![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনেই বদলায়
আল্লাহ/ভগবান যে গোস্ত খান বা খেতে চেয়েছেন এমন কথা শুনিনি কোনোদিন ! অথবা তিনি যে পশুর রক্ত পছন্দ করেন বা পশুর রক্ত মেখে খুশি হন এমনটাও শুনিনি ! অথবা তাকে যে পশু বধ করে খুশি করতেই হবে আর এতে তিনি খুশি হচ্ছেন বা হবেন এমনটাও লেখা দেখিনি কোনো গ্রন্থে !
তাহলে এসব হচ্ছেটা কি আসলে ??
মানুষ সৃষ্টিকর্তার আজ্ঞাবহ দাস ! আর সেই মানুষের আজ্ঞাবহ দাস অন্য সকল পশুপ্রাণী, প্রকৃতি ?? আজব মসলা জোগাড় করেছেন তো আপনারা
দুনিয়াকে ভোগ করার মানে কি এই যে অন্য জীবের জীবন রক্ত নিয়ে হোলি খেলা; তা-ও আবার ধর্মের নামে ? ঈশ্বর কি বলেছেন আমাকে পশুর জীবন রক্ত দিয়ে খুশি করো, নইলে তোমার শাস্তি নিশ্চিত, জান্নাত লাভ কাঁটা যাবে ?? আছে কি এমন কোনো বাণী ঈশ্বরের ??
নবী ইব্রাহীম আঃ এর স্বপ্নে দেখা একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম এটাকে এতটা উৎসবে রূপান্তরিত করবে, হয়তো নবী নিজেও তা জানতেন না ! আচ্ছা তিনি তো তাঁর নিজস্ব চিন্তা কর্ম সাধনা বলে মুসলিম হয়েছিলেন অর্থাৎ আল্লাহ্পাক তাঁর কাজে খুশি হয়ে তাঁকে মুসলিম উপাধী দিয়েছিলেন ! আর এ জন্য নবীকে দিতে হয়েছে ঊনত্রিশ বা ত্রিশ'টি পরীক্ষা !
আপনি মুসলিম দাবী করেন, আপনি দিয়েছেন কয়টা পরীক্ষা ?
"যে আমার প্রতি ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে সে কি করে ভাবলো যে আমি তার পরীক্ষা নেবো না "? -(আল কোরান )
আপনিও কি স্বপ্নে দেখে এই পশুগুলো হত্যা করতেছেন ? তা মমিন ভাই আপনি স্বপ্নে কি দেখেছেন একটু বলবেন কি ????
আপনি আল্লাহকে খুশি করতে পশু বলী দিচ্ছেন; বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক আল্লাহ প্রেমিক তা মমিন ভাই এতই যখন আল্লাহকে ভালোবাসেন, তো পারলে নিজের একটা আঙ্গুল আল্লাহর নামে কেঁটে উৎসর্গ করুন তো
! দেখি আপনার ঈমানী শক্তি ! ইব্রাহিম নবী কিন্তু তার নিজ সন্তানকেই জবাই করতে নিয়ে গেছিলেন ! আপনি কি জীবনে এরকম কিছু করেছিলেন যার ফলে আল্লাহ আপনার জন্য নিরীহ পশুটাকে ধার্য্য করে দিয়েছেন ??
আচ্ছা আপনাদের কি হযরত মুসা আঃ এর সেই ঘটনাটা কি জানা আছে, যখন একদিন মুসা আঃ পথ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন এমন সময় বাঁজ পাখির ধাওয়া খেয়ে এক ঘুঘু পাখি মুসা নবীর পকেটে ঢুকে আশ্রয় নেয় ! তখন বাঁজ পাখিটা মুসা নবীকে বলে "হে মুসা নবী আমি ক্ষুদার্থ, ঘুঘুটাকে ছেঁড়ে দাও আমি খাব" পক্ষান্তরে ঘুঘুটা আরজ করলো "আমি তো আপনার কাছে জীবন বাঁচাতে এসেছি" ! এবার মুসা নবী অন্য উপায় (কথিত আছে সেটা একটা কাক পাখি ছিলো) বাঁজ পাখিটার আহারের ব্যবস্থা করে দিয়ে ঘুঘুটাকে বাঁচিয়ে দিলেন ! সেখানেও মুসা নবী ওই কাক পাখিটার জন্য বাঁজ পাখির কাছেই সমালোচিত হয়েছিলেন ! আল্লাহ নাকি এ কারণে মুসা নবীকে বলেছিলেন "হে মুসা ! তোমার গায়ে কি গোস্ত কম ছিল ?" (সংক্ষেপে)
বলতে পারেন পশু ক্রয়ের টাকাগুলো তো কষ্ট করেই অর্জিত ! হ্যা ! কষ্টের টাকা তো তাই গোস্ত নষ্ট না করে কিছুদিন আয়েসে ভুরি ভোজ করতেই ফ্রীজ করে রাখা হচ্ছে; প্রয়োজনে স্ত্রীর বায়না মেটাতে নতুন আরেকটা ডিপফ্রীজ এবার কিন্তু চা-ই চাই
পশুর জীবন বলি দিয়ে পশুদের কাছে নিজেই পশু হচ্ছি আর ধর্মটাকে বানাচ্ছি পশুধর্ম, এ কথা নিজেই জানিনা ! আমি জানাবো কি করে, এ কথা তো আধুনিক হাদীস প্রণেতাগণও জানতেন না !
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: কিছুদিন আগে এক মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে এসেছি। এটা ছিল আমার কুরবানি। স্রষ্টা খুশি হোক বা না হোক।
ছোটবেলা থেকে কুরবানি পছন্দ করি না। সামনে থাকি না।
ভিগান হয়েছি কয়েক বছর হবে। গবিরকে সাহায্যই যদি করতে হয় মহল্লার সবাই মিলে কি গবিরকে স্বাবলম্বী করার কর্মসংস্থান দেয়ার কোন উদ্যোগ নিলে কি হত না? সমাজ ও দেশের মঙ্গল হত না?
এখন তো আপনার টাকা মাংস হয়ে গরীবের পায়খানা হয়ে বের হবে আর কিচ্ছু হবে না।
কেন প্রাণীকে কচুকাটা করেই তাদের গারিবি মিটানো লাগবে ? প্রোটিন ? সেটা তো ডালেই যথেষ্ট আছে , পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। কেন মাংসের নামে নানা রোগবালাই দিচ্ছ গরীবের ঘরে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।