![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনেই বদলায়
আমি রাজনীতি বুঝি না তাই রাজনীতি থেকে দূরে থাকি তবে
বিএনপি বিরুদ্ধ সমর্থকদের প্রায়ই বলতে শোনা যায় 'বিএনপি একটি দু'নম্বরি দল', দলটির গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত প্রতিটা পরতে পরতে ছিলো মিথ্যা এবং দুর্নীতিতে গড়ানো ! আজকে পত্রিকার পাতায় দেখলাম বিএনপির হেড অফিস নিলামে উঠছে; তার মানে এইখানেও দু'নম্বরি ছিলো
?
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খেলাপি ঋণের দায়ে নিলামে উঠতে চলেছে। ঢাকার অর্থ ঋণ আদালত নিলামের উদ্যোগ প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। ব্যাংক সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এসময়ের মধ্যে ঋণগ্রহীতা দুইবার উচ্চ আদালতে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
ঢাকার চতুর্থ অর্থঋণ আদালতে করা মামলার সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী ও তাঁর বন্ধু এ এইচ খান ১৯৮০ সালের ২০ আগস্ট ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনাল থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ নেন। এর মধ্যে ওই ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে তাঁরা ইস্টার্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলেন। এ এইচ খান হলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিমের ভাইয়ের শ্বশুর। ঋণগ্রহীতা হিসেবে তানভীর গ্যারান্টার হন এবং তাঁর বাড়ির দলিল মর্গেজ দেওয়া হয়। প্রতি মাসে সোয়া তিন লাখ টাকা করে এক বছরের মধ্যে পুরো অর্থ পরিশোধ করার জন্য তাঁরা চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু এর এক টাকাও ঋণগ্রহীতারা পরিশোধ করেননি। উল্টো উচ্চ আদালতে দুই বার রিট করে মামলার সব কার্যক্রম স্থগিত করান। সে পাওনা ১৯৯৬ সালে সুদে-আসলে প্রায় সাড়ে তিন কোটিতে দাঁড়ায়। এখন সেটা প্রায় ১৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও আসামিদ্বয় ব্যাংকে একবারের জন্যেও যোগাযোগ করেননি। ব্যাংক থেকে অসংখ্য চিঠি দেওয়া হলেও এর কোনটির উত্তর তাঁরা দেননি। ১৯৮৮ সালের ৭ ডিসেম্বর এক নম্বর আসামি এ এইচ খান ব্যাংক বরাবর একটি চিঠি লিখে তাঁর এসওডি ঋণের বিপরীতে প্রদত্ত গুলশানের চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বাড়ির পরিবর্তে ২৮/১ নম্বর নয়াপল্টনের পাঁচতলা বাড়িসহ ৬.১৮ শতাংশ জমি সিকিউরিটি হিসেবে জমা রাখার আবেদন করেন, যা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৯ সালের ১৬ আগস্ট ওই সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলমূলে বন্ধক রাখা হয়। এর মাধ্যমে ওই সম্পত্তি বিক্রি করার বিষয়ে ব্যাংক আইনি ক্ষমতা পায়।
তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী ১৯৮৯ সালের ৩০ জুলাই নিজ হাতে একটি আবেদনপত্র লিখে ব্যক্তিগত সহকারী শাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে ব্যাংকে সিকিউরিটি হিসেবে রক্ষিত গুলশানের বাড়ির দলিল নিয়ে আসেন। সে সঙ্গে অঙ্গীকার করেন, পরে দরকার হলে সে দলিল ব্যাংককে দেওয়া হবে। মামলার দুই নম্বর আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর হাতে দলিল দিয়ে দেয়। এর বদলে তিনি বিএনপি অফিসের দলিল ব্যাংকে বন্ধক রাখেন। কিন্তু পরে অসংখ্যবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তিনি ওই দলিল আর ব্যাংককে ফেরত দেননি।
সূত্র: দৈনিক কালের ??
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: তাহলে এখন দস্যুরানীর যেটা করণীয় সেটা হলো-
অতীতে যারা আসল বিএনপি, নকল বিএনপি নিয়ে মারামারি, অফিস দখল ইত্যাদি করেছে তাঁদের ডেকে অফিস তাঁদের হাতে বুঝিয়ে দিক ! এ থেকে খালেদার দুটো লাভ হবে (1) আসল-নকল-সুবিধাবাদী চিনতে পারলো (2) ঋণখেলাপি অফিসের দায় তাঁদের ঘাড়েই চাপিয়ে দিতে পারলো
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নিজের মনে করে নিয়েছে, এখন যেহেতু পরের হইছে তাই উচিত ছিল টাকা আগেই পরিশোধ করা। অভ্যাস আর চেঞ্জ করা গেল না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৯
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: "কয়লা শত ধুইলেও যায় না তার ময়লা"
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিএনপি মারাঠা দস্যুদের মতো, এলো, যা পেলো নিয়ে গেলো।