নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আব্দুস সাত্তার মোহন্ত এর বিখ্যাত মরমী গান থেকে কি আমরা কিছু শিক্ষা নিতে পারি না?
আমি তো মরে যাবো
চলে যাবো রেখে যাবো সবি
আছোস নি কেউ সঙ্গের সাথী
সঙ্গে নি কেউ যাবি
আমি মরে যাবো
মরার সঙ্গে সঙ্গে
পড়ে যাবে কান্নাকাটির ভিড়
সবাই মোরে মাটি দিতে হইবে অস্থির
আমায় দেবে মাটি
আমায় দেবে মাটি
ভুল ত্রুটি চেয়ে নেবে ক্ষমা
কেউবা এসে হিসাব করবে
কোন ব্যাংকে কি জমা
আমি মরে যাবো
মরে যাবো রেখে যাবো
দুনিয়ার সম্পদ
সেই সম্পত্তি ডেকে আনবে
আপদ আর বিপদ
সম্পদ ভাগের জন্য
সম্পদ ভাগের জন্য
মন মালিন্য হবে সুত্রপাত
একজনকে করবে আরেকজন
আঘাত অপবাদ
আমি মরে যাবো
গানের ছন্দে মন আনন্দে
মাথা ঝোলাও তালে
বুঝলি না কি অন্ধ মানুষ
গায়কে কি বলে
সবার হাতে ধরি
সবার হাতে ধরি পায়ে পড়ি
বেঁধে নাও সামান
কিতাবে কয় ওপারের ডাক ভয়ঙ্কর নিদান
আমি মরে যাবো
আব্দুস সাত্তার মোহন্ত (জন্ম নভেম্বর ৮, ১৯৪২ - মৃত্যু মার্চ ৩১, ২০১৩) একজন বাংলাদেশী মরমী কবি, বাউল সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার। বাউল গান তথা পল্লীগান যাদের হাতে সমৃদ্ধ হয়েছে আব্দুস সাত্তার মোহন্ত তাদের মধ্যে অন্যতম। গুরুপ্রেম, ঐশী প্রেম, প্রার্থনা, মুর্শেদী, দেহতত্ত্ব, আধ্যাতিকসহ তিনি প্রায় ৬ শতাধিক গান রচনা করেছেন। তিনি তার রচিত বিভিন্ন জনপ্রিয় গান বিশেষ করে তার অমর সৃষ্টি আমি তো মরে যাবো চলেই যাবো গানের জন্য দেশ বিদেশে খ্যাত। এছাড়াও তার বহু গান জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার বেশ কিছু গান চলচ্চিত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে।
আব্দুস সাত্তার মোহন্ত ১৯৪২ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কুড়িগাঁও গ্রামে একটি সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম গোলাম আলী বেপারী এবং মাতা মরহুমা সবুরুন নেছা। ছয় ভাই বোনের বিশাল পরিবারে বেশিদূর লেখাপড়া করা সুযোগ পাননি। জীবিকার জন্য দিঘলী বাজারে ভাড়া নেন একটি ছোট্ট দোকান। আর রাতে ঘুমাতেন বাজার সংলগ্ন ছত্তর বেপারী সাহেবের বাড়িতে। সে বাড়িতে থাকতেন বিখ্যাত সাধক কদম আলী মস্তান । তার আস্তানায় সবসময় লোকজনের আনাগোনা থাকতো। আর রাতে বসতো গানের আসর। প্রায়ই নামী-দামী আসতেন গান করতে। সেই আস্তানাতেই পাগল কদম আলী মস্তানের উৎসাহে আব্দুস সাত্তার মোহন্ত গান বাজনা শুরু করেন। কদম আলী মস্তানই তার "মোহন্ত" নামটি প্রদান করেন।
আব্দুস সাত্তার মোহন্ত ১৯৭৮ সালে প্রথম বাংলাদেশ রেডিওতে গান করার সুযোগ লাভ করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। এছাড়াও তিনি নিয়মিত বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে গান পরিবেশন করেছেন। ১৯৮৯ সালে তার প্রথম অডিও অ্যালবাম আমিতো মরে যাবো প্রকাশিত হয়। সাত্তার মোহন্ত ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার নির্বাচিত হোন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১২
রবিন.হুড বলেছেন: আপনার মতো মহাজ্ঞানীর এইখানে সময় না দিয়ে সুরা পনে নিজেকে অমর করে তোলা উচিৎ?
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: দুনিয়ার মায়াবী জালে জড়িয়ে আমরা সবাই মরনকে ভুলে দুনিয়া নিয়ে মেতে থাকি, অথচ মরন চিরন্তন সত্য এবং যেকোন সময় আমরা মরে যেতে পারি।
মরমি কবির আধ্যাত্মিক গান।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৪
রবিন.হুড বলেছেন: জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকলে মানুষ সব সময় অন্যের সেবা করতো।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: গানটা বেশ জনপ্রিয়।
খুনী এরশাদ শিকদার এই গানকে জনপ্রিয় করেছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
রবিন.হুড বলেছেন: মরমী গানটা থেকে জীবনে শিক্ষা গ্রহন করা উচিৎ। অনেকেই এই গানের গীতিকার আব্দুস সাত্তার মোহন্তকে চেনে না তাই এই পোস্ট।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: গানের লিরিক্স ও কবির সংক্ষিপ জীবন বৃত্তান্ত্ব পড়ে ভাল লাগল।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৭
রবিন.হুড বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৮
জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর গানের সঙ্গে সুন্দর তথ্য। জটিলবাদ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৯
রবিন.হুড বলেছেন: জীবনের জটিলতা কাটানোর জন্য এই গানের কথাগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে জটিল ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেকুবী গান।