নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূঃখবোধ কি বা মানুষ কেন দূঃখ পায়

২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪

দূঃখ হচ্ছে একধরনের অনুভূতির প্রকাশ। আবার বলা যায় দূঃখ হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশের একটি মাধ্যম। মানুষের চোখে-মুখে এক ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যমে কারো দূঃখভাব ফুটে ওঠ। কারো সাথে রূঢ় আচরণ বা অশ্লীল/অশালীন বাক্যে কথা বললে বা নিজের স্বাভাবিক গতির বিরুদ্ধে মত দিলে মনের ভিতর এক ধরনের অনুভূতির জাগরণ হয় যা চোখে-মুখে ফুটে ওঠে অনেক সময় চোখ দিয়ে পানি বের হয় একেই দূঃখবোধ বলে। দূঃখ একটা আপেক্ষিক বিষয়। কেই অল্প দূঃখ পায় কেউ অধিক দূঃখ পায়। আবার কেউ অনেক নেতিবাচক আচরনে দূঃখ পায় না আবার কেউ সামন্য কথায় অনেক দূঃখ পেয়ে যায়।অনেক সময় অল্প পরিমান দূঃখ পেয়ে অধিক পরিমান আবেগ প্রকাশ করে থাকে, কান্না-কাটি করে চোখের জল নাকের জল একাকার করে ফেলে। আবার বড় ধরনের দূঃখ পেয়ে একে বারে চুপ হয়ে যায়, বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। একেই বলে অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর। দূঃখের আছে নানান প্রকারভেদ। আবার একই ঘটনায় একজন আনন্দ পেতে পারে অন্যজন দূঃখ পেতে পারে। যেমন এক দেশের গালি অন্য দেশের বুলি। দুঃখ মানিয়ে নেওয়ার বিষয়। এটা জীবনের অংশ মনে করে মানিয়ে নিলে আর দূঃখবোধ থাকে না। জীবন হচ্ছে সুখ দূঃখের সমষ্টি। সুখ দূঃখ জীবনে একটার পর আর একটার আগমন ঘটে এবং জীবনে সুখের পরিমান ও দূঃখের পরিমান সমান। কথায় আছে, “যত হাসি তত কান্দন, বলে গেছেন রাম চন্দন”। সময় পরিমাপের সময় দূঃখের সময় দীর্ঘ মনে হয় এবং সুখের সময় দ্রুত অতিবাহিত হয়। এটা আমাদের মনের সমস্যা। মানসিক অবস্থা পরিবর্তন করলে জীবনে আর দূঃখ বোধ থাকবে না। মুরগীর বাচ্চা পানি দেখলে ভয় পায় আর হাঁসের বাচ্চা পানি দেখলে খুশি হয়। হাঁস কখনো হিসাব করে না তার শরীরে কতটুকু পানি লেগেছে কারন সে সব সময় পানিতেই বসবাস করে। ডাঙ্গায় উঠে ডানা ঝাপটে পানি দূর করে ফেলে স্বাভাবিক হয়ে যায় তার পানিতে ভেজার দরূন কোন ক্ষোাভ বা দূঃখ থাকে না। আমরাও যা দূঃখের সাগরে বসবাস করি তারা দূঃখটা আমলে না নিয়ে জীবনের অংশ মনে করলেই আর দূঃখবোধ থাকবে না। হাস যদি ডাঙ্গার প্রাণী হয়ে পানিতে নেমে খুশি মনে সাতার কাটতে পারে তেমনি আমরা যারা সুখের রাজ্যের বাসিন্দা দাবী করি তারা কেন দূঃখের সাগরে আনন্দ সাতার দিতে পারি না । এটা আসলে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়। একদিন দূঃখের দিন শেষ হবেই। দূঃখ শেষে সুখ আসবেই। রাত যত গভীর হয় ভোর তত সন্নিকটে। অবশেষে হেলাল হাফিজের একটা দূঃখের কবিতা শোনাই,


ফেরীঅলা
হেলাল হাফিজ---
কাব্য গ্রন্থঃ যে জলে আগুন জ্বলে
---------------------------
কষ্ট নেবে কষ্ট
হরেক রকম কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট !

লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট
পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট,
আলোর মাঝে কালোর কষ্ট
‘মালটি-কালার’ কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট ।

ঘরের কষ্ট পরেরর কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট
দাড়ির কষ্ট
চোখের বুকের নখের কষ্ট,
একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট ।

প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট নদী এবং নারীর কষ্ট
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট,
ভুল রমণী ভালোবাসার
ভুল নেতাদের জনসভার
হাইড্রোজনে দুইটি জোকার নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট ।

দিনের কষ্ট রাতের কষ্ট
পথের এবং পায়ের কষ্ট
অসাধারণ করুণ চারু কষ্ট ফেরীঅলার কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট ।

আর কে দেবে আমি ছাড়া
আসল শোভন কষ্ট,
কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন
আমার মত ক’জনের আর
সব হয়েছে নষ্ট,
আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের আয়ু তো পদ্মপাতার জল, এই কথাটা ভুলে যেতে খুব ভালোবাসে মানুষই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.