![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনেই বদলায়
একজন মুক্তিযোদ্ধার গল্প:
চাচা মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার বয়স কত ছিলো ?
- তখন বয়স কত হইছিলো তা ঠিক জানিনা তয় ওই সময় বাপের লগে ব্যবসার খ্যাপে গেছি এইডা মনে আছে ! আট-দশ বছর তো হইবেই তখন !
চাচা ওই সময় এতটুকু বয়সে কি ব্যবসা করতেন ?
- আরে আমি তো হেগো লগে যাইতাম তামাক বানাইয়া আগায়া দেওনের লাইগা ! আর আমারে নৌকায় পাহারা রাইখা হেরা (বাপ্-চাচা) গঞ্জের পাড়ে উঠতো ব্যাচা-কেনার লাইগা !
চাচা এখন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা যা পান তা দিয়া কি সংসার ঠিকঠাক মত চলে ?
-ওই চলে কোনোমতে !
কন কি চাচা ! দশ-বারো হাজার টাকায়ও মাস চলে না ? আহারে........সরকার আপনাদের দিকে আসলে ঐভাবে খেয়াল নিচ্ছে না মনে হয়, তাই না ?
- কেমনে চলবে ? বাজারে মাল-জিনিসের যা দাম !
তা চাচা এখন আপনার বয়স কত হইবে আনুমানিক ?
- সত্তর-বাহাত্তরের তো হবেই !
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যারা লুটপাট, চুরি, ডাকাতি করেছেন ! তারাও কি মুক্তিযোদ্ধা ????
আমিও চাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা সর্বচ্চ সম্মানিত হোক; তবে চোর ডাকাতদের যদি সেই তালিকায় ধরা হয় তাহলে বিষয়টা নিয়ে একটা এলারজি থেকেই যাবে ! আরেকটা বিষয়-
1975 এর পট পরিবর্তনের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তান পন্থীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যা যা করেছিলেন তার মধ্যে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা ও তাদের নথিপত্র গায়েব করা ছিল অন্যতম ! বাকিটা সম্পন্ন হয় 1991 সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর !
আপনাকে হয়তো মনে আছে- বর্তমান যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রমাণপত্র কিন্তু তৎকালীন দেশি-বিদেশী মিডিয়াতে উঠে আসা সংবাদপত্রের কপি ! কারণ 1991 সালে খালেদা জিয়ার সাথে জামাত ক্ষমতায় বসে তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রায় সকল নথিপত্রই গায়েব করে দিছিলো ! পাশাপাশি ওই আমলের বেশিরভাগ অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট তৈরী করে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ ঘটান !
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের দেশ কেমন যেন বিদঘুটে ভাব। অস্ত্র না নিলেও তখনকার সহযোগী সবাই ই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ধরা উচিত। যে যোদ্ধা কে খাবার দিয়েছে, থাকতে দিয়েছে, বার্তাবাহক, মৌন সম্মতি দিয়েছে তাকেও মুক্তিযোদ্ধা বলা উচিত। বাংলাদেশ একটা ফাইজলামী ট্রেন্ড করেছে শুধু অস্ত্রধারীদের ই এই খাতায় ফেলল। গায়ক মুক্তিযোদ্ধা যদিও আছে তবুও আলাদা করে অস্ত্রধারীকেই ধরা ঠিক নয়। সেই হিসাব করলে লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষ ই মুক্তিযোদ্ধা। যে মা তার বুকের মায়া খালি করে সন্তানকে যাওয়ার অনুমতি দিল তিনিও মা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা। সুতরাং আলাদা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বে সেকটর এর প্রয়োজন নাই।
দেশের বিপদে আপনি আমি এগিয়ে আসবেন নাকি আরেক দেশের মানুষ এগিয়ে আসবে আগে! আমরাই লাস্ট লাইন অফ ডিফেন্স!
একজন হাত পা হারিয়েছে। একজন জীবন বাজী রেখে ফিরতে পেরেছে গাজী হয়ে,কেউ ছেলে, মেয়ে পরিবার হারিয়েছে তারা সবাই ই মুক্তিযোদ্ধা। সেই হিসাব করলে তো আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার!!!!!
পাকিস্তানপন্থী ছাড়া।
এখন সবাই ই ভাতা, কোটার ব্যবস্থা করলে হবে নাকি?
আহত মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া যায় ভাতা কিন্তু এর বেশি দেখছি না।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: আপনি সঠিক ব্যাখ্যাটাই তুলে ধরেছেন ভাই !
"এখন সবাই ই ভাতা, কোটার ব্যবস্থা করলে হবে নাকি?
আহত মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া যায় ভাতা কিন্তু এর বেশি দেখছি না" !
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
গ্রামের কৃষক, দিন মুজুরেরা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন; উনাদের দিন তারিখ ঠিক থাকার কথা নয়। আপনি কি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে দিচ্ছেন, নাকি গন্ডগোল করার চেস্টা করছেন?