![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!
লন্ডনে তিন যুবক সবাইকে স্বাস্থ্যকর পানীয় খাওয়াতে চেয়েছিল এবং সেই তাড়না থেকে তারা একটি শরবতের ব্যবসা শুরু করে। অন্যদের চেয়ে জুসের এই ব্যবসার পার্থক্য হল এখানে কেন কনসেনট্রেড থেকে শরবত বানানো হয় না। প্রাকৃতিকভাবে, মানে বাসায় আমরা যেভাবে খাই সেভাবে। ইনোসন্টে নামের এই শরবৎ এখন ইউরোপের১৩টা দেশের মাত্র আট হাজার আউটলেটে প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২০ লক্ষ বোতল ইনোসেন্ট স্মুথি বিক্রি হয়ে থাকে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বন্ধু রিচার্ড রীড, এডাম বেলন আর জন রাইট ১৯৯৮ সালে ইনোসন্ট নামের এই শরবত কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন মাত্র ৫০০ পাউন্ড হাতে নিয়ে। এখন তারা প্রত্যেকেই বিশাল ধনীলোক। আগে বলেছি ইনোসেন্ট বিক্রয় হয় ১৩টা দেশে। কোম্পানির ভ্যালুয়েশন মাত্র ১০ কোটি পাউন্ড!!! (এক হাজার কোটি টাকার বেশি) এর প্রায় সবটাই ওরা বিক্রি করে দিয়েছে কোকা কোলা কোম্পানির কাছে!
আমি বেশ কিছুদিন ধরে আমরেকিার সিলিকন ভ্যালির আইটি স্টার্টআপ এবং তাদের লড়াই-সংগ্রাম-সাফল্যের কথা পড়েছি নানান বইতে, ইন্টারনেটে। এবার একটু ভিন্ন পরিমন্ডলে পড়ার চেষ্টা করেছি। মূলত সাবিরুল দেশে আসার পর থেকে সেটা নিয়ে ভাবছি যে ব্রিটিশরা যেহেতু আমাদের এখানে একটা সংস্কৃতির আবহ তৈরি করে গেছে কাজে তাদের ব্যাপারগুলো দেখলে কেমন হয়। সেই ইচ্ছাতে আমি ইংলন্ডের কিছু কোম্পানির যা কিনা একেবার ছোট থেকে শুরু হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে পড়বো বলে ঠিক করেছি। এবং আইটির বাইরেও যে একটা বড় জগৎ আছে সেটাও বোঝার চেস্টা করা।
এমনিতে আমি যা পড়ি তা সবসময় শেয়ার করার চেষ্টা করি। একটা কারণ হয়তো আমার মনে হয় আমাদের উদ্যোক্তাদের প্রচুর পড়া উচিৎ। ইউরোপে পড়ার একটা অন্যরকম সংস্কৃতি আছে। রেলস্টেশনে, পার্কে বাস স্টপেজে অনেককে দেখা যায় কোন না কোন বই-এ মশগুল থাকে। সুডোকু মেলায়, ক্রসওয়ার্ড সমাধান করে কিংবা পড়তে থাকে। আমরা কেন জানি সেরকম পড়ুয়া নই। মুজতবা আলীর ভাষায় - সে তো ওর একটা আছেই! যাকগে, বই -এর কথা শেয়ার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের নতুনরাও যেন পড়ে সেটার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া।
মার্চ মাসে ইনোসন্টের এই বইটার কথা লিখতে শুরু করেছিলাম। মাঝখানে কিছুদিন পারিনি। এখন এটা শেষ করলাম। আজ আমার ব্লগে এই ধারাবাহিকের শেষ পর্বটি প্রকাশ করেছি। এবারেরটা মোটামুটি ছবি ব্লগ বলা যায়।
পড়তে পড়তে আমি প্রায় ইনোসন্টের প্রেমে পড়েছি। গুগল বা এপল নিয়ে পড়ার সময় আমার কখনো তাদের হেড কোয়ার্টারে যাওয়ার ইচ্ছা হয়নি। কিন্তু ঠিক করেছি সুযোগ পেলেই ফ্রুট টাওয়ারে একবার যাবো। ইনোসন্টের গল্পটিকে আমাদের দেশের গল্প বলে অনায়াসে চালিয়ে দেওয়া যায়।
এই গল্পে প্রেম আছে, ব্যর্থতা আছে আর আছে লেগে থাকার এক অনন্য উদ্যোগ। সাফল্যতো আছেই।
যারা দুইমাস ধরে এই ধারাবাহিকটি পড়ছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। উৎসাহ না পেলে এই লেখাটা হয়তো আগের অনেকগুলোর মত মাঝখানে এসে থেমে যেত।
সবার জন্য শুভ কামনা।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫১
চড়ুই বলেছেন: ভালো লাগলো
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১২
ইলুসন বলেছেন: ভাল লাগল, এই লেখা দিয়েই আপনার লেখার সাথে প্রথম পরিচয়। এখন ফেসবুকে আপনাকে নিয়মিত ফলো করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
নীল জোসনা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ......আপনাকে ।