|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 মুনির হাসান
মুনির হাসান
	অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!
চমৎকার নিরাপদ পরিবেশ, সব বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে খাতির, গবেষণা আর কাজের সুন্দর জায়গা, বিকেলে নদীর পাড়ে বেড়াতে যাওয়া, ৩০ বছরেরর অভ্যস্ততার জীবন। বেতন যা পান তা দেশের টাকায় লাখের উপরে। সেখানে থাকলে তার যে কাজ সেটিকে আরো এগিযে নেওযা যাবে। হয়তো নোবেল পুরস্কারও।
তারপরও দেশে ফিরতে চান এই বিজ্ঞানী। শুধু চান না প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছন। দুই মেয়েকে শেখানো হচ্ছে বাংলা, বাড়িতে হচ্ছে বাংলা গানের আসর। বন্ধুরা সব আসেন। হকিং বলেন "জামাল ইসলাম তুমি এখানে থেকে যাও। এখান থেকেই দেশের জন্য কাজ করতে পারো।"
কিন্তু সিদ্ধান্তে অটল - “বাংলাদেশের একটি ছেলে বা একটি মেয়েকেও যদি আমি বিজ্ঞানের পথে নিয়ে আসতে পারি, যদি তার সামনে মহাবিশ্বের রহস্য অনুসন্ধানের একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারি, তাহলেই আমার দেশে ফেরা স্বার্থক হবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বেতনের বেসিক ঠিক হল ৩০০০ টাকা! তাতেই সই।
১৯৮৫ সালে পাকাপাকিভাবে দেশে চলে আসলেন। চালু করলেন তাঁর রিসার্চ সেন্টার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথেমেটিক্যাল ও ফিসিকাল সায়েন্সে তার অধীনে মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থী এম ফিল ডিগ্রী লাভ করেছেন। আর ৩৩ জন পেয়েছন পিএইচডি ডিগ্রী!!! তাদের প্রত্যেকের কাজই আন্তর্জাতিক মানের। মনে রাখতে হবে, যে সময়ে তার এই সব শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণায় অনুপ্রাণিত করেছেন তখন এমনকী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই অর্থে ভাল মানের ইন্টারনেট সংযোগই ছিল না। (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নাই!)
গণিত অলিম্পিয়াড শুরু করার আগে তাঁর কাছে গিয়েছি। বললেন - একজন শিক্ষার্থী পেলেই শুরু করে দাও।
জামাল স্যার চলে গেছেন এক বছর হয়ে গেল। চট্টগ্রামের শিশুদের প্রতিষ্ঠান ফুলকি তিনদিনের একটা কিশোর বিজ্ঞান সম্মেলন করেছে ১৪-১৬ মার্চ।
স্যারকে স্মরণ করেছি আমার ব্লগে   
স্যারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
 ১০ টি
    	১০ টি    	 +২/-০
    	+২/-০  ২৪ শে মার্চ, ২০১৪  ভোর ৫:২৪
২৪ শে মার্চ, ২০১৪  ভোর ৫:২৪
মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
লেগে থাকলে একদিন আমরা ঠিকই পারবো।
২|  ২৩ শে মার্চ, ২০১৪  বিকাল ৪:৪১
২৩ শে মার্চ, ২০১৪  বিকাল ৪:৪১
মদন বলেছেন: অপরীসীম শ্রদ্ধা রইলো তার জন্য।
৩|  ২৩ শে মার্চ, ২০১৪  বিকাল ৫:০৩
২৩ শে মার্চ, ২০১৪  বিকাল ৫:০৩
বেলা শেষে বলেছেন: লাখ নয়, তিন হাজারেই চলবে 
এটাই সত্য 
Respect & Salam.
৪|  ২৩ শে মার্চ, ২০১৪  বিকাল ৫:২৯
২৩ শে মার্চ, ২০১৪  বিকাল ৫:২৯
আদরসারািদন বলেছেন: স্যার, আপনার প্রতি অগনিত কৃতজ্ঞাতা
৫|  ২৪ শে মার্চ, ২০১৪  রাত ১২:১৮
২৪ শে মার্চ, ২০১৪  রাত ১২:১৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সম্মান এবং অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
৬|  ২৪ শে মার্চ, ২০১৪  রাত ১২:২৭
২৪ শে মার্চ, ২০১৪  রাত ১২:২৭
 আমিনুর রহমান বলেছেন: 
জামাল স্যারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। 
৭|  ২৪ শে মার্চ, ২০১৪  সকাল ৭:২৮
২৪ শে মার্চ, ২০১৪  সকাল ৭:২৮
উদাস কিশোর বলেছেন: স্যারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা । 
তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
৮|  ২৪ শে মার্চ, ২০১৪  সকাল ১১:১০
২৪ শে মার্চ, ২০১৪  সকাল ১১:১০
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
৯|  ২৫ শে মার্চ, ২০১৪  রাত ১১:১৮
২৫ শে মার্চ, ২০১৪  রাত ১১:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: দেশের জন্য এই আত্মত্যাগ সত্যিই বিস্মিত করে । স্যারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪  বিকাল ৪:৪০
২৩ শে মার্চ, ২০১৪  বিকাল ৪:৪০
হাফিজুর রহমান মাসুম বলেছেন: কিন্তু সিদ্ধান্তে অটল - “বাংলাদেশের একটি ছেলে বা একটি মেয়েকেও যদি আমি বিজ্ঞানের পথে নিয়ে আসতে পারি, যদি তার সামনে মহাবিশ্বের রহস্য অনুসন্ধানের একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারি, তাহলেই আমার দেশে ফেরা স্বার্থক হবে।”
আমাদের এই অগ্রজদের শিক্ষা যেন আমরা কখনও ভুলে না যাই। জামাল স্যারের পদাঙ্ক যদি এদেশের একজন তরুণও অনুসরণ করে থাকেন তবে জামাল স্যারের ত্যাগ স্বার্থক। আমরা যারা অনেক কিছু পাওয়ার লোভকে তুচ্ছ করে নিজেদেরকে নিয়ে এসেছি সেই জায়গায় যেখানে দেয়ার জন্য কেউ নেই, তারা জামাল স্যারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে হ্যাটস্ অফ।