![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দীর্ঘদিন ছুটি নেই- তাই বিয়ের ছুটিটা কাটিয়ে এসে বেশ ফুরফুরে লাগছে হাসানের। বেশিদিন না মাত্র ১০ দিনের ছুটি। তারপরও সে খুশি এই ১০টা দিন অফিসকে বলেছে- তাকে ফোনেও পাওয়া যাবে না। একদম নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঢু মারেনি এই কটাদিন। অফিসও স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে। বিয়ে বলে কথা!
তাই এতদিন পর আজ অফিসে ঢোকার সময়ও ফাঁক ফোকর রাখেনি সে। হরেক রকম মিষ্টি নিয়েই এসেছে। সবাই তার মিষ্টি খেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছে। কেউ সাধুবাদ কেউ আবার বিয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
এরই মধ্যে নিজের ডেস্কে বসামাত্র শুনলো; ভাইয়া ভাবীর একটা ছবিও দেখালেন না। ফেসবুকে তো দেবেন নাকি? তাওতো দিলেন না। অফিসে অ্যাবসেন্ট ছুটির কারণে ফেসবুকে কেন অ্যাবসেন্ট থাকবেন বুঝিনা।
পাশের ডেস্কের মেকাপ কন্যা সোনিয়া। সারাদিন খালি মেকাপের বাক্সো! চরম বিরক্ত হয় হাসান। তারপরও অত্যাচারে অভ্যস্ত!
কি আর বলবো সোনিয়া পর্দাশীল মেয়ে ছবি টবি’র ধারে কাছে নেই।
কি বলেন, বাসর রাতে আপনার থেকেও পর্দা করেছে নাকি?
হাসানের মনে হচ্ছিল গরুর মতো দুটো শিং থাকলে এই মেকাপের ডিব্বাটা উল্টে ফেলে দিত। তারপরও ধৈর্য ধরে বললো; দূর কি বল। ভালোই আছে একদিন মিশে দেখো। ভালো লাগবে। তখন আর মন্দ বলবে না।
ওহ ভাইয়া, আপনাকেতো বলাই হয়নি; অফিসে তিনজন নতুন বস জয়েন করেছেন দু’জন নারী। চেহারা ভালো না। আরেকজন পুরুষ বেশ হ্যান্ডসাম। তবে বয়স বেশি দুটো বাচ্চা আছে।
বিরক্তির মাঝেও হাসলো হাসান। বুঝলো মানেটা উল্টো; নতুন বসগুলো মানে মেয়েগুলো সুন্দরী আছে আর পুরুষটা মধ্যবয়সী হবে।
তারা একটি ডিজাইন হাউসে চাকরি করে জুনিয়র গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে। হাসান একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবছর বের হয়েছে। ছাত্র অবস্থা থেকেই চাকরি করে। সদ্য পাস এ কারণে যদিও বেতন কিছুটা কম, তারপরও কাজে সে বেশ দক্ষ।
মনে হয় সিনিয়র গ্রাফিক ডিজাইনার নিয়েছে অফিস ভাবছে হাসান। মনে মনে হাসছে সিনিয়র তার উপর যদি ‘গ্রামার’ ওয়ালা মেয়ে হয় তাহলেতো ভালোই আর কেবল ‘গ্লামার’ হলে তার নিজেরই খবর আছে। জুনিয়র হিসেবে সব কাজ তাকেই সারতে হবে!
ভাইয়া, ফের ডাকটা শুনেই বিরক্ত হল হাসান। এই মেকাপের ডিব্বাটার গলাটা শুনলেই পিত্তি জ্বলে যায়।তবে মেয়েটার কোনো বদগুণ নেই কেবল অতিরিক্ত সাজুগুজু করে। একদিনতো রাস্তায় দেখে চিনতেই পারেনি হাসান!
হ্যাঁ বলো সোনিয়া বলে সে পাশ ফিরে তাকিয়েই দেখলো- সোনিয়ার পাশে আরেক মেয়ে।
সোনিয়া বললো- ভাইয়া ইনি...।
হাসছিলো হাসান ও ওই মেয়ে দু’জনই। হাসান বললো- ঊনি চৈতি হক। আমরা আগে একসঙ্গে কাজ করেছি এক বছর নতুন করে পরিচয় দেয়ার দরকার নেই।
চৈতি বললো- হাসান ভাই আপনার সঙ্গে আবারো কাজ করবো শুনে ভাল লাগছে। তবে একি আপনি নাকি বিয়ের ছুটিতে গেছেন! তবে...
হাসান বললো- চৈতি আপু এই অফিসে এলেন পরে কথা বলা যাবে চলেন সকাল বেলা ক্যান্টিনের চা টা অনেক ভালো হয়। খেতে খেতে কথা বলবো।
দু’জনে চললো ক্যান্টিনের দিকে। হয়ত এতদিন পরে দেখা কিছু কথাতো থাকতেই পারে। তাই বলে টেবিলেওতো চায়ের অর্ডার দিতে পারতো। তাদের দিকে তাকিয়ে এই ভাবছে সোনিয়া। চোখে তার বিস্ময়!
ওদিকটা ম্যানেজ করে কিছুক্ষণ পর নিজের ডেস্কে বসলো হাসান। যাক, চৈতি বিষয়টা বুঝেছে। তারপরও মেয়ে বলে কথা আর দুর্বলতাও যখন জেনে গেল তাই কিছুটা উদ্বিগ্নই হাসান। ৯টায় অফিসে এসেছে ১০টা বাজে তারপরও কাজে বসেনি। সোনিয়া কোথাও গেছে। হয়তবা ওয়াশরুমে গেছে হেয়ার স্টাইল চেঞ্জ করতে!
ঠিকই কিছুক্ষণ পর সে হেয়ার স্টাইল চেঞ্জ করে এলো। ভাইয়া- আপনি কোথায় ছিলেন, রিতা ম্যাডাম এসে গেলেন।
রিতা; ও আরেকজন ম্যাডাম। যাহোক নামটা অপরিচিত তাই কিছুটা ফুরফুরে সে। একটা ম্যানেজ হয়েছে আপদ কাটা গেছে।
এখন কোথায় ঊনি? জিজ্ঞেস করলো হাসান।
রুমেই আছে যান। বসরা সব এক রুমেই। তবে আরেকজন সিনিয়র যিনি জয়েন করেছেন ঊনি বিকেলে আসবেন। বললো সোনিয়া।
বাস্তবে হাসানদের এ ডিজাইন হাউসটি ২৪ ঘণ্টা চলে। তিনটা শিফটে। আর কাজের ব্যস্ততাও প্রচুর। আইটিসহ বিভিন্ন প্রকারের কাজ হয়। ডিজাইন বলতে ওয়েবসাইট ডিজাইনও হয় এখানে।
বসদের রুমে গেল হাসান। এই সেকশনে আগে তিনজন ছিল এখন ৬ জন। একজন প্রধান আর একজন তাঁর সহকারী। বাকিরা সবাই সিনিয়র গ্রাফিক ডিজাইনার। আসনও সেভাবেই করা। তবে কয়েকটি ডেস্ক বাড়ানো হয়েছে। সবারগুলোই গ্লাসের ভেতর পৃথক পৃথক।
হাসান গিয়ে রিতা ম্যাডামের ডেস্কের সামনে দাঁড়ালো। ভেতরে প্রবেশের আহ্বানও পেল। ভেতরে প্রবেশ করে চক্ষু চড়কগাছ!
হাসান তুমি এখানে! যাক বেশ ভালো হলো- আবার তোমাকে পেলাম। তবে একটা বিষয় বুঝলাম না, বিয়ের ছুটিতে তুমি?
হাসান আর কোন ভনিতা ছাড়াই বললো- আপু আপনি রিতা কবে থেকে?
আগে বসো।আসলে আমার পুরো নাম শারমিন নাহার রিতা। ওই অফিসে যেখানে দু’বছর আগে কাজ করেছিলাম। ওরা শারমিনই বলতো। ওসব রাখো তোমার ঘটনা বলো।
আসলে আপু সেবার বিয়েটা হয়নি। এবার হলো, মিষ্টি খেয়েছেনতো?
যাক সেবার তাহলে লজ্জায় বলোনি তাইতো? যাহোক তোমার মিষ্টি খেলাম। বউ কেমন পেলে বলো। কোন ছবি নেই?
রাখেন আপু, একদিন সশরীরে দেখাবো। ঢাকায় ও এলে যাবো কই এখনোতো ব্যচেলর মেসে থাকি। তাই নাহয় আপনার বাসাতেই নিয়ে যাবো।
হাসতে রিতা বললো- ঠিক আছে তাই কোরো।
এখন শোনো, এই যে কিছু কাজ আছে এগুলো নিয়ে যাও বলে একটা ফাইল ধরিয়ে দিলো।
আর অফিস থেকে বিকেলে বের হওয়ার সময় একসাথে বের হবো। তোমার ভাইয়া গাড়ি নিয়ে আসবে। কেমন।
ওহ হ্যাঁ কাজগুলো বুঝতে কোন সমস্যা হলে ফোন দিও।
ঠিক আছে বলে হাসান বের হল। এবারো হাফ ছেড়ে বাঁচলো। যাক- দুটো মাত্র অফিসেই সে কাজ করেছে।আর দু’জন নারীকেই ম্যানেজ করেছে। এবার স্বস্তি নিয়ে গিয়ে ডেস্কে বসে কাজ শুরু করলো।
ভাইয়া, আবার ডাক দিলো সোনিয়া। কাজ শুরুর আগে মেইলটা চেক করে নিয়েন- ৪টায় মিটিং।
হাসান বুঝলো- অফিসের মিটিং। তাতো যখন তখন হয়। মাস, সপ্তাহ, দিন বা যেকোনো সময়। তাই ওকথা না ভেবে কাজে মন দিলো। এরই ফাঁকে দুপুরের লাঞ্চও সেরে নিলো অফিস ক্যান্টিনে।
তারপর আবারও কাজ। মাঝে মাঝে সোনিয়ার বিরক্তি- ভাইয়া দেখেননা কালারটা ম্যাচ করছে না। এটা-ওটা। তবুও নিজের কাজের ফাঁকে সোনিয়াকে একটু সহযোগিতা সে করেই।
এভাবেই দুপুর গড়িয়ে বিকেল হল। মিটিংয়ের সময়ও হলো। হাসান জানে মিটিংয়ের পর আর কোন কাজ হবেনা। চলে যাওয়ার সময় হবে। ওদের দ্বিতীয় শিফটের লোকেরা ৪টায় আসে আর ওরা বের হয় ৫টায়। মিটিং ঘণ্টাব্যাপী হতে পারে তাই মিটিং শেষেই চলে যাবে সে।
একটা ফ্রেশ মন নিয়ে মিটিংয়ে বসলো। নতুন লোকেরা থাকায় পরিচিতি পর্বটাই আগে হলো। যদিও নতুন যে ভদ্রলোক জয়েন করেছেন তিনি এখনো আসেননি। অফিসেরই কি একটা কাজে- ঊনি নাকি বাইরে সাড়ে চারটার মধ্যেই চলে আসার কথা।
যদিও অফিসের সবচেয়ে বড় বস অনিক সাহেব পরিচিতি পর্বের পর নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক কিছু বলে বললেন, আপনারা যত সিরিয়াস হবেন অফিস তত লাভবান হবে। অফিস অবশ্যই আপনাদেরও সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেবে। আর আপনাদের জন্য একটা সুখবর আছে। আমাদের আরেকজন জামান সাহেব চলে এসেছেন, ঊনি রুমেই আছেন। এখনই আসবেন।
বসের পরের বস অর্থাৎ জামান সাহেবকে এত গুরুত্ব দেয়ার কারণ হাসান বুঝতে পারলো না। তবে অফিসের সবাই বেশ প্রফুল্ল। সুখবরটা কি সেটা জানার জন্য।
জামান সাহেব এসেছে বসবেন। তার আগেই হাসানের সঙ্গে চোখাচোখি। তুই এখানে? মানে তুই সেই হাসান যে কিনা বিয়ের ছুটিতে ছিল!
সবাই অবাক- অফিসে তুই-তুকারি কেউ করে না। কিন্তু জামান সাহেব। লোকটা কড়া বটে!
এবার হাসানের গা দিয়ে ঘাম ছুটতে শুরু করেছে। এসির বাতাসও বুঝি গরম হয়ে উঠেছে।
জামান সাহেব বসে সবার উদ্দেশে বললেন, কেউ কিছু মনে করবেন না। ও আমার ছোটভাই। ওর মা ছোটবেলায় আমাকেও মানুষ করেছে। আসলে আমার বাবার চাকরির সুবাধে ওদের এলাকায় ছিলাম। পাশাপাশি বাড়িতে ছিলাম। সখ্যতা গড়ে ওঠে। ওদের বাসা কয়েকবছর আগে বউ-বাচ্চাসহ গিয়েছিলাম।
সবাই বিষয়টা বুঝলো। অনিক সাহেব বললেন, বেশতো ভালোই হলো। উনিইতো পরবর্তী প্রজেক্টটাতে আপনাকে সাহায্য করবেন।
না স্যার কষ্ট পেলাম। ওদের বাসার এমন কোনো বিয়ে নেই যেখানে যাইনি। অথচ- ওর বিয়ে হলো জানলামই না! ওর ছোটবোনের বিয়েতেইতো গিয়েছিলাম। সুন্দরী ছিল। অনার্স ফার্স্ট ইয়ারেই বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে সে এখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। তিনবছর আগে ওর বিয়ে হয় সে বিয়েতেই গিয়েছিলাম। আগে জানলে ওর বিয়ের মিষ্টি খেতামই না।
অফিসের মিটিং কেমন যেন পারিবারিক বৈঠকের মত হয়ে গেল। সবাই শুধু আছে সে সুখবরটার অপেক্ষায়।
অনিক সাহেব বললেন, বাদ দেনতো জামান সাহেব। সুখবরটা বলেন, পাঁচটা বেজে যাচ্ছে। সকালের শিফটের লোকজন চলে যাবে। বিকেলের লোকেরাও কাজ শুরু করবে।
হাসান পড়েছে মহাচিন্তায়। তার উদ্বিগ্নতা সবাই খেয়াল করলো। সোনিয়া, চৈতি, রিতাই কেবল নয় অফিসের বাকি নারী-পুরুষরাও বুঝতে পেরেছে হাসান সাহেব ভালো নেই।
এই মুহূর্তে জামান সাহেব বলে উঠলেন। আমি আন্তরিকভাবে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে আমরা যারা এই অঙ্গনে কাজ করি তারাও শিল্পী তাই আমরা সবাই কিছুটা আবেগপ্রবণ। এটা আমাদের স্বভাবজাত।
আমরা একটা বড় কাজ পেয়েছি। কাজটা প্রজেক্টরে দেখাতে হবে। তবে আমি আর একটু দুঃখিত দুই মিনিট সময় নেবো। পেনড্রাইভটা আমার পারসোনাল ড্রয়ারে আছে। ওটা আনতে মনে নেই। অফিস স্টাফদের দিয়ে হবে না। আমাকেই যেতে হবে।
ঊনি উঠতেই অনিক সাহেব বলে উঠলেন, কাজটা কয়েক কোটি টাকার। অনেক বড় কাজ। জামান সাহেব যা দেখাবেন তা হলো কাজটা আমরা কিভাবে করবো। তবে একটা কথা বলে নেই- যে প্রতিষ্ঠানের কাজ পেয়েছি তাদের এমন অনেক কাজ আমরা আরো পাবো। ওরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাজ খুবই পছন্দ করেছে। বিশেষ করে হাসান সাহেবের জন্যই আমরা কাজটা পেয়েছি। ওনার দু’টো কাজ ওরা খুবই পছন্দ করেছে আর আমাদের কাজ দিয়েছে।
সবাই হাততালি দিল।
অনিক সাহেব বললেন, আরো একটা সুখবর হাসান সাহেব এখন থেকে আমাদের সঙ্গে সিনিয়র গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করবেন।
সবাই আবারো হাততালি দিলো। হাসানের পাশে বসা সোনিয়া ফিসফিস করে বললো- বিয়ে করেতো আপনার ভাগ্য খুলে গেলো ভাইয়া।
চৈতি রিতারাও খুশি। আর অফিসের বাকি সবাইও খুশি বড় একটা কোম্পানির বড় কাজ পাওয়া মানে সবার কপাল খুলে যাওয়া।
কেবল হাসানের ঘামঝরা বন্ধ হয়নি।
তবে জামান এসে হাসতে হাসতে বললেন, স্যার সবই যখন বলেছেন আর আনন্দের সংবাদে সবাই খুশি যেহেতু- সবাই দয়া করে আমাকে একটু সময় দিন। আমার একটা নালিশ আছে। আপনাদের হিরো একটা খাঁটি ভিলেন একটা বাটপার!
এবার বস অনিক সাহেব বিরক্তই হলেন। বললেন, জামান সাহেব এগুলো পারিবারিকভাবে মেটালে ভালো হয়।
না স্যার এটা অফিসের বিষয়- বললেন জামান সাহেব। অফিসের সাথে এতবড় প্রতারণা!
এরপর সবার উদ্দেশ্যে বললেন, আপনারা ভাবছেন এটা অফিসের বিষয় হলো কি করে। আসলে ও বিয়েই করেনি এইমাত্র খালাআম্মার সাথে আমার কথা হলো। এই দশদিন ও নাকি বান্দরবানে বেড়াতে গিয়েছিল!
সবাইতো হাসতে লাগলো।
চৈতিও চটপট বলে ফেললো; -মানে কি? দু’বছর আগে আমার সঙ্গে যে অফিসে ছিল সেখানেও বিয়ের ছুটি নিয়েছিল!
রিতাও বলে উঠলো- গত বছর আমার সঙ্গে যে অফিসে ছিলো সেখানেও বিয়ের ছুটি নিয়েছে!
অফিসের বস অনিক সাহেব অনেকটা বেরসিকই। তিনিও বলে উঠলেন, হাসান সাহেব কি আদৌ বিয়ে থা করেছেন?
জবাব শোনার আগেই জামান সাহেব বলে উঠলেন, বিয়ে সে একটিও করেনি। ছুটি কাটিয়েছে তিনটির!
সবাই হো হো করে হাসতে শুরু করলো।
হাসান পাশের সোনিয়াকে ফিসফিসিয়ে বললো-টিস্যু দাওতো। সোনিয়া মৃদু হেসে টিস্যু দিলো।
এ দৃশ্য দেখে অফিসের অনিক সাহেব বললেন, হাসান সাহেব ধরাই যখন পড়েছেন তখন বলেই ফেলুন কারণটা। লুকনোর কি আছে। আর বিয়ের ছুটি পাবেন না ঠিক আছে। তবে সবাই বোধকরি আজ আপনার মুখের কথা শুনতে চায়।
সবাই সমস্বরে দাবি জানালো- আমরা জানতে চাই তিন বিয়ের ছুটির কারণ।
হাসান কিছুটা সাহস নিয়ে বললো- আসলে বেসরকারি চাকরি ছুটির বালাই নেই। বিয়ের ছুটি ছাড়া আপনজন মারা গেলেও বেশি ছুটি পাওয়া যায় না। আর বিগত তিন বছর চাকরি করছি। কোন অফিসে এক বছরের বেশি থাকা হয়নি। তাই বিয়ের ছুটি নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছি। তারপর কোথায় কোথায় ঘুরেছে সেগুলো বলে বললো- এবার বান্দরবান গিয়েছি।
যাক সত্য যেহেতু বললেন সেহেতু আপনি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। আমি জানি সুযোগ-সুবিধা ঠিকমত পেলে আর বছরান্তে অফিস ছাড়বেন না। তবে আপনার ছুটি কমে গেল। মিটিং আজ এ পর্যন্তই। বলে মিটিং শেষ করে দিলেন অনিক।
হাসান সবার আগে উঠে ঝটপট বেরিয়ে গেলো। সে ভালো করেই জানে- দেরি করলেই বিপদ!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই...
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬
Saiduz Zaman বলেছেন: ফিনিশিং টা ভাল লাগল না
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ফিনিশিং টা নিয়ে আরেকটু ভাবতে হবে দেখছি...
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছুটির জন্য এত্ত কিছু।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ছুটি না পাওয়া কতটা যন্ত্রণার কখনো উপলব্ধি করেছেন আপু...
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শুরুটা চমৎকার ছিল। অস্থির মাপের একটা ফিনিশিং-এর প্রতীক্ষায় ছিলাম। ফিনিশিংটা ভাল লাগে নি। গল্পটা বেশ ছিল।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
গুরুর শিষ্য বলেছেন: কি ভেবেছিলেন শেয়ার করলে আমিও ওভাবে ভাবতে পারতাম...
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
কানা কুদ্দুছ বলেছেন: মজার ঘটনা