নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারের মধ্যে পার্থক্য নিরুপন করাটা কি কঠিন ? হয়তো........নয়তো.......! দেখা যাক.........

অসমাপ্ত কাব্য 21

মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনেই বদলায়

অসমাপ্ত কাব্য 21 › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতের কৌশলের কাছে এটা কি শেখ হাসিনার পরাজয় নাকি ফতোয়াবাজদের শক্তির পূর্ণ বার্তা নিয়ে এলো বাংলাদেশ ?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০২

'আবার আসিবো ফিরে' জীবনানন্দ দাসের কবিতার এই অভিব্যক্তি যদি পুনর্জন্মবাদের উচ্চারণ অভিলাষ ঘটে থাকে; জাতীয় শিক্ষা পাঠ্যক্রমে তাহলে জীবনানন্দ দাসের স্থানে কোন মাওলানার স্থান হবে বুঝে আসছে না !
পৃথিবীতে কায়েমী স্বার্থবাদী মহলের কায়েমী স্বার্থ হাসিলের তাগিতে কায়েমী তথা সাম্প্রদায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শুনেছি 'শিক্ষা' নাকি অসাম্প্রদায়িক শব্দ !
শিক্ষার বহু রকম প্রকার রয়েছে ! কেউ জীবন জানার জন্য কেউ জীবন বাস্তবতার জন্য শিক্ষা অর্জন করে থাকি ক্ষুদ্র জীবনের প্রতিটা ক্ষণ থেকে ! যেহুতু জীবন একটা পরিণতি এবং প্রতিটা মুহূর্তেই সেই পরিণীতির হাত ধরে হেটে চলেছি !
জীবনানন্দ দাস ব্যক্তি জীবনে কতটা ধার্মিক ছিলেন জানিনা তবে কবি-সাহিত্যিকেরা যে অসাম্প্রদায়িক বা ব্যক্তি জীবনে দেশ-কাল, জাতি-ধর্মের উর্দ্ধে থাকেন এটা নিশ্চিত ! এ জন্যই পাঠকের অন্তরে কালজয়ী লেখক কবি সাহিত্যিকদের নিদৃষ্ট কোনো দেশ, জাতি থাকেনা !
যা হোক বলতে চাচ্ছিলাম পুনর্জন্মবাদ নিয়ে ! হিন্দু সনাতন ধর্মে পুনর্জন্মে বিশ্বাসী আর মুসলিমদের একটা অংশ 'কাঠমোল্লা সম্প্রদায় পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাসী না ! হিন্দু মুসলিম জাতিগত বৈরিতার মূল কারণগুলোর এটাও একটা কারণ !
অনেকেই 'কাঠমোল্লাদের মতবাদ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন না অর্থাৎ দ্বিধান্বিত ! সঠিক সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার যথেষ্ট কারণও আছে ! এ জন্যই কাঠমোল্লাদের নিয়ে মাওলানা রুমী বলে গেছেন- "ধর্মের মজ্জাটুকু খেয়ে খোঁসা ফেলে দিলাম যা নিয়ে কাঠমোল্লারা কাড়াকাড়ি করতেছে" !
হেফাজতে ইসলাম সংগঠনের 'তেরো দফা' নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে জাতীয় পাঠ্যনীতি নিয়ে একটা দফা দেখছিলাম ! এ নিয়ে বর্তমান সরকারের সাথে গত কয়েক বছর অনেক আলোচনা, চুক্তি, যুদ্ধ সবই হয়েছে ! অবশেষে এই বছরে এসে তার ফলাফল যা দেখতে পেলাম, এখন বাকিটুকু দেখার অপেক্ষায় রইলাম ! মনে হলো আওয়ামীলীগ সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত আট বছরে দেশকে যে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন, শুধু একটা শিক্ষা খাতের জন্য ঠিক ততটাই নিচে নেমে গেলেন ! এক সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হেফাজতের কৌশলের কাছে এটা কি শেখ হাসিনার পরাজয় নাকি ফতোয়াবাজদের শক্তির পূর্ণ বার্তা নিয়ে এলো বাংলাদেশ এটাই এখন দেখার বিষয় !
মূল কথা 'আবার আসিব ফিরে' কবিতায় পুনর্জন্মের কথা বলা হয়েছে এমন চিন্তার ভিত্তিতে জাতীয় শিক্ষা পাঠ্যক্রম থেকে জীবনানন্দ দাসকে বাদ দেওয়ার যে নতুন চক্রান্ত চলতেছে; চক্রান্তকারীরা হয়তো এখানেও জয়ী হবেন ! কিন্তু মুসলমানদের মহা পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন এর বাণী কি মুছে ফেলতে পারবে এই কায়েমী স্বার্থবাদী মহল ?? পবিত্র কোরআনেই তো আল্লাহ্পাক পুনর্জন্মবাদকে ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন আঙ্গিকে ! সেখানে জীবনানন্দন দাস শঙ্খচিল বলাকা হতে চেয়ে কি অন্যায়টা করেছিলেন এটাই তো বুঝে আসছে না ! আমি তো প্রার্থনা করবো আল্লাহ যেন কবির এই চিরন্তন ইচ্ছা-বাসনার আকুতিটুকু শোনেন !

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভুল ভাবনা দিয়ে নিজের মগজকে ব্যস্ত রাখছেন, অনেক বেদরকারী তথ্য প্রসেসিং করার দায়িত্ব নিয়েছেন?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০১

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: ভাই, সিদ্ধ চালের মোটা ভাত মোটা কাপড়ের বাঙ্গালী তো তাই ফাস্টফুড ড্রিংকসের স্বাধ অস্পর্শই থেকে গেলো হয়তো :) শ্রদ্ধাচিত্তেই আপনার উপদেশ গ্রহণ করিলাম !

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ও-তে ওড়না এটা নিয়ে কিসের ভিত্তিতে সমালোচনা চলছে?
@চাদগাজী, You are right..

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সেক্যুলার আর কাঠমোল্লাদের কাজই হল পাঠ্যসূচীর কোনরকম পরিবর্তন করা হলে তা নিয়ে শোরগোল বাধানো। সেই শিশু কাল থেকে দেখে আসছি পাঠ্যসূচীর রদবদল খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কি বাদ দেয়া হয়েছে সেটা যত না গুরুত্ববহ, তার চেয়ে গুরুত্ববহ কি স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশে বহু প্রতিশ্রুতিশীল লেখক রয়েছেন। সবার লেখা অন্তর্ভূক্তি সম্ভব নয় সবসময়। কিন্তু সার্বিকভাবে পাঠ্যসূচীকে হতে হবে সার্বজনীন এবং বিতর্কমুক্ত।

আমি বিদেশী এবং বিতর্কিত লেখকদের লেখা পাঠ্যবইতে দেখতে চাই না। সেজন্য সুনীল, হুমায়ূন আজাদের লেখা বাদ দেবার পক্ষে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৪

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা নিশ্চিত আপনার মতামতে খুশি হবেন :)

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: সার্বজনীন এবং বিতর্কমুক্ত
এরকম কোনও বিষয় কি আমরা আর বাকি রেখেছি? ভাল কাজেরও শত্রু থাকবে। মন্দ কাজেরও বিরোধিতা করার মানুষ আছে। যার বিরোধিতা হয়না তা হলো টক-মিষ্ট-ঝাল (আচার)।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১০

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: চন্দ্রগামী সাকা চৌধুরী একবার সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন "কোথাকার কোন রবীন্দনাথ না ফোবিন্দনাথ এদেশের জাতীয় সংগীত লিখছিলো আর আমাদের তাই পাঠ করতে হয়, মাননীয় স্পিকার এই জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন হওয়া উচিত"

উনি সেদিন উচিত কথা বলেছিলেন :) :) :)

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় অসমাপ্ত কাব্য 21,
"কিন্তু মুসলমানদের মহা পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন এর বাণী কি মুছে ফেলতে পারবে এই কায়েমী স্বার্থবাদী মহল ?? পবিত্র কোরআনেই তো আল্লাহ্পাক পুনর্জন্মবাদকে ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন আঙ্গিকে !" -ভাই সাহেবের তো দেখছি মহাগ্রন্থ আল কুরআনের ভাল তাফসীর জ্ঞান আছে। তা রেফারেন্স দিলে আমরাও কিছুটা শিখে নিতে পারতাম!

আর হিন্দু, মুসলিম বা অন্য যে ধর্মেরই হই না কেন, ন্যূনতম শিষ্টাচার সম্পন্ন মানুষ হলে আমার অন্যদের প্রতি সম্মান রেখেই কথা বলা উচিত। আপনার সদয় জ্ঞাতার্থে বলছি, আমাদের দেশের অনেক মুসলিমও ইসলামের ধর্মীয় নিয়ম-কানূন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক অবহিত নয় (যদিও তারা ইসলাম ধর্ম মানেন)। বিশেষ করে অতিব গুরুত্বপূর্ন বিষয় ফতোয়া হচ্ছে, ইসলামের অন্যতম মৌলিক বিষয়াবলীর একটি। বিষয়টির উল্লেখ কুরআন হাদিসে বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়। ফতোয়া শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ- শাস্ত্র নির্দেশ, ইসলাম ধর্মসম্মত রায় বা লিখিত ব্যবস্থা ইত্যাদি। আর পারিভাষিক অর্থে ফতোয়া হচ্ছে- an official statement or order from an Islamic religious leader.। এক কথায় বলা যায়, দৈনন্দিন জীবনে একজন মুসলিমকে তার পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য প্রতিনিয়ত ইসলামী আইন-কানূন তথা রুলস অব ইসলাম ফলো করতে হয় এবং অনেক সময় দেখা যায় এতদ সংক্রান্ত অজ্ঞাত বিষয়াবলীর ব্যাপারে ধর্মীয় জ্ঞানে অভিজ্ঞ আলেমদের থেকে কুরআন-হাদিসের আলোকে ফায়সালা তালাশ করেন। তো অভিজ্ঞ আলেম কুরআন হাদিস নির্দেশিত পদ্ধতিতে যে ফায়সালা প্রদান করে থাকেন তাকে ফতোয়া বলা হয়ে থাকে।

আপনার প্রতি পূর্ন শ্রদ্ধা রেখে বলছি, এবার আপনি (যে ধর্মেরই হোন না কেন) বলুন- একজন মুসলিম ব্যক্তি যদি ফতোয়াকে ব্যঙ্গ করে সে কি কুরআন হাদিসকে ব্যঙ্গ করে নি? তার মুসলমানিত্ব নিয়ে সন্দেহ জেগে ওঠা স্বাভাবিক কি না?

যা হোক, এটা আপনাকে নয়- বললাম এজন্য যে, অনেক নামি দামি মুসলিমকেও এগুলো করতে দেখি।

আর আপনাকে বলতে চেয়েছি, ফতোয়া যেহেতু ইসলামের একটি অপরিহার্য অনুসঙ্গ। তাই দয়া করে এই শব্দটির সাথে "বাজি" প্রত্যয় যোগ করলে আমাদের অন্তরে একটা চোট পাই, একটা ছোট্ট খোঁচা খেয়ে কিছুটা আহত বোধ করি।

পরিচ্ছন্ন মতামত আশা করছি।

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

আমার ব্লগে স্বাগত।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বর্তমানে মালাউন বনাম মাওলাদের যুদ্ধ চলছে, সাধারণ পাব্লিক হল দর্শক, এই যুদ্ধে রেফারির ভূমিকা পালন করছে স্বয়ং হাসিনা। তিনি পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে মেজরিটির পক্ষে রায় দেন।

মালাউনদের মূল শক্তি হল মিডিয়া, মিডিয়াই হলো সর্বশেষ অস্ত্র, জনগণ তাদের দলে কোণায় লুকিয়ে লুকোচুরি খেলে। পক্ষান্তরে মাওলানাদের মূল অস্ত্র হল ধর্মের প্রতি সহনশীল সাধারণ জনগণ। জনগণের আবেগ হল তাদের সর্বশেষ অস্ত্র।

এবার আসি মূল কথায়:
যা হোক বলতে চাচ্ছিলাম পুনর্জন্মবাদ নিয়ে ! হিন্দু সনাতন ধর্মে পুনর্জন্মে বিশ্বাসী আর মুসলিমদের একটা অংশ 'কাঠমোল্লা সম্প্রদায় পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাসী না ! হিন্দু মুসলিম জাতিগত বৈরিতার মূল কারণগুলোর এটাও একটা কারণ !

আপনি কোথায় পেয়েছেন মুসলমানদের একটা অংশ ‘কাঠমোল্লা’ সম্প্রাদায় পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাসী না!

আমি জানি সকল মুসলমানিই পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাসী না! এবং তারা মৃত্যুর পরে শঙ্খচিল কিংবা কাউয়া হয়ে জন্মাতে চায় না। তারা মুত্যুর পরে পুনউত্থানে বিশ্বাসে যেখানে তাদের পাপ-পুণ্যেরি বিচার হবে এবং তাদের কৃতকর্মের অনুযায়ী স্বর্গ নরক নির্ধারিত হবে।

পুনর্জন্মে বা পুনউত্থান নিয়ে কখনও বৈরিতা সৃষ্টি হয়েছে যেখানে হিন্দু মুসলমান সহিংসতা ঘটিয়েছে এর নজির নেই। যা হয়েছে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়াতে সেগুলো আলাদা ইস্যু কেন্দ্রিক হয়েছে। আর আপনি যেহেতু বলেছেন এটা বৈরিতার কারণ তাহলে এগুলো অর্ন্তভুক্ত করার কোন দরকার নেই। যা বৈরিতা সৃষ্টি করে তা এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো।

কিন্তু মুসলমানদের মহা পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন এর বাণী কি মুছে ফেলতে পারবে এই কায়েমী স্বার্থবাদী মহল ?? পবিত্র কোরআনেই তো আল্লাহ্পাক পুনর্জন্মবাদকে ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন আঙ্গিকে

মহা পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন এ কোথায় পুনর্জন্মাবাদ কে বিভিন্ন আঙ্গিকে ব্যক্ত করেছে তা উল্লেখ করেন বা উদাহরণ দেন।

কোরআনে পুর্নউত্থানের কথা বলা হয়েছে; পুনর্জন্মােবাদে নয়।
উদাহরণ:

জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর তোমরা আমারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদে স্থান দেব, যার তলদেশে প্রস্রবণসমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। কত উত্তম পুরস্কার কর্মীদের।
সূরা আল আনকাবুত ( মক্কায় অবতীর্ণ) আয়াত: ৫৭-৫৮

সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি বলতে চাই শুধু ধর্মীয় গ্রন্ত বা বিষয় ছাড়া পাঠ্য বইয়ে এমন কিছু রাখা উচিত না যেটি মানুষের ধর্মের আঘাত করে ধর্মের বিরুদ্ধে যায়, ধর্মীয় আবেগ সৃষ্টি করে। এই সমস্ত বিষয় এড়িয়ে কৃষকের গল্প থাকতে পারে, চরের মানুষের গল্প থাকতে পারে। দিন মজুরের কথা থাকতে পারে।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

এম এ মুক্তাদির বলেছেন:

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২০

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: স্বপ্নদোষের কারণে এবং ফরজ গোসল ছাড়া কি নামাজ হবে ?
উত্তর: সেক্ষেত্রে নিদৃষ্ট জায়গাগুলো ধুঁয়ে নিলেই হবে :)

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আফনের যে হোগা , হেফাজতের তো আঙ্গুল দেওয়ার কথা না ! ল্যাদায়া তো পরিবেশ নষ্ট কইরা ফালাইছেন ! ভাবছিলাম হোগা মোছার জন্য প্রথম আলু দিমু , তয় আফনের হোগা মুইচ্ছা প্রথম আলুর ইজ্জত বাড়াইতে চাইনা। চুতরা পাতা দিয়া মুইচ্ছা লন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: আফ্রিকা না আম্রিকার আমাজন থেকে বাইর হইয়া আইলেন ভাই ? আপ্নের মতুন চুতরাপাতা থাকতে আর চিন্তাইনা ! আমারদেশের নয়াদিগন্তু আফনের কতা জানে তো ?

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: "কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ ! অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন আবার মৃত্যু দান করবেন ! পুনরায় তোমাদেরকে জীবন দান করবেন ! অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে !" (সূরা বাক্বারা: আয়াত 28)
এখানে কি শেষ প্রলয়-পুনরুথ্যান দিবসের কথা বলা হয়েছে নাকি পুনর্জন্মের ??
জীবন প্রলয় বা মৃত্যুর ক্ষনে প্রতিটা আত্মাই তাহার সকল শক্তিকে একটি কেন্দ্রে একীভূত হয়ে প্রানবীজে বা সূক্ষ্ম দেহে মহা অপ্রাকৃতিক ভূমে বা ভাবলোকে অবস্থান করে ! আকৃতি তখন প্রকৃতিরূপ ধারণ করে ! সূক্ষ্ম দেহের অবচেতন স্তরে জন্ম থেকে জন্ম সঞ্চিত অসংখ্য সংস্কার বা কর্মের রূপ বীজাকারে সুপ্ত থাকে ! মানুষের চরিত্রে যাহা বাস্তবাকারে প্রকাশিত হয় তা ওই সুপ্ত সংস্কার রূপ বীজ !
তাই অনন্তকালব্যাপী জন্ম-মৃত্যু চক্রের পরিক্রমার ভিতর দিয়ে সকল আত্মাকে উন্নততর স্তর অতিক্রম করতে হবে বলেই লালন সাঁইজীর সুরেও দেখা মেলে-
"অনিত্য বাসনা ছাড়
নিত্য ভেবে নিত্য থাক লীলা
বসে যেও নাকো !!"
"অতঃপর তাঁর মৃত্যু দান করেন এবং তাঁকে কবরস্থ করেন !"
"এরপর যখন ইচ্ছে তিনি (আল্লাহ) তাকে পুনঃর্জীবিত করবেন !" (সুরাঃ আবাসা, আয়াত: 21,22)
@নুতন নকিব @সত্যের ছায়া ভাই জন্মান্তরবাদ নিয়ে অতি সংক্ষিপ্ত পরিসরে আজ চেষ্টা করলাম ! বিস্তারিত পরবর্তী কোনো পোস্টে চেষ্টা থাকবে ইনশাল্লাহ ! ভালো থাকবেন !

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আফনে চাইলে গোয়াদিগন্ত দিয়াও গোয়া মুছতে পারেন।তয় গোয়াদিগন্ত দিয়া মুছলে আফনে বামাতী থেইক্কা জামাতি হইয়া যাইতে পারেন। এর লাইগ্গা কইছিলাম আফনের লাইগ্গা চুতরা পাতাই ঠিক আছে। সারা জীবনে মাদ্রাসায় না যাইয়া যারা বিরাট মুহাদ্দিস আর মুফাস্সির হইয়া এইখানে ল্যাদাইতেছেন তাগোও সাথে লন ! অন্য জায়গায় ল্যাদান।

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



অনলাইন অফলাইন বলে কথা নেই। কুরআন হাদিস থেকে ইসলামী আলোচনা শুনলে শয়তানের সাথে সাথে এক শ্রেনির মানুষের গায়েও অগ্নিদহন শুরু হয়ে যায়। তার বাস্তব প্রমাণ চোখের সামনেই দেখা যাচ্ছে। এদের জন্য করুনাই জাগে শুধু। এই ব্যক্তিদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ফতোয়ায়ে আল্লামা নতুন নকিব ইবনে ফেচবুক ইবনে গুগল !

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



মহান প্রভূ সকাশে মাওলানা রূমী রহ. -এর কাসিদার অনবদ্য দু'টি লাইন বড় মনে পড়ে-

আজ খোদা জায়িমে তাওফিকে আদব,
বেয়াদব মাহরূমে গাসতাজ ফাদলে রব।

অনুবাদ: আয় রব! অামি আপনার কাছে শুধু শিষ্টাচারের দৌলত প্রার্থনা করছি,
কারন বেয়াদবতো আপনার রহমত থেকে চির বঞ্চিতই থেকে যায়।

ফেইসবুক, গুগল, ব্লগ কি অশিষ্ট-অশ্লীল-অকাটদের ইজারা দেয়া হয়েছে?

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে সূরা বাকারার ২৮ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক, বুঝা না বুঝা আপনার বিষয়। সূরা বাকারার ২৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে- ” কিভাবে তোমরা আল্লাহকে অস্বীকার কর, অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনিই তোমাদের জীবিত করেছেন আবার তোমাদের নির্জীব করবেন। পূনরায় তোমাদের জীবিত করবেন, অবশেষে তারই দিকে তোমরা ফিরে যাবে।”

আপনাকে কোরআন বুঝতে হলে আয়াতের অবর্তীর্ণ প্রেক্ষাপট জানতে হবে, কোন বিষয়ের বা কোন অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আয়াত অবর্তীর্ণ হয়েছে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে। শুধু বাংলা সরল অনুবাদ পড়ে কোরআনের মূল বিষয়টা বোঝা যায় না। এবার আসি মূল কথায়:


এ আয়াতে পাঁচটি দিক পরিলক্ষিত হয়:
মানুষ-
১। প্রথম নিষ্প্রাণ ছিল,
২। অত:পর প্রাণ দান করা হয়েছে।
৩। প্রাণ দানের পর আবার মৃত্যু দান করবেন।
৫। পুন:রায় জীবন দান করবেন এবং সর্বশেষ সৃষ্টি কর্তার নিকট প্রর্তাবর্তণ করবেন।

১। নিষ্প্রাণ ছিল এ নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না।
২। প্রাণ দান করেছেন এ নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না।
৩। মৃত্যু দান করবেন এ নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না।
৪। পুন:রায় জীবন দান করবেন এ নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না।
কারণ, মৃত্যুর পর মানুষের আত্মা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হয়। সুতরাং নতুন জায়গায় আত্মা যখন প্রবেশ করে তখন তাকে সেভাবে উপযোগী করে নিতে হবে। তা না হলে আত্মা সেখানে অবস্থান করতে পারবে না এবং সেখানে আত্মার বিলুপ্তি ঘটবে। কিন্তু তা সম্ভব না। কারণ খোদা তার ভালো মন্দের বিচার করবেন। তার ভালো কাজের পুরুস্কার দিবেন আর মন্দ কাজের সাজা দিবেন আর সাজা দেয়ার জন্য আত্মার মেরামত জরুরি। সেটা খোদা করবেন।

এবং
“অবশেষে তারই দিকে তোমরা ফিরে যাবে।”

যেহেতু মানুষ সৃষ্টিকর্তার দিকে ফিরে যাবে সেহেতু দুনিয়াতে আসার সকল পথ বন্ধ তার জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

এখন,
এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি-

আল্লাহকে চেনার সর্বোত্তম উপায় হলো বিশ্বজগত এবং মানব সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা। জীবন ও মৃত্যু নিয়ে চিন্তাভাবনার মাধ্যমে মানুষ এ সত্য উপলদ্ধি করতে পারে যে, আমি যদি নিজেই আমার স্রষ্টা হতাম তাহলে অবশ্যই চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী হতাম। কিন্তু একসময় আমরা ছিলাম না, পরে অস্তিত্ব লাভ করেছি এবং পূনরায় মৃত্যুবরণ করতে করতে হবে। কাজেই এই প্রাণ বা জীবনই হচ্ছে আমাদের জন্য মহান আল্লাহর সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ বা নেয়ামত। মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে এত অগ্রসর হবার পরও এখন পর্যন্ত এই প্রাণের স্বরূপ উপলদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের জন্ম ও মৃত্যু পুরোপুরি আল্লাহর হাতে। আমরা নিজের ইচ্ছায় আসিনি, কাজেই নিজ ইচ্ছায় যেতেও পারব না। স্রষ্টা আমাদের অস্তিত্ব দিয়েছেন এবং তিনিই আমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। আমল বা কাজই হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল। সুতরাং যে স্রষ্টার হাতে আমাদের শুরু এবং শেষ, তার অস্তিত্বকে আমরা কিভাবে অস্বীকার করবো? অথবা মৃত্যুর পর মানুষের পুনরুত্থানকে আমরা কিভাবে অস্বীকার করবো? কেননা পুনরুত্থান বা মৃত্যুর পর পূনরায় জীবিত করা প্রথমবার সৃষ্টির করার চেয়ে অনেক সহজ কাজ। যে স্রষ্টা আমাদেরকে অস্তিত্বহীন অবস্থা থেকে, অস্তিত্ব বা প্রাণ দিয়েছেন, তিনি কি মৃত্যুর পর মানুষকে পূনরায় জীবিত করতে পরবেন না?

এ আয়াতের কয়েকটি শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে-

প্রথমত: মানুষকে হেদায়েতের জন্য কুরআনের একটি বিশেষ পন্থা হচ্ছে, মানুষের বুদ্ধি বিবেক এবং সহজাত প্রবৃত্তির কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া। যাতে চিন্তার মাধ্যমে মানুষ সত্যকে উপলদ্ধি করতে পারে।

দ্বিতীয়ত: মানুষের জীবন আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে, আর মৃত্যু পুনরুত্থান দিবসের ইঙ্গিত বহন করে।

তৃতীয়ত: নিজেকে জানা, খোদাকে চেনারই ভূমিকা মাত্র। আত্মপরিচয় লাভের মাধ্যমে মানুষ স্রষ্টাকেও চিনতে পারে। কেননা সে বুঝতে পারে তার নিজস্ব বলতে কিছুই নেই, সব কিছু মহান আল্লাহর।

চতুর্থত: মানুষের পূর্ণতার সর্বশেষ পর্যায় হচ্ছে, মহান প্রতিপালকের কাছে প্রত্যাবর্তন করা।

পঞ্চমত: মৃত্যুই মানব জীবনের সমাপ্তি নয়, বরং এর মাধ্যমে নতুন জীবনের (পরকালীন জীবন) সুচনা হয় সেটা হল পরকালীন জীবন।
ষষ্ঠত: মৃত্যুকে অস্বীকার করার পেছনে কাফেরদের কোন যুক্তি-প্রমাণ ছিলো না। তাই তারা মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করে সন্দেহ সৃষ্টির চেষ্টা করতো। পবিত্র কোরআন মানুষের সর্বপ্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে প্রশ্ন করে, তাদের সব প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিয়েছে।


নোট:
কোরআনে শেষ দিবসে অর্থাৎ মৃত্যুর পর পরকালীন জীবনের পুর্ণরাত্থানের কথা বলা হয়েছে; দুনিয়াতে পুনর্জন্মবাদ নিয়ে কোন কথা বলা হয়নি।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন দিবানিশি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: 'প্রাণ' এবং 'আত্মা' একবস্তূ না ! প্রাণ দেহ কেন্দ্রিক আর 'আত্মা' ঈশ্বর কেন্দ্রিক ! প্রাণের বিনাশ আছে কিন্তু আত্মার বিনাশ নাই অর্থাৎ অবিনাশী ! সকল আত্মা একদিনে সৃষ্টি হয়েছে এবং একদিনেই বিনাশ হবে ! প্রাণের প্রকৃতি রং অর্থাৎ দেহ থেকে প্রাণবায়ু বের হয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে যায়, এ জন্যই প্রাণ কণার উৎসস্থল সূর্য্যকে বলা হয় ! কিন্তু পাঁচটি রং বিশিষ্ট সূক্ষ্ম দেহরূপ আত্মার স্থান হার্ট বা ক্বালবে ! নিদৃষ্ট সময়কে কেন্দ্র করে আত্মা দেহ ধারণ করে !
কোরআন থেকে নিশ্চয়ই জেনেছেন 'ইল্লিয়ীন' 'সিজ্জীন' এর নাম ! এখানেই আল্লাহর নির্দেশে সকল আত্মার কৃতকর্ম লিখে রাখা বা জমা রাখা হয় অতঃপর কর্মানুসারে হয়তো বন্দি নয়তো মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয় আত্মাকে ! মারেফতের কোনো কামেল ব্যক্তির নিকট থেকে এই 'আত্মা' এবং আত্মার রূপ-রং কি ? 'ইল্লিয়ীন' এবং 'সিজ্জীন' কোথায় কি ? এটা জেনে-বুঝে নেবেন ! প্রচলিত হুজুর মাওলানাদের কাছে গিয়ে লাভ হবে না কারণ তাঁরাও ওই আপনার মতোই একই বয়ান দিবে যা ইহকাল পরকালের জন্য অর্থহীন !
ভালো থাকবেন নিরন্তন..........!

১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



পাক-ভারত-বাংলা- মানে, এই উপমহাদেশের জটাধারী তথাকথিত এক শ্রেনির সাধু সন্যাসীগণ যেমন করে কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যার প্রয়াস পেয়ে অালতু ফালতু জিনিষ মানুষকে বুঝিয়ে নিজেদেরকে আধ্যাত্মিকতার অতি উচ্চ স্তরে আরোহন করার হীন চেষ্টায় ব্যাপৃত করে হালুয়া-রুটি অর্জনের আয়োজনে মগ্ন হতে দেখা যায় তেমনি আপনার " 'প্রাণ' এবং 'আত্মা' একবস্তূ না !" -বক্তব্যটিও প্রমান করে, এগুলো সেই তথাকথিত ফকির দরবেশ নামধারীদের বানানো থিউরীরই অংশ।

প্রশ্ন-০১
১) 'প্রাণ' এবং 'আত্মা' একবস্তূ না ! -কথাটির ব্যাখ্যা কুরআন হাদিসের আলোকে প্রমানসহ উপস্থাপন করবেন কি?

আপনি কুরআন হাদিস থেকে 'ইল্লিয়ীন' এবং 'সিজ্জীন' কথাগুলো নিয়েছেন। এগুলো যেমন সঠিক, তেমনি মারেফতের কোনো কামেল ব্যক্তি -থেকে আবার এসবের ব্যাখ্যা জানতে বলেছেন।

প্রশ্ন-০২
২) মারেফাতের কামেল ব্যক্তি কারা? আপনার দৃষ্টিতে তাদের চেনার উপায় কি? বিস্তারিত উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

আবার সতর্ক করেছেন, "প্রচলিত হুজুর মাওলানাদের কাছে গিয়ে লাভ হবে না কারণ তাঁরাও ওই আপনার মতোই একই বয়ান দিবে যা ইহকাল পরকালের জন্য অর্থহীন ! "

যারা কুরআন হাদিস পড়েন পড়ান, জানেন জানান, বুঝেন বুঝান প্রচলিত হুজুর মাওলানা বলে কি তাদেরকেই বুঝাতে চেয়েছেন?

তবে অাপনার সদয় অবগতির জন্য বলছি,
আমরা মারেফাত, কামেল ইত্যাদি পরিভাষাগুলো যেমন শ্রদ্ধা করি তেমনি এই লাইনের আলোকিত সূফী দরবেশ আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিদের প্রানভরে ভালবাসি। যখন দেখি তারা নিজেরা ব্যক্তিগত জীবনে পরিপূর্নভাবে শরীয়ত মেনে চলেন এবং কুরআন হাদিস অনুযায়ী সহীহ তরিকায় মানুষের আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে তাদের আমরা স্বার্থান্বেষী রুটি-হালুয়ালোভী বৈ অন্য কিছু বলে গন্য করতে পারি না।

ভালো থাকবেন ভ্রাতা।

আশা করি, কথাগুলোয় কষ্ট নিবেন না এবং দয়া করে উত্তর প্রদানের কষ্ট স্বীকার করে ধন্য করবেন। বিশেষত, উপরে উল্লেখিত প্রশ্ন-০১ এবং ০২ এর উত্তরসহ। এতে করে আপনার থেকে নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগও হবে হয়তো।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৬

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: প্রশ্ন-০২ এর আলোকে-
নবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর স্বশরীরে মেরাজের ঘটনায় বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনার ভিত্তিতে দেখা যায়-
নবী মোহাম্মদ (সাঃ) মেরাজে গিয়ে অবিবেচক আল্লাহর দেয়া ৫০ ওয়াক্ত নামাজ মুসা (আঃ) এর হস্তক্ষেপে আট বার আসা-যাওয়া করে ৫ এ নামিয়ে আনে। ফিরে আসার আগে নবী দোজখ পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন বেশির ভাগ নারী, সুদখোর, জেনাকারি এক কথায় সব খারাপ মানুষ। আমার প্রশ্ন কেয়ামতের আগে দোজখে মানুষ কিভাবে গেল ? তাহলে এ বিচার কেমন বিচার যে, বিচারের আগেই বিচার ??
দাদা ভাই, এই ধরণের হাদিস ভিত্তিক গল্প-কাহিনী মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার নামে যারা ওয়াজ করে বেড়ায় তাঁরা কারা ? লজ্জা পাবেন না; তাঁরাই নাকি শরীয়তের বিশাল বিশাল টাইটেলধারী শাইখুল হাদিস, মাওলানা আরও কত কি ! যাদের নিজেদের শিক্ষাটাই কাল্পনিক ভাবধারার তাঁরা অন্যদের আর কি শেখাবেন !!!!!!!;!!
পক্ষান্তরে, আমার জানামতে 'মারেফত' শব্দের অর্থ 'সূক্ষ্মজ্ঞান' বা উর্ধজ্ঞান ! যেখানে মনগড়া বা কল্পজ্ঞানের কোনো অবকাশ নেই ! মারেফতের কথাগুলো রূঢ় বা নির্মম বাস্তবতা অর্থাৎ পৃথিবীর মতো মানব দেহটাই একটা কোরআন ! এই মানব দেহের মাঝেই সাতস্তবক আসমান-জমিন, আরশ কুরসী, লাওহে মাহফুজ, মক্কা-মদিনা, মসজিদ মন্দির গির্জা সবই ! তাই নিজকে চেনা জরুরি তাহলে বাকি সবই চেনা জানা যাবে ! আমিও সে চেষ্টায়ই রত !
নিরন্তন শুভ কামনা রইলো !

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই, ক্ষমা করবেন! আল্লাহ পাক আমাকে এবং মাফ করুন। আপনি এক স্থানে মহান আল্লাহর নামের পূর্বে "অবিবেচক" শব্দটি যোগ করে ব্যথিত করলেন। দয়া করে এ শব্দটি মুছে দিন। আপনার প্রতি জোর মিনতি- এই জাতীয় শব্দ আল্লাহ পাক অথবা নবীকূল শিরোমনি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে লেখা বা বলা কোনক্রমেই সমিচীন নয়।

হায়! হায়! কেমন করে আমি তার অবাধ্য হই!
তিনিতো আমার মালিক! আমার প্রানের মালিক।
আমার জানের মালিক! আমার জীবন মরনের মালিক! আমার ভালো মন্দের মালিক! আমার সুখ দু:খের মালিক! আমার দুনিয়া আখিরাতের মালিক!

মালিককে কি মন্দ বলা যায়! মালিককে কি তিরষ্কার করা যায়!

আর ভাই, হ্যা- কে আপনাকে বলেছে- যে বিচারের পূর্বে বিচারের মহড়া হতে পারে না? বিচারের পূর্বে বিচারের নমুনা প্রদর্শিত হওয়ার ভিতরে কী এমন অসঙ্গতি খুঁজে পেলেন?

শাইখুল হাদিস, মাওলানাদের নিয়ে মাথা গরম করে লাভ কি? তারা তাদের কাজ করছেন। দিন না তাদেরকে তাদের কাজ করতে! কুরআনতো একথাই বলে- "একের বোঝা অন্যের উপর চাপানো হবে না।" সুতরাং অন্যের পিছনে না লেগে আমাদেরতো নিজেকে নিয়ে আগে ভাবতে হবে।

আর আপনার জ্ঞানগর্ভ উক্তি- "পক্ষান্তরে, আমার জানামতে 'মারেফত' শব্দের অর্থ 'সূক্ষ্মজ্ঞান' বা উর্ধজ্ঞান ! যেখানে মনগড়া বা কল্পজ্ঞানের কোনো অবকাশ নেই ! মারেফতের কথাগুলো রূঢ় বা নির্মম বাস্তবতা অর্থাৎ পৃথিবীর মতো মানব দেহটাই একটা কোরআন ! এই মানব দেহের মাঝেই সাতস্তবক আসমান-জমিন, আরশ কুরসী, লাওহে মাহফুজ, মক্কা-মদিনা, মসজিদ মন্দির গির্জা সবই ! তাই নিজকে চেনা জরুরি তাহলে বাকি সবই চেনা জানা যাবে ! আমিও সে চেষ্টায়ই রত !" -এ ব্যাপারে আর কী বলবো? আসলে প্রথমেই বলি- আপনি যদি সত্যিকারার্থে আপনার মনের কথাটিই বলে থাকেন- "আমিও সে চেষ্টায়ই রত !" তাহলে শুধু এটুকু জেনে নিন- আপনাকে কুরআনের কাছে ফিরে আসতে হবে। রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথ ও পদ্ধতিই আপনাকে মা'রিফাতের চূড়ান্ত শিখরে আরোহন করিয়ে দিবে। এছাড়া বাকি সব পথই নিশ্চিত বিভ্রান্তি, নিশ্চিত পথভ্রষ্টতা, নির্ঘাত পথচ্যুতি।

আর প্রথম এবং শেষ কথা একটাই- শরিয়ত পালনের মাধ্যমেই মা'রিফাত অর্জন করা যায়। শরিয়ত বাদ দিলে তার ভেতরে থাকে যে শুধুই বিভ্রান্তি।

১ নং বাদ দিয়ে ২ নং প্রশ্নে গেলেন কেন?

ভাল থাকবেন।

শুভ কামনা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.