালো ছাত্র হয়ে, এত ভালো জায়গায় পড়ে কেন উনি এই বাজে চাকরিটি করছেন। উনি বললেন "কারণ আমাকে খেয়ে বাচতে তো হবে"।

বিজ্ঞান নিয়ে পড়লেই ভবিষ্যত ফকফকা হবেনা। কারণ এটা বাংলাদেশ।

Click This Link

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

মুনির হাসান বলেছেন: আলোচনাটা সাধারণ শিক্ষায় বিজ্ঞানের গুরুত্ব নিয়ে এবং বলা হয়েছে যে, একটা সময় পর্যন্ত বিজ্ঞান পড়লে সুযোগ এবং সামর্থ দুটোই বেশি হয়। সটা কাজে লাগানোর ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: বেশ প্রয়োজনীয় কিছু কথা লিখেছেন।আমি নিজেও ব্যবসায় শিক্ষা নিয়ে পড়ছি।বিজ্ঞান কিংবা অংক কখনই আমার প্রিয় ছিল না।এর কারণেই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় আসা।তবে এখন বুঝতে পেরেছি গণিতের শিক্ষা থেকে কিংবা বিজ্ঞানের শিক্ষা থেকে আমরা কখনই আলাদা হতে পারব না।যে বিজ্ঞান এবং অংকের ভয়ে আমি ব্যবসায় শিক্ষায় পড়েছি,সেই ব্যবসায় শিক্ষায় আমার এখন গণিত এবং বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রয়োজন হচ্ছে। গত সেমিস্টার গুলোতে বিজনেস ম্যাথ করতে হয়েছে।কোনো ভাবে সামলেছি।পরিসংখ্যান দ্বিতীয় পত্রের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে সবাই এখন হিমসিম খাচ্ছি।আমাদের সাথে যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড বিজ্ঞান ছিল তারা কিন্তু পরিসংখ্যানটা বেশ সাবলীল ভাবে কাভার দিতে পারছে।আসলে বিজ্ঞানের শিক্ষাটা কোনো ভাবেই এড়িয়ে চলা উচিত না।হায়ার সেকেন্ডারি লেভেলে ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক বিভাগে কমপক্ষে গণিতটাকে আবশ্যক করা হোক।সেটা না করা হলে বিজ্ঞান বিভাগের সাথে প্রতিযোগীতা করে টিকে থাকা বাকিদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
আর একটা বাড়তি কথা যেটা বলতে চাই তা হল, এনালিটিক্যাল এবিলিটি টেস্ট আবশ্যক করা উচিত।মুখস্থ্য বিদ্যা দিয়ে মস্তিষ্ক ভরিয়ে ফেলার চেয়ে বুদ্ধির পরীক্ষা দিয়ে মস্তিষ্ককে সচল রাখা ভাল।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

মুনির হাসান বলেছেন: ব্যবসার ব্যাপারটা এখন খুবই জটিল। ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন একটা সাবজেক্ট চালু হয়েছে!!!

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

সচেতন বলেছেন: বিজ্ঞানে পড়ার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে, পরে যে কোন দিকে জাম্প করা যায়!! B-))

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

ড. জেকিল বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন।

বিজ্ঞান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ন সাবজেক্ট। কিন্তু নিজের পছন্দের উপরেই জোর দেওয়া উচিত।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

মুনির হাসান বলেছেন: পছন্দের বিষয়তো অনেক পরে। মাধ্যমিকে ওবং উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান ঠিকমত পড়লে গণিতের গাঁথুনিটা ভাল হয়। তখন যে কোন বিষয়ে ভার করা যায়।

আমার এক বন্ধু আমেরিকায় পলিটিক্যাল সায়েন্সে পিএচডি করতে গেছে। বেচারা ফোন করে আমাকে ফোন করে বলেছে - এখান এসে তোর কাজর কদর বুঝতে পারছি। আমাকে দুইটা গণিতের কোর্স ধরাইয়া দিছে। বলছে আগে অঙ্ক করে আসে পরে রাজনীতি বুঝো!!!

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: স্যার আমার নিজের কাজিন কে বাসা থেকে বলছে ফিজিক্স ম্যাথ বুঝতে পারবি না কমার্স নে =p~
আমি বলে দিয়েছি ওকে খবরদারথ না। ফিজিক্স ম্যাথ পানির মত সরল করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করেছি ব্যাঙ্ক গুলোতে কিন্তু অনেক সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট জয়েন করছেন অ্যান্ড তাঁরা ভাল পারফর্ম করছেন।

অফটপিকঃ সুবিন ভাই বাসে উঠে কি বাসের মেঝেতে সিট পরে থাকতে দেখছিলেন ? ব্যাপার বুঝিনি :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

মুনির হাসান বলেছেন: হুম। সিটটা মেঝেতে পড়ে ছিল। কেও তোলেনি!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.