নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারের মধ্যে পার্থক্য নিরুপন করাটা কি কঠিন ? হয়তো........নয়তো.......! দেখা যাক.........

অসমাপ্ত কাব্য 21

মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনেই বদলায়

অসমাপ্ত কাব্য 21 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভবিষ্যতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) জরিপে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ঘুষ-দুর্নীতির শীর্ষ সেক্টর হিসেবে উঠে আসলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না !

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

আমার এই লেখাটি দেখে অনেকেই অনেক কিছু ভাবতে পারেন ! হয়তো আমাকে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী ভাবতে পারেন কিন্তু সেটা আপনার ব্যাপার ! আমি কেবল গত কয়েকদিন ধরে বিগত দিনে বাদ পরা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তি করণের ব্যাপারে ইন্টারভিউ বোর্ডে যতটুকু দেখেছি; সেই আলোকে মনে হলো-
মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন সর্বনিন্ম বয়স বিশ বছর ধরা হলে অথবা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বেতন-ভাতা দশ হাজার বাদ দিয়ে এক হাজার করলেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর কোম্পানিতে লাল বাত্তি জ্বলতো ! সেই সাথে নকল মুক্তিযোদ্ধা ব্র্যান্ডটি নিরাশ হয়ে কপাল ঠুকে ঠুকে বিলুপ্ত হয়ে যেত ! দেখা যেত কে আসল কে নকল ! স্বস্তি ফিরে পেতো দেশের মানুষ ! 'প্রতিমাসে এতোগুলো টাকা ফাও পাওয়া যাবে' এবং 'ভবিষ্যতের স্থায়ী গ্যারান্টি' এই লোভ থেকেই মানুষ যেমন এই সেক্টরের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে তেমনি সেক্টরের নেতারাও ক্রমশ ঘুষ-দুর্নীতির শীর্ষ স্থানে চলে এসেছে ! অদূর ভবিষ্যতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) জরিপে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ঘুষ-দুর্নীতির শীর্ষ সেক্টর হিসেবে উঠে আসলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না !
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য্য সন্তান অথচ তাদের হাতেই চলছে হরদমে মিথ্যা সাক্ষী, প্রত্যয়নপত্র সহ অন্যান্য দলিলাদী কেনা-বেচার বাণিজ্য !!!!!!! এ কি লোভের কাছে বিবেক-আদর্শ, ন্যায়-নীতি বিসর্জনের বাণিজ্য ?? একজন দেশ প্রেমিক সৈনিক কি এজন্যই দেশকে স্বাধীন করেছিল ?? বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি শিক্ষা পেলো এই স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে ??
হ্যালো মুক্তিযোদ্ধা কাকু মামাগন ! চোরের পক্ষে, মিথ্যার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়া আপনারা কোনটা শিক্ষা দিলেন এ প্রজন্মকে ? এ জন্যই কি অনেক মুরব্বিদের আক্ষেপের সুরে বলতে শুনি "--------ওই সময় করেছে চুরি-ডাকাতি, লুটপাট আর এখন হইছে মুক্তিযোদ্ধা" !
বর্তমান খাই খাই মুক্তিযোদ্ধাদের দেখে একটা কথাই উপলব্ধি হচ্ছে যে, এরা তখন ভারতে আছ্রয় নেয়া শরণার্থী শিবিরের যাত্রী ছিলো ! যুদ্ধ শেষে সকলে মুক্তিযোদ্ধা :) আসলে যুদ্ধের গল্প বলা এখন যতটা সহজ; তার চেয়েও সহজ পেপারস এবং সহযোদ্ধা সাক্ষী বানানো ! আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে চাই কিন্তু তাঁরা নিতে চায় টাকা :)

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসল মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার, এঁরা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা সাথীদের চেনেন; এঁরা মরে গেলেও ভুয়া কারো জন্য সাক্ষী, সুপারিশ করবেন না।

যাঁরা আসলেই যুদ্ধের সাথে যুক্ত ছিলেন, নাম উঠেনি, তাঁদেরও আসল কোন না কোন মুক্তিযোদ্ধা চেনেন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫০

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: ভাই, আসল মুক্তিযোদ্ধা বলতে কাদের বুঝিয়েছেন, ইন্ডিয়ান 'লাল বই'য়ের তালিকায় যারা আছেনা তাঁরা ??
দুই লাখের বেশি জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা তাহলে বেতন-ভাতা পায় কিভাবে !!!!!!!!

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



যেভাবে নিত্য নতুন মুক্তিযোদ্ধার আবির্ভাব ঘটে চলেছে! অবস্থা দর্শনে ধারনা করা অমূলক নয়, আগামী শতাব্দী (৩০০০ সাল) নাগাদ মুক্তিযোদ্ধার পরিমান কয়েক গুন হয়ে যাবে!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: সাড়ে সাত কোটি পর্যন্ত বেশি হবে না :)

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

@নতুন নকিব ,
আপনি বলেছেন, "যেভাবে নিত্য নতুন মুক্তিযোদ্ধার আবির্ভাব ঘটে চলেছে! অবস্থা দর্শনে ধারনা করা অমূলক নয়, আগামী শতাব্দী (৩০০০ সাল) নাগাদ মুক্তিযোদ্ধার পরিমান কয়েক গুন হয়ে যাবে! "

-আমার মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কিছু বলার সময় সমীহ করে বলার দরকার আছে; মুক্তিযোদ্ধাদারা এই জাতিরই সন্তান, যাঁরা যুদ্ধের সময় জাতির জন্য যুদ্ধ করেছেন; আজ, তাঁদের মাঝ থেকে হয়তো ৫০ হাজারের মতো বেঁচে আছেন; উনাদের গড় বয়স, ৭৬ বছর, সবর্নিম্ন বয়স ৬২ বছর। আপনি উনাদের ব্যাপারে ৩০০০ সাল উচ্চারণ করা সঠিক হচ্ছে না, আপনি উনাদের কেহ নন।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ এখন একটা ব্যবসার মতো হয়ে গেছে। যে যেভাবে পারছে একে বেঁচে লাভবান হতে চাইছে। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে এসব দেখে নিশ্চয় সহ্য করতে পারতেন না!!!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৬

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: আখেনাটেন ভাই আপনি বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধ এখন একটা ব্যবসার মতো হয়ে গেছে। যে যেভাবে পারছে একে বেঁচে লাভবান হতে চাইছে।"
আপনার মনে হয় বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ চেতনার সবচেয়ে কঠিন সত্যটিই এই মুহূর্তে আপনি বলে ফেলেছেন !

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:

@আখেনাটেন,
আপনি বলেছেন, " মুক্তিযুদ্ধ এখন একটা ব্যবসার মতো হয়ে গেছে। যে যেভাবে পারছে একে বেঁচে লাভবান হতে চাইছে। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে এসব দেখে নিশ্চয় সহ্য করতে পারতেন না!!! "

- শেখ সাহেবের ধারণা হয়েছিল, পাকিস্তানীরা নিজের থেকে আত্ম সর্মপণ করেছে, বাকী যা করেছে তা হলো শেখ মনি, কাদের সিদ্দিকী করেছে।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:


প্রিয় চাঁদগাজী ভাই,

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এজন্য যে- মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমার কথা যদি আপনাকে কিংবা কোন মুক্তিযোদ্ধাকে কষ্ট দিয়ে থাকে।

ভাই, সত্যিকারার্থে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, যারা সম্মুখ সমরে অবতীর্ন হয়ে দেশ মাতৃকার জন্য, জাতির জন্য জান প্রান উৎসর্গ করেছেন, তাদের হৃদয়ের গহীন থেকে শ্রদ্ধা জানাই। তাদের সীমাহীন আত্মত্যাগ আমরা কখনও ভুলব না। হিসেব করলে, আমার আত্মীয় স্বজনের মধ্যে অনেককেই পাব, যারা ছিলেন প্রথম কাতারের মুক্তিযোদ্ধা। তো, আমার কথা ছিল, এই প্রাতস্মরনীয়দের বিক্রি করে প্রতিনিয়ত যারা ফায়দা লুটছে, এই মহাত্মাদের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অর্থের পাহাড় গড়ছে সেই লুটেরা অসতদের উদ্দেশ্যে।

আর একথা আপনার মনে হবে কেন? বরং এটাকে আমাদের দায়িত্ব মনে করা উচিত যে- "মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কিছু বলার সময় সমীহ করে বলা"।

উপদেশ প্রদানে কৃতজ্ঞতা।

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

তার ছিড়া আমি বলেছেন: আমার জানামতে এখনো কিছু মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যারা এসব সনদের ধার ধারেন না।
এরাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধ করেছেন দেশের জন্য, টাকার জন্য নয়।
আমি জানি শিক্ষিত, সাংবাদিক, দিনমজুর, ভ্যানচালক অথচ সনদের কোন তোয়াক্কা নেই। সন্তানদের জোরাজুরিতে সাফ বলেদিয়েছে- কিছু করতে চাইলে নিজের যোগ্যতায় কর। ব্যাস...

আমার মরহুম পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভারতে ট্রেনিং প্রাপ্ত নন। তাঁকে ভারতে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছিলো। সাথে মাগুরা থেকে একটি গোপন চিঠি তিনি বহন করছিলেন। সম্ভবত নাভারণ এলাকায় পাকিস্তানি মিলিটারির হাতে আটক হন চিঠিসহ। সিদ্ধান্ত হয় তাঁকে হত্যা করা হবে। দুই হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে ও চোখ বেঁধে প্রস্তুত করা হয়। ফাইনাল অর্ডারের অপেক্ষায়। তাদের কমান্ডারের মনে কেন জানি দয়া হয়, ( আব্বা তখন ২৫/২৬ বছরের যুবক, মুখে দাড়ি, শান্ত তবিয়ত} জিজ্ঞাসাবাদ হয়, সত্য সত্য উত্তর দেয়। চিঠি ছিড়ে ফেলে, তারা বলে- "তোর জীবন ভিক্ষা দিতে পারি, তুই ইন্ডিয়ায় যাবি না, এখান থেকে সোজা বাড়ি চলে যাবি, পারিবারের সাথে থাকবি, মুক্তি ফৌজের সাথে থাকবি না"। আব্বা রাজী হয় এবং ফিরে আসে, কিন্তু মুক্তি ফৌজের সাথে থাকে, দেশের জন্য যুক্ত করে।
আব্বার সহযোদ্ধারা এখনো জীবিত, ৬/৬/২০১৪ রোজ শুক্রবার আমার আব্বা না ফেরার দেশে চলে যান। তিনি কোন মুক্তিযোদ্ধা সনদ রেখে যেতে পারেন নায়। কেননা তিনি ভারতে ট্রেনিংয়ে অংশ গ্রহন করতে পারেন নায়, অতএব মুক্তিযোদ্ধা লিস্টে তার নাম নেই। যুদ্ধ থামার পর মাগুরায় অস্ত্র জমা দিয়ে চট্টগ্রাম চলে যান চাকরির উদ্দেশ্যে। কখনো তিনি ভাবেন নাই যে, আমাকে কোথায়ও এ ব্যাপারে নাম লিখাতে হবে।
যাইহোক, আমার মূল উদ্দেশ্য এবার বলি, আমাদের সংসারে অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল, সো আমি আব্বাকে জোর দিয়ে সনদের ব্যাপারে কিছু করতে বলি, সেমতে আব্বা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন যায়গায় যোগাযোগ করেন। ফলাফল- মাগুরা মহাম্মাদপুর থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কর্তৃক সার্টিফাই হতে হবে। মহাম্মাদপুর থানা কমান্ডার (যুদ্ধকালীন নকশাল কমান্ডার} জবাব দিলেন- ভাই, এত বছর যাবত অনেক কাঠখড়ি পুড়ায়ে এ পর্যন্ত আসছি, আপনাকে তো আমি চিনি, তবে সময় লাগবে আর টাকা লাগবে। ৫০,০০০/ টাকা লাগবে। আমরা টাকা দিতে পারি নাই। সনদও হয় নায়।

(আব্বা এসব নিয়ে কিছু লিখতে নিষেধ করেছিলেন পাছে কিছু হয়! তাই কখনো লেখা হয়নি। আজ কেন জানি মনে হলো একটু লেখি, আব্বা তো নেই। }

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৪

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: প্রথমে ছালাম জানাই আপনার প্রয়াতঃ মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে যিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ ও জাতির লাল-সবুজের পতাকা নিঃস্বার্থভাবে উপহার দিয়ে গেছেন !
দ্বিতীয়তঃ আপনার দুঃখটা শুধু আপনার একার নয়; বিভিন্ন কারণে বাদ পড়া এদেশে সকল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারগুলোর একই দুঃখ !
আর আমার লেখাটার উদ্দেশ্যঃ বর্তমানে আমাদের উপজেলায় বাদ পড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে ! তাই এ নিয়ে সরাসরি তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটির পিছনের সারিতে বসে যা যা দেখলাম সেই আলোকে.........
সত্য নিয়ে লেখার আহ্বান/অনুরোধ করবো !

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭

বিলুনী বলেছেন: পকৃত মুক্তযুদ্ধারা স্বীকৃতি পান এ কামনা করি ।
ধন্যবাদ মুল্যবান লিখাটির জন্য ।
চাঁদগাজী ভাই এর কথাই সঠিক ।
এখন দেশে খুব মম্ভবত ৪০ হতে ৫০ হাজার মুক্তিযুদ্ধা জীবিত আছেন ।
এর মধ্য প্রায় সকলেরই বলতে গেলে ন্বীকৃত সনদপত্র আছে ।
স্বাধিনতার পরপরই সকল মুক্তিযুদ্ধাদেরে সন্দপত্র দেয়া হয়েছে ।
যারা তখন সনদ পত্র পান নাই তাদেরকেও তাঁদের কমান্ডারদের নিকট হতে সনদপত্র সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা তখন দেয়া হয়েছিল । ঐ নির্দেশনার পরেও যারা বিবিধ কারণে সন্দপত্র নেন নাই তাঁদের মধ্যে বর্তমানে জীবিত কোন মুক্তিযুদ্ধা নাই বললেই চলে । থাকলেও হাতে গুনা কয়েকজন মাত্র এ সংখ্যা সর্বোচ্চ হাজারখানেক হতে পারে এর বেশী নয় এবং তাদের বয়স কারো ৬০ এর নীচে নয়। তাঁরা এই সনদ আইলে অনেক আগেই নিতে পারতেন , বুঝা যাচ্ছে তাঁরা সনদের কাংগাল নন। এখন যারা নীজেরদেরকে মুক্মিযুদ্ধা বলে সনদ সংগ্রহ করতে চাইছেন তারা বিভিন্ন প্রকারের গল্প ফেদে ও মিথ্যা সাক্ষি যোগার করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছেন । কেন তারা দেশ স্বাধিনের পরে মুক্তি যুদ্ধার সনদপত্র নেন নাই, সেটার দায় একান্তই তাদের । এখন তাদের দাবীর ফাক গলে অনেক সুবিধাবাদী ভুয়া লোকজন মুক্তুযোদ্ধার সনদ নেয়ার জন্য কায়দা কানুন করছে । তাই ভাল হয় অল্প যে কয়েকজন মুত্তিযুদ্ধা রয়েছেন তারা একথা বলতে পারেন , দেশের জন্য আকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়ার জন্য তৈরী ছিলাম , এখন মুত্তিযোদ্ধার নাম করে ভুয়া মুক্তি যুদ্ধাদের সনদপ্রাপ্তি বন্ধের জন্য আমরা নতুন করে আর তালিকাভুক্ত হতে চাইনা , তারা সকলে রমনা উদ্যানে সমাবেশ করে ঘোষনা দিতে পারেন নতুন করে মুক্তিযুদ্ধা তালিকার কোন প্রয়োজন নাই । আমরা তাদের সকলকে বীর সন্তান হিসাবে উপাদি দিব, তাদেরকে জানাব সর্বোচ্য শ্রদ্ধা এধরনের একটি বিরোচিত ঘোষনার জন্য । আমি মনে করি দেশের পকৃত সনদবিহীন মুক্তিযোদ্ধারাএতে রাজী হবেন , শুধু রাজী হবেনা বোগাস মুক্তি যুদ্ধারা আর এতেই প্রমান হবে তারা আসল না নকল মুক্তিযুদ্ধা।

ভুয়া মুক্তিযুদ্ধাদেরকে প্রতিহত করার জন্য পকৃত মুক্তিযুদ্ধারা যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত, ভুয়া মুক্তিয়ুদ্ধা ও তাদের সহযোগীরা জোরে সোরে দাবী করে আমরা যুদ্ধ করে পাইনি কিছুই শুধু পেয়েছি অবহেলা । কিন্ত আমি হলফ করে বলতে পারি আসল মুক্তিযুদ্ধাদেরকে এলাকায় সকলেই চিনে এবং দেয় যথাযোগ্য বিরের সন্মান । আর্থবিত্তে তাঁরা কষ্ট পেলেও মনের বলে বলিয়ান , তাঁরা জাতির সাহসি সন্তান ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৫

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: বিলুনী ভাই, মুক্তিযোদ্ধা সনদ বিক্রি করছে কারা ?? -এই মুক্তিযোদ্ধারাই বিক্রি করছে !
এটা এখন ভিজিএফ কার্ডের মতো হয়ে গেছে !
যে আমলে হাই স্কুলের ছেলে-মেয়েরাও ফুল প্যান্ট, সালোয়ার কামিজ ভালোমতো চিনতো না; বারো পনেরো বছরেও প্রাইমারির গন্ডি পেরোতে পারতো না, বাচ্চা শিশুদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে ঘুম পোড়ানো হইতো, "পুলিশ এসেছে" এই বাক্যটি শোনা মাত্রই এলাকাসুদ্ধ নারী-পুরুষ সব জঙ্গলে পালাতো; সেই আমলে গ্রামের দশ-বারো বছরের কিশোরগুলো সব দল বেঁধে ইন্ডিয়াতে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে পুলিশ নয় সরাসরি মিলিটারী বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছে; কি সাংঘাতিক সাহস ছিলোরে বাবা !!!!!!!!!!! :)
আর এই আমলে সেই বয়সী ছেলে-মেয়েগুলোর বাবা-মায়েরা তাঁদেরকে স্কুলে আনা-নেওয়ার চাকুরী করে যেন :) আবার কখনো একা ছাড়লেও ব্যাগ ভরা বইয়ের সাথে আর এক ব্যাগ সাবধানবাণী বলে দেয় :)
আসলেই এবার বুঝতে পারছি মুক্তিযোদ্ধারা কি জিনিস ছিলো; ভাগ্য ভালো যে, তখন ছিলাম না বলেই এসব আজব জিনিস তখন চোখে দেখতে হয়নি :)
অবশ্য মুক্তিযুদ্ধকালীন বাস্তব ভিডিও চিত্রে এমন বয়সী সূর্য্য মামাদের চেহারা তো দেখিনাই বললেই চলে :) তবে কয়েকটা শিশুতোষ চলচ্চিত্রে দেখসিলাম ভাই :)
যাহোক, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা যা দেখিয়েছেন, দেখাচ্ছেন এবং দেখাবেন সবই আমাদের খাদ্য :)
অতএব, বিলুনি ভাই ওই হাজার খানেক জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কাউকে পেলে বলবো- 'আপনারা নির্বোধ ছিলেন বলেই আমরা এখন সরকারের পোষ্য লক্ষ লক্ষ জীবিত মুক্তিযোদ্ধা দেখতে পাইতেসি' :)

চাঁদগাজী এবং বিলুনী ভাই, আমার মন্তব্যে কষ্ট নিবেন না ! ভালো থাকবেন নিরন্তন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.